সুস্থতা কতটা গুরুত্বপূর্ণ - ১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁককের জন্য
আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন।
আমি ঢাকা, বাংলাদেশ থেকে মোঃ কাওসার হোসেন ।
আমিও আল্লাহর রহমতে আর আপনাদের দোয়ায় অনেক ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ। প্রতিদিনের মত আজও আমি আপনাদের সাথে একটি পোস্ট শেয়ার করব। আজ আমি আপনাদের সাথে একটি মোটিভেশনাল পোস্ট শেয়ার করবো। কিন্তু এটা আমার সম্পূর্ণ নিজের মতে লেখা। তো আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। যে আসলে আমাদের জীবনের সুস্থতা কতটা প্রয়োজন আসলে এটা ঠিক যে আমাদের জীবনে সুস্থতা অনেক বেশি প্রয়োজন সেটা হোক মানসিক কিংবা শারীরিক। তো এ বিষয় নিয়ে কথা বলব আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
জীবনের টিকে থাকতে হলে আমাদেরকে প্রতিনিয়ত জীবনের সাথে যুদ্ধ করে বেঁচে থাকতে হয়। এজন্য আমাদেরকে কঠোর পরিশ্রম করতে হয় এবং বিভিন্ন কৌশল প্রয়োগ করে এরপর সামনে এগিয়ে যেতে হয়। আর আমাদেরকে সবসময়ই বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়। আমাদের প্রত্যেককেই পরিবারের সবার প্রতি খেয়াল রাখতে হয়। যদি আপনি ছেলে হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার পরিবারের সবার প্রতি আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে। কে কি খাচ্ছে, কে কি পড়ছে সবকিছুই খেয়াল রাখতে হবে।
আর যদি আপনি মেয়ে হয়ে থাকেন তাহলে কিন্তু আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে। আপনি কি রান্না করবেন। আপনি ঘর কিভাবে গুছিয়ে রাখবেন ,আপনার সন্তানকে কিভাবে লালন পালন করবেন। এক কথায় আমাদের সবার সবাই কোনো না কোনো দায়িত্ব থাকে। এই দায়িত্ব কর্তব্য নিয়েই আমাদের জীবনের পথচলা শুরু হয় এবং শেষ হয়। যতদিন আমরা পৃথিবীতে বেঁচে থাকি ততদিন আমাদের কে এই দায়িত্ব কর্তব্য মধ্য দিয়েই যেতে হয়। আর এ কারণেই আমাদের যে জিনিসটা সবথেকে বেশি প্রয়োজন সেটা হলো আমাদের সুস্থতা।
হয়তো অনেক ব্যস্ততার মাঝে আমরা নিজেকে সময় দিতে পারি না। আমরা নিজের জন্য একটু সময় বের করে এরপর সেটা আমরা নিজের জন্য রাখতে পারিনা ,কিন্তু তবুও আমাদেরকে সুস্থ থাকতে হয়। যদি আমরা নিজেরাই সুস্থ না থাকতে পারি তাহলে কিন্তু আমরা অন্যদের খেয়াল রাখতে পারবোনা। পরিবারের সবার খেয়াল রাখতে হলে আপনাকে ঠিক ভাবে সমাজে চলতে হলে অবশ্যই প্রথমেই আপনাকে সুস্থ থাকতে হবে। সুস্থতা কিন্তু দুদিক থেকে হতে পারে একটা হতে পারে মানসিক সুস্থতা অন্যটা হতে পারে শারীরিক সুস্থতা।
আমরা যদি পরিপূর্ণভাবে সুস্থ থাকতে চাই তাহলে কিন্তু আমাদেরকে দুই দিক থেকেই সুস্থ থাকতে হয়। যদি আমরা মানসিকভাবে সুস্থ হয়ে শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকি তাহলে কিন্তু আমরা ভেঙ্গে পড়বো। আবার যদি আমরা মানসিকভাবে অসুস্থ থেকে এরপর শারীরিকভাবে সুস্থ থাকি সেটাও কিন্তু আমাদের জন্য মঙ্গল জনক নয়। সেজন্য আমাদেরকে সব সময় চেষ্টা করতে হবে মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে এবং সেইসাথে শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকতে। মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে আমাদের যা কিছু দরকার সেগুলো আমাদেরকে অবশ্যই করতে হবে।
