নিজের গাছের জামরুল - ১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁককের জন্য
আমি ঢাকা, বাংলাদেশ থেকে @kawsar ।
আশা করি সবাই অনেক অনেক ভাল আছেন, আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ। আজ আমি আপনাদের মাঝে আরেকটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আসলে যেহেতু বাড়িতে এসেছি পরিবারের মানুষের সাথে ব্যস্ত থাকা হয়, সেজন্যই এই প্লাটফর্মে বেশি সময় দিতে পারছি না। আর আমি অনেকদিন পর বাড়িতে এসেছি (গতবার রোজার ঈদে বাড়িতে এসেছিলাম আর এইবার রোজার ঈদে বাড়িতে এসেছি) যে কারণে কিন্তু আমার পরিবারের সাথে বেশি সময় কাটাতে হচ্ছে।
আর তাই কাজে মন দিতে পারছি না। আসলে এটা আমি খুব ভালো ভাবে জানি যে আমি যে কাজে মন দিতে পারছি না এজন্য আমি অনেকটা পিছিয়ে গেছি। কিন্তু আমার কিছু করার ছিল না আবার আমি ঢাকায় গিয়ে আরো ভালোভাবে এক্টিভ হবো এবং খুব মনোযোগ দিয়ে কাজ করব ইনশাআল্লাহ। সবাই দোয়া করবেন আমার জন্য। আপনাদের আজ যে পোস্ট শেয়ার করতে চলে এসেছে সেটি হল আমাদের নিজেদের জামরুল গাছ ও জামরুলের কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো।
আজকে খেয়াল করে দেখলাম যে অনেকগুলো গাছে অনেক গুলোফল হয়ে আছে কিন্তু এই বৃষ্টি কম হওয়ার কারণে এগুলো বড় হয়নি, এখনও ছোট ছোট রয়েছে। নিজের গাছের ফল যখন হাতে নিয়ে খেতে পারি তখন কিন্তু বেশ ভালো লাগে। আর আমাদের এই গাছে এত পরিমান জামরুল হয়েছে যে দুই তিনটা পরিবার খেলেও হয়তো শেষ করতে পারবে না। আর আমরা যেহেতু বাড়িতে থাকি না সেজন্য কিন্তু সবাইকে কম বেশি দেয়া হয় কেননা বাড়িতে শুধু মা-বাব ও দুই বোন থাকে তাদের পক্ষে এগুলো খেয়ে শেষ করা সম্ভব নয়। কিন্তু এইবার আমরা বাড়িতে এসেছি তাই মা-বাবা খুবই খুশি।
আমি এর আগে একটি পোস্ট শেয়ার করেছিলাম যে আমরা এক নতুন বাড়িতে এসেছিলাম সেই চৌদ্দ থেকে পনের বছর আগে এবং সেই বাড়িতে যে ফলের গাছগুলো রোপন করেছে সেগুলো কিন্তু এখন মোটামুটি বড় হয়েছে এবং ফল দেওয়া শুরু করেছে।আর তাই আমরা এখন নিয়মিতই নিজেদের গাছের ফল খেতে পারছি। এই গাছটা প্রায় চার থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত ফল দিচ্ছে, এটা খেতে আসলে খুবই মজার। জামরুল অনেক ধরনের হয়ে থাকে। আমাদের গাছে যেটা হইছে এটা খেতে অনেক বেশি মিষ্টি ও হয় আর প্রচুর পরিমাণ জন্মে।
যে কারণে আমরা খেতে পারি এবং আমার পাশে যে মানুষ গুলো রয়েছে তাদেরকে দিতে পারি। আমাদের চারপাশে অনেক গরিব লোক আছে যারা কিনে খেতে পারে না, আর গাছ রোপন করে খেতে পারেন তাদেরকে কিন্তু যদি আমরা এগুলো দিয়ে খেতে পারি তাহলে আমাদের মনে যেমন তৃপ্তি পাওয়া যায় এবং আল্লাহ অনেক বেশি বাড়িয়ে দেয় সেজন্য সবসময় চেষ্টা করি অন্য মানুষকে দিয়ে এরপর খাওয়া।
