জীবন যেখানে যেমন,১০% প্রিয় লাজুক শেয়ালের জন্য।
আসসালামু আলাইকুম,
আশা করছি সবাই ভালো আছেন।আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভাল আছি।সময় এবং চাহিদা মানুষকে যান্ত্রিক করে তুলছে। জীবন ও জীবিকার তাগিদে মানুষ ছুটে চলছে অবিরাম।সেই সাথে নিজেকেও সঙ্গী করে নিয়েছি।
কথায় কথায় আমরা শুনে থাকি,জীবন যেখানে যেমন।সত্যি কথা বলতে কি,জীবন যেখানে যেমন এটা চরম বাস্তবতা। রমজান মাসে বিকেলের ব্যস্ততম শহর অঞ্চলে মানুষের ব্যস্ততা আরো বেশি বেড়ে যায়।গত বৃহস্পতিবার বিকেল চারটা বেঁজে কয়েক মিনিট।শুক্র-শনি আমার প্রশিক্ষণকালীন অফিস সময় বন্ধ থাকে।বৃহস্পতিবার ক্লাস শেষ করেই ঘুরে যেতে চাইছি বন্ধুর বাসায়।তো যেই কথা সেই কাজ।বিকেল চারটার দিকে মেস থেকে বের হওয়া।১৫ মিনিট পর পরেই পৌঁছে গেলাম উত্তরার আজমপুর মোড়ে।আজমপুর মোড় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকা।শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ১৫ মিনিটের রাস্তা।গাড়ির জন্য আজমপুর মোড়ে অবস্থান করতে হলো।কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলাম।দেখছি মানুষের দিকবিদিক ছুটে চলা।শহরের কর্মব্যস্ত মানুষদের চারপাশে কি হচ্ছে সেটা দেখার ও তেমন কোনো সুযোগ থাকে না।
কেননা তাদের প্রতিটি সময় খুবই মূল্যবান।রাস্তা থেকে পশ্চিম দিকে তাকাতেই শপিং করতে যাওয়া মানুষের ভীড় চোখে পড়ে যায়।শহরের মানুষগুলোর সাথে পাল্লা দিয়ে চলছে যানবাহন। কে কার আগে গন্তব্যে দ্রুত পৌঁছে যাবে এটা নিয়ে চলছে রাস্তায় প্রতিযোগিতা।অসম প্রতিযোগিতার বিশেষ কিছু দৃশ্য চোখে পড়ে যায়।একটি পরিবহন আরেকটি পরিবহনকে ওভারটেকিং করতে গিয়ে টালমাটাল হয়ে যাচ্ছে।বাসের সিট গুলাতে যাত্রী বেশি থাকলেও দাঁড়িয়ে যাত্রী তোলার প্রবণতা চোখে পড়ার মতো।ভালো মানের পরিবহন থেকে লক্কর ঝক্কর কেউই পিছিয়ে নেই অতিরিক্ত যাত্রী তোলার কাজে। মাঝেমধ্যে বিভিন্ন গাড়ির জটলা লেগে যাচ্ছে মোড়ে।
শুধু গণপরিবহন নয় ব্যক্তিগত পরিবহন গুলোর ওভারটেকিং কৌশল ছিল চোখে পড়ার মতো।মাঝেমধ্যেই যান্ত্রিক শহরের নিয়ম না মানা যেন সহজাত প্রবৃত্তি হয়ে গেছে। কিন্তু এসব নিয়ম না মানায় হরহামেশাই ঘটে থাকে দুর্ঘটনা।অহরহ এমন দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরেও কেন যে মানুষ সচেতন হয় না এটাই সময়ের এখন বড় প্রশ্ন।উত্তরার আজিমপুরের দৃশ্য আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।পাশেই রয়েছে ফুট ওভারব্রিজ।কর্মব্যস্ত মানুষের নিরাপদে যা তাদের জন্য এই ব্রিজ ব্যবহার করা হয়ে থাকে।পরিবহনের প্রতিযোগীদের সাথে ছবিতে দেখতে পাবেন মানুষ নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই ব্যস্ততম শহরে রাস্তা পারাপার হচ্ছে।একটু ব্যতিক্রম হলেই চোখের সামনে ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।গাড়িতেই ছোট্ট করে লেখা থাকে"একটি দুর্ঘটনা সারা জীবনের কান্না"কিন্তু কে শোনে কার কথা।ফুটওভার ব্রীজে লোকের পারাপারের চাইতে রাস্তার মাঝ বরাবর পারাপারের সংখ্যাই বেশি।
