আমার দেখা নাটক রিভিউ||পরগাছা||১০% বেনিফিসিয়ারি shy-fox এর জন্য||
শনিবার, ১৬ই বৈশাখ ১৪২৯ বঙ্গাব্দ।
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগ বাসি।
সকলকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি সকলে খুব ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের সামনে একটি নাটকের রিভিউ নিয়ে আসলাম। আমি আপনাদের সাথে আমার দেখা নাটক "পরগাছা" এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ অংশ তুলে ধরার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে দেখে নেয়া যাক নাটকের দৃশ্য গুলি।
এই নাটকটি একটি সামাজিক ঘটনা নির্ভর। এখানে লেখক একটি সামাজিক ঘটনাকে তুলে ধরেছেন।
ঘটনাচক্র -১ঃ
এখানে জাহিদুল এর স্ত্রী তাকে তার ভাইয়ের ছেলে যে একটি দুষ্টুমি করে, তাই জাহিদুল কে বলে এবং জাহিদুল কে উস্কিয়ে দেয়। ফলে জাহিদুল রাগান্বিত হয়।
জাহিদুল তার ভাবিকে বিভিন্ন কথা বলে, এরমধ্যে তার ভাবি জাহিদুল এর বউকে কুটনি বলে। এতে জাহিদুল আরো রেগে যায় ও আলতা বানু ও তাই।
ঘটনাচক্র -২ঃ
এখানে আলতা বানু জাহিদুল কে বলেছে, তার ভাবি যদি তার কাছে ক্ষমা না চায় তাহলে সে তার বাপের বাড়ি চলে যাবে।
ঘটনাচক্র -৩ঃ
এখানে মানিকের সৎ বাবা মানিককে বাবা বাজান বলে ডাকতেছে কিন্তু মানিক তাকে বাবা বলে না ডাকার জন্য বলছে।
ঘটনাচক্র -৪ঃ
এখানে, জাহিদুলের বড় ভাই বাড়ি ফিরে এসে তার বউয়ের সাথে তার ছেলে সম্পর্কে কথাবার্তা বলতে ছিল। ইতিমধ্যে জাহিদুল এসে তার ভাবিকে তার বউয়ের কাছে কুটনি বলার অপরাধে ক্ষমা চাইতে বলে কিন্তু তার বড় ভাই বাড়ির বড় বউ হিসেবে ছোট বউ এর কাছে ক্ষমা চাইতে যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দিলো জাহিদুল কে।
ঘটনাচক্র - ৫ঃ
এখানে পাড়ার ছেলেগুলো মানিককে হামিদুলের হাইট এ ব্যাটা বলে অপমান করছিল। এরপরে জাহিদুল ও তার বউ আলতা বানু তাদের নিজেদের মধ্যে মনোমালিন্যের কথা বলতেছিল। আলতাবানু বাপের বাড়ি চলে যাওয়ার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু জাহিদুল বারবার তার বউকে বোঝানোর চেষ্টা করছিল।
ঘটনাচক্র -৬ঃ
এর মধ্যে অনেক ঘটনাই ঘটে যায় এখানে মানিকের মা মানুষকে মেরে শাসন করার চেষ্টা করে। হামিদুল তার মায়ের কাছ থেকে ছেলেকে বাঁচানোর চেষ্টা করে। কিন্তু তারপরেও মানিক তার বাবাকে অস্বীকার করে। এদিকে লোকজন জাহিদুলের কাছে নালিশ নিয়ে আসে মানিকের সম্বন্ধে কিন্তু জাহিদুল সাফ জানিয়ে দেয় জেতার কোনো ব্যস্ততা নেই। এরপর মানিকের কাছে মানুষজনের সে অভিযোগ করে তার ছেলে সম্পর্কে। আমি তখন তার ছেলেকে খুব ভালোবাসে তাই তার ছেলের সম্পর্কে খারাপ কথা সে শুনতে চায় না। সে তার তার ছেলে যে মার্বেলগুলো নিয়েছে তার দাম দিয়ে দেয়। এরপর মানিক তার চাচির কাছে এসে তার চাচার নাম ধরে বলে জাহিদুল কই। তার চাছি রেগে যায়। এক পর্যায়ে মানিকদার চাচাকে নাম ধরে ডাকতে থাকে, তার চাচা খুব রাগান্বিত হয়।
ঘটনাচক্র -৭ঃ
এখানে হামিদুল ও তার বউ সুগন্ধি গল্প করতেছিল তাই ছেলেকে দিয়ে, যে মানিক হামিদুলকে দিন দিন কেন জানি সহ্য করতে পারছিল না। কিন্তু আহমেদুল মানিককে প্রচন্ড ভালোবাসি তাই সে এ কথায় কোন মনে করে না। এমন সময় সুগন্ধির আগের স্বামী এসে হাজির হয় এবং তাদেরকে টিটকারি করা শুরু করে। এরপর সে তার ছেলেকে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেয়।
