মুক্তির উৎসব এবং সুবর্ণজয়ন্তী মেলায় কিছু মুহূর্ত | লাজুক খ্যাঁক এবং এবিবি-স্কুল এর জন্য ১০% ও ৫%
আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল সদস্যগণ আসসালামু আলাইকুম।
আশাকরি সকলে সৃষ্টিকর্তার দয়ায় ভাল আছেন এবং সুস্থ আছেন। সেই সাথে সকলে পরিবার পরিজন নিয়ে ভালো সময় কাটাচ্ছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের সাথে কিছু ফটোগ্রাফি এবং মুক্তির উৎসব এবং সুবর্ণ জয়ন্তী মেলা সম্পর্কে কিছু আলোচনা করব। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
আমরা সকলেই জানি আমাদের স্বাধীনতা অর্জনের ৫০ বছর হয়ে গেছে। স্বাধীনতা যুদ্ধের মাধ্যমে বাঙালি জাতি স্বাধীনতার স্বাদ তথা মুক্তি পেয়েছিল। আর ৫০ বছর পেরিয়ে যাওয়া মানে সুবর্ণজয়ন্তী। আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের কিংবা স্বাধীনতা অর্জনের ৫০ বছর তথা সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে এবং বঙ্গবন্ধুর ১০২ তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে বান্দরবান জেলা প্রশাসক কর্তৃক মুক্তি উৎসব এবং সুবর্ণজয়ন্তী মেলার আয়োজন করা হয়েছে।
মেলাটি অনেকগুলো স্টলের সমন্বয়ে সাজানো হয়েছে। এখানে পুলিশ, আনসার, ফায়ার সার্ভিস থেকে শুরু করে সরকারি অনেক প্রতিষ্ঠান এখানে স্টল নিয়েছে এবং তাদের সেবা জনগণের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করছে। এখানে ফায়ার সার্ভিস স্টল থেকে বিভিন্ন লিফলেট এর মাধ্যমে আগুন সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করার চেষ্টা করছে। কিভাবে আগুন নেভাতে হয় সেই সম্পর্কেও জনগণকে সচেতন করছে এবং মাঝেমধ্যে দেখানোর চেষ্টা করছেন।
তাছাড়া এখানে কিছু বই এর দোকান দেখেছিলাম যেখানে কিছু উপজাতীয় বই ছিল। এবং সেখানে একটি ফেস্টুনে উপজাতি ভাষা শেখার অক্ষর বাংলাতে অনুবাদ করা ছিল। তাছাড়া এখানে আরো অনেকগুলো কারুশিল্পের পণ্য ছিল যেগুলো দেখতে সবচেয়ে আকর্ষণীয় ছিল। তাছাড়া এখানে পার্বত্য অঞ্চলের বৈশিষ্ট্য রয়েছে এমন কিছু সাজিয়ে কয়েকটি স্টল করা হয়েছে।
মেলায় ঘুরতে গিয়ে সত্যিই অন্যরকম এক অনুভূতি হল। বিশেষ করে পার্বত্য অঞ্চলের মেলায়। কিছু সময় সেখানে ব্যয় করতে পেরে আমার কাছে ভালো অনেক ভালো লেগেছিল। মেলায় প্রতিটি স্টলে স্টলে ঘুরার মাধ্যমে মুহূর্তটি অনেক উপভোগ করেছিলাম। যাই হোক ধন্যবাদ সকলকে। আপনাদের মূল্যবান সময় ব্যয় করে আমাকে লেখাগুলো পড়ার জন্য।
ছবির ধরন | মুক্তির উৎসব এবং সুবর্ণ জয়ন্তী মেলার ফটোগ্রাফি |
---|---|
ডিভাইসের নাম | স্যামসাং গ্যালাক্সি জে ৭ |
ফোকাস দূরত্ব | ৩.৬ মি.মি. |
ফটো লোকেশন | বান্দরবান জেলা প্রশাসক কার্যালয় |
ফটোগ্রাফার | @kawsar8035 |
আমি মোঃ কাউছার হাসান। জন্মসূত্রে একজন বাংলাদেশী নাগরিক। তাই নিজেকে বাংলাদেশি হিসেবে পরিচয় দিতে স্বচ্ছন্দ বোধ করি। কেননা এদেশের প্রকৃতির মাঝে আমার বেড়ে ওঠা এবং এদেশের বুকে আমার বসবাস। পেশায় একজন শিক্ষক এবং ব্যক্তিগতভাবে এক সন্তানের বাবা। সব সময় নতুন কিছু শেখার মাধ্যমে আনন্দ খুঁজে পাই এবং সেইসাথে প্রকৃতির মাঝে ভ্রমণ করার মাধ্যমে নিজেকে খুঁজে পাই।
আপনার কাটানো মুক্তির উৎসব ও সুবর্ণ জয়ন্তী মেলায় কাটানো মুহূর্তগুলি ভালো লাগলো । অনেক সুন্দর মুহুর্ত কাটানোর পাশাপাশি ফটোগ্রাফি গুলো আপনি অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন ।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
প্রথমবার এই ধরনের মেলায় অংশগ্রহণ করতে পেরে আমার কাছে বেশ ভালই লেগেছিল। আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
সুবর্ণজয়ন্তী মেলায় আমিও গত দিন গিয়েছিলাম কিন্তু তেমন ছবি তোলা হয়নি তবে আবার গেলে ছবি তুলে আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আমার কাছে ছোট ঘরের ছবিটা অনেক ভালো লেগেছে।
আপনার পোষ্টের অপেক্ষায় রইলাম। আশা করি আপনি অনেক সুন্দরভাবে মেলার অনেক কিছু সম্পর্কে তুলে ধরবেন।
মুক্তির উৎসব সুবর্ণজয়ন্তী মেলায় আপনি খুব সুন্দর মুহূর্ত পার করলেন ।আমার কাছে আপনার মুহূর্তের গল্প ও দৃশ্যপট খুবই ভালো লেগেছে। সুন্দর উপস্থাপনার মাধ্যমে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
বাহ চমৎকার লাগল আপনার এই পোস্ট দেখে। দিনাজপুরেও এই মেলা লেগেছে। আমিও আজকে এই মেলা সম্পকে পোস্ট লিখব। ধন্যবাদ ভাই এতো সুন্দর একটা পোস্ট শেয়ার করেছেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল ভাইয়া। 💞💞
আপনাকেও ধন্যবাদ। এই ধরনের মেলা সত্যিই উপভোগ্য। আপনার সুন্দর মতামতের জন্য আবারো আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
আপনি সুবর্ণজয়ন্তী মেলায় খুব সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। আপনি খুব সুন্দর ভাবে মেলার মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। দেখে খুবই ভালো লাগলো। মেলায় স্টল ঘুরে দেখেছেন এবং অনেক কিছু জানতে পেরেছেন । এত সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপনাকেও ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করে আমার লেখাগুলো পড়ার জন্য এবং সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।