বিকেলবেলা কাজুবাদাম বাগানে কিছু মুহূর্ত | ১০% লাজুক খ্যাঁক এর জন্য
আশাকরি সকলেই সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে সুস্থ আছেন এবং ভাল আছেন। সেই সাথে আশা করি আপনারা যেখানেই থাকুন না কেন পরিবার পরিজন নিয়ে ভালো সময় কাটাচ্ছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের সাথে বিকেলবেলা ঘুরে বেড়ানোর সময় কাজুবাদাম বাগানে কিছু সময় ব্যয় করার মুহূর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
পাহাড়ি অঞ্চল কাজু বাদাম চাষের জন্য খুবই উপযোগী। তাই এখানে অনেক জায়গায় কাজু বাদাম চাষ চোখে পড়ে। আমাদের হোস্টেল থেকে দুই থেকে আড়াই কিলোমিটার দূরে একটি কাজুবাদাম বাগান রয়েছে। যেখানে অনেক অনেক পরিমাণে কাজুবাদাম চারা পাওয়া যায়। অবশ্য এটি একটি নার্সারি বলা চলে। কারণ এখানে কাজুবাদাম চারা বিক্রি করা হয়। এগুলো উচ্চফলনশীল চারা। এগুলো ভিয়েতনাম কিংবা কম্বোডিয়ান জাতের কাজুবাদাম চারা। এই জায়গা গুলো অনেক জায়গায় বিক্রির জন্য পাঠানো হয় এবং অনেকে এখান থেকে এসে কিনে নিয়ে যায়। অনেকদিন ধরে বাস দিয়ে আসা যাবার সময় এই বাগানে চোখে পড়তো।
গত দুদিন আগে বিকেলবেলা আমরা কয়েকজন হাঁটতে বের হয়েছিলাম। আমরা সকলে হাঁটতে হাঁটতে কাজুবাদাম বাগানের কাছে চলে যাই এবং বাগানের ভিতর প্রবেশ করি। সেখানে দেখতে পেলাম বিশাল জায়গা জুড়ে কাজুবাদাম চারা উৎপাদন করা হয়েছে। সম্ভবত এই জালা গুলোর উপর যেন বেশি বৃষ্টি না পড়ে সেই জন্য উপরে কাগজ টানিয়ে দেয়া হয়েছে। যদিও সেখানে কয়েকটি বড় চারাগাছ দেখেছি কিন্তু কোন ফলন দেখিনি। তবে বিশাল জায়গা জুড়ে এভাবে কাজুবাদাম চারা উৎপাদন করার দৃশ্য কাজুবাদাম বাগান দেখতে পেয়ে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল।
আমরা সকলেই জানি কাজুবাদাম একটি সুস্বাদু খাবার। তাছাড়া বর্তমানে এটি খুবই জনপ্রিয় এবং উচ্চ দামে বিক্রি করা হয়। বিশেষ করে কক্সবাজার কিংবা বান্দরবানের পর্যটন এরিয়া গুলোতে এগুলো অনেক পরিমাণে বিক্রি করা হয়। তাই পাহাড়ে চাষাবাদের জন্য এখানে কাজুবাদাম প্রকল্প এগ্রো লিমিটেড নামে একটি প্রকল্প শুরু হয়েছে। এখানে সারি সারিতে অনেক চারা গাছ উৎপাদন করা হয়েছে।
গাছ গুলো দেখতে বেশ ভালো দেখাচ্ছিলো। খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত সেখানে গিয়েছিলাম এবং আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল।
ছবির ধরন | কাজু বাদাম বাগানের ফটোগ্রাফি |
---|---|
ডিভাইসের নাম | স্যামসাং গ্যালাক্সি জে ৭ |
ফোকাস দূরত্ব | ৩.৬ মি.মি. |
W3W ফটো লোকেশন | সুয়ালক, বান্দরবান |
ফটোগ্রাফার | kawsar8035 |
আমি মোঃ কাউছার হাসান। জন্মসূত্রে একজন বাংলাদেশী নাগরিক। তাই নিজেকে বাংলাদেশি হিসেবে পরিচয় দিতে স্বচ্ছন্দ বোধ করি। কেননা এদেশের প্রকৃতির মাঝে আমার বেড়ে ওঠা এবং এদেশের বুকে আমার বসবাস। পেশায় একজন শিক্ষক। সব সময় নতুন কিছু শেখার মাধ্যমে আনন্দ খুঁজে পাই এবং সেইসাথে প্রকৃতির মাঝে ভ্রমণ করার মাধ্যমে নিজেকে খুঁজে পাই।
