মানসিকভাবে শক্তিশালী হতে হবে
আমি ঢাকা, বাংলাদেশ থেকে @kawsar ।
আশা করি সবাই অনেক অনেক ভাল আছেন, আর আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে অনেক ভাল আছি। আজ আমি আপনাদের মাঝে একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ পোষ্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে এমন একটি পোস্ট শেয়ার করব যেটির আসলে আমাদের জন্য জেনে নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমার এই পোস্টটি হয়তোবা কারো না কারো উপকারে আসবে সেই বিশ্বাস নিয়েই আমি এই পোস্টটি শেয়ার করতে যাচ্ছি।
আমি আগের পোষ্টে বলেছিলাম যে আমি আসলে কিছুদিন খুবই অসুস্থ ছিলাম। ঈদের ছুটিতে যখন বাড়িতে গিয়েছিলাম বাড়িতে গিয়েই দু-একদিন ভালো থাকার পরে অসুস্থ হই। আর আমার এরকম জ্বর আসলে অনেক বছর আগে হয়েছিল। তো অনেক জ্বর হওয়ার জন্য যদিও ওষুধ খাওয়ার পরে জ্বর কমে যায়, কিন্তু আমার শরীর আসলে অনেক বেশি দুর্বল মনে হয়। সেজন্য আসলে আগের মতো বেশি কাজ করতে পারি না। তবে আশা করি খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যাব ,আর আমার আমি আমার কাজ পুরোদমে শুরু করে দেব ইনশাআল্লাহ। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন যেন খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠে।
সবাই আমরা জীবনের সুস্থ থাকতে চাই, কিন্তু যদি আমরা পুরোপুরি সুস্থ হতে চাই তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে মানসিকভাবে অনেক বেশি শক্তিশালী হতে হয়। অনেক সময় আপনি দেখবেন যে আপনি শরীর অনেকটা সুস্থ রয়েছে কিন্তু মানসিকভাবে দুর্বল হওয়ার কারণে কিংবা আপনার ভিতরে মানসিকভাবে বিভিন্ন চিন্তা থাকার কারণে আপনি সুস্থ থাকতে পারছেন না। বারবারই আপনার বিভিন্ন টেনশন হচ্ছে আর আপনার শরীরটা আজকে খারাপ হচ্ছে। কিন্তু আপনি যদি খেয়াল করেন তাহলে এটাও দেখবেন যে আপনার শরীর হয়তো অনেক বেশি অসুস্থ কিন্তু আপনি মানসিকভাবে খুবই শক্তিশালী এবং আপনার জীবনে কোন টেনশন নেই তাহলে আপনি অনেক ভাবে অসুস্থ সুস্থ হয়ে যাবেন।
হয়তো আমরা ভাবতে পারি যে আমার মানসিক কোন টেনশন নাই। তাই আমি মানসিকভাবে অনেক শক্তিশালী। কিন্তু একটু ভেবে দেখেন তাহলে আপনি খুব সহজেই বুঝতে পারবেন যে আপনি মানসিকভাবে শক্তিশালী নয়। কেননা যারা মানসিকভাবে শক্তিশালী থাকে তারা কখনো অন্যের উপর নির্ভর করে না. অন্য মানুষ কি বললো বা অন্য মানুষ আমাকে কি দিলো সেই টেনশন সে কখনোই করে না। যদি আমাদের জীবনে আমরা এমনটা ভাবি যে আমার আপনজন আমার দুঃখ বুঝলো না কিনবা সে আমাকে কিছু দিল না তাহলে বুঝবেন যে আপনি মানসিকভাবে অনেকটাই শক্তিশালী নয়।
কেননা এসব ভাবার সময় থাকেনা যারা মানসিকভাবে অনেকটা শক্তিশালী। তারা এসব না ভেবে নিজেকে মানসিকভাবে প্রস্তুত করে এবং সময়কে কাজে লাগিয়ে খুব দ্রুততার সাথে সফলতার দিকে এগিয়ে যায়। যদি আপনি খুব ভালোভাবে সফলতার সাথে এগিয়ে যেতে চান তাহলে অবশ্যই মানুষের কোন কথায় কান দেওয়া যাবেনা এবং আপনাকে হতে হবে মানসিকভাবে শক্তিশালী। আর এজন্যই আপনাকে অনেক বেশি কাজে লাগাতে হবে এবং কে আপনাকে পাত্তা দিল না তা কি আপনার পাত্তা দেওয়া উচিত নয়। নিজেকে সবসময় অনেক বেশি সময় দেওয়া উচিত এবং নিজের প্রতি কখনো করুনা করা উচিত নয়।
সবার আগে নিজেকে ভালোবাসা উচিত। তাহলে আপনি একজন মানসিকভাবে শক্তিশালী মানুষ হিসেবে তৈরি হতে পারবেন। এরপরেও মানসিকভাবে শক্তিশালী ব্যক্তি থাকে সে আসলে সবসময় পরিবর্তনকে অনেক বেশি পছন্দ করে। আপনি আজকে যেভাবে চলছেন ,হয়তো আপনি দেখতে পাচ্ছেন যে আপনি ব্যর্থ হচ্ছেন। যদি আপনি সেটা দেখেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে সেই পরিস্থিতিতে পরিবর্তন করতে হবে। কেননা যদি যে পরিবর্তন আপনাকে সফলতা এনে দেবে সেটা খুব তাড়াতাড়ি করা উচিৎ। কেননা যত বেশি শক্তিশালী হতে পারবেন ততই বেশি সফলতা অর্জন করতে পারবেন। এজন্য আপনাকে অবশ্যই আপনার জীবনকে পরিবর্তন করতে হবে।
সব সময় আসলে আমাদের জীবন এক থাকে না ,যদি আমাদের জীবনকে আমরা সুন্দরভাবে সাজাতে চাই তাহলে আমাদের জীবনে যেটা করা উচিত সেটা যদি আমরা করতে পারি তাহলে তখনই কিন্তু আমরা মানসিকভাবে শক্তিশালী গণ্য হবো। যদি আমরা মানসিকভাবে শক্তিশালী না হতে পারেন তাহলে কিন্তু এটা আমাদের পরবর্তীতে ব্যর্থতার গ্লানি বয়ে আনার জন্য খুবই সহজ হয়ে যাবে। সেজন্য আমরা যেকোনো পরিস্থিতি নিজেকে আসলে মানসিক ভাবে প্রস্তুত করব এবং যেভাবে আমরা চললে আমাদের জীবনকে খুব সুন্দর ভাবে তৈরী করতে পারি সেভাবেই নিজেকে তৈরি করব। আজ আর লিখব না আজ এই পর্যন্তই আপনাদের সকলের সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই শেষ করছি।
@kawsar
বেশি প্রশান্তি এবং চাপ আমার মনে হয় দুটোই রোগের মধ্যে পড়ে ।তারপরেও সব সময়ই প্রশান্তি পাওয়া যায় না এবং চাপমুক্ত থাকা যায় না। দোয়া করি আপনার শারীরিক সুস্থতার জন্য।
আপনার মন্তব্য পড়ে আসলে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। কথাগুলো একদম ঠিক বলেছেন ধন্যবাদ