কেননা আমাদেরকে সবসময় মনে রাখতে হবে যে আমাদেরকে আগে সুস্থ রাখতে হবে। আমার নিজের প্রতি আগে খেয়াল রাখতে হবে এরপর অন্যদের প্রতি। মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে যদি আপনার একটা বিষয়ে অতিরিক্ত টেনশন হয় ,সেটা আপনি আপনার পরিবারের সাথে শেয়ার করতে পারেন এবং যে বিষয়টা আপনি বেশি টেনশনে থাকেন সেই বিষয়টা অবশ্যই আপনার পরিবার এবং বন্ধু বান্ধবের সাথে শেয়ার করে হালকা হতে পারেন। যে কারণে আপনি টেনশন মুক্ত থাকবেন এবং মানসিকভাবে সুস্থ থাকবেন।
আর থাকতে পারে আপনার শারীরিক অসুস্থতা। শারীরিক অসুস্থতা থেকে বাঁচার জন্য আমাদেরকে অবশ্যই স্বাস্থ্যসম্মত সবকিছু খেতে হবে। ফলমূল-শাকসবজি ,মাছ এগুলো সব সময় খেতে হবে। হয়তো আমরা পরিবারের স্বার্থে কিংবা নিজের ব্যস্ততার কারণে এগুলা ঠিক ভাবে পালন করতে পারি না , কিন্তু আমাদেরকে সুস্থ থাকতে হলে অবশ্যই এগুলা সঠিক ভাবে পালন করতে হবে। তবে কিন্তু আমরা সুস্থ থাকতে পারবো আসলে সুস্থতা সৃষ্টিকর্তার বড় নেয়ামত। আমরা হয়তো অনেক চেষ্টা করেও সুস্থ থাকতে পারবো না। যদি না সৃষ্টিকর্তার চায়, সেজন্য অবশ্যই সৃষ্টিকর্তার সাথে সবসময় নিজের সুস্থতার জন্য দোয়া প্রার্থনা করতে হবে।
আর সব সময় একটি কথা চিন্তা করতে হবে যে আমাকে আগে সুস্থ রাখতে হবে। যদি আমি আমার জন্য চিন্তা করতে পারি তাহলে কিন্তু আমি অবশ্যই সুস্থ থাকতে পারবো। আসলে যখন আমরা অসুস্থ থাকি তখনই কিন্তু আমরা সুস্থ থাকি তখন কিন্তু অসুস্থ হলে যে আমাদের কতটা খারাপ লাগে আমাদের শরীর আমাদের মন কতটা খারাপ থাকতে পারে ,সেটা কিন্তু আমরা অনুমান করতে পারি না। সেজন্য অবশ্যই সুস্থ থাকতে। অসুস্থ তার মর্ম বুঝতে হবে এবং নিজেকে ঠিকভাবে সঠিক পথে চালাতে হবে। পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে এবং যেভাবে আমরা মানসিক ও শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে পারি সবসময় সেই বিষয়টা খেয়াল রেখে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।
@kawsar
২ নাম্বার ফটো এর সোর্স সংশোধন করুন।
আজকে আপনি খুব সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। স্বাস্থ্য ভালো থাকলে পৃথিবীর সবকিছু ভালো লাগে। স্বাস্থ্য মানুষের মহামূল্যবান সম্পদ। আমাদের সুস্থতা অর্জনের জন্য যেগুলো মানবদেহের জন্য ভালো সেগুলো গ্রহণ করতে হবে আর যেগুলো মানবদেহের বিপরীতে অসুস্থতা ঠেকে আনে সে খাদ্য সমূহ বর্জন করতে হবে। শারীরিক সুস্থতার জন্য জন্য আমাদেরকে সব সময় সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে। এত চমৎকার পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
মনোযোগ দিয়ে পোস্ট টি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।