এর আগে আমি কাজুবাদাম বাগান দেখি নাই। আপনার পোস্ট এর মাধ্যমে এই প্রথম দেখা হলো। আপনি খুব সুন্দর কিছু তথ্য দিয়েছেন কাজুবাদাম বাগান সম্পর্কে। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
কাজুবাদাম আমাদের স্মৃতি শক্তি ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, এবং এটি খেতেও সুস্বাদু হয়ে থাকে, কাজু বাদামের বাগান দেখার সৌভাগ্য হল আপনার পোস্টের মাধ্যমে। খুব ভালো লাগলো আপনি চমৎকারভাবে আপনার পোস্টটা উপস্থাপন করেছেন আমার সঙ্গে।
এই ধরনের কাজু বাদাম চাষ সম্পর্কে আমার কোন ধারণা ছিল না কিন্তু আপনার পোষ্ট পড়ার মাধ্যমে আমি কাজু বাদাম চাষ সম্পর্কে খুবই সুন্দরভাবে ধারণা পেয়ে গেলাম। কাজুবাদাম বাগানে কাটানো সুন্দর এবং আনন্দঘন কিছু মুহূর্ত আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
বিকেল বেলার কাজুবাদাম বাগানের আপনি অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন ভাইয়া। এর আগে কখনো আমি বাদামের গাছ দেখিনি । আজ আপনার পোস্টের মাধ্যমে দেখতে পেরে সত্যিই অনেক ভালো লাগলো । এবং আরো ভালো লাগলো কাজুবাদাম সম্পর্কে কিছু বিষয় জানতে পেরে।
কাজুবাদাম গাছ কখনো সরাসরি দেখার সুযোগ হয়নি যেহেতু আমি সমতল অঞ্চলে বসবাস করি। বিকেলের ভ্রমনে গিয়ে আপনি কাজুবাদামের চারার ছবি শেয়ার করেছেন দেখে ভাল লাগলো। ফল সহ গাছের ছবি দেখার আশায় থাকলাম।
এই বাদাম খেতে খুবই সুস্বাদু হয়। আপনি অনেক সুন্দর একটা পোস্ট করেছেন এবং আমাদের সাথে প্রতিটা ফটোগ্রাফির মাধ্যমে শেয়ার করেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এবং শুভকামনা রইল।
আমি প্রায় প্রতিদিনই কাজু বাদাম খেয়ে থাকি। কিন্তু আমি কখনো কাজু বাদাম গাছ দেখেছিলাম না। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার মাধ্যমে আমি আজকে কাজু বাদাম গাছ দেখতে পেলাম। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো আমার পক্ষ থেকে।
খুবই চমৎকার ভাবে আপনি আমাদের মাঝে বিকেল বেলা কাজুবাদাম বাগানের কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারন ছিল এভাবে চেষ্টা করতে থাকুন সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
কাজু বাদাম আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী কিন্তু। কাজু বাদামে অনেক ভিটামিন রয়েছে। আপনার কাজু বাদাম বাগানে কাটানো মুহুর্ত পড়ে ভালোই লাগলো খুব।
কাজু বাদামের গাজগুলো দেখতে খুবই সুন্দর দেখাচ্ছিল আমি আজও কখনো কাজু বাদামের গাজ দেখেছিলাম না ,তবে আজকে আপনার পোস্ট থেকে এটি প্রথম দেখলাম খুবই ভালো লাগছে ভাই নতুন একটা অভিজ্ঞতা হলো আমার। ধন্যবাদ আপনার মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।