মেলায় একদিন,১০% প্রিয় লাজুক শেয়ালের জন্য।
শুভ সকাল,
সবাইকে ফাল্গুনের শুভেচ্ছা।আশা করছি,ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।গ্রাম-গঞ্জের ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলো এখনোও অনেকটাই প্রাণবন্ত হয়ে থাকে।হিন্দু ধর্মালম্বীদের অন্যতম প্রাণের উৎসব হচ্ছে পূজা।পূজাকে কেন্দ্র করে আমাদের পার্শ্ববর্তী পলাশবাড়ী উপজেলার হরিনাথপুর ইউনিয়নের ভেলাকোপা নামক জায়গায় মেলার আয়োজন ছিল।শোনা যায় প্রতিবছরের ফাল্গুনের মাঝামাঝি এই মেলা হয়ে থাকে।মেলা নিয়ে থাকছে আজকের পর্ব।
ব্যক্তিগত কাজে গোবিন্দগঞ্জ হতে পলাশবাড়ীর মধ্য দিয়ে সাঘাটার দিকে যাত্রা।পলাশবাড়ী উপজেলার হরিনাথপুর ইউনিয়নের ভেলাকোপার পথ ধরে যেতে হিন্দু ধর্মালম্বীদের সারি সারি দলবদ্ধতায় রাস্তায় ভিড় জমেছে।ভাবুক মনে জিজ্ঞেস করলাম এত লোকের সমাগম কেন?বয়স্ক এক ভদ্রলোক উত্তর দিলো,সামনের দিকে এগিয়ে যান ওখানে মেলা বসেছে।মেলার পথ ধরে যাওয়া হলো।রাস্তার সাথে শতবর্ষের পুরনো এক গাছের নিচে মন্দির দেখা গেলো।হিন্দু ধর্মালম্বীরা সারিবদ্ধভাবে গাছের নিচের মন্দিরে পূজা অর্চনায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।রাস্তার পাশে খোলা জায়গা গুলোতে মেলা বসেছে।ছোট ছেলেমেয়েরা কাঠের পুতুল,বেলুন নিয়ে রাস্তায় ঘুরছে।মেলাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মধ্যে, রসুন,পেঁয়াজ,মাছ ও মাটির হাড়ি পাতিল দেখা যায়।
নাগরদোলা,মাটির পুতুল,মিষ্টান্ন,ভাজাপোড়া,আসবাবপত্র সহ প্রয়োজনীয় বিভিন্ন সামগ্রী উঠেছে এই মেলায়।পলাশবাড়ী উপজেলা সহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন উপজেলার লোকের ব্যাপক সমাগম দেখা যায়।কিন্তু দুঃখের বিষয় ওমিক্রণ সচেতনতায় তাদেরকে তেমন দূরত্বে দেখা যায় নাই।
ছোট বয়স থেকেই মধ্যবয়সী মানুষদের দেখা যায় নাগর দোলায় চড়ে শৈশবে ফিরে যাওয়ার দৃশ্য।রাস্তার পাশে বসেছে,আচার,চটপটি ফুচকার দোকানগুলো।লোকজনের বিশাল সমাগম থাকায় মেলাতে সেভাবে ঘোরা হলো না।রাস্তা থেকে জনসমাগম এড়িয়ে যতটুকু উপভোগ করা যায় খুব অল্প সময়ে তা দেখা গেল।গ্রামের মধ্য দিয়ে যাওয়ার রাস্তাটি সংকীর্ণ হওয়ায় ব্যাপক জ্যাম লেগেছে।রাস্তার পাশে বসানো বিভিন্ন মিষ্টিসহ অন্যান্য খাবারের দোকান গুলোতে ধুলাবালি পড়ছে। অসচেতনভাবে অনেকেই খুব সহজেই খাবার গুলো গ্রহন করছেন।
মেলাটি ছিল একদিনের জন্য।সকাল আটটা থেকে রাত বারোটা পর্যন্ত মেলাটি চলমান থাকে।স্থানীয়ভাবে কিছু দোকানে বসলেও দূরদূরান্ত থেকে বিভিন্ন দোকানিরা মেলায় দোকান দিয়ে থাকে।দোকানীদের সাথে কথা বললে তারা জানান,একদিনের জন্য মেলা ঠিক হলেও বেচা-বিক্রি তুলনামূলক অনেক বেশি হয়।করোনা মহামারীর কারণে গত দুই বছরে কোন মেলাতে অংশগ্রহণ করতে না পারায় দোকানিরা তাদের কষ্টের কথা ও জানান।শেষ রাত্র থেকে সকালের দিকে দোকানিরা তাদের প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো উঠে নিয়ে যায়।স্থানীয়রা জানান,সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় এই মেলাটি প্রতিবছর আরো বেশি জাঁকজমকপূর্ণ হোক,হিন্দু মুসলিম মিলেমিশে উপভোগ করুক গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠানটিকে,এমনটাই প্রত্যাশা তাদের।
