বৃষ্টি ভেজা দুপুরবেলা
আমি ঢাকা, বাংলাদেশ থেকে @kawsar ।
আশা করি সবাই অনেক অনেক ভাল আছেন, আর আমিও এখন আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ। যদিও আসলে কিছুদিন যাবত অসুস্থ ছিলাম তাই এখানে এক্টিভ থাকতে পারছি না। মোবাইলের দিকে অনেকক্ষণ তাকিয়ে থাকলে মাথাব্যথা করছে এবং চোখ থেকে পানি পড়ছে, এছাড়াও জ্বর ছিল সেজন্য আসলে এক্টিভ থাকা হচ্ছিল না।
এখন মোটামুটি সুস্থ তাই আপনাদের মাঝে আবার ফিরে এলাম। আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি পোস্ট শেয়ার করব। আজকে অনেক বৃষ্টি হচ্ছে, বৃষ্টি নিয়ে কিছু অনুভূতি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাচ্ছি আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
আমার বৃষ্টির দিনে খুবই ভাল লাগত বিশেষ করে বৃষ্টির দিনে যেটা অনেক বেশী ভালো লাগে সেটা হলো ঘুম। বৃষ্টি হলেই আসলে আমার চোখে ঘুম আসে। আর ঘুমের একটা আরাম পাওয়া যায়, যদি আমি সারাদিন ঘুমিয়ে থাকি হয়তো আমাকে কেউ না ডেকে উঠায় তবে আমি ঘুমিয়ে থাকতে পারি। যদিও সেই অনুভূতিটা সেটা আসলে টিনের ঘরে বেশি পাওয়া যায়। এখন যেহেতু ঢাকায় আছি সেই অনুভূতিটা আসলে সম্পন্ন পাচ্ছি না। তবুও বৃষ্টি হলে যে আবহাওয়া থাকবে সেটাই আমার কাছে। বৃষ্টির দিনে যে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায় সেটা দেখতে তো আরো বেশি ভালো লাগে।
যখন বৃষ্টি পড়ে আমি বৃষ্টির পানিতে হাত দেই অনেক বেশি ভালো লাগে আর তখন মনের ভিতর একটা আনন্দ বয়ে যায়। আসলে এই বৃষ্টির দিনে খিচুড়ি এবং ভর্তা খাওয়া যায় তাহলে তো কথাই নেই। বৃষ্টির দিনের অনুভূতিটা আসলে বোঝানো যাবেনা। এবার যদিও আমাদের এখানে তেমন বৃষ্টি হয়নি, খুব কম হয়েছে। তবে আজকে দুপুরে ভাত খাওয়ার আগেই দেখি আকাশে অনেক মেঘ ছিল, আমার খুব ভাল লাগছিল আমি সব ফ্যান লাইট অফ করে দিয়েছি। এখন অনেক ঠান্ডা পড়ছে কিন্তু তখন কোনো বাডাস ছিল না তাই আসলে অতটা ঠান্ডা পড়তেছে না।
ছোটবেলা থেকেই আমার বৃষ্টি খুবই পছন্দের ছিল। তবে ছোটবেলায় যখন আমাদের প্রথম বাড়িতে ছিলাম তখন সেটা আসলে টিনের ঘর ছিল আর বাড়িতে কাদা হওয়ার অনেক সম্ভাবনা থাকতো। তো বৃষ্টির দিনে এই জিনিসটা আমার কাছে সব থেকে বিরক্ত লাগতো কেননা কাদায় পা দিতে আমার খুবই খারাপ লাগতো। বৃষ্টি হলে যদি কাদা হত বাড়িতে তাহলে আসলে আমি কাদার ভিতর নামতে খুবই ভয় পেতাম।
আর একটা ব্যাপার বর্তমানে আমি উপভোগ করি সেটা হলো আমি যখন মাঝে মাঝেই ঢাকার রাস্তায় হাঁটি তখন অনেক মানুষকে দেখি যে তারা রাস্তার পাশে হয়তো থাকে ঘুমায় কিন্তু যদি বৃষ্টি হয় তারা আসলে কোথায় থাকে। সেটাই আসলে আমি ভেবে পাইনা। তাদের তো অনেক কষ্ট হয়, সেই কথাটা চিন্তা করে আসলে বৃষ্টির দিনে কষ্ট লাগে। হয়তো আমরা ভালো বাসায় থাকি সেইজন্য বৃষ্টিটা আমাদের কাছে ভালো লাগে, আমরা উপভোগ করি। কিন্তু যাদের আসলে থাকার মত কোন জায়গায় নেই তারা তো বৃষ্টিটাকে উপভোগ করতে পারে না। তাদের কাছে তো এরা কষ্টের কারন।
