আমরা অমানুষ হয়ে গেছি,১০%লাজুক শেয়ালের জন্য।
হ্যালো বন্ধুরা,
আমরা অমানুষ হয়েগেছি।কথাটি বেশ উপলব্ধির ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।এটা ভীষণ লজ্জার ব্যাপার যে আমরা মানুষ থেকে অমানু ষের তালিকাভুক্ত হচ্ছি।কিভাবে হচ্ছি,কেন হচ্ছি।কি জানতে চান?তাহলে চলুন গল্পটা শুরু করি।
গত কয়েকদিন আগে ডিস্কোডে কথা হচ্ছিলো শ্রদ্ধেয় @shuvo#8498 দাদার সাথে।হুট করেই খুব আক্ষেপ নিয়ে বলেই ফেললেন,দাদা আমরা মনে হয় দিন দিন অমানুষ হয়ে যাচ্ছি।বেশ কয়েকটা বাস্তব কারন দেখালেন।ঘটনা সত্য,আমরা যে অমানুষ হয়ে যাচ্ছি তা দিবোলোকের মতো পরিষ্কার।
পত্রিকার পাতা খুললেই খবর।সব খবর মেনে নেওয়ার মতো নয়।কিছু খবর খুব বেশি ব্যাথিত করে।মাঝেমধ্যেই মনে হয় দেশটাকি সত্যিই আমাদের।যদি আমাদেরই হবে তাহলে জাতি,গোত্র,ধর্ম-বর্ন,নারী-পুরুষ
নিয়ে এতো বৈষম্য কেন।কেন এতো অস্থিরতা।এতো হানাহানি,হিংসা-বিদ্বেষ কেনইবা ঘুষ,দূর্নীতি,স্বজনপ্রীতি,উৎকোচ সাধনার কারন কি?
ইসলাম ধর্মের বরাত দিয়ে জানা যায় মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব।অন্যান্য ধর্ম মানবতাকে প্রথম সারিতেই জায়গা দেওয়া হয়েছে।কিন্তু আজ কোথায় আছে কার মানবতা।মানবতাহীন জাতী মনুষ্যত্ব বিকিয়ে আজ অমানুষের কাতারে।
প্রতিটি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হয়ে গেছে জনকল্যাণবিমুখী।পরিচয় কিংবা আভিজাত্য অন্যথায় অন্যকিছু মিলছে সেবা।কিন্তু কেন?
প্রতিটি জনগনের সঠিক সেবা পাওয়ার অধিকার আছে।অধিকার আছে বন্ধুসুলভ পরামর্শে সেবাদাতার কাছ থেকে সেবা গ্রহন করা।কিন্তু বাস্তবতায় তার চিত্র উলটো।রাস্তায় চলবেন,উল্টোপথে গাড়ি চালিয়ে যানজট সৃষ্টি কিংবা রাস্তা দখল নতুবা অবৈধ পার্কিং।মানে কি আমরা অবুঝ।তা না,আমরা সবই বুঝি নিজের প্রয়োজনে আইন ভাঙ্গা-গড়া ভালোবাসি।
সোর্স
যে প্রতিষ্ঠানগুলো স্বেচ্ছায় সেবা দেওয়ার কথা সেখানে নিজের সুবিধায় উৎকোচ দিয়ে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।একবার কি ভাবছেন,যিনি আপনার আগে সেবা নিতে আসছে তার উপায় কি?তার তো উৎকোচ দেওয়ার সামর্থ্য নাই।তাই বলে তিনি কি তার অধিকার হারাবে?
