অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা
আসসালামু আলাইকুম। প্রিয় বাংলা ভাষী ভাই ও বোনেরা। আশাকরি সকলেই সৃষ্টিকর্তার দয়ায় এই কঠিন মহামারীর মধ্যেও সুস্থ আছেন এবং নিরাপদে আছেন। আজ আমি অলসতা নিয়ে আপনাদের সাথে কিছু কথা শেয়ার করছি আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা এই প্রবাদ বাক্যটির সাথে আমরা অনেকেই পরিচিত। আর ব্যক্তি জীবনে আমরা সকলেই কম বেশি অলস। অর্থাৎ আমাদের জীবনে অলসতা হচ্ছে পরম ধর্ম।
আমাদেরকে যখন অলসতা পুরোপুরি গ্রাস করে ফেলে, তখন এই অলসতা আমাদের ব্যক্তি জীবনে যেমন অন্ধকার ডেকে আনে তেমনি এটি সমাজের জন্যও ভয়ংকর হয়ে ওঠে। অলস মানুষজন সারাদিন যখন বাসায় অলস ভাবে সময় কাটায় তখন তার মস্তিষ্কে বিভিন্ন ধরনের শয়তানি ঘোরপাক খেতে থাকে। আর এই অলস মানুষদের শয়তানির কারনে সমাজে বিশৃঙ্খলা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
তাছাড়া অলস মানুষগুলো কখনো শারীরিকভাবে কিংবা মানসিক ভাবে পরিশ্রম করতে চায় না। এমনকি দাদা অনেক বিশ্বাস প্রবণ হয়ে থাকে। যে কারো কথায় চিন্তাভাবনা না করে কিংবা সঠিক যাচাই-বাছাই না করে সহজেই বিশ্বাস করে ফেলে। তাছাড়া এদের মধ্যে একঘেয়েমি ভাব চলে আসে।
আমার জীবনের দেখা একটি বাস্তব উদাহরণ দিচ্ছি। আমি তখন খুব ছোট। সম্ভবত পঞ্চম কিংবা ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ি। তখন আমার এক বন্ধু ছিল। সে অবশ্য খুব মেধাবী ছিল। সে যখন গাইড খুলে প্রশ্নের উত্তর শিখতে যেত! তখন সে খুজতো কোন প্রশ্নের উত্তর সবচেয়ে কম শব্দের। যাই হোক কিছুদিন পর পরীক্ষা শুরু হলো। সে বেশিভাগ পরীক্ষায় সবগুলো প্রশ্নের উত্তর লিখে চল্লিশ এক ঘন্টা সময় ব্যয় করে বের হয়ে যেত!
আমরা সকলে ভেবেই নিয়েছিলাম যে এবারের পরীক্ষায় সে সবচেয়ে ভালো ফলাফল করবে। কিন্তু ফলাফলের সময় তার নাম খুঁজে পেলাম না। সেও হতাশ কারণ সে সবগুলো প্রশ্নের উত্তর সুন্দর করে লিখেছে। যখন স্যার ক্লাসে পরীক্ষার খাতা দেখানো শুরু করল তখন তার খাতাটি হাতে নিলাম। অবশ্য এর আগে এ বিষয়টি নিয়ে স্যার ক্লাসে হাসাহাসি শুরু করেছিল। পরবর্তীতে আমরা যখন দেখলাম তার প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে ৭নং প্রশ্নের উত্তর দ্রষ্টব্য। তখন পুরো ক্লাস হাঁসা হাঁসিতে মেতে উঠল এবং তাকে হরতাল অলস শয়তান বলে আখ্যায়িত করেছিল।
যাই হোক এটি একটি স্মরণীয় ঘটনা মাত্র। অলসতা সব সময় আমাদেরকে কুচিন্তা এবং কুকাজ করার দিকে ধাবিত করে। অলস ব্যক্তিদের মস্তিষ্ক কখনো ভালো চিন্তা করে না। বাস্তব জীবনে আমি নিজের ক্ষেত্রেও এরকম অনেক কিছুই দেখতে পাই। আমার সাথে সব সময় আমাদেরকে ভুল পথে ধাবিত করে। আর এই অলসতার জন্য আমাদের ব্যক্তি জীবনে যেমন অশান্তি নেমে আসে তেমনি সমাজেও বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে সহায়তা করে। আর সেই কারণে অলস ব্যক্তিরা সমাজে শয়তান হিসেবেও পরিচিত হয়ে থাকে।
ধন্যবাদ সকলকে আমার লেখাটি পড়ার জন্য।
" অলস ব্যক্তিদের মস্তিষ্ক কখনো ভালো চিন্তা করে না। " ভালো লিখেছেন। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই লেখাটা পড়ার জন্য।
অলস ব্যক্তিরা সর্বদা নিজের খেয়ে অন্যকে বিপদে ফেলার চেষ্টা করে।ভালো লিখেছেন।ধন্যবাদ ভাইয়া।
একদম শিক্ষনীয় একটি পোস্ট। দারুন।
ধন্যবাদ ভাই আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
ঘটনাটি সত্যি মজার ছিল। আমার এক ছাত্র ছিল সে তার পরীক্ষার খাতায় একবার প্রশ্নে যা ছিল হুবহু তাই লিখে দিয়ে এসেছিল এবং এটাও একটা হাসির খোরাক হয়েছিল পরবর্তীতে। ভাল লাগল। ধন্যবাদ