সপ্নের পদ্মা সেতু
আমি ঢাকা, বাংলাদেশ থেকে @kawsar ।
আশা করি সবাই অনেক অনেক ভাল আছেন, আর আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ। আজ আমি আপনাদের মাঝে আরও একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছে। আসলে আজকে আমি আপনাদের মাঝে যে পোস্ট শেয়ার করবো আসলে আমার কাছে এটা স্বপ্নের মতো মনে হয়েছে। কেননা কখনোই ভাবিনি নদীর উপর দিয়ে সেতু হবে আর সেই সেতু দিয়ে আমি বাড়িতে যাব। যখন গিয়েছিলাম তখন আসলে খুবই ভালো লাগছিল আর তার কিছু ফটোগ্রাফি এবং অনুভূতি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
আসলে যখন থেকে পদ্মা সেতু উদ্বোধন হয়েছে তখন থেকেই মনের ভেতর স্বপ্ন ছিল, কখন পদ্মা সেতু দিয়ে বাড়িতে যাবো। ছোটবেলা থেকেই দেখেছি লঞ্চে আমরা বাড়িতে আসা যাওয়া করতাম এগুলো আসলে অনেক বেশি ধৈর্যের কাজ কেননা এখানে অনেক অপেক্ষা করতে হয়। আর অপেক্ষা প্রহর শেষ হতে চায় না। তো আজকে এবার যখন বাড়িতে যাব তখন মনে করলাম যে আমি পদ্মা সেতু দিয়েই যাবো।
তো এর জন্যই আমি বাসা থেকে রওনা দিয়েছিলাম বাড়ির উদ্দেশ্যে এবং খুবই কষ্টে বরিশালের গাড়ি পেয়েছিলাম, যদিও সীট পাইনি তবুও আমি কষ্ট করে এসেছি কিন্তু আমি চেয়েছি যেন আমি পদ্মা সেতুর উপর থেকে যেতে পারি। পদ্মা সেতু দেখেছি যখন হয়েছি তখন আমি সপ্নে দেখছি। বিশাল নদীর উপর আমি গাড়িতে সত্যি খুবই ভালো লাগছে।
আমি আসলে নদীর ঢেউ খুবই ভয় পাই, সেই জন্য আমি কখনো আসলে দিনের বেলা আসা যাওয়া খুবই কম করতাম। লঞ্চে বেশি যেতাম যখন নদীর ঢেউ গুলো দেখতাম ভাল লাগত, যদিও ভয় লাগতো। তাই আসলে আমার জন্য খুব ভালোই হলো যে আমি এই পদ্মা সেতুর উপর থেকে পদ্মা নদীর ঢেউ দেখতে ছিলাম। কিন্তু ঢেউ অতোটা বোঝা যাচ্ছিল না, কিন্তু খুবই গভীর মনে হচ্ছিল। আর আমার কাছে দেখতে খুব ভালো লাগছিল। আসলে এখানে খুবই কড়া নিরাপত্তা রয়েছে। এখানে কিন্তু বাইক চলাচল বন্ধ কেন না বাইকে এসিডেন্ট হয়েছে। এখানের নিরাপত্তা গুলো আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে।
আমার একবার মনে আছে যে আমার শাশুড়ি ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি ছিল আমি আমার স্ত্রীকে নিয়ে যাচ্ছিলাম। আর এটা খুবই যাওয়া জরুরী ছিল এবং আমাকে লঞ্চে নদী পারাপার হতে হয়েছিল। দিনে আমি ওইদিন খুব ভয় পেয়েছিলাম কেননা নদীতে খুব ঢেউ ছিলো। আর আমি একটি ছোট লঞ্চে নদী পাড় হচ্ছিলাম। আমার স্ত্রী আমার সাথে ছিল এবং সে আসলে অতটা ভয় পাচ্ছিল না, কিন্তু আমার সত্যি বলতে খুব ভয় লাগছিল।
