পাঙ্গাস মাছ দিয়ে সুস্বাদু বেগুন রান্নার রেসিপি - 10% beneficiary to @shy-fox
আসসালামু আলাইকুম, আজ আমি আপনাদের সাথে খুবই মজার একটি রেসিপি শেয়ার করব। আমরা অনেকেই বেগুন পছন্দ করি কিন্তু এই বেগুন যদি আপনি পাঙ্গাস মাছের সাথে ভুনা করে খেতে পারেন তাহলে এটা যে মজা সেটা পাবেন। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব পাঙ্গাস মাছ দিয়ে বেগুন ভুনা রেসিপি। এটা খেতে খুবই সুস্বাদু। তো চলুন মূল রান্নায় যাওয়া যাক।
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
বেগুন | বড় সাইজের ১টি |
আলু | মিডিয়াম সাইজের ১ টি |
মরিচের গুরা | ১ চা-চামচ |
হলুদের গুরা | হাফ চা চামচ |
জিরার গুড়া | হাফ চা চামচ |
আদা পেস্ট | ১ চা-চামচ |
রসুন পেস্ট | ১ চা-চামচ |
তেল | ৪ টেবিল চামচ |
লবণ | পরিমাণ মতো |
কাঁচা মরিচ | ৪ টি |
পিঁয়াজ | ১ কাপ |
বেগুন দিয়ে পাঙ্গাস মাছের এই সুস্বাদু রেসিপি রান্না করার ধাপগুলো পর্যায়ক্রমে দেখানো হলো
ধাপ : ১
পাংগাস মাছ দিয়ে বেগুন রান্না করার জন্য প্রথমেই মাছগুলো খুব সুন্দরভাবে তেলে ভেজে নিতে হবে এ জন্য প্রথমেই একটি বাটিতে মাছগুলোকে নিয়ে এরপর হাফ চা চামচ মরিচের গুঁড়া, হাফ চা চামচ হলুদ গুড়া এবং পরিমান মত লবন দিয়ে খুব সুন্দর ভাবে মিশিয়ে নিতে হবে।
মসলার সাথে যখন মাছ মিশিয়ে নেওয়া হয়ে যাবে। তখন চুলায় একটি কড়াই বসিয়ে দিতে হবে এবং এতে 2 টেবিল চামচ পরিমাণ এগুলো রান্নার তেল দিয়ে দিতে হবে।
তেল যখন হালকা গরম হয়ে আসবে তখন এর ভিতরে আগে থেকে মসলার সাথে মিশিয়ে রাখা সেই মাছ গুলো দিয়ে দিতে হবে।
এরপরে চুলার মিডিয়ামে রেখে মাছ খুব ভালোভাবে ব্রাউন কালার করে ২ পাশ ভেজে নিতে হবে। এক্ষেত্রে একটু সতর্ক থাকতে হবে কেননা পাঙ্গাস মাছ ভাজার সময় তেল ছিটে আসতে পারে এজন্য একটু সতর্ক থাকা ভালো।
ধাপ : ২
মাছ যখন ব্রাউন কালার করে ভেজে নেওয়া হয়ে যাবে তখন মূল রান্নায় চলে যেতে হবে। এজন্য চুলায় কড়াই বসিয়ে দিতে হবে এবং এতে আবার ও 2 টেবিল চামচ পরিমাণ রেগুলার রান্নার তেল দিয়ে দিতে হবে। তেল যখন গরম হয়ে আসবে তখন এর ভেতরে এক কাপ পরিমান পিয়াজ ও তিন থেকে চারটি কাঁচামরিচ দিয়ে দিতে হবে।
কাঁচা মরিচ এবং পিয়াজ দুই থেকে তিন মিনিট তেলে ভেজে নিতে হবে এরপর এখানে দিয়ে দিতে হবে 1 চা-চামচ রসুন পেস্ট এবং 1 চা-চামচ আদা পেস্ট।
পেঁয়াজ এবং কাঁচা মরিচের সাথে আদা পেস্ট এবং রসুন পেস্ট খুব ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে এবং আবারো এগুলো দুই থেকে তিন মিনিট হালকা তেলে ভেজে নিতে হবে। গুঁড়ো মসলা গুলো এড করে দিতে হবে এক্ষেত্রে 1 টেবিল চামচ মরিচ গুঁড়া, 1 চা চামচ হলুদ গুড়া ,1 চা চামচ জিরা গুঁড়া এবং পরিমাণমতো লবণ হবে।
সব মশলা গুলো খুব ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে এবং এরপরে এগুলো আবার ২ মিনিট তেলে ভেজে নিতে হবে। এ সময় অবশ্যই চুলার আঁচ কমিয়ে রাখতে হবে কেননা তা না হলে মসলা পুড়ে যেতে পারে মসলা ভাজা হয়ে গেলে এর ভিতরে এক কাপ পরিমান পানি অ্যাড করে দিতে হবে মসলা কষিয়ে নেওয়ার জন্য।
এ পর্যায়ে চুলা মিডিয়ামে রেখে পানি শুকিয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত মসলা কষিয়ে নিতে হবে এবং আমরা সবাই জানি যে তরকারি রান্না করার সময় মসলা যত বেশি কষিয়ে নেওয়া যাবে তরকারি ততই বেশি খেতে মজা হবে।
ধাপ :৩