যাইহোক খুব অল্প সময়ে দূরত্ব বজায় রেখে মেলাটি ছিল দারুণ উপভোগ্য।তবে অনেক ক্ষেত্রেই সচেতনতায় আরো বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত।রাস্তার পাশের খোলা জায়গা গুলোতে যে দোকান বসানো হয়েছে,সেগুলো খাবারের ব্যাপারে আরো বেশি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হওয়া উচিত।বিভিন্ন দোকানে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড় থাকলেও মাক্সের দোকানে তেমন ক্রেতা চোখে পড়ে নাই।সবশেষে বলতে চাই,সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ঐতিহ্যবাহী মেলাটি প্রতিবছরই জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে পালিত হোক,সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এ বন্ধন টিকে থাকুক আজীবন।
বিষয় | মেলায় একদিন। |
---|---|
বর্ণনায় | @kamrul8217 |
লোকেশন | w3w |
ডিভাইস | Samsung A32 |
তারিখ | ৪ মার্চ ২০২২ |
এতক্ষণ সাথে ছিলাম আমি@kamrul8217
পেশায় একজন সাংবাদিক,উপস্থাপক ও ক্ষুদ্র লেখক।জ্ঞান অন্বেষণে অবিরাম ছুটে চলা।মানুষকে ভালবাসি তাই মানুষের পাশাপাশি থাক।চেষ্টা করি প্রতিনিয়ত একটি করে হলেও কল্যাণ মূলক কাজ করার।প্রকৃত মানুষ হতে সার্বক্ষণিক আমার পাশে আছে দুই বাংলার অবিচ্ছেদ্য প্ল্যাটফর্ম@amarbanglablog
গ্রামের দিকের এই মেলা গুলি খুবই ভালো লাগে আমার কাছে। আপনার মেলায় ঘুরার অনুভূতি গুলি জানতে পেরে অনেক ভালো লাগলো। খুব সুন্দর ভাবে ছবি দিয়ে সব কিছু বর্ননা করেছেন। তাই ভালো লেগেছে অনেক। শুভেচ্ছা রইলো আপনার জন্য ভাই।
গ্রামীণ লোকালয়ে এমন মেলা সত্যিই অনেক মজার। মেলার দৃশ্য দেখেই শৈশব-কৈশোরের কথা মনে পড়ে যায়। শৈশবে ফেলে আসা দিনগুলো বোন কত চমৎকার ছিল তা ভাবতেই ভালো লাগে। জনসমাগমের কারণে হয়তো মেলার ভিতর সেভাবে ঢুকা যায় নি, তবে পাশে থেকে যতগুলো ছবি নেওয়া সম্ভব হয়েছে তা আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি।
গ্রামের এরকম মেলা গুলো দেখতে অনেক ভালো লাগে। ছোটবেলায় এরকম পাশের গ্রামে হিন্দু ধর্মালম্বীদের পূজা উপলক্ষে মেলা হতো। আমি নিয়মিত যাইতাম। আপনার মেলার এই ছবিগুলো দেখে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। আরো সুন্দর করে সবকিছু বর্ণনা আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। এরকম সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য এবং গ্রামের মেলার পরিবেশ তুলে ধরার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল ভাই আপনার জন্য।
সম্প্রাদায়ের এমন উৎসব ছিলো অসাম্প্রদায়িক চেতনার।সকল ধর্মের মানুষের এমন বিচরণ মেলাকে সম্পন্ন করেছে।ভিন্ন বয়সী মানুষের এমন কাটোনো মুহূর্ত ছিলো বিরল।গ্রামের এতো জাঁকজমকপূর্ন উৎসব সত্যিই প্রশংসার দাবীদার।
মেলার ছবি গুলো দেখে আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। আসলেই মেলায় ঘুরতে অনেক ভালো লাগে। আপনি খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের উপহার দিয়েছেন ভাইয়া। এত সুন্দর অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
মেলায় ঘুরতে আসলেই অনেক ভালো লাগে। গ্রামীণ জনপদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এমন বন্ধন দেখে খুবই চমৎকার লেগেছে। চেষ্টা করেছিলাম মেলার ভিতরে ঢুকিয়ে প্রতিটি বিষয়ে আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। কিন্তু দুঃখের বিষয় নিয়ে জনসমাগম খুব বেশি থাকায় তেমন করে করা সম্ভব হয়নি।
মেলায় যেতে অনেক ভালো লাগে কিছুদিন আগে আমাদের এলাকায় মেলা হয়েছিল এবং সেখানে আমি গিয়েছিলাম গিয়ে অনেক জিনিসপাতি ক্রয় করেছিলাম এবং খেলেছিলাম এটা অনেক মজাদার ছিল। আপনার মেলায় যাওয়ার মুহূর্তটি আমাদের মাঝে অনেক সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন বিশেষ করে মাটিতে মাটির জিনিস গুলো দেখে আমার অনেক ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে।
