বিকেলে পাহাড়ি রাস্তায় হাঁটার কিছু মুহূর্ত | ১০% লাজুক খ্যাঁক এর জন্য
আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল সদস্যগণ আসসালামু আলাইকুম।
আশাকরি সকলে সৃষ্টিকর্তার দয়ায় সুস্থ আছেন এবং ভাল আছেন। সেই সাথে আপনারা সকলে আপনাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ভালো সময় কাটাচ্ছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভাল আছি। আজ আমি আপনাদের সাথে বিকেলে পাহাড়ি রাস্তায় হাঁটার কিছু মুহুর্ত শেয়ার করছি। আশা করি আপনারা আমার লেখাগুলো এবং ফটোগ্রাফি গুলো উপভোগ করবেন।
গতকাল বিকেলে আসর নামাজের পরে আমরা সকলে মিলে পাহাড়ি রাস্তায় হাঁটতে বের হয়েছিলাম। রাস্তাটি বান্দরবান শহরের সেনাবাহিনী চেকপোস্ট থেকে সামান্য সামনেই। রাস্তাটি একেবারে অনেকটা খাড়া উপরের দিকে উঠেছে। কিন্তু আমরা পাহাড় বেয়ে নিচে নেমে গেলাম। রাস্তাগুলো খুবই সরু এবং ভয়ানক।
পাহাড়ের পাশে অর্থাৎ পাহাড়ের পাদদেশে অনেক ছোট ছোট ঘর বাড়ি দেখতে পেলাম যেগুলো স্থানীয় মারমারা বসবাস করে। তবে তাদের ঘরগুলো অনেকটাই সমতলে থাকা ঘরবাড়ি থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। এখানে বেশিরভাগ ঘর মাটির তৈরি কিংবা কাঠের তৈরি। সবচেয়ে বেশি সুবিধা হচ্ছে এখানে কাঠ সহজে পাওয়া যায়। তাই ঘরের চারদিকে কেবল কাঠের বেড়া দেখা যাচ্ছিল।
লোকেশন
তবে এখানে প্রাকৃতিক দৃশ্য গুলো দেখতে অসাধারণ। বিশেষ করে পাহাড় এবং পাহাড় ঘিরে সবুজ প্রাকৃতিক দৃশ্য সত্যিই অসাধারণ। বিভিন্ন ফল গাছ এবং কাঠ গাছ প্রকৃতিকে এনে দিয়েছে আরো বিশুদ্ধতা। তবে এখানে কিছু ফলগাছ রয়েছে যেগুলো চোখে পড়ার মতো। এর মধ্যে কলা গাছ অন্যতম। এখানে প্রতি বাড়ি বাড়ি এবং প্রতিটি পাহাড়ে অনেক কলা গাছ রয়েছে যেগুলোতে ভালো ফলন ফলে থাকে। তাছাড়া কাঁঠাল গাছ, তেঁতুল গাছ এবং সেগুন গাছ প্রচুর পরিমাণে দেখা যায়।
যাইহোক গতকাল বিকালে আমরা মুহূর্তটি অনেক উপভোগ করেছিলাম। বিশেষ করে মারমা, চাকমা কিংবা বিভিন্ন গোত্রের ঘর বাড়ি এবং তাদের জীবন কিছুটা ভাল লেগেছিল। তাদের চালচলন এবং সংস্কৃতি অনেকটাই বাঙালি থেকে আলাদা। এমনকি পোশাক পরিধানও সম্পূর্ণ ভিন্ন। যাইহোক মুহূর্তটি অনেক ভালো লাগার ছিল এবং উপভোগ্য ছিল।
শুভেচ্ছা এবং ভালোবাসান্তে
ছবির ধরন | পাহাড়ি অঞ্চলের ফটোগ্রাফি |
---|---|
ডিভাইসের নাম | স্যামসাং গ্যালাক্সি জে ৭ |
ফোকাস দূরত্ব | ৩.৬ মি.মি. |
ফটো লোকেশন | রেইছা থলিপাড়া, বান্দরবান |
ফটোগ্রাফার | kawsar8035 |
আমি মোঃ কাউছার হাসান। জন্মসূত্রে একজন বাংলাদেশী নাগরিক। তাই নিজেকে বাংলাদেশি হিসেবে পরিচয় দিতে স্বচ্ছন্দ বোধ করি। কেননা এদেশের প্রকৃতির মাঝে আমার বেড়ে ওঠা এবং এদেশের বুকে আমার বসবাস। পেশায় একজন শিক্ষক এবং ব্যক্তিগতভাবে এক সন্তানের বাবা। সব সময় নতুন কিছু শেখার মাধ্যমে আনন্দ খুঁজে পাই এবং সেইসাথে প্রকৃতির মাঝে ভ্রমণ করার মাধ্যমে নিজেকে খুঁজে পাই।