রাস্তার পাশে কিংবা ডাস্টবিনে নবজাতক শিশু দেখলে অন্যরকম মানবিকতা দেখায়।সেটা ভালো তবে,আমাদের লজ্জা করেনা এমন পশুত্ব কর্মকান্ড।আমরা কি অবুঝ যে পরিপক্ক ছেলে-মেয়ের মিলনে কি হতে পারে।অবাধ এমন মেলামেশার উৎপাদন ভবিষ্যৎ কি?একজন মানুষ হিসাবে ভাবতে লজ্জা লাগে।
সন্তানদের কোলেপিঠে করে কত যত্নশীল হয়ে বাবা-মা মানুষ করতে থাকে।কখন কিভাবে সন্তানের জন্য কি করতে হয় তারা তা ভালো করেই জানেন।সন্তানের ভালো ভবিষ্যৎ গড়তে দেশের গন্ডি পেরিয়ে উন্নত দেশে লেখাপড়া করান।একজন নয় দুজন নয় তাদের সকল সন্তানদের অনেক কস্টকরে মানুষ করে তোলেন।সন্তান মানুষ হয়ে বাবা-মাকে রাখে বৃদ্ধাশ্রমে।যদিও সকলের ক্ষেত্রে এটা প্রযোজ্য নয়।তবুও হরহামেশাই ঘটনা চোখে পড়ার মতো।তবে,আমি তাদেরকে মানুষ বলতে পারছিনা।
সামনে বাজেট অধিবেশন।কিন্তু তার আগেই শুরু হয়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দামবৃদ্ধি।দ্রব্যমূল্যের এমন উর্দ্ধোগতিতে নাকাল জনসাধারণ।সয়াবিন কেজিতে ৫০ টাকা বেশি,সিমেন্ট ব্যাগ প্রতি ৬০ টাকা বেশি সাথে অন্যান্য জিনিসপত্র।সুবিধাবাদীরা মজুদ করার কারনেই বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করেছে।আর এদিকে জনসাধারণ জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।
নিজের পকেটের টাকা দিয়ে টিসিবির পন্য নিতে সারাদিন লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে।ভাবছেন কোথায় গেছি আমরা,আর আমাদের কোথায় নামিয়ে দিয়েছেন?
এভাবে উদাহরণ দিতে অনেক কিছুই উঠে আসবে।যাইহোক,অন্ধত্বের এ খেলা বন্ধহোক।মানুষ হিসাবে জেগে উঠি,মানুষ হয়ে বাঁচি।
নিয়ম ভাঙ্গার এই খেলা অচিরেই বন্ধহোক।মানুষের ক্রান্তিলগ্নে এমন অস্থিতিশীলতা বন্ধ করা সময়ের দাবী।মানুষ হিসাবে নিজেকে জাগিয়ে তুলি।মানুষ মানুষের জন্য।মানবতার দ্বার উন্মোচিত হোক।অমানুষ নয় নিজকে নিজের কাছে মানুষ হিসাবে দাবী রাখি।
ভালো থাকার শুভ প্রত্যয়ে আজ এখানেই শেষ করছি।দেখা হবে পরবর্তী কোন সংলাপে।সে পর্যন্ত ভালো থেকো,সুস্থ্য থেকো,নিরাপদে থেকো,প্রিয় প্লাটফর্ম@amarbanglablog
বিষয় | গল্প |
---|---|
বর্ণনায় | @kamrul8217 |
ডিভাইস | Samsung A32 |
লোকেশন | w3w |
তারিখ | ২৩ মার্চ ২০২২ |
উৎসর্গ করছি,শ্রদ্ধেয় দাদা@shuvo#8498
যিনি একান্ত প্রেরণা যুগিয়েছেন।
এতক্ষন সাথে ছিলাম আমি@kamrul8217
পেশায় একজন সাংবাদিক,উপস্থাপক ও ক্ষুদ্রলেখক।জ্ঞান আহরণের সর্বাত্মক ছুটে চলা।একজন সাদাসিধা জীবনযাত্রায় অভ্যস্ত মানুষ।দু-চোখে যা দেখি শব্দাকারে তা লিখতে থাকি।ভালো কাজে পাশে থাকি।একজন প্রকৃত মানুষ হওয়ার চেস্টায় চিরকৃতজ্ঞতায় পাশে আছে দুই বাংলার এক অবিচ্ছেদ্য প্রাণ@amarbanglablog
ঠিক ভাই ও অমানুষই রয়ে গেছি আমরা, কেননা যতদিন মানবিক মানুষ না হতে পারব, ততদিন অমানুষই রয়ে যাব। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
