বাটার মাছ দিয়ে লাউপাতার রেসিপি।১০%প্রিয়,লাজুক শেয়ালের জন্য।
আসসালামু আলাইকুম/আদাপ,
কেমন আছেন বন্ধুরা,নিশ্চয়ই ভালো আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ,ভালো আছি।শীত অপরাহ্নে মিষ্টি রোদের শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি,আজকের আলোচনা।আজকে থাকছে,আপনাদের জন্য ভিন্ন রকম একটি পর্ব।আমার হাতে তৈরি,প্রথম রেসিপি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।
মাছ ছাড়া,আমাদের যেন খাবারের পূর্ণতা আসে না।ঠিক হয়তো,এ কারণেই আমাদের মাছ-ভাতে বাঙ্গালী বলা হয়।
আমার তৈরি প্রথম রেসিপিটি থাকছে,অনেক পুষ্টিগুণসম্পন্ন বাটা মাছ দিয়ে লাউ শাকের ঝোল।
বাটার মাছের পরিচিতি: গ্রাম অঞ্চলে বাটার মাছকে ভাঙ্গন বাটা,জাঁউর বলা হয়ে থাকে।এটি খুব একটা বড় হয় না।মোটামুটি,২০ থেকে ৩৫ সেন্টিমিন্টার আকারের লম্বা হয়।
প্রাণীজ এ মাছটি, আমাদের শরীরের আমিষ,প্রোটিন শর্করাসহ বিভিন্ন ভিটামিনের যোগান দিয়ে থাকে।
তো চলুন,কথা না বাড়িয়ে বাটার মাছ,লাউ শাক আর আলু দিয়ে তৈরি রেসিপিটা দেখে নেওয়া যাক।
প্রয়োজনীয় উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
মাছ | হাফ কেজি |
টমাটো | ৪টা |
আলু | ৪০০ গ্রাম |
লাউশাক | ৫টি পাতা |
কাচামরিচ | ১০ টা |
পেঁয়াজ কুচি | হাফ ৩টা |
পেঁয়াজ বাটা | হাফ কাফ |
আদা-রসুন | হাফ চামুচ |
মরিচের গুড়া | ১চামুচ |
হলুদের গুড়ো | হাফ চামুচ |
মশলার গুড়ো | এক চামুচ |
তেল | পরিমান মতো |
লবন | স্বাদ মতো |
প্রথমেই,মাছগুলো ভালোভাবে আঁশ ছাড়িয়ে পরিস্কার করে নিবো।
মাছগুলো খেতে যেন ভালো লাগে,এজন্য ছোট করে কেটে প্রস্তুত করবো।
চলুন,এবার রন্ধনশালায় যাওয়া যাক।
প্রথম ধাপঃ
কড়াইয়ে তেল দিয়ে বাটা পেঁয়াজ,মরিচ,আদা-রসুন ভেঁজে নেওয়া হচ্ছে।তারপর মাছ ঢেলা দেওয়া হলো।একটু সময় নিয়ে নাড়াচ্ছি।
ঠিকঠাক সিদ্ধকরার জন্য পরিমানমতো পানি দেওয়া হয়।লবন,হলুদ,গুড়ো মশলা পরিমান মতো দিয়ে এটিকে কসানো হচ্ছে।
কসানো শেষ হলে,এটিকে নামিয়ে অন্যপাত্রে রাখা হয়।
দ্বিতীয় ধাপঃ