মেলায় বিভিন্ন জিনিসপত্র দেখা যায় পাশাপাশি খেলার বিভিন্ন সামগ্রী ও দেখা যায়।ছোট বাচ্চাদেরকে খেলনা সামগ্রী কিনতে দেখা যায়।আপনি খুব সুন্দর করে গুছিয়ে মন্তব্য করেছেন শ্রদ্ধেয়।
মেলার ছবিগুলো দেখে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আমাদের এলাকায় এমন মেলা এখন আর দেখা যায় না। মেলাটি দেখে ইচ্ছে করতেছে মেলা দেখতে যেতে। খুব চমৎকার একটি অনুভূতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপনি যথার্থই বলেছেন গ্রাম অঞ্চলের এমন মেলা দারুণ উপভোগ করার মতো। প্রতি বছরই এ মেলা হয়ে থাকে। ছোট-বড় মধ্যবয়সী থেকে সব বয়সের লোকের সমাগম ঘটে।
অত্যন্ত গঠনমূলক এমন মন্তব্য করে পাশাপাশি থাকার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইলো শ্রদ্ধেয়।
ওই মেলা গুলোতে খুবই মজা হয়ে থাকে এবং অনেক দারুন হয়।আমাদের এখানে অনেক আগে হতো এমন মেলা এখন হয়না আপনার পোস্টা পরে অনেক ভালো লাগলো অনেক সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন পোস্টি।
হ্যাঁ গ্রামের মেলাগুলো এখনো অনেক দারুন হয়ে থাকে।বেশ মজা হয়।বিভিন্ন বয়সী মানুষের জনসমাগম ঘটে।প্রচুর দোকান বসতে দেখা যায়।
আসলে মেলায় ঘুরতে অনেক ভালো লাগে। অনেক লোকের সরগম হয়ে থাকে এবং আপনি সুন্দর একটি মুহূর্ত উদযাপন করেছেন ।বিভিন্ন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দেখলাম। পুতুল, মিষ্টান্ন ভাজাপোড়া অনেক ভালো লাগলো। আসলে দুই বছর সবকিছু অফ থাকায় সাধারণ মানুষের জীবনে অনেক কষ্ট নেমে এসেছে। এটা খুবই মর্মান্তিক। তারা আবারও এরকম সুদিন ফিরে পেয়েছে জেনে খুব ভালো লাগলো।আসলে ছোট থেকেই বয়স্ক পর্যন্ত নাগরদোলা দেখা যায় এটা ঠিক বলেছেন আসলে সকলের ভিতরে শৈশব ফিরে আসে।অনেক সুন্দর একটি মুহুর্ত তুলে ধরেছেন।♥️
মেলায় জনসমাগম ছিলো।ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে মধ্যবয়সী ও অনেক প্রবীণদের দেখা যায়।মেলাতে জিলাপি,মিস্টান্ন,মাটির পুতুলসহ অনেক তৈজসপত্র দেখা যাত।করোনা মহামারীর কারনে গত দুই বছরে তেমন করে মেলা হতে দেখা যায় নাই।
অনেকদিন যাবত এভাবে মেলায় গিয়ে সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করা হয় না। বিশেষ করে গ্রাম্য পরিবেশের মেলাগুলো এখন বিলুপ্তির পথে। আপনার মেলায় গিয়ে কাটানো মুহূর্তের গল্প অনেক ভালো লেগেছে। সুন্দর উপস্থাপনার মাধ্যমে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।
আপনি খুব সুন্দর করে বলেছেন,গ্রামীণ এমন ঐতিহ্য আজ বিলুপ্তির পথে।পুরনো দিনের এমন উৎসব দারু উপভোগ্য।করোনা মহামারীর কারনে অনেক জায়গাতেই মেলা বসানো সম্ভব হয় নাই।হঠাৎ করেই এমন মেলায় যেতে পেরে আমাকেও ভালো লেগেছে।
মেলা মানেই একটি আনন্দ উৎসব। মেলা যে অঞ্চলে হয় পুরো অঞ্চলটি আনন্দ উৎসবে ভরে ওঠে। মেলায় অতিবাহিত করার খুবই সুন্দর কিছু দৃশ্য আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। আপনার এই মেলার দৃশ্য গুলো দেখে আমার মনে পড়ে গেল ছোটবেলার কথা তখন প্রচুর পরিমাণে মেলায় ঘুরতে যেতাম। আমার ছোটবেলার স্মৃতি মনে করিয়ে দেয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
অনেক ভালো লাগছে যে ,মেলা নিয়ে আমার লেখাটি আপনার স্মৃতি বিচারণ ঘটেছে। ছোটবেলায় মেলায় যাওয়ার নেশা ছিল অন্যরকম। শৈশবের দিনগুলো আর ফিরে আসে না। বিভিন্ন অনুষ্ঠান আজও রয়ে গেছে কিন্তু নেই অনুষ্ঠানে যাওয়ার আগের সেই মানসিকতা। শৈশব , কৈশোরের সেই দুরন্তপনার দিনগুলো আজও ভাবিয়ে তোলে।