আলু দিয়ে বাঁধাকপি ভাজা রেসিপি।১০% প্রিয়,লাজুক শেয়ালের জন্য
আসলামু আলাইকুম/আদাপ।
কেমন আছেন সবাই,আশা করছি ভালো আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।চলছে কনকনে শীত।থেমে নেই জনজীবন।ঠিক,শীতের এই রাতে আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো,আলু দিয়ে বাঁধাকপি ভাজা রেসিপি।
শীতকাল হচ্ছে আমাদের সবজির মৌসুম।অন্যান্য সময়ের চেয়ে এই সময়ে ভিন্ন ভিন্ন সবজি বেশি পাওয়া যায়।তার মধ্যে বাঁধাকপি একটি পুষ্টিগুন সম্পন্ন সবজি।
বাঁধাকপির পরিচিতি ও পুষ্টিগুণ:শীতকালীন এ সবজিতে রয়েছে প্রোটিন,শর্করা,খনিজ,ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন সি। এটি শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন সবজি।তাই আমাদের খাদ্য তালিকায় বাঁধাকপির গুরুত্ব অপরিসীম।
চলুন,কথা না বাড়িয়ে বাঁধাকপি দিয়ে আলুর রেসিপির রান্নায় রন্ধনশালায়।
প্রথমেই,এটিকে কুচি করে কেটে নিতে হবে।সেই সাথে কিছু আলুও কেটে নিই।তারপর,পানিতে চুবিয়ে পরিস্কার করে নিলাম।
প্রয়োজনীয় উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
বাঁধাকপি | এককেজি |
আলু | ৪০০গ্রাম |
পেঁয়াজ | ২৫০গ্রাম |
কাঁচা মরিচ | ১০টা |
রসুন | ৩টা |
লবন | স্বাদমতো |
তেল | পরিমানমতো |
হলুদের গুড়ো | হাফ চামুচ |
মশলার গুড়ো | হাফ চামুচ |
রান্নার প্রক্রিয়াসমূহ:
প্রথম ধাপঃ
কুচি করে কাটা বাঁধাকপি এবং আলু কড়াইয়ে নিয়ে সিদ্ধ করতে উঠে দিলাম।সাথে কাঁচা মরিচ পরিমানমতো লবন, হলুদের গুড়ো দিয়ে দিলাম।
তারপর কড়াইয়ে তাপ দিতে থাকি।কড়াইয়ের নিচের দিকের পানি শুকিয়ে না যাওয়া অবধি,এটিকে নাড়াচাড়া করি।
পানি শুকিয়ে গেলে এতে কুচি করা পেঁয়াজ, রসুন দিয়ে দিই।ধীরে ধীরে নাড়াচাড়া করতে থাকি।
এটি সিদ্ধ হতে একটু বেশি সময় লাগে,তাই পুরোপুরি সিদ্ধহতে তাপ দিতে থাকি।
দ্বিতীয় ধাপঃ
নাড়াচাড়া করতে করতে যখন এটি পুরোপুরি সিদ্ধ হবে,তখন এটিকে নামিয়ে নিতে হবে।আলাদা করে রেখে দিলাম।
আরেকটি কড়াই নিলাম।তাতে পরিমান মতো তেল দিয়ে তাপ দিতে থাকলাম।তেল গরম হলে কুচি করা পেঁয়াজ ভাজতে শুরু করলাম।
পেঁয়াজ ভাজা হতে না হতেই এখানে পরিমানমতো মশলার গুড়ো দিয়ে নাড়তে থাকলাম।
তৃতীয় ধাপঃ
এখন ভাজা তেলের উপর অন্য পাত্রে রাখা বাঁধাকপি দিয়ে দিলাম।নাড়তে থাকি।যারা অল্পভাজা খান,তারা এটিকে নামিয়ে নিন।যদি ভাজা বেশি খান তাহলে নাড়তে নাড়তে হালকা কালো কালার আসলে নামিয়ে নিন।
আমি নামিয়ে অন্য একটি পাত্রে পরিমানমতো নিয়ে নিলাম।
কারন,খিদে লেগে গেছে।রান্না করতে বরাবরের মতই সাহায্য করেছেন,আমার মা ও আদরের ছোট বোন।
ব্যাস,হয়ে গেলো আলু দিয়ে বাঁধাকপি ভাজা রেসিপি।
নিয়মানুসারে,আমার খাওয়ার পরিমাণে ভাজি নিয়ে একটা সেল্ফি তুললাম।
এখন ব্যাপার হলো,আমাকে কিন্তু বড্ড খিদে লেগেছে।এতক্ষন বকবকানি আর ধাপে ধাপে রেসিপি বানানোর কৌশল দেখে নিশ্চয়ই আপনাকেও খিদে লেগেছে।দাওয়াত রইলো।
আলু দিয়ে বাঁধাকপির রেসিপিটা খেতে খুবই দারুন হয়েছে।আমি ভাত খাওয়ার আগেই,অনেকটা খেয়ে ফেলেছি।যদি আমার রান্না আপনার কাছে ভালো লাগে,অবশ্যই বাসায় চেস্টা করবেন।আর মাথায় রাখবেন,বাঁধাকপি কিন্তু অনেক বেশি পুষ্টিগুনে ভরপুর।