ভাইয়া, বিকেলে পাহাড়ি রাস্তায় হাঁটার কিছু মুহূর্তে আমাদের জন্য যে সুন্দর পাহাড়ের ফটোগ্রাফি করেছেন তার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। পাহাড় গুলোকে দেখে খুবই ভালো লাগলো কারণ আমাদের এদিকে ওরকম কোন দৃশ্য দেখতে পাওয়া যাবে না। পাহাড়ি এলাকা বলে পাহাড়ের সন্ধান পেয়েছেন এবং ফটোগ্রাফি করেছেন। যা দেখে সত্যিই মুগ্ধ হয়ে গেলাম। বিকেলে পাহাড়ি রাস্তায় হাঁটার কিছু মুহূর্তের সময়টুকু আমাদের মাঝে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য আবারো আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
পাহাড় গুলো কাছ থেকে দেখতে আরো সুন্দর দেখায়। তাছাড়া পাহাড়ি পরিবেশ সত্যিই অসাধারণ। ধন্যবাদ
আমাদের এদিকে পাহাড় নেই তাই পাহাড়ের ওই দিকে কেমন ভৌগোলিক অবস্থা এবং প্রাকৃতিক দৃশ্য এর সৌন্দর্য টি ঠিক কেমন তা আমার তেমন একটা জানা নেই। তবে আপনার এই পোস্টটা পড়ে অনেক কিছুই উপলব্ধি করতে পারলাম । ধন্যবাদ ভাই আপনাকে আপনার মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনি অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। ❤️❤️
পাহাড়ি অঞ্চল আমার খুব পছন্দের একটি জায়গা। বর্তমানে আমার এখানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখার সুযোগ হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে
আপনার পাহাড়ে ঘুরে বেড়ানো দেখে সত্যিই সেখানে যেতে ইচ্ছা করছে। খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন ভাইয়া। বিশেষ করে পাহাড় গুলো দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। ফটোগ্রাফির খুবই সুন্দরভাবে করেছেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
সময় এবং সুযোগ পেলে অবশ্যই পাহাড়ি অঞ্চল ঘুরে দেখবেন কারণ এখানে আসলে আমার কাছে মনে হয় প্রকৃতির আসল প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়।
বিকালবেলা হাঁটা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী প্রত্যেক স্বাস্থ্য সচেতন মানুষের দৈনিক সকালে অথবা বিকালে আধাঘন্টা হাটলে শরীর ও মন ভালো থাকে। এরকম পাহাড়ি রাস্তায় দৈনিক 30 মিনিট হাটলে ডায়াবেটিস হওয়ার সুযোগ একদমই থাকবেনা। আপনি অনেক চমৎকার করে পাহাড়ের ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার আনন্দঘন মুহূর্ত গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
পাহাড়ি অঞ্চলে বিকেলবেলা কিংবা সকালবেলা হাঁটাহাঁটি করলে ডায়াবেটিস থাকার কোন চান্স নেই। ধন্যবাদ
আপনার পাহাড়ে ঘুরে বেড়ানো দেখে মনে হচ্ছে ইস আমিও যদি আপনার মত পাহাড়ে ঘুরে বেড়াতে পারতাম। পাহাড়ে ঘুরতে আমার খুবই ভালো লাগে। সেই সাথে আদিবাসীদের বাড়িঘর তাদের জীবন ধারণ এগুলি সম্বন্ধে একটি ভালো ধারণা পাওয়া যায়। বেশ গুছিয়ে লিখেছেন আপনি। ধন্যবাদ আপনাকে।
একসময় এটা আমারও ইচ্ছে ছিল। বর্তমানে সেই সুযোগ হয়েছে এক বছর পাহাড়ি অঞ্চলে বসবাস করার জন্য। আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ।