যমুনা ফিউচার পার্কে হঠাৎ একদিন,১০%প্রিয় লাজুক শেয়ালের জন্য।
আসসালামু অলাইকুম/আদাপ,
কেমন আছেন সবাই,আশা করছি ভালো আছেন।আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি।সময়ের সাথে পরিবর্তন, টিকিয়ে থাকার ভালো একটা দিক।মানুষ থেকে শুরু করে নগরায়ন বেশ পরিবর্তন।পরিবর্তন চাই তবে টেকসই পরিবর্তন।হঠাৎ করেই সেদিন ঢাকা যাওয়া।প্রস্তুতি ছাড়াই নতুন কর্মক্ষেত্রের ডাক।কাউকে না জানিয়েই রওনা দিলাম।রাত এগারোটায় বগুড়া মোকামতলা থেকে এস আর ট্রাভেলসে ঢাকার উদ্দেশ্য যাত্রা।ভাবলাম সকালে গিয়ে নামা হবে রাতে থাকার ঝামেলা কমবে।
কিন্তু দ্বিধাদ্বন্দের কারনে মনে হলো কাউকে না কাউকে জানানো দরকার।সাবেক সহকর্মী রেহান ভাইকে ফোন দিয়ে জানিয়ে দিলাম।কেননা,হুট করেই যদি শেষরাতে নামিয়ে পরি।ঘটনাও তাই হলো বাসে ঘুমথেকে উঠেই দেখি গাজীপুরে ঢুকে গেছি।রাত তখন সাড়ে তিনটা।চারটার পরপরই কুড়িল ফ্লাইওভারে চলে আসলাম।কিছু যাত্রীর সাথে আমিও নেমে পরলাম।মনে মনে খুব ভয় ছিনতাইকারীর কবলে পড়ার।সাবধানতার কারনে পাশের দোকানে অবস্থান করলাম।দোকানে সবাই চা,নাস্তা করছে।আমিও সেরে নিলাম।তারপর ফোন দিয়ে সহকর্মীর থাকার জায়গা ম্যাপ করে নিলাম।তবে,যাওয়ার জন্য দেড়ি করতে হলো।আতংক একটাই ছিনতাইকারী।
অপেক্ষা করতে করতেই মশা শরীরের আশেপাশে বেশ করে রক্তচুষে নিচ্ছে।উপায় নেই,রক্ত খাওয়ার সুযোগ না দেওয়ার।যাইহোক,আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখলাম আশেপাশে বেশ দিনের আলোর আভাস দেখা দিচ্ছে।তারপর সহকর্মীর বাসার দিকে বারিধারায় এসে গেলাম।হালকা ফ্রেশ হয়ে ঘুমিয়ে গেলাম।
সেদিন রেহান ভাইয়ের অফিস সাপ্তাহিক ছুটির দিন।বিকেলে হাটাহাটি করার জন্য কোথাও যাওয়ার পরিকল্পনা।এক কথা দুই কথায় যমুনা ফিউচার পার্কের দিকে হাটতে থাকলাম।বাসা থেকে ১৫ মিনিটের রাস্তা।২০১৬ সালে ক্যামেরা কেনার জন্য যমুনা ফিউচার পার্কে প্রথম আসা হয়েছিলো।যদিও ক্যামেরা কেনার তেমন ভালো সুযোগ অইখানে হয় নাই।তবে তখন উপড়ের ভবনগুলোর তেমন ডেকোরেশন করা হয় নাই।এবার দেখলাম ভিন্নচিত্র।একদম আন্তর্জাতিক মানের অন্যরকম একটি কেনাকাটার দারুন শপিংমল।
প্রথমেই কাপড়ের দোকানগুলোর দিকে এগিয়ে গেলাম।দেশের প্রায় বড়বড় কাপড়ের ব্রান্ড কোম্পানিগুলোর প্রতিটি শোরুম এখানেই দেখা মিললো।কাপড়ে দারুন ভিন্নতা দেখা গেলো।ছোট থেকে বড়দের সব রকম কাপড়ের দারুন সমাহার।দোকানে ক্রেতাদের উপস্থিতি অনেকটাই চোখে পড়ার মতো।মাঝেমধ্যেই বিদেশি ক্রেতাদের দেখা মিলছে।
কাপড়ের দোকানগুলোর পাশেই দামী ঘড়ির শোরুম বসিয়েছেন আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মানের কোম্পানিগুলো।
অল্প থেকে শুরু করে লাখটাকা মুল্যের ঘড়ি সাজিয়ে রেখেছেন শপিংমলে।তবে ক্রেতাদের তেমন উপস্থিতি চোখে পরলো না।পাশেই বিভিন্ন কসমেটিক্স সামগ্রিকের শোরুম।বিশ্বমানের সকল পন্যের ব্যাপক উপস্থিতি ছিলো।বাচ্চাদের জন্য খেলার দারুন জায়গা করে দিয়েছেন শপিংমল সেন্টারে।শুধু তাই নয় ক্লান্তিকর পরিস্থিতিতে নিচে বসার জন্য মনোরম পরিবেশের আয়োজন ছিলো সত্যিই প্রশংসার।
বেশ কিছু নান্দনিক জায়গার দেখা মিললো যেখানে অনেকেই ছবি তুলতে ব্যস্তসময় পার করছেন।কাজ কমে যাওয়ায় আমরাও একফ্রেমে বন্দি হয়ে গেলাম।হঠাৎ করেই মজার একটা কান্ড ঘটে গেলো।কেনাকাটা সঙ্গী হয়ে আসা এক বয়স্ক ভদ্রমহিলাকে নিয়ে।যিনি লিফটে উঠতে ভয় পাচ্ছেন।সাথে থাকা অন্যেরা আগেই চলে যাওয়ায় তাকে হাতধরে লিফটে উঠাতে হলো।কিন্তু উনি বেশ ভয় করতেছিলেন।অবশেষে তাকে তার পরিচিতজনের কাছে আনাগেল।কিন্তু বিড়ম্বনায় পরলাম অন্য জায়গায়।উপড়ে নিচে লিফটে যাতায়াত করায় দিশেহারা হয়ে পরলাম বের হওয়ার পথ নিয়ে।লিফটে কয়েকবার ঘুড়পাঁক খেয়ে অবশেষে পথ খুঁজে পেলাম।এদিকে সন্ধ্যা গড়িয়ে গেলো।বের হওয়ার পথে কয়েকটি ছবি নিলাম।
যমুনা ফিউচার পার্কটি আন্তর্জাতিক মানের শপিংমল হিসাবেই সাজানো হয়েছে।তাদের সুদুরপ্রসারি পরিকল্পনার জন্য অনেক ধন্যবাদ।কেনাকাটার জন্য দেশেই এমন বিশ্বমানের শপিংমল থাকায় সত্যিই আনন্দ লাগছে।বের হয়ে কফি আড্ডায় চা,নাস্তা করে গন্তব্যের দিকে রওনা দিলাম।ক্লান্তিকর হলেও যমুনা ফিউচার পার্কে অল্পসময় দিয়ে ভালোই অভিজ্ঞতা হয়েছে।
বিষয় | গল্প |
---|---|
বর্ণনায় | @kamrul8217 |
লোকেশন | w3w |
ডিভাইস | Samsung A32 |
তারিখ | ৩০ মার্চ ২০২২ |
নতুন কর্মজীবন নিয়ে লিখবো অন্যসময়ে।সেই পর্যন্ত ভালো থাকার শুভ প্রত্যয় নিয়ে আজ এখানেই শেষ করছি।
এতক্ষন সাথে ছিলাম আমি @kamrul8217
পেশায় একজন সাংবাদিক,উপস্থাপকও ক্ষুদ্রলেখক।জ্ঞান আহরনে অবিরাম ছুটেচলা।প্রতিদিনই ছোট্ট করে হলেও অন্যের পাশে দাঁড়াই।শেখার জগতে আমি ক্ষুদ্র একজন ছাত্র।মানুষকে ভালবেসে,মানুষের পাশে থেকে বাঁচতে চাই।আমার জ্ঞানের পরিসীমাকে বাড়িয়ে দিতে,পাশে আছে দুই বাংলার এক অবিচ্ছেদ্য প্লাটফর্ম @amarbanglablog
ভাই যমুনা ফিউচার পার্ক অনেক সুন্দর একটি লোকেশন।আমি অনেকবার গিয়েছি।আপনিও ঢাকায় গিয়ে যমুনা ফিউচার পার্কে অনেক সুন্দর সময় উপভোগ করেছেন।আপনার সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয়, এমন সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
ঢাকায় গিয়ে যমুনা পার্কে ঘুরতে গিয়েছেন। দেখে বোঝা যাচ্ছে অনেক সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটিয়েছেন। তবে যদিও রাতে ছিনতাইকারীর ভয় ছিলেন। তবে আপনি যেখানে নেমেছেন এই এলাকায় রাস্তার পাশে তেমন কিছু হয় না। যাইহোক সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটিয়েছেন আপনি যমুনা ফিউচার পার্কে। এরকম সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয়। আপনি খুব ভালো ধারনা দিয়েছেন যে এলাকায় নেমেছি সেখানে ছিনতাই হয় না।তবুও ভীতি কোন অংশেই কম ছিলো না।হ্যাঁ সুন্দর কিছু মুহূর্ত উপভোগ করেছি।
চমৎকার মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয়।
যমুনা ফিউচার পার্কে ভালোই ঘুরাঘুরি করেছেন ভাই। বাহ চমৎকার লাগল আপনার সবগুলো ফটোগ্রাফি। খুবই সুন্দর ভাবে বর্ণনার মাধ্যমে উপস্থাপন করেছেন এবং সাজানো গোছানো উপস্থাপন করেছেন ভাই। আপনার জন্য শুভকামনা রইল ভাইয়া। 💞💞
হ্যাঁ, আপনি দারুন বলেছেন। যমুনা ফিউচার পার্কের ঘোরাঘুরি ছিলো চমৎকার। খুবই আনন্দঘন মুহুর্ত উপভোগ করেছি।
আপনার এমন উৎসাহমুলক মন্তব্যে সত্যিই অসাধারণ ছিলো।
ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয়,এমন সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
ঢাকায় থেকেও এখনো যমুনা ফিউচার পার্কে যাওয়া হয়নি। তবে শিনেছি অনেক সুন্দর।পোস্ট দেখে বুঝা যাচ্ছে, সহকর্মী সাথে খুব ভালো সময় কাটিয়েছেন। ভালো ছিলো।আচ্ছা ভাই আপনার নাম কি গ্রাম কামরুজ্জামান সোহাগ?
আন্তর্জাতিক মানের এমন শপিংমলের অভিজ্ঞতা ছিলো সত্যিই দারুন। খুব মজাদার মুহুর্ত ছিলো।সাবেক সহকর্মীর আতিথিয়েতা ছিলো প্রশংসনীয়। ব্যক্তিগত পরিচয় জানার আগ্রহ থাকলে ডি এম এ নক দিয়েন।
ধন্যবাদ আপু,ভালবাসা রইলো।
যমুনা ফিউচার পার্কে খুব সুন্দর মুহূর্ত পার করলেন ভাইয়া। আমি কখনো যমুনা ফিউচার পার্কে যায়নি অনেকের পোস্ট দেখলাম যারা যমুনা ফিউচার পার্কে খুব সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করেছে। ঢাকায় গেলে যমুনা ফিউচার পার্ক ঘুরে দেখার চেষ্টা করব। খুব সুন্দর একটি জায়গা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
চমৎকার মন্তব্য করেছেন। সুযোগ থাকলে অবশ্যই যমুনা ফিউচার পার্কে আসবেন।কেনাকাটায় বিশ্বমানের চমৎকার শপিংমল।
ভালবাসা রইলো শ্রদ্ধেয়।
ভাইয়া আমিও এই সেদিনই যমুনা ফিউচার পার্ক থেকে ঘুরে আসলাম। অত্যাধুনিক যমুনা ফিউচার পার্ক এবং শপিং মলটি দেখতে অনেক অনেক সুন্দর। যে একবার এখানে যাবে সে বারবার যেতে চাইবে। আপনার সুন্দর সময়টুকু আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
হ্যাঁ সত্যিই বলেছেন, যমুনা ফিউচার পার্কে গেলে বার বার যেতে ইচ্ছে করবে।সময়উপযোগী দারুন এক চাহিদার যোগান দিয়ে যাচ্ছে।এমন শপিংমলের জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।
ভালবাসা অবিরাম শ্রদ্ধেয়।
যমুনা ফিউচার পার্কে খুব সুন্দর একটি সময় কাটিয়েছেন। যমুনা ফিউচার পার্ক আমার খুবই প্রিয় একটি মার্কেট। আমি যখন ঢাকায় থাকতাম তখন প্রায় সময় যেতাম। বন্ধুরা সহ প্রচুর আড্ডা দেওয়া হতো। সুন্দর একটি মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
হ্যাঁ,শ্রদ্ধেয় এটি দারুন আড্ডা দেওয়ার যায়গা।কেনাকাটার পাশাপাশি ঘুরেবেড়ানোর ভালো সুযোগ হয়।মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
খুবই ভালো লাগলো আপনি আপনার আজকের দিনটি আমাদের সাথে উপস্থাপন করেছেন, আপনারা না আনন্দের সাথে আমরা অংশীদার হতে পেরেছি খুবই ভালো লাগছে। আপনার জন্য রইল অনেক অনেক শুভকামনা।
ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয়। খুব সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।