বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক পরিদর্শনকালে কিছু মুহূর্ত | ১০% লাজুক খ্যাঁক এবং ৫% এবিবি-স্কুল
আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল সদস্যগণ আসসালামু আলাইকুম
আশাকরি সকলেই সৃষ্টিকর্তার দয়ায় ভাল আছেন এবং সুস্থ আছেন। সেই সাথে পরিবার পরিজন নিয়ে ভালো সময় কাটাচ্ছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের সাথে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক পরিদর্শনের কিছু মুহূর্ত শেয়ার করব যা আমি গত দুদিন আগে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে পরিদর্শন করেছিলাম। আশা করি আপনারা সকলে আমার লেখা এবং ফটোগ্রাফি গুলো উপভোগ করবেন।
গত দুদিন আগে বান্দরবান পিটিআই কর্তৃক শিক্ষা সফরের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই শিক্ষা সফরে আমি এবং আমার সহকর্মী বৃন্দ এবং আমাদের শিক্ষক মিলে অংশগ্রহণ করেছিলাম এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে গিয়েছিলাম। সেইসাথে অবশ্য কক্সবাজার গিয়েছিলাম। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার ডুলাহাজারা নামক স্থানে অবস্থিত। এটি পূর্বে ডুলাহাজারা সাফারি পার্ক নামে পরিচিত ছিল। এটি আমাদের দেশের একেবারেই দক্ষিণ অংশে অবস্থিত।
আমরা খুব সকাল সকাল রওনা দিয়েছিলাম। সেখানে আমরা সকাল আটটায় গিয়ে করছি। শুরুতেই প্রবেশ মুহূর্তে কিছু বানর দেখতে পাই এবং একটি বানরের সাথে আমার সখ্যতা গড়ে উঠেছিল। এই সম্পর্কে পরবর্তী সময়ে অন্য একটি পোস্টে বিস্তারিত লিখব। যাই হোক সেখানে গিয়ে অনেক ভালো কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছিলাম। সেখানে প্রথমে প্রবেশ করার সময় অনেকগুলো প্রণীর মূর্তি দেখতে পাই। যা দেখতে খুবই সুন্দর দেখাচ্ছিল। বাঘ, সিংহ থেকে শুরু করে অনেক গুলো মূর্তির মাধ্যমে প্রবেশ মুহূর্তটিকে ভালোভাবে অভিবাদন করার জন্য সাজানো রয়েছে।
সেখানে কিছু সময় ঘুরে কচ্ছপ, বিভিন্ন রকম পাখি এবং বিভিন্ন রকম পশু ও কুমিড় দেখতে পাই। পাখিদের মধ্যে ইমু পাখি, ময়ূর, শকুন, বাজপাখি সহ আরো অনেক পাখি দেখতে পেয়েছিলাম যা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছিল। এবং পশুদের মধ্যে বাংলাদেশের জাতীয় পশু রয়েল বেঙ্গল টাইগার, সিংহ, ভাল্লুক, হরিণ সহ অনেক পশু দেখতে পেয়েছিলাম। যদিও অনেকটা চিড়িয়াখানার মতই। যদিও সাফারি পার্ক নামকরণ করা হয়েছে কিন্তু সেখানে পশুপাখি এগুলো অনেকটাই বন্দি। তাই এটি আমার কাছে অনেকটা চিড়িয়াখানার মতোই মনে হয়েছে।
যেহেতু তখন সকালবেলা ছিল এবং সেদিন আকাশ অনেকটাই মেঘলা ছিল। সেই কারণে প্রচুর গরম লাগছিল। তাই অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম এবং আমাদেরকে সকাল এগারোটা পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয়া হয়েছিল। যাইহোক এই অল্প সময়ে মুহূর্তটি ভালোই উপভোগ করেছিলাম। যদিও আশা করেছিলাম সাফারি পার্ক মানে উন্মুক্ত সকল প্রাণী থাকবে। যেহেতু এগুলো প্রাকৃতিক অভয়ারণ্য নামে পরিচিত। যাইহোক অল্পসময়ে কিছু ভালো লাগার মুহূর্ত কাটিয়েছিলাম। ধন্যবাদ সকলকে।
ছবির ধরন | বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের কিছু ফটোগ্রাফি |
---|---|
ডিভাইসের নাম | স্যামসাং গ্যালাক্সি জে ৭ |
ফোকাস দূরত্ব | ৩.৬ মি.মি. |
ফটো লোকেশন | বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারী পার্ক, ডুলাহাজারা, কক্সবাজার। |
ফটোগ্রাফার | kawsar8035 |
আমি মোঃ কাউছার হাসান। জন্মসূত্রে একজন বাংলাদেশী নাগরিক। তাই নিজেকে বাংলাদেশি হিসেবে পরিচয় দিতে স্বচ্ছন্দ বোধ করি। কেননা এদেশের প্রকৃতির মাঝে আমার বেড়ে ওঠা এবং এদেশের বুকে আমার বসবাস। পেশায় একজন শিক্ষক এবং ব্যক্তিগতভাবে এক সন্তানের বাবা। সব সময় নতুন কিছু শেখার মাধ্যমে আনন্দ খুঁজে পাই এবং সেইসাথে প্রকৃতির মাঝে ভ্রমণ করার মাধ্যমে নিজেকে খুঁজে পাই।