আমি সারা পথ কোন কথা বলিনি যতক্ষণ আমি এই পাড় এসেছি এরপরে আমি কথা বলেছি। আসলে ওই ভয়টার কথা আমার এখনো মনে আছে। সেই থেকে আমি আসলে এই ফেরি পারাপারে খুবই সতর্ক থাকি এবং আমি নদীর দিকে তাকাই না। আসলে এই যে সেতু হয়েছে যখনি আমি শুনেছি তখনই আমার কাছে কিন্তু খুব ভালো লেগেছে এবং আমার মনে হয়েছে যে আমি আমার মাথা থেকে অনেক বেশি টেনশন ঝেরে ফেলেছি। যদিও আসলে আমার স্ত্রী কিন্তু গাড়িতে চড়তে পারে না, সে আসলে লঞ্চে যতে ভালোবাসে।
গাড়িতে আসতে তার নাকি খুবই কষ্ট হচ্ছে তাই সে এবার বলে দিয়েছে যে কখনো গাড়িতে আসবে না। আমার দ্বারা আসলে তা হবে না কেননা আমি আসলে গাড়িতে যেতে ভালোবাসি। আর আমি গাড়িতে আসতে চাই কেননা আমি খুব কম সময়ে বাড়িতে এসে পৌঁছেছি, যেটা আর কখনোই হয়নি। আমার কাছে এটা আসলে খুবই অদ্ভুত লেগেছে এবং অনেক ভালো লেগেছে।
আমি যদি বাড়িতে লঞ্চ আসতাম তবে আমি লঞ্চে সন্ধ্যা ৭ টায় উঠতাম ও সকালে বাড়িতে পৌছাতাম। আর যদি গাড়িতে আসতাম তাহলে কমপক্ষে ৭ থেকে ৮ ঘন্টা সময় লাগবে। এটা আসলে অনেক বেশি সময় হয়ে যায় কমপক্ষে ৭ ঘন্টা তো লাগবেই। কিন্তু এইবার আমি প্রথমবার ৫ ঘন্টায় বাড়িতে এসেছি। এর থেকেও কম সময় লাগত যদি রাস্তায় জ্যাম না থাকতো তাহলে আরো আগে আসতাম। আসলে এই অল্প সময়ে বাড়িতে আসার অনুভূতি ছিল অন্যরকম।
লোকেশন|পদ্মসেতু,মুন্সিগঞ্জ
ফটোগ্রাফার|@kawsar
@kawsar
আসলে ভাই আপনার স্বপ্নের সেতু দিয়ে বাড়িতে পৌঁছেছেন এবং লাঞ্চে গেলে আপনার অনেক সময় লাগতো। সেখানে আপনি খুব অল্পসময়ের মধ্যেই বাড়িতে পৌঁছাতে পেরেছেন। খুবই ভালো লাগলো এই স্বপ্নের পদ্মা সেতু বাংলাদেশের যান চলাচলের ব্যবস্থাকে আরও এগিয়ে নিয়ে গেছে।এই সেতু বাংলাদেশ এর গর্ব।
এই অনূভুতি প্রকাশ করার মতো না এটা বুঝতে পারছি ভাই। সত্যি এটা ছিল কোটি মানুষের স্বপ্নের সেতু। আমারও ইচ্ছা আছে কিন্তু এখনো সুযোগ টা হয়ে উঠেনি। প্রথমবার পদ্মা সেতু পাড় হওয়াটা বেশ ছিল। ধন্যবাদ আমাদের সাথে পোস্ট টা শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
শেষমেষ আপনিও পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে ফেললেন। আমি অবশ্য আজও কোনদিন লঞ্চে উঠি নাই এবং নদীতে পাড়ি দেই নাই। জানিনা নদীর মধ্যে কেমন অবস্থা হয়ে থাকে। আর কতটা ভয়ানক মুহূর্তের সম্মুখীন হতে হয়। তবে আপনার পোস্ট পড়ে খুব ভালো লাগলো।
ভাইয়া, পদ্মা সেতু অনেকেরই স্বপ্নের সেতু।তবে এই সেতু নিয়ে কত টিকটক ভিডিও প্রচার হচ্ছে, আবার দুইজন মারাও গেছে কেউ বা গ্রেপ্তার হয়েছে ভিডিও তৈরির জন্য আজব বিষয়।যাইহোক আমিও জার্নি করতে পারিনা একদম।ভাবি হয়তো লঞ্চে যেতে বেশি অভ্যস্ত।