আলুগুলো ফালা করে কেটে কড়াইয়ে দেওয়া হয়।এতপর,পরিমান মতো,লবন,পানি,হলুদ,গুড়ো মশলা দিয়ে আলুকে সিদ্ধ করে নেওয়া হচ্ছে।মাঝ সময়ে এসে টমেটো দেওয়া হচ্ছে।আলুর সাথে প্রথমেই টমাটো দিলে,গলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।তাই,মাঝপথে দিয়ে দিলাম।
আলুর ঝোল,যাতে পাতলা না হয় সেজন্য কিছু সিদ্ধ আলু পিশে দিলাম।
তৃতীয় ধাপঃ
আলুর তরকারি যখন শেষের দিকে,ঠিক ঐই সময়ে লাউ পাতা দিয়ে দিলাম।এভাবেই,কড়াইয়ে তাপ দিতে থাকি।এবার,জিহ্বায় চেক করে নিলাম,সব উপকরণ ঠিক আছে কিনা।ব্যাস টমাটো,আলুও লাউপাতার তরকারি হয়ে গেলো।
চতুর্থ ধাপঃ
এবার অন্য পাত্রে রাখা মাছের কসান এনে লাউপাতা,আলুও টমাটোর মধ্যে ছেড়ে দিলাম।বেশ, হালকা করে নাড়াচাড়া করলাম,যাতে মাছ ভেঙে না যায়।আবার,স্বাদ চেক করে নিলাম।দেখলাম,সব কিছুই পরিমান মতো হয়েছে।শেষে হালকা পরিমান,গুড়ো মশলা ছিটিয়ে দিলাম।
রান্না তো শেষ হলো,এখন কড়াই থেকে পরিমাণ মতো কিছু তরকারি আমি ঢেলে নিচ্ছি।খুব খিদে পেয়েছে।
এতক্ষনে নিশ্চয়ই আপনাকেও খিদে লাগার কথা।যে পরিমান সময় খেয়ে ফেললাম,ধাপে ধাপে আপনাকে দেখিয়ে দিলাম।আর সবচেয়ে বড় কথা,রেসিপিটা কিন্তু খেতে খুব সুস্বাদু লেগেছে।কারন,নিজের জমির ওঠানো আলু,পেঁয়াজ,রসুন,লাগানো লাউপাতা শুধু বাজারের ছিলো মাছগুলো। তো,দাওয়াত রইলো।সময় হলে এসে খেয়ে যাবেন।ভালো লাগলে রেসিপিটা তৈরি করে বাসায় খাবেন।
বেশি খিদে লাগায়,রেসিপির সাথে নিজের সেলফি দিতে ভূলে গেছিলাম।পরবর্তীতে হয়তো এমনটা আর হবে না।
আমার হাতে প্রথম রান্না,মাছ দিয়ে টমাটো,আলু,লাউপাতার ঝোল রেসিপি।জানিনা,কেমন লেগেছে।যদি ভালো লাগে অবশ্যই জানাবেন,সেই সাথে মন্দ লাগলেও জানাবেন।কারন আমি শিখতে চাই।রেসিপি তৈরিতে সহযোগিতা করেছেন,আমার মা ও ছোট্ট বোন।
আজ এখানেই শেষ।দেখা হবে,পরবর্তী কোন পর্বে।সে পর্যন্ত ভালো থেকো,সুস্থ্য থেকো,নিরাপদে থেকো আমার প্রিয় কমিউনিটি@amarbanglablog.
বিষয় | বাটার মাছ দিয়ে লাউপাতার রেসিপি |
---|---|
বর্ণনা | @kamrul8217 |
ডিভাইস | Samsung A32 |
লোকেশন | w3w |
তারিখ | ২০ জানুয়ারি ২০২২ |
আমি@kamrul8217 যুক্ত আছি,বাংলাদেশ থেকে।শেখার আগ্রহে পড়তে থাকি,আর বাস্তবতায় জ্ঞান অর্জন করি।সবকিছুতেই,আমার সাহস জুগিয়ে যাচ্ছে দুই বাংলার একপ্রান,আমার প্রিয় প্লাটফর্ম@amarbanglablog.