ভাইয়া দেখে মনে হচ্ছে অনেক মজা করেছেন পার্কে গিয়ে। অনেক সময় কাটিয়েছেন। অনেক সুন্দর সুন্দর কিছু পশুর ফটোগ্রাফি করেছেন। আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো। আপনি আপনার কাটানো কিছু মুহূর্ত আমাদের সঙ্গে শেয়ার করলেন। সেজন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল 😍😍
অনেক ভালো একটি মুহূর্ত কাটিয়েছিলাম। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মতামতের জন্য এবং আমার লেখাগুলো সময় ব্যয় করে পড়ার জন্য।
যদিও এর আগে কখনো বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে ঘুরতে যাওয়া হয় নাই। তবে আপনার পোস্টের মাধ্যমে আমরা অনেক কিছু দেখলাম। আপনি খুব সুন্দর করে সবকিছু র্বণনা আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। খুব সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এরকম সুন্দর একটি পার্কের বর্ণনা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল ভাই আপনার জন্য।
সময় পেলে এবং সুযোগ হলে সাফারি পার্ক ঘুরে আসতে পারেন। আশা করি ভালো লাগবে। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মতামত প্রদানের জন্য।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে আমি একবার গিয়েছিলাম, অনেক সুন্দর একটি জায়গা, অনেক মনরন্জন একটি পরিবেশ, অনেক সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটিয়েচেন আপনি, আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো ভাইয়া।
আমাদের কাছেও জায়গাটি ভালো লেগেছে। আপনাকেও ধন্যবাদ।
আমার ভ্রমণ অনেক পছন্দের। সময় পেলে কোথাও না কোথাও ঘুরতে বের হয়ে যায়। আপনি আপনার ভ্রমণ কাহিনী আমাদের মাঝে সুন্দরভাবে শেয়ার করেছেন। আপনার প্রতিটি ফটোগ্রাফি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য
আমার কাছেও ভ্রমন অনেক প্রিয়। আপনার ভালো লেগেছে জানতে পেরে সত্যিই খুশি হলাম। ধন্যবাদ
পার্কের ঘুরাঘুরি করার মুহূর্তের ছবিগুলো দেখতে আমার খুবই ভালো লাগে। আমি আজ অনেকদিন যাবত ঘুরাঘুরি করতে কোথাও যেতে পারতেছিনা ব্যস্ততার কারণে। আপনাদের ঘুরাঘুরি করার পোস্ট দেখলে আমার খুবই ভালো লাগে। কারণ ঘুরাঘুরি করতে আমি নিজেও খুব ভালোবাসি। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আশা করি আপনি ব্যস্ততা কাটিয়ে আবার ঘুরার জন্য বের হতে পারবেন। আসলে ব্যস্ততা প্রতিটি মানুষেরই থাকে। এর মধ্যেই আমাদের সুযোগ করে নিতে হয়। ধন্যবাদ
পার্কে ঘুরতে আমাকে অনেক ভালো লাগে । আর আপনার ঘুরাঘুরির গল্পটি পড়ে আরো অনেক ভালো লাগলো । আপনারা সুন্দর সময় কাটানোর পাশাপাশি সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন ।
আপনার জন্য শুভকামনা রইল
আপনার ভালো লেগেছে জানতে পেরে আমার কাছেও অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ
ওয়াও ভাই ঘুরাঘুরি ব্লগ দেখলেই মনে হয় সেখানে উরে চলে যায়।বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক এ আপনি অনেক মজার একটি সময় পার করেছেন খুবই সুন্দর ভাবে আপনি উপস্থাপনা করেছেন।ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
যেহেতু একসাথে অনেক কলিগ গিয়েছিলাম এবং সবাই অনেকটা সমবয়সী তাই মুহূর্তটি উপভোগ করেছিলাম। ধন্যবাদ
সাফারি পার্কে অনেক ভালো সময় কাটিয়েছেন দেখেই বোঝা যাচ্ছে। তবে বাঘ এবং সিংহের গায়ে কাঁটা তার প্যাঁচানো কেন সেটাই বুঝতে পারলাম না। আমিও দুবার এই সাফারি পার্কে গিয়েছি। আমার কাছে খুবই ভাল লেগেছিল এই অভিজ্ঞতা। পোস্টটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
তবে একটা বিষয় হচ্ছে এগুলো মূর্তি। আসল বাঘ এবং সিংহ রুমের ভিতর তালা বদ্ধ ছিল।
বাহ চমৎকার একটা পোস্ট শেয়ার করেছেন ভাই। সত্যি সবগুলো ফটোগ্রাফি অসাধারণ ছিল। এবং খুবই সুন্দর একটা সময় কাটিয়েছেন। ধন্যবাদ ভাই এবং আপনার জন্য শুভকামনা রইল ভাই।
আপনাকেও ধন্যবাদ। আমার লেখাগুলো পড়ার জন্য এবং আপনার সুন্দর মতামতের জন্য।