এসব কথা চিন্তা করলে আসলে মাঝে মাঝে খুবই খারাপ লাগে- যে আল্লাহ কাকে কখন কিভাবে রাখবে সেটা আসলে আমরা কেউই জানিনা। কিন্তু যেভাবেই থাকি না কেন যদিও আমাদের শুকরিয়া আদায় করা উচিত। সে জন্য শুকরিয়া আদায় করছি সব সময়, আমি সেই অবস্থায় থাকতে পারতাম কিন্তু আজকে আমি ভালো অবস্থায় আছি সেইজন্য আলহামদুলিল্লাহ। কিন্তু সব মিলিয়ে আমার বৃষ্টি টা ভালোই লাগে। বৃষ্টি দেখতে অনেক বেশি পছন্দ করি, আর বৃষ্টিতে ভিজতে আমার আরো বেশি ভালো লাগে।
এই ছিল আমার আজকের বৃষ্টি নিয়ে অনুভূতি। আশা করি আপনাদের কাছেও অনেকেরই বৃষ্টি পছন্দ আবার হয়তো অনেকের পছন্দ না। তবে আমার পোস্টটি আপনাদের কাছে ভাল লেগেছে সবাই সুস্থ থাকবেন ভালো থাকবেন। আজ এই পর্যন্তই আমাদের সকলের সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই শেষ করছি। আগামী কাল আরো কোনো পোস্ট নিয়ে হাজির হব ইনশাআল্লাহ।
ফটোগ্রাফার | @kawsar |
---|---|
ডিভাইস | স্যামসাং A10 |
লোকেশন | ঢাকা |
@kawsar
Securing life 🧬🌱🛡 in its most organic state.🙏👍
হাই স্কুলে পড়ার সময় আমি একটু দুষ্টুমি করতাম বন্ধুদের সাথে দুপুর বেলা বন্ধুদের সাথে ফুটবল খেলা করতে চলে যেতাম না গেলে আমি তাদেরকে একটু ভিজিয়ে দিতাম।যাতে আমার সাথে যায় তারা।বৃষ্টি ভেজা দুপুরবেলা সত্যি সত্যি অনেক ইনজয় মুলক একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ধন্যবাদ।
বৃষ্টি ভেজা দিন আমার খুব পছন্দের কিন্তু আপানার মত আমিও ছিন্তা করি আসলেই আমাদের মাথা গোজার ঠাই আসে তাই আমরা উপভোগ করি বৃষ্টি। কিন্তু কিছু মানুষের জন্য কষ্ট বয়ে আনে ।
আপনি সুস্থ হয়ে গেছ শুনে ভালো লাগল।বৃষ্টি হলেই আমার চোখে ঘুম চলে আসে এবং একজন প্রিয় মানুষের অভাব খুব বুঝতে পারি। এবং বৃষ্টি টা যখন হাত দিয়ে স্পর্শ করি তখন আলাদা একটা ফিলিংস হয়। বৃষ্টি নিয়ে আপনার অনূভুতি জানতে পেরে ভালো লাগল। আমার অনূভুতি টাও অনেক টা এইরকমই।।
বৃষ্টি নিয়ে আপনি আপনার চমৎকার অনুভূতিগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন পড়ে বেশ ভালই লাগলো। আসলে এটা ঠিক বলেছেন আল্লাহতালা কাকে কোথায় কি অবস্থায় রাখে সেটা একমাত্র আল্লাহতায়ালাই ভালো জানেন। তবে হ্যাঁ আমরা আমাদের জায়গা থেকে শুকরিয়া আদায় করলে আল্লাহতালা আমাদেরকে ভালো অবস্থানে রাখবে আশা করি। আসলে রাস্তার পাশে থাকা মানুষগুলো তাদেরকেও আল্লাহতালা পরিচালনা করে থাকেন। যদিও মানবতার দিক চিন্তা করলে আমাদের সকলেরই এগিয়ে আসা উচিত তাই সবাই সবার অবস্থান থেকে এগিয়ে আসলে হয়তো এই লোকগুলো কিছুটা হল খেয়ে পড়ে বাঁচতে পারবে।
ভাইয়া, আপনার দ্রুত সুস্থতা কামনা করি।আমাদের এখানে প্রচুর গরম ,বৃষ্টির দেখা নেই।বৃষ্টির দিনে ছোটবেলায় কাদায় গড়াগড়ি কতই স্মৃতিময় ছিল।কিন্তু এখন কাদায় নামতেই ইচ্ছা করে না।আপনার অনুভূতি পড়ে ভালো লাগলো, ধন্যবাদ আপনাকে।