নিয়ম-নীতি শুধু খাতা-কলমে কিংবা পোস্টার-ফেস্টুন,ব্যানারে নয়। আইন মানার ইচ্ছা শক্তিটা নিজের কাছে জাগ্রত করতে হবে।কেননা নিয়মনীতি উপেক্ষা করে চলতেই আপনার জন্য অন্য কারো হতে পারে বড় ধরনের ক্ষতি।বিকেলবেলা রমজান মাসে মানুষের কর্মব্যস্ততায় শহর যেন পূর্ণতা পেয়েছে।গন্তব্য স্থানে পৌঁছানোর জন্য নারী পুরুষ দাঁড়িয়ে আছে।গ্রাম অঞ্চলে পোশাকের স্বাধীনতা বিষয়টি মাথায় রাখলেও শহরে তেমনটি হয় না।শহরের গুরুত্বপূর্ণ কিছু জায়গায় হরহামেশাই পার্কিং করার,লেগে যায় যানজট।শহরের যানজট মানুষের এখন নিত্যদিনের সঙ্গী।ঘন্টা খানেক এদিক-ওদিক দেখার পর আজমেরী গ্লোরী নামক গনপরিবহনে উঠে পরলাম।
কপাল ভাল থাকাই ফাঁকা সিট দখল করে বসলাম। গণপরিবহনের স্বাস্থ্য সচেতনতা নাই বললেই চলে।কিন্তু কেন এরূপ অসাবধানতা?আমার মাথায় কাজ করে না।ছোট শহর থেকে ঢাকা শহরে আসার পর অনেক কিছুই অসামঞ্জস্য মনে হয়।বিশেষ করে নিয়ম মানা না মানাটা।আমি মনে করি নিজেদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় অন্তত গণপরিবহন থেকে শুরু করে শপিং মলগুলো কিংবা যাতায়াতে স্বাস্থ্য সচেতনতার উপর বেশি জোর দেয়া উচিত।
যাই হোক নিজে স্বাস্থ্য সচেতনতা মধ্যে থাকলেও অন্যদের স্বাস্থ্য সচেতনতা না থাকায় নিজেকেও অনিরাপদ মনে হয়। প্রায় আধা ঘন্টা পর আমি আমার গন্তব্য তথা গাজীপুরের বোর্ডবাজারে এসে পৌছালাম।অনেকদিন পর বন্ধুর সাথে দেখা করে অনেক ভালই লাগলো।তারপর শুরু হলো দুজনার আড্ডাবাজি মজা মাস্তিতে রাতটা পার করলাম।
ভালো থাকার শুভ প্রত্যয়ে আজ এখানেই শেষ করছি।দেখা হবে পরবর্তী কোন সংলাপে।সে পর্যন্ত ভালো থেকো,সুস্থ্য থেকো,নিরাপদে থেকো,প্রিয় প্লাটফর্ম@amarbanglablog
বিষয় | গল্প |
---|---|
বর্ণনায় | @kamrul8217 |
ডিভাইস | Samsung A32 |
লোকেশন | w3w |
তারিখ | ৯ এপ্রিল ২০২২ |
এতক্ষন সাথে ছিলাম আমি@kamrul8217
পেশায় একজন সাংবাদিক,উপস্থাপক ও ক্ষুদ্রলেখক।জ্ঞান আহরণের সর্বাত্মক ছুটে চলা।একজন সাদাসিধা জীবনযাত্রায় অভ্যস্ত মানুষ।দু-চোখে যা দেখি শব্দাকারে তা লিখতে থাকি।ভালো কাজে পাশে থাকি।একজন প্রকৃত মানুষ হওয়ার চেস্টায় চিরকৃতজ্ঞতায় পাশে আছে দুই বাংলার এক অবিচ্ছেদ্য প্রাণ@amarbanglablog
বাংলাদেশের প্রত্যেকটি শহরে এক অবস্থা, সবাই নিজ নিজ কাজে ব্যস্ত। রাস্তায় চলাচল খুবই কঠিন। এমনিতে যানজটের সমস্যার। তেমনি মানুষের খুবই ভিড় হয়ে থাকে। সবাই নিজের কাজে কামবেসি ব্যস্ত প্রতিটা সময়। আর এই সব মিলে মানুষের দৈনন্দিন জীবন।
আপনি ঠিকই বলেছেন, শহরের মানুষদের একটু বেশি কর্মব্যস্ততা।যানজট শহরের অন্যতম প্রধান সমস্যা।সকল সমস্যা মাথায় নিয়েই পথ চলতে হয়।
ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয়, চমৎকার মন্তব্য করার জন্য।