মসলা কষানো যখন কমপ্লিট তখন এর ভিতরে আগে থেকে কেটে রাখা আলু এবং বেগুন দিয়ে দিতে হবে। আরেকটি কথা হলো বেগুন গুলো অবশ্যই মাঝারি সাইজ করে কেটে নিতে হবে।
বেগুন ও আলু দিয়ে দেওয়ার পরে এগুলো খুব ভালোভাবে মসলার সাথে মিশিয়ে নিতে হবে এবং এগুলোকে তিন মিনিট শুধু মশলার সাথে কষিয়ে নিতে হবে।
মসলার সাথে সবজি যখন কষানো হয়ে যাবে তখন এর ভিতরে পরিমাণমতো পানি দিয়ে দিতে হবে। এমন পরিমাণ পানি দিতে হবে যাতে আলু বেগুন খুব ভালোভাবে সেদ্ধ হয়ে যায়।
শেষ ধাপ
এরপরে পানিতে যখন বলক চলে আসবে তখন এর ভিতরে আগে থেকেই ব্রাউন কালার করে ভেজে রাখা পাঙ্গাস মাছ গুলো দিয়ে দিতে হবে। এরপরে কড়াইয়ে একটি ঢাকনা দিয়ে রান্না শেষ হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। এ সময় অবশ্যই চুলা মিডিয়াম আঁচে রাখতে হবে।
এ পর্যায়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করার পরেই যখন তরকারির পানি শুকিয়ে যাবে এবং আলু বেগুন খুব ভালোভাবে সেদ্ধ হয়ে যাবে তখনই বুঝতে হবে যে এটা খাওয়ার জন্য একেবারেই তৈরি।
পাঙ্গাস মাছ দিয়ে বেগুন রান্না করলে আসলে এটা খেতে খুবই সুস্বাদু হয়। যদি কেউ না খেয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই বাসায় একবার ট্রাই করে দেখবেন।
আমার রান্না শেষে পরিবেশনের জন্য এনেছি। সবার সুস্থতা কামনা করে আজ এখানেই শেষ করছি।
লোভনীয় পাঙ্গাশ মাছের রেসিপি, উফ্ দেখেই খেতে ইচ্ছে করছে।বেগুন আর আলু দিয়ে কীভাবে রেসিপি টা তৈরি করেছেন সেটা আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। অনেক অনেক শুভকামনা রইল ভাই।
সুন্দর মতামতের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
পাঙ্গাস মাছ আমার খুবই অপছন্দের। এটির গন্ধ আমার কাছে ভালো লাগে না। কিন্তু আপনার পাঙ্গাশ মাছের রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে যে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে। তাছাড়া আপনি ভেজে রান্না করেছেন । আর জন্য মনে হয় মাছের গন্ধ চলে গিয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে পাঙাশ মাছ এর এত সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপু এই মাছ ভালোভাবে পরিষ্কার করে, এরপর অনেক বেশি ধুতে হবে গরম পানি দিয়ে। তাহলে গন্ধ আসে না।
পাংগাস মাছ দিয়ে সুস্বাদু রেসিপি তৈরি করেছেন। আমি পাঙ্গাস মাছ খুব একটা খাই না। তবে আপনার রেসিপিটা দেখে খেতে ইচ্ছা করছে। কারণ মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে।
ধন্যবাদ ভাইয়া
পাঙ্গাশ মাছ দিয়ে আপনি অনেক সুন্দরভাবে বেগুন রেসিপি তৈরি করেছেন ভাইয়া। পাঙ্গাস মাছ বরাবরই আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আমার কয়েকটি প্রিয় মাছের মধ্যে পাঙ্গাস মাছ অন্যতম। যদিও শুনে থাকি অনেকেই নাকি আবার পাঙ্গাস মাছ খায় না, বা খেতে চায় না। কিন্তু আমি একটু সবার থেকে অন্যরকম। আপনার পাঙ্গাস মাছ রান্নার রেসিপি টা দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে🤟 সেইসাথে অনেক লোভনীয় বটে। আপনার রেসিপি টা দেখে আমার জিভে জল এসে গেল 😍এতো মজাদার একটি রেসিপি আমাদের সকলের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল আপনার জন্য, আপনার কাছ থেকে পরবর্তীতে এরকম মজাদার রেসিপি উপহার পাবো বলে আশা রাখি🎊🎊
সুন্দর মতামতের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইজান