মুখরোচক লেবুর আচার | ১০% লাজুক খ্যাঁককের জন্য
আমি ঢাকা, বাংলাদেশ থেকে @kawsar ।
আশা করি সবাই অনেক অনেক ভাল আছেন আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ। প্রতিদিনের মতো আজ আমি আপনাদের মাঝে আরও একটি পোস্ট শেয়ার করতে চলে এসেছি। আসলে আমি আজকে আপনাদের সাথে খুবই মুখরোচক একটি রেসিপি শেয়ার করব। আজকে আমি যে রেসিপিটি আপনাদের কাছে শেয়ার করবো, সেটি হচ্ছে সুস্বাদু লেবুর আচার।এটা তৈরি করা যেমনি অনেক বেশি সহজ তেমনি ভাবে এটা কিন্তু খুবই সুস্বাদু।
আমরা যেকোন খিচুড়ি পোলাও ভাত এরপরে বিরিয়ানির সাথে এই আচার খেতে পারি। আমরা অনেকেই আছি যারা লেবু খুব পছন্দ করি. কিন্তু বিভিন্ন সময় আর সিজন না থাকার কারণে এর অনেক বেশি দাম থাকে, চড়া দাম দিয়ে কিনে না খেয়ে যদি আমরা এভাবে আচার বানিয়ে সারাবছর রেখে এরপর খেতে পারি তাহলে কিন্তু খুবই ভালো হয় ,আর সেই কথা চিন্তা করি আজকে আমি আপনাদের মাঝে খুবই সহজে লেবুর আচার তৈরীর রেসিপি শেয়ার করব। আশাকরি আমার আজকের রেসিপি আপনাদের কাছে খুবই ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
লেবু | ৬টি |
মরিচের গুঁড়া | ১টেবিল চামচ |
হলুদের গুঁড়া | ১ চা চামচ |
লবণ | পরিমাণ মতো |
সরিষার তেল | পরিমাণ মতো |
শুকনা মরিচ | ২ টি |
সরিষা | ১ চা চামচ |
পাঁচফোড়নের গুঁড়া | ১ চা চামচ |
রান্নার প্রসেসিং ধাপে ধাপে দেখানো হলো:
𒆜ধাপ ১:𒆜
লেবুর আচার তৈরি করার জন্য প্রথমে লেবু গুলোকে টুকরো টুকরো করে কেটে নিতে হবে। লেবু কেটে নেওয়ার আগে অবশ্যই এ গুলো কে পানি দিয়ে খুব ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে এবং পানি থাকে সেটা ভালোভাবে শুকিয়ে নিতে হবে।
লেবু যেহেতু অনেক বেশি টক হয়ে থাকে তাই লেবুর আচার তৈরি করার জন্য এখানে লবণের পরিমাণ একটু বেশি দিতে হয়। এতে এই আচার খেতে বেশ সুস্বাদু হয়। যখন কেটে নেওয়া হবে তখন এর ভিতরে আমি পরিমাণমতো লবণ দিয়ে দেব।
পরিমান মত লবন যখন দিয়ে দেওয়া হবে ,তখন এখানে আমি মরিচের গুড়া দিয়ে দেবো ,এখানে আমি লাল মরিচের গুঁড়া নিয়েছি ,আর লেবুর আচার তৈরি করার জন্য মরিচের গুঁড়া দেয়াটা আবশ্যক। কেননা আচার যেহেতু অনেক বেশি ঝাল খেতে ভালো লাগে ,আর লেবুর আচার এটা অনেক বেশি টক হয় তাকে টক-ঝাল আচার খেতে বেশ ভালোই লাগবে। সেজন্য আপনি যতটা ঝালখেতে পছন্দ করেন ততটুকুই এখানে ততটুকু পরিমাণ মরিচ দিবেন।
এরপর এখানে হাফ চা চামচ হলুদের গুঁড়া দিয়ে দিতে হবে। এতে এর কালার টা অনেক বেশি সুন্দর আসবে। যখন এই মশাগুলো দিয়ে দেওয়া হবে তখন হাত দিয়ে খুব ভালোভাবে এগুলোর সাথে মিশিয়ে নিতে হবে।
এই লেবুর আচার তৈরি করার জন্য অবশ্যই আপনাকে হাত দিয়ে মসলাগুলো একসাথে মিক্স করতে হবে এবং যখন মসলার সাথে লেবু মিশিয়ে নেওয়া হবে ,তখন হাত দিয়ে কয়েকটা লেবু থেকে রস বের করে ফেলতে হবে। এতে এটা খেতে আরো বেশি হবে আরো বেশি সুস্বাদু হবে।
𒆜ধাপ 2 :𒆜
এই মসলা সাথে যখন লেবু খুব ভালোভাবে মিশিয়ে নেওয়া হবে। তখন এখানে পাঁচফোড়ন , দুইটা শুকনা মরিচ ও ১চা চামচ সরিষার টেলে গুঁড়ো করে এর ভিতরে দিয়ে দিতে হবে।
এই গুঁড়ো মশলা লেবুর ভিতর দিয়ে দেওয়ার পরে এগুলো হাত দিয়ে খুব ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। আসলে আমি একটা কথা বলে রাখি হাত দিয়ে যত ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে পারবেন ততোই কিন্তু এটা খেতে সুস্বাদু হবে।