হ্যাঁ আপনি দারুনভাবে ব্যাপারগুলো উপলব্ধি করেছেন।মানবিক মানুষ হয়ে মানবিক পৃথিবী গড়তে আমাদের এগিয়ে আসতে হবে।নইলে নতুন প্রজন্মের কাছে বড্ড বেশি অপরাধী হয়ে যাবো।
বাহ দারুণ লিখেছেন ভাই। এবং এটা একেবারে ঠিক আমরা দিন দিন অমানুষ হয়ে যাচ্ছি। যেদিকে তাকাই সেদিকে যেন শুধু দূর্নীতি আর স্বজনপ্রিতী। আমরা মানুষ কিন্তু আমাদের মধ্যে মানবিকতা নেই। অসাধারণ লিখেছেন। ধন্যবাদ আমাদের সাথে সমসাময়িক একটি বিষয় শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
হ্যাঁ এটা একটা সময়ের দাবী নিয়েই লেখা।আমাদের কে এই জায়গাগুলো থেকে বের হতে হবে।মানুষ মানুষের জন্য। ভালবাসায় ভুবন ভরিয়ে দিতে হবে।
খুবই চমৎকার মন্তব্য করেছেন শ্রদ্ধেয়।
আমাদের ধমনিতে বইছে দূষিত রক্ত আর অনাবিল চাওয়া-পাওয়ার উচ্ছ্বাস। আর এই উচ্ছ্বাস নিয়ে আমরা মানুষটা হই কিভাবে? মনুষত্ব আছে বিবেক আছে সব কিছুই আছে কিন্তু মানবিক হওয়ার কোনো চিন্তা-ভাবনা নেই আমাদের, আমাদের চাওয়া-পাওয়া কেবল গরীব মেরে তার রক্ত চুষে নিজের আত্ম তৃপ্তি মেটানো। আর এই জন্যই আজকে আমাদের এই হাল অবস্থা। জানিনা সামনে কি আছে? তবে এটা মানছি খুব সুন্দর লিখেছেন আপনি?
রক্তচোষা ইস্ট ইন্ডিয়া চলে গেলেও দেশীয় রক্তচোষা লোকগুলো নতুন করে এটা শুরু করেছে।শোষনের শেষ কোথায়।ওয়ালিউল্ল্যাহর লালসালু রয়েই গেলো।
ধন্যবাদ জ্ঞানগর্ভ মন্তব্য করার জন্য শ্রদ্ধেয়।
আপনি চমৎকার একটা পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। পোস্টটি পড়ে আমার খুবই ভালো লাগলো। আপনি ঠিকই বলেছেন আমরা অমানুষ হয়ে গেছি। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এই ধরনের পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয়। আপনার দেওয়া উৎসাহ আমাকে দারুনভাবে ভাবিয়ে তুলেছে।নতুন করে ভিন্ন বিষয় নিয়ে লিখতে সহায়ক হবে।এমন মন্তব্য সত্যিই ভালো লাগার।
আপনার পোস্টটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো তথ্যবহুল আলোচনা করেছেন আপনি ঠিকই বলেছেন আমরা সবাই অমানুষ হয়ে গেছি নীতি-নৈতিকতা সবই বিসর্জন দিয়ে দিয়েছি শুধু আমাদের টাকা চাই টাকা টাকায় কি দুনিয়ার সবকিছু পারে?
আসলে টাকার কাছে আজ মনুষত্ব বিক্রি হয়ে গেছে তাই তো পৃথিবী থেকে আস্তে আস্তে শান্তি বিদায় নিচ্ছে এবং অরাজগতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ধন্যবাদ সুন্দর একটি তথ্যবহুল পোস্ট আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য
টাকা নেশায় মত্ত হয়ে আমরা অমানুষ হয়ে গেছি।চাহিদা আমাদের দ্বারপ্রান্তে এমনভাবে এসে গেছে যে তা পুরনে ভালোমন্দ যাচাই করার সুযোগ হাতে নেই।
অত্যন্ত গঠনমূলক মন্তব্য করেছেন শ্রদ্ধেয়। এমন মন্তব্য নতুন কিছু সৃষ্টিতে সহায়ক হবে।