তো, কথা অনেক হলো,এবার বিদায় বেলা।কোনো কারনে লেখাটি যদি,আপনার ভালো লাগে,অবশ্যই জানাবেন।সেই সাথে মন্দ লাগলেও জানাবেন।আমি তো শিখতে চাই,সাথে চাই আপনাদের পরামর্শ আর ভালবাসা।
আজ চলে যাচ্ছি,তবে আবার আসবো।হয়তো নতুন কিছু নিয়ে।সেই পর্যন্ত ভাল থেকো,সুস্থ থেকো,নিরাপদে থেকো,আমার প্রানের প্লাটফর্ম@amarbanglablog
বিষয় | আলু দিয়ে বাঁধাকপি ভাজা রেসিপি। |
---|---|
বর্ণনা | @kamrul8217 |
ডিভাইস | Samsung A32 |
লোকেশন | w3w |
তারিখ | ২১ জানুয়ারি ২০২২ |
আমি@kamrul8217 যুক্ত আছি,বাংলাদেশ থেকে।জ্ঞানের জগতে আমি শূন্য যাত্রী।জ্ঞান আহরণে ছুটে-বেড়াই।আমার জ্ঞানের সীমাকে প্রসারিত করতে,আমার পাশে আছে দুইবাংলার,অবিচ্ছেদ্য ভালবাসার একপ্রান@amarbanglablog
আলু দিয়ে বাঁধাকপি ভাজা অনেক মজাদার এবং লোভনীয় একটি রেসিপি আপনি আমাদের সকলের মাঝে অনেক সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন ভাইয়া। এখন শীতকাল আর এই শীতকাল মানেই বাঁধাকপি ভাজি খাওয়ার উপযুক্ত একটি সময়। আপনার এই বাঁধাকপি ভাজি রেসিপি টা দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক মজাদার এবং সুস্বাদু হয়েছিল। বাঁধাকপি ভাজি বরাবরই আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে এরকম একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
সত্যিই রেসিপিটা খেতে দারুন ছিলো।অনেক সময় নিয়ে খুব গুছিয়ে মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
শীতকালীন বাঁধা কপিতে সত্যি অনেক পুষ্টি গুন থাকে। বাঁধা কপি আলু দিয়ে ভাজি টাই বেশি চলে।আপনার বাঁধা কপি ভাজি দেখে খুব ভালো লাগছে। তবে ছবি গুলো আর একটু ভালো করে তোলার চেষ্টা করবেন ভাইয়া। সবকিছু অনেক ভাল ছিল। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
ধন্যবাদ আপনাকে, সুন্দর ও গঠনমূলক পরামর্শ দেওয়ার জন্য। শুভকামনা রইলো।
সবার প্রিয় শীতকালীন সবজি বাঁধা কপি আর এই আলু দিয়ে বাঁধাকপি ভাজা রেসিপিটি আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন, যা দেখে জিভে জল এসে গেল আমার। আর যাই হোক সব মিলিয়ে আপনার পোস্টটি অনেক সুন্দর হয়েছে। আর তাই আপনাকে আমার পক্ষ থেকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
আপনাকে ধন্যবাদ ওআমন্ত্রণ রইলো।
আর হ্যাঁ, এটা সত্যিই লোভনীয় সুস্বাদু রেসিপি ছিলো।যদিও সচারাচর করা হয়ে থাকে।এতো সময় নিয়ে খুব সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে আরেকবার ধন্যবাদ না দিয়ে পারলাম না।শুভকামনা রইলো,শ্রদ্ধেয়;আপনার নতুন পোস্ট পড়ার অপেক্ষায় থাকলাম।
আপনার ছবি গুলো ভালো হয়নি। চেষ্টা করবেন রেসিপি পোস্টের ছবি গুলো ভালো ভাবে তুলতে। আমাদের বাসায় এই ধরনের একটা রান্না হতো। তবে সেটার সাথে মাংস থাকতো।
আপনাকে ধন্যবাদ ভাই,খুব সুন্দর পরামর্শ দিয়েছেন।অবশ্যই
অন্যান্যদের রেসিপিতে ব্যবহৃত ছবিগুলো আরো ভালো করে দেখবো তারপর সুন্দর করে ছবি দিবো।আবারো,ধন্যবাদ। আপনাদের পরামর্শ আমার আগামীর পাথেয়;
ঠিকই বলেছেন শীতের সময় নানা রকম সবজির বাহার। এসব সবজি খেতে খুবই মজা লাগে। শীতের সবজির পুষ্টিগুণ সম্পর্কে আপনি খুব সুন্দর করে বর্ণনা দিয়েছেন ।আপনি খুব সুন্দর ভাবে বাঁধাকপি আলু ভাজি করলেন প্রথমে সিদ্ধ করে তারপর তেলে দিলেন আমি কখন এভাবে ভাজি করে খায়নি আমি আগেই তেলে দেই। আপনি আবার মাটির চুলায় রান্না করেছেন দেখে ভাল লাগল । ়