আমি যেহেতু এই লেবুর আচার একটি কাচের বয়ামে রাখবো। সেজন্য এটা যখন সব মসলার সাথে মেখে নেওয়া হবে তখন সবগুলো আচার একটি কাচের বয়ামে রেখে দেব।
𒆜শেষ ধাপ 𒆜
এ পর্যায়ে আমি আচারের ভিতরে সরিষার তেল ব্যবহার করব এবং সেটা সামান্য গরম করে নেব সেইজন্যই চুলায় একটি পাতিল বসিয়ে দেব এবং পাতিলটা যখন পানি শুকিয়ে যাবে তখন এর ভিতরে আমি পরিমান মত সরিষার তেল দিয়ে দেব এবং এটা হালকা গরম করে নেব।
যখন সরিষার তেল হালকা গরম হবে তখন এ সরিষার তেল সরাসরি এনে এই আচারের বৈয়াম ঢেলে দিতে হবে। সরিষার তেল গরম করে দেওয়ার কারণ হলো এতে এর ভিতর যে মসলা আসে সেটা লেবুর ভিতরে খুব ভালোভাবে প্রবেশ করবে এতে এটা খেতে আরো মজার হবে।
গরম করা সম্পূর্ন তেল আচারের ভিতরে দিয়ে দেওয়ার পরে এটা একটি চামচ দিয়ে সরিষার তেল এবং আচার ভালোভাবে মিশিয়ে দিতে হবে। আরেকটি কথা বলে রাখি সেটি হলো যেকোনো আচারের ক্ষেত্রে তেল এমন ভাবে দিতে হবে যাতে আচারের উপরে তেল থাকে এতে এটা নষ্ট হয়না অনেকদিন ভালো থাকে।
এভাবেই খুব সহজে তৈরি হয়ে গেল আমার লেবুর আচার। আসলে এটা যেহেতু লেবু তাই অন্য কিছু দেওয়ার দরকার নেই। এটা এভাবেই এ যদি আপনি দুই থেকে তিন মাস রেখে খান তাহলে কোন সমস্যা হবে না এবং মাঝে মাঝে একটু রোদে দিতে হবে। এতে আরো বেশি ভালো থাকবে। আমি আশা করবো যদি আপনারা এটা বাসায় তৈরি করে খেয়ে দেখেন তাহলে খুবই ভালো লাগবে। আমার স্ত্রী অনেকদিন আগে একবার তৈরি করেছিল তখন আমার কাছে খুব ভালো লেগেছিল। সেই জন্যই আমি আজকে আবার তৈরি করলাম এবং আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। এটা যদি আপনারা অনেকদিন দেখে খেতে চান তাহলে এখানে অবশ্যই ভিনেগার ব্যবহার করবেন এতে এটা অনেক দিন থাকবে।
আজ এই পর্যন্তই আপনাদের সকলের সুস্থতা কামনা করে এখানেই শেষ করছি। আমার রেসিপি খাওয়ার জন্য এখন আমি পরিবেশনের জন্য ছবি তুলেছি।
ফটোগ্রাফার | @kawsar |
---|---|
ডিভাইস | স্যামসাং এ১০ |
লোকেশন | ঢাকা |
@kawsar
ভাইয়া আপনার লেবুর আচারের রেসিপি দেখে জিভে জল চলে এলো। মুখরোচক লেবুর আচার আমি এর আগে খাইনি। তবে একদিন আমার মামাতো বোন বাসায় তৈরি করেছিল এবং আমাকে খেতে বলেছিল খেয়ে দেখি অসম্ভব ভালো লাগে। আজ অনেকদিন পর আপনার পোস্টের মাধ্যমে দেখে একটু অবাক হলাম। অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া।
জি আপু এটা খেতে আসলেই খুবই মজার হয়। আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ।
ভাইয়া মুখরোচক লেবুর আচার দেখে তো একেবারে আমার জিভের পানিক মাটিতে পড়ে গেল। লেবু আমি লবণ মরিচ দিয়ে মাখিয়ে খেতে অনেক পছন্দ করি। লেবুর উপকারিতা রয়েছে আপনি এত সুন্দর ভাবে লেবুর আচার তৈরি করেছেন। আমিতো অবাক হয়ে গেছি। অনেক ধন্যবাদ আমাদের মাঝে এত সুন্দর লেবুর আচার শেয়ার করার জন্য।
আপু আপনি একদম ঠিক বলেছেন লেবু আমাদের জন্য অনেক বেশি উপকারী তাই সব সময় যেন লেবু খাওয়া যায় সেজন্য এই আচার বানানোর পদ্ধতি আমি আপনাদেরকে দেখিয়েছি।
ভাই মুখরোচক লেবুর আচার তৈরি করেছি দেখেতো জিব্বার পানি ধরে রাখতে পারছি না। ভাই দেখতে যেরকম অসাধারণ খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। তবে আমি এর আগে লেবুর আচার বানিয়ে খেয়েছিলাম আমারটা কেমন যেন তেতো হয়ে গিয়েছিলো, হয়তো বা আমার কোন উপকরণে কমতি ছিল। যাইহোক আপনারটা দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