ভাই একদম দেখেই লোভ লেগে গেছে। এই রেসিপিটি অনেক বার খাওয়া হইছে। খুব মজা হয়। আর বিশেষ করে, তরকারিতে টমেটো থাকলে আর কি লাগে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ অসাধারণ রেসিপি টি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
আপনি নিশ্চয়ই এই রেসিপির সাথে আগে থেকেই পরিচিত।হুম,খুবই টেস্টি ছিলো ভাই।
গুছিয়ে এমন মন্তব্য নিশ্চয় ভালো লাগার।আপনাদের পরামর্শও সহযোগিতা আমার আগামীর পাথেয়।
ধন্যবাদ ও শুভকামনা ভাই।
➡️ আপনার এসিপিটি দেখে খুবই ভাল লেগেছে। আপনি খুব সুন্দর করে এই রেসিপিটি তৈরি করেছেন। ধাপে ধাপে খুব সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন আমাদের সাথে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ভালবাসা নিবেন শ্রদ্ধেয়,অনেক সময় নিয়ে আমার পোস্ট পড়ে খুবই মুল্যবান মন্তব্য করেছেন।আপনাদের সহচর্যে যেতে চাই দূর থেকে বহুবহুদূরে।
বাটা মাছ দিয়ে লাউ পাতার রেসিপি অনেক সুন্দর হয়েছে। খুব সুন্দর ভাবে রেসিপিটি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। সাথে ধাপে ধাপে বর্ণনা করেছেন। এত সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ, মুল্যবান সময় নিয়ে খুব সুন্দর মন্তব্য করেছেন,শুভকামনা ও আবার আসার আমন্ত্রন রইলো।
বাটা মাছ খেতে দারুণ সুস্বাদু হয়।আর আপনি খুব সুন্দর ভাবে লাউ পাতা দিয়ে রান্নাটি করেছেন।দেখেই বোঝা যাচ্ছে দারুন খেতে হয়েছিল। সব মিলিয়ে আপনার উপস্থাপনা খুব সুন্দর ছিল। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার জন্য।শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
হুম,সত্যিই রেসিপিটা দারুন হয়েছিলো।সুন্দর করে গুছিয়ে এমন মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকার শুভ প্রত্যয়;আবার আসবেন।
বাটা মাছ অনেক সুস্বাদু মাছ। লাউ পাতার কথা কি বলব ভর্তা করে বা তরকারি খান সব জায়গাতেই অনেক ভালো লাগে খেতে। অসাধারণ রেসিপি উপহার দিয়েছেন ভাই
ধন্যবাদ সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য,আবার আসার আমন্ত্রন রইলো।
বাটা মাছ অনেক স্বাদের একটা মাছ।এর সাথে লাউ দিয়ে রেসিপিটি অন্য রকম করেছেন।প্রতিটি ধাপ সুন্দর করে বর্ণনা করেছেন।শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ নিবেন,বাটা মাছ দিয়ে লাউশাকের রেসিপি ছিলো,লাউ দিয়ে নয়।ধন্যবাদ, সময় দিয়ে মন্তব্য করার জন্য,আবার আসবেন,শুভকামনা রইলো।
আমরা সম্ভবত এই মাছকে বাটা মাছ বলি। আপনি বাটার বলায় আমি প্রথমে চিনতে পারিনি। এই মাছটি খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। বিশেষ করে ভেজে খেতে। আপনি যে ভাবে রান্না করেছেন সেটাও মনে হয় অনেক মজা হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
হুম,বাটা মাছ।তবে বাটার মাছ বলেও এটার পরিচিতি আছে।হ্যাঁ, ভাইয়া ভেঁজে খেতেও এটা মজাদার লাগে।
ধন্যবাদ, ভাইয়া সময় দিয়ে খুব সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।ভালবাসা রইলো,শ্রদ্ধেয়;
আপনার এই রেসিপিটা অনেক সুন্দর হয়েছে ভাইয়া। দেখে আমার খুব লোভ লাগছে। কেনোনা বাটা মাছ খেতে আমি সব থেকে বেশি ভালোবাসি। রেসিপিটা ধাপে ধাপে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা করি আপনার জন্য।
আপনি খুবই চমৎকারভাবে মন্তব্য করেছেন,সত্যই দারুন স্বাদ ছিলো।সময় পেলে নিজেও করে দেখবেন।আবার আসতে অনুরোধ করা হলো।আপনাকে ধন্যবাদ।
আপনার রান্না দেখে তো একরকম তুলে খেতে নিছিলাম। পর ভাবলাম এ তো এভাবে খাওয়া যাবে না। আমার তো আপনার করা রেসিপি দেখে লোভ লেগেগেছে।লাউপাতা আমার খুব ভালো লাগে। তাও আবার বাটা মাছ দিয়ে ঝোল কি যে সুস্বাদু হইছে। প্রতিটি ধাপ দেখেই বুঝলাম আপনার রেসিপি অনেক মজাদার হয়েছে তাও আবার আপনার জমি থেকে তোলা সব টাটকা সবজির রান্না। ওয়াও কি যে দারুণ। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনি ঠিকই বলেছেন সব কিছুই প্রায় ছিল আমার জমিতে লাগানো টাটকা।খুবই টেস্টি ছিলো।এতো সময় নিয়ে সুন্দর মন্তব্য করেছেন,আপনাকে ধন্যবাদ।
খুব সুন্দর লাগছে আপনার রান্না গুলো। ইস দেখেই জীবে জল চলে আসলো। আর আপনি খুব সুন্দর রান্না করতে পারেন তা দেখেই বুঝা যাচ্ছে। আর এগিয়ে যান ভাইয়া দোয়া।
শুভকামনা ও ভালবাসা রইলো।