ডিরোজিও
আজও কলকাতার বুকে শুয়ে আছেন দ্রজু সাহেব। হেনরী লুইস ভিভিয়ান ডিরোজিও। আজকের এই মুক্তমনা বাংলার পথিকৃৎ। শোনা যায় মাত্র ২৩ বছর বয়সে কলেরায় মৃত্যুর পর সাউথ পার্ক স্ট্রিট সিমেট্রিতে তাঁকে কবরস্থ করায় বাধা দেন পাদ্রীরা৷ তাই পাঁচিলের ধারে কোণে শোয়ানো আছে তাঁকে। ১৭ বছর বয়সে হিন্দু কলেজের মত কুলীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক হিসাবে যুক্ত হওয়া৷ তার পর ঝড়৷ সে ঝড় টর্নেডোয় পরিণত হতে সময় লাগেনি বেশি৷ তারই ফল প্যারিচাঁদ মিত্র, রামতনু লাহিড়ী, রামগোপাল ঘোষ, রাধানাথ শিকদারের মত মানুষেরা। ডিরোজিও সাহেব কাজ করতে পারেননি শহরের বুকে। সীমাহীন বিরোধিতার সামনেও তিনি শক্ত ছিলেন জীবনের সবকটা দিন। তাই কলেজ কতৃপক্ষের থেকে বরখাস্তের নোটিস পাবার আগেই তিনি পদত্যাগ করতে দুবার ভাবেননি। কিন্তু থেমে থাকেনি বাংলার জাগরণ। 'কেন' শব্দটির প্রচলন সেই সময় থেকেই৷ এই 'কেন'র পিছনে যে প্রবল স্তম্ভটি আজও ধরে রেখেছেন বাঙালীর দুটো হাত, তিনিই ডিরোজিও৷ এই এপ্রিল মাস তাঁর জন্ম মাস৷ আজকের কলকাতাও ভোলেনি এই ২৩টি বছরের মহাপ্রাণ যুবককে। ভোলবার কথাও না৷ 🙏🙏