তৈরি করতে ভুল পদ্ধতি অবলম্বন করলে মাঝে মাঝে তেতো হয়। তবে আমি যে পদ্ধতি দেখিয়েছি সেই পদ্ধতিতে যদি আপনি তৈরি করেন তাহলে আমি আশা করি খুবই ভালো খুবই মজার হবে।
লেবু দিয়ে যে আচার করা যায় সেটা এই প্রথম আমি দেখলাম। আসলে কেমন লাগবে খেতে এটার জন্য একটা বার হলেও আপনার কাচের বয়াম থেকে এক পিস লেবু তুলে মুখে দিতে ইচ্ছে করছে। হিহিহিহি। সেটাতো আর সম্ভব না। তবে মন বলছে একটা অন্যরকম মজা লাগবে খেতে। আমার কাছে দুর্দান্ত লেগেছে পুরো আয়োজনটা।
আমি ও এটা করে বাড়ি কাচের বয়ামে থাকে আর দু এক পিস তুলে তুলে কয়েক মিনিট পরপর খাই খেতে খুবই ভালো লাগে। বাসায় তৈরি করে খেয়ে দেখবেন আশা করি ভালো লাগবে।
বাহ ভাই এই লেবুর আচার বানানো তো দেখছি বেশ সহজ। সহজ উপায়ে রেসিপিটি উপস্থাপন করার কারণে আমার কাছে এই রেসিপিটি এত সহজ মনে হয়েছে। খুবই ভালো লাগলো ভাই। ধন্যবাদ আপনাকে।
জি ভাই এই লেবুর আচার খুব সহজে তৈরি করা যায়। কিন্তু খেতে অনেক বেশি মজার হয়
সত্যি কথা বলতে জীবনে অনেক ধরনের আচার খেয়েছি। তবে আমি আজকে প্রথম লেবুর আচারের কথা শুনলাম। জীবনে কোন দিন খাই নাই ভাই। যাই হোক কয়েকটি ইউনিক রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাই। সেই সাথে খুব সুন্দর করে প্রতিটি ধাপের বর্ণনা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আমিও জীবনে দ্বিতীয় বার খেলাম ভাই। তবে প্রথম যখন খেয়েছিলাম খেতে অনেক বেশি মজার ছিল তাই আবার দ্বিতীয়বার তৈরি করলাম।
আপনার তৈরি করা লেবুর আচার দেখে মুখে পানি এসে গেল। তবে এখন পর্যন্ত লেবুর আচার তৈরি করে খাওয়া হয়নি। দেখতেই তো দারুন দেখাচ্ছে , আশা করি খেতেও খুব ভালো লাগবে।ধন্যবাদ সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
মুখে পানি আসার মত একটি আচার আপু বাসায় তৈরি করে দেখবেন আশাকরি খেতে ভালো লাগবে।
ভাইয়া আপনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন, আমরা কিন্তু লেবুর সিজনে এভাবে আচার করে রাখতে পারি, তাহলে আর চড়া দামে লেবু কিনে খেতে হবে না, আপনার আজকের রেসিপিটি আমার অনেক উপকারে আসলো ভাইয়া, এতো সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে জানাচ্ছি অসংখ্য ধন্যবাদ, সেই সাথে অনেক অনেক শুভকামনা রইলো ভাইয়া।
জি ভাই আর এভাবে লেবুর আচার তৈরি করে রাখলে খুবই ভালো থাকে। আর একদমই লেবুর স্বাদ পাওয়া যায় খেতে অনেক বেশি সুস্বাদু হয়।
চমৎকার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। লেবুর আচার দেখে আমার মুখে জল চলে এলো। দেখে মনে হচ্ছে খেতে অনেক মজা হবে। অনেক আগে একবার আমাদের বাসায় লেবুর আচার বানানো হয়েছিল। কিন্তু সেটা ভালো হয়েছিলো না। যার ফলে খেতে পারিনি। আপনার এই রেসিপি দেখে একবার চেষ্টা করে দেখবো। ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলেই ভাই লেবুর আচার খেতে খুবই সুস্বাদু। আমি যেভাবে তৈরি করেছি এবাভে বাসায় তৈরি করে দেখবেন আমার আশা করি খুবই ভালো লাগবে।
আপনার লেবুর আচার দেখে তো একদম জিভে জল চলে আসলো। আসলে এই রকম আচার দিয়ে পোলাও ভাতের সাথে খেতে ভীষণ ভালো লাগে। কিন্তু আমি কখনো এভাবে লেবুর আচার তৈরি করিনি। আপনার পুরো রেসিপি আমি ফলো করলাম। অবশ্যই সময় পেলে কখনো ট্রাই করে দেখব। আমাদের মাঝে এত সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
জি আপু একদম ঠিক বলেছেন এসব আচার পোলাও কিংবা ভাতের সাথে খেতে বেশ ভালো লাগে সময় পেলেই ট্রাই করে দেখবেন।