ঘটনাচক্র -৮ঃ
এখানে মালেকের আসল বাবা তাকে নিতে আসে। কিন্তু হামিদুল দিতে রাজি হয় না। মানিকের মা তার সে বাবা কে বলে আমার ছেলেকে কত কষ্ট করে আমি মানুষ করেছি, তখন তুমি নতুন বউ নিয়া ফুর্তি কর। তখনতো ছেলের কোন খবর নেও নাই। একপর্যায়ে মানিকের আসল বাপ হামিদুলের সাথে কথা বলে। মানিককে তার কাছ থেকে ভিক্ষা চাই। কিন্তু তারপরেও সে দিতে রাজি হয় না।
ঘটনাচক্র -৯ঃ
এবারের সুগন্ধি তার ছেলেকে বোঝানোর চেষ্টা করে যে তার আসল বাপ থাকে ভালোই বাসতো না। এবং তার ছেলে জানতে পারে হামিদুল তাকে কত ভালোবাসে।
ঘটনাচক্র -১০ঃ
এক পর্যায়ে মানিকের আসল বাপ পুলিশ নিয়ে আসে এবং মানিককে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। মানিকের বাপ এবারে তার ছেলের নামে লিখে দেওয়ার জন্য কাগজপত্র চায় ও সেগুলোর নিয়ে সে সে চলে যাওয়ার চেষ্টা করে।
কিন্তু মানিক এবারে তার আসল বাপের চেহারা ও লোভের কথা বুঝতে পারে, তাই সে তার আসল বাপের সাথে না যে পুনরায় তারা আগের পরিবারে তার মায়ের মা বাবার কাছে ফিরে আসে।
বিভাগ | বিবরণ |
---|---|
সম্পাদনা | তানভীর রওশন |
রচনায় | বৃন্দাবন দাস |
অভিনয়ে | চঞ্চল চৌধুরী, শাহনাজ খুশি, বৃন্দাবন দাস, মৌসুমী আহমেদ, রুশান। |
নিবেদন | পন্ডস |
সৌজন্যে | চ্যানেল আই |
নাটকের নাম | পরগাছা |
বন্ধুরা, আমার নাটকটি আপনাদের কেমন লাগলো তা অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। সকলের আমার আজকের নাটক এর রিভিউ কেমন লেগেছে? এতক্ষণ ধরে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাদের অনেক অনেক ধন্যবাদ। সুস্বাস্থ্য কামনা করে আমার আজকের পোস্ট এখানেই শেষ করছি।
চঞ্চল চৌধুরীর দক্ষ একজন অভিনেতা। তার প্রত্যেকটা নাটকই আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আপনি পরগাছা নাটকের খুব সুন্দর রিভিউ করে আমাদের মাঝে তুলে ধরলেন। অনেক ভালো লাগলো পড়ে এক সময় দেখার চেষ্টা করবো।
পরগাছা নাটকটি আমি দেখেছি অনেক সুন্দর একটি নাটক। আপনি আজকে চমৎকার ভাবে সাজিয়ে উপস্থাপনা করেছেন। আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো ভালো থাকুন।
চঞ্চল চৌধুরী আর শাহনাজ খুশি এই দুজনের কেমস্ট্রি সেই লাগে নাটকে।দুইজনই আমার পছন্দের অভিনেতা।তবে এই নাটক টি এখনো দেখায় হয় নি।আর আপনার রিভিউ দেখে মনে হলো। নাটক টি দেখা উচৎ।
আপনি খুবই চমৎকার ভাবে আমাদের মাঝে একটি নাটক রিভিউ শেয়ার করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। যদিও এই নাটক আমি এখন পর্যন্ত দেখিনি তবে আপনার এই রিভিউ কিছুটা পড়ে বুঝতে পারলাম নাটকটা আসলে অনেক ভালো। সংক্ষিপ্ত করে আমাদের মাঝে নাটক রিভিউ শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
চঞ্চল চৌধুরীর নাটক মানেই ভিন্ন কিছু। এই নাটকটি আমি দেখিনি। কিন্তু আপনার রিভিউ দেখে মনে হচ্ছে খুব চমৎকার হবে এটি। সময় করে নাটকটি দেখে নেওয়ার চেষ্টা করব। অনেকদিন নাটক দেখা হয়না। শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো আপনার জন্য।
চঞ্চল চৌধুরীর নাটক গুলা আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। তার অভিনয় সেরা। এই নাটকটি এখনো দেখা হয়নি। তবে আপনার দেওয়া রিভিউ পড়ে অনেক কিছু জানতে পারলাম। দেখি সময় পেলে এক সময় দেখে নিব ।।শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।