আমি আপনাদের সাথে যে জামরুল গাছের ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করেছে সেগুলো দেখলে আপনারা বুঝতে পারবেন যে জামরুল গুলো আসলে বড় হচ্ছে না। অনেকদিন হয় ফল হয়েছে কিন্তু বৃষ্টির কারণে এগুলো ছোট ছোট হয়ে আছে। যদি একটু বৃষ্টি হতো তাহলে অনেক বড় হতো। সবুজ গাছে সবুজ ফল হয়েছে যে কারণে দেখতে কিন্তু বেশি ভালো লাগছে। এই গাছটা আমাদের পিছনে যে পুকুর রয়েছে সেই পুকুর পাড়ে।
এই ছিল আমার আজকের পোস্ট। সবাই আমার জন্য অনেক অনেক দোয়া করবেন যেন আমি খুব তাড়াতাড়ি ঢাকায় গিয়ে আবার পুরোদমে কাজ শুরু করতে পারি। আর আপনাদের সবার জন্য অনেক অনেক দোয়া ও অগ্রিম ঈদ মোবারক রইল।
ফটোগ্রাফার | @kawsar |
---|---|
ডিভাইস | স্যামসাং A10 |
লোকেশন | ঢাকা |
what3words Link | https://w3w.co/seating.supermarkets.cavorting |
@kawsar
জামরুল নিয়ে আমার অনেক মজার স্মৃতি আছে আমাদের গ্রামে এটাকে মন্ডল বলে তবে আমি এটাকে বলতাম হ্যান্ডেল আপনার নিজের গাছের জামরুল দেখে খুবই ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ প্রিয় ভাই
আসলে বাজারে ফল কিনে খাওয়া তো বিষ কিনে খাওয়া সমান। আমরা প্রতিনিয়ত বাচ্চাদের বাজার থেকে এরকম ভেজাল জিনিস কিনে খাওয়াচ্ছি। আমিও চেষ্টা করি দেশীয় ফল গুলোর গাছ বাড়িতে লাগানোর জন্য মোটামুটি আমার বাসায় সবগুলো ফলের গাছ আছে। এখন পর্যন্ত জামরুল টা বাদ আছে এই ফলের গাছটি এখনো লাগানো হয়নি। আপনার গাছে জামরুলের ফলন দেখে খুব ভালো লাগছে মনে হচ্ছে এবার ফলন ভালো হবে। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আসলেই ভাই একদমই ঠিক বলেছেন।
যাইহোক ভাই ব্যাপার না।জীবনে সবসময় কাজে মনে থাকে না।মনের একটু খোরাক প্রয়োজন।ইনশাল্লাহ সব কিছু ঠিকঠাক হলে আবার পূর্ণ উদ্যমে কাজ শুরু করিয়েন।
জি ভাইয়া দোয়া করবেন
ঈদ মোবারক ভাইয়া, আপনি একটি কথা ঠিকই বলেছেন, নিজের গাছের ফল শুধু নিজেরা না খেয়ে পাড়া-প্রতিবেশী ও গরীব অসহায়দের মাঝে বিতরন করে খেতে পারলে মনে শান্তি পাওয়া যায়। এবং আমাদের প্রত্যেকেরই এই কাজটি করা উচিত বলে আমিও মনে করি। আপনি খুবই সুন্দর বর্ণনার মাধ্যমে আপনার নিজের গাছের জামরুল গুলোকে অত্যন্ত সুন্দর ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। এজন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ প্রিয় ভাই আপনার জন্য ও শুভকামনা রইল।
প্রথমে আপনাকে ঈদের শুভেচ্ছা জানাই ঈদ মোবারক। আসলে১৪-১৫ বছর আগে গাছটি লাগিয়েছেন। এখন নিয়মিত এই গাছ থেকে ৪অথবা৫বছর যাবত ফল পাচ্ছেন। এটা সত্যিই আপনার পরিশ্রমের ফসল। এই ফলগুলো আপনি সকালের সাথে ভাগাভাগি করে খাচ্ছেন এর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
হ্যালো ভাই ,একা একা খাও আর কোন প্রয়োজন নাই । কিছুটা পেড়ে নিয়ে আসুন দুইজন মিলে একসাথে খায়। দুজনে খাওয়ার আনন্দটাই আলাদা হবে।
আমাদের বাড়িতে আসেন ভাই, টকসাথে খাবো
জামরুল গাছের ছবিতে অনেক আকর্ষণ আমার। তার উপর আপনার বাড়ির। আমাদের জন্য সুন্দর কিছু।
শুভকামনা রইল
💝