বন্ধুর সাথে কাটানো কিছুসময় - ১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁককের জন্য
আমি ঢাকা, বাংলাদেশ থেকে @kawsar ।
আশা করি সবাই অনেক অনেক ভাল আছেন, আর আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ। প্রতিদিনের মত আজও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি পোস্ট শেয়ার করতে চলে এসেছি। আজ আমি আমার সদরঘাট যাওয়ার কিছু মুহূর্ত আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আশাকরি আমার আজকের পোস্ট আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। আসলে এখন যেহেতু ঢাকায় এসেছি তাই সম্পূর্ণ কাজে মনোযোগ দেওয়ার চেষ্টা করছি। আগের মত একটিভ হওয়ার হতে পারে সবাই দোয়া করবেন।
আমার খুব একজন কাছের বন্ধু ঢাকায় এসেছিল বেশ কিছুদিন আগে। আর আমার বাসা যেহেতু সদরঘাট থেকে খুবই কাছে সেজন্য আগে থেকেই ফোন করে রেখেছিল যাতে ওকে আমি লঞ্চে তুলে দেওয়ার জন্য যাই। তো আমি ওকে রিকোয়েস্ট করেছিলাম যে আমার বাসা আসার জন্য। এজন্য সে গতকাল বিকালে রওনা দিয়ে আমাদের বাসায় এসেছিল। ও আসার পরে আমরা সামান্য কিছু খাওয়া-দাওয়া শেষ করে এরপরে বাসা থেকে বের হয়েছি।
ওর অনেক গুলো ব্যাগ ছিল সেগুলো নিয়েই আমরা দুজনে রওনা দিয়েছিলাম সদরঘাট। এছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ দুইটা কাজ করেছে একটা হল ওর মামার জন্য একটা পোষাক কিনবে। আরেকটা ওর মা ওকে বাখরখানি নিতে বলেছে সেটা নেবে। এই দুটো কাজ করেছে। মূলত ঐজন্য আমি ওর সাথে গিয়েছিলাম। প্রথমেই আমরা লঞ্চঘাট গিয়াছি। ও আসলে কেবিনে গিয়েছে। লঞ্চের কেবিনে গেলে কিন্তু বোঝা যায় না যেটা লঞ্চ নাকি বাসা।
খুবই ভালো লাগে আর দুই পাশে যে কেবিন থাকে তার মাঝখানে যে পথ সেটা কিন্তু খুবই সুন্দর বুঝতেই পারবে না যে আর প্রত্যেকটা কেবিনের সামনে কিন্তু একটা চেয়ার দেওয়া থাকে যেটাতে বসে কিন্তু আরাম করা যায়। আসলেই ডিজিটাল বাংলাদেশ হচ্ছে এর আগে আগে কপমন ছিল আর এখন কেবিন কিন্তু অনেকটাই পার্থক্য।
লঞ্চে কেবিন গুলো সত্যি অনেক সুন্দর আর সব কিছুর ব্যবস্থা রয়েছে যে কারণে আমার কাছে বেশ ভালই লাগছিল। তো প্রথমেই লঞ্চঘাট যে এর পারো যে লঞ্চে যাবে সেটা ঠিক করে এরপরে কোন কেবিনে যাবে ঠিক করে। ওর যে ছিল সেই ব্যাগ আমরা সেইগুলে কেবিনের ভিতরে রেখে এরপর আমরা দুজন বাহিরে বের হয়েছিলাম। বাহিরে বের হয়ে ওর কাজ ছিল সেই কাজটা আমরা দুজন করেনিলাম।
ওর কাজ শেষ করে আবার আমরা লঞ্চে ফিরে গেলাম। এর পরে দুজন মিলে কফি খেলাম। আসলে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে বেশ ভালো লাগে। এটা আমাদের সবারই, বন্ধুদের সাথে যেমন মন খুলে কথা বলা যায় অন্য কারো সাথে কিন্তু সেটা বলা যায় না। সেজন্যই আমার খুবউ ভালো লাগছিল। আর ওর সাথে আমার ঈদের সময় তেমন একটা দেখা হয়নি কেননা আমি ঈদে বাড়িতে গিয়েছিলাম আর ও ঈদের কদিন আগে বাড়ি থেকে চলে গিয়েছিল।
যে জন্য বেশি একটি দেখা সাক্ষাৎ হয়নি আর এখন একসাথে দুজন মিলে খুব মজা করেছিলাম, আর কপি খাচ্ছিলাম, বিভিন্ন কথা বলছিলাম খুবই ভালো লাগছিল। এরপরে খাওয়া-দাওয়া শেষে আমি আমার বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম আর ও ওর উদ্দেশ্যে রওনা দিল । আজ এই পর্যন্তই আশা করি আমার আজকের পোষ্ট আপনাদের কাছে ভাল লেগেছে। সকলের সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই শেষ করছি আগামী কাল আরো কোন পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব।
ফটোগ্রাফার | @kawsar |
---|---|
ডিভাইস | স্যামসাং A10 |
লোকেশন | ঢাকা,সদরঘাট |
what3words Link | https://w3w.co/roosts.assume.leaky |
@kawsar
আমার মনে হয় আমাদের প্রত্যেকের জীবনে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গুলোর বন্ধন অত্যন্ত মজবুত। বন্ধুত্ব সম্পর্ক মৃত্যুর আগ পর্যন্ত শেষ হয় না বন্ধু যতই দূরে থাক না কেন সম্পর্ক অটুট থাকে। আসলে এইসব মুহূর্তের অনুভূতি গুলো অন্যরকম। যাইহোক আপনি আপনার বন্ধুর সঙ্গে অনেক আনন্দময় কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন। এবং আপনার বন্ধুর প্রয়োজনীয় কেনাকাটা করতে সাহায্য করেছেন দেখে আমার খুব ভালো লাগলো। আপনার সুন্দর মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন ভাই বন্ধুত্বর সম্পর্ক টা অনেক মজবুত।। আপনি অনেক সুন্দর করে মন্তব্য করেছেন, এজন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
বন্ধুর সাথে চমৎকার কিছু সময় কাটিয়েছেন, সত্যি কেবিন গুলোর ছবি অনেক সুন্দর হয়েছে, প্রতি বছর শীতের সময় কম্বল কেনার জন্য সদরঘাট এলাকায় আমার যাওয়া হয়, খুব ভালো লাগলো আপনার আজকের অভিজ্ঞতা জানতে পেরে।
বন্ধুদের সাথে কাটানো মুহূর্তগুলো দারুন হয় ।যেটা আমি প্রতিনিয়ত সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করে থাকি। আপনার কাটানো মুহূর্তগুলো অসাধারণ ছিল শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনার এই পোস্ট দেখেই বোঝা যাচ্ছে বন্ধুদের সঙ্গে অনেক সুন্দর একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন বন্ধুদের সঙ্গে সময় অতিবাহিত করতে কার না ভালো লাগে আপনি বলুন...?? বন্ধুদের সঙ্গে কাটানো প্রতিটা মুহূর্ত যেন রোমাঞ্চকর যা বলে বোঝানো যাবে না। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য