ভাইয়া আপনি সবজির বাটির ছবিটা যদি ওপরে দিতেন দেখতে ভালো লাগতো।ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর করে গুছিয়ে মন্তব্য করার জন্য।আমি রান্নায় একবারেই নতুন সেই সাথে এখানকার যাত্রাতেও আমি নতুন যাত্রী।আপনাদের সুন্দর পরামর্শ এবং উৎসাহ আমাকে এগিয়ে দিবে।সত্যিই বলেছেন,বাটির ছবিটা প্রথমে দিলে আরো ভালো হতো।এবার থেকে দেওয়ার চেস্টা করবো।শুভকামনা রইলো শ্রদ্ধেয়;
সৃষ্টিকর্তা সত্যিই খুব মহান কেননা শীতকালে আমাদের শরীরের অবস্থা খুব অবনতি হয়ে যায় তাই সৃষ্টিকর্তা শীতের সময় আমাদের এমন এমন সবজি দিয়েছে যা খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের শরীর ঠিক থাকে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হুম সত্যিই বলেছেন,আল্লাহ খুব সুন্দর করে বিভিন্নভাবেই আমাদের জন্য নিয়ামত পাঠিয়েছেন। এটি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী তবে সুস্বাদুও বটে।ধন্যবাদ, সময় নিয়ে এত্ত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
❤️❤️❤️🥰🥰🥰🥰
ভালবাসা অবিরাম শ্রদ্ধেয় ;
🥰🥰🥰 জাযাকাল্লাহ প্রিয় ভাই।
ধন্যবাদ, শ্রদ্ধেয়;
আলু আর বাঁধাকপির রেসিপি টা অনেক সুন্দর দেখাচ্ছে। যদি ছবিগুলো আরেকটু ক্লিয়ার হতো তাহলে তো আরো সুন্দর লাগতো। এমনিতে আলু আর বাঁধাকপি ভাজি রেসিপি অনেক সুন্দর হয়েছে। আমার খেতে এই রেসিপিটা খুবই ভালো লাগে। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
খুব দারুন কথা বলেছেন,ছবিগুলো আরো ক্লিয়ার করা দরকার।প্রথম দিকের হওয়ায় এখনো ভালো করে ছবি নিতে পারছিলাম না।অবশ্যই আমি পরবর্তীতে আরো সুন্দর ছবি দেওয়ায় চেস্টা করবো।আপনার গঠনমূলক পরামর্শ আমাকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে,শুভকামনা শ্রদ্ধেয়।
আপনি অনেক সময় দিয়েই পড়েছেন।আপনার গুছিয়ে মন্তব্যটি খুবই ভালো লেগেছে।ধন্যবাদ, আপনাকে।
আপনার রেসিপিটি খুবই ভালো একটি রেসিপি কারণ রেসিপিটি যথেষ্ট স্বাস্থ্যকর। আর আমার খুব প্রিয় তো বটেই।
তবে, ছোট একটি সাজেশন। তা হলো,রেসিপি পোস্টে রেসিপির ফাইনাল লুকটির একটি ছবি সর্ব প্রথমে দিবেন।তাহলে আপনার পোস্টে সে ছবিটি কভার হিসেবে দেখাবে।এর কারণে অন্যরা আপনার পোস্ট পড়তে আগ্রহী হবে।
আপনাকে ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয়,খুবই গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন।প্রথমের দিকে হওয়ায় রেসিপির ফাইনাল ছবিটি দিতে আমার ভুল হয়েছে।পরবর্তীতে অবশ্যই,ব্যাপারটা মাথায় রাখবো।সুন্দর করে এমন গুছিয়ে কমেন্ট, পরামর্শ করার জন্য ধন্যবাদ।
আলু দিয়ে বাধাকপি ভাজি রেসিপিটি খেতে হয়তো দারুন লাগবে যা ছবি দেখেই বুঝতে পারছি । বাধাকপি ভাজি খেয়েছি কিন্তু আলুর সাথে ট্রাই করিনি। আপনার পোস্টটি দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। বাসায় রান্না করতে হবে । ধন্যবাদ কামরুল ভাই সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে আনার জন্য
আপনাকে,ধন্যবাদ ভাই।সুন্দর করে,গুছিয়ে বাঁধাকপির রেসিপি সম্বন্ধে পরিপাটি মন্তব্য করেছেন।