৪৬০ টাকায় মহামূল্যবান তেল ও অন্যান্য দ্রব্য উত্তেলন||১০% প্রিয় লাজুক খাঁক
হ্যালো বন্ধুরা,,
আসসালামু আলাইকুম। আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে অনেক ভাল আছি। আজ আমি আবারো উপস্থিত হয়েছি আপনাদের সাথে নতুন কিছু নিয়ে। আজ আমি আপনাদের সাথে ৪৬০ টাকায় মহা মূল্যবান কিছু জিনিস ঘরে আনার গল্প শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
ঊর্ধ্বগতির এই বাজারে মহামূল্যবান জিনিস বলতে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কে বোঝানো হয়েছে। আমাদের মত মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য ঊর্ধ্বগতির সকল জিনিস এমন অবস্থায় দাঁড়িয়েছে যে সেগুলো কেনাকাটা করে দেই দিন শেষে সকল ইনকাম সেখানে ঢেলে দিতে হয়। বিশেষ করে এই তেলের বাজার এত দাঁড়িয়েছে যে একজন দিনমজুর মানুষের অর্ধেক দিনের পরিশ্রম 1 কেজি তেল কিনতে শেষ হয়ে যায়। যাইহোক এখন আসল কথায় আসা যাক। কয়েকদিন আগে সরকার কর্তৃক পরিবার পরিচিতি একটি কার্ড করা হয়েছে। সেখান থেকে নাকি খুব কম দামে কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস দেওয়া হবে।
আজকে সকালে ঘুম থেকে মায়ের ডাকে উঠি। তারপর বাইরে গিয়ে শুনতে পাই কিছু লোক হাতে ব্যাগ ও সেই কার্ড নিয়ে ছুটে যাচ্ছে প্রয়োজনীয় কিছু জিনিস নেওয়ার জন্য।আমি ও বাড়িতে এসে ঘড়িতে দেখি কেবল ৮ টা বাজে।মনে মনে ভাবলাম এতো তাড়াতাড়ি সবাই যাচ্ছে। ঘর থেকে শুনতে পাই আমার এক চাচাতো ভাই ও নেওয়ার জন্য চলে যাচ্ছে। এই দিকে মা ও বকছে যাওয়ার জন্য। আমি তাকে বলি এতো সকাল সকাল কে ওদের দিবে।এই বলে কিছু সময় পর আমি ও যাওয়ার জন্য রেডি হয়ে বাইরে গিয়ে আরো একজন বড় ভাইয়ের সাথে দেখা। সেও নাকি সেগুলো নিতে যাবে।
আসলে আমাদের গ্রাম থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার যেতে হবে এগুলো নিতে।তাই আমি ও সেই ভাই মিলে একটি ভ্যানে করে যাওয়ার সময় রাস্তায় কয়েকজন লোক ও যাচ্ছে । তারা হেটে যাচ্ছে সেগুলো নেওয়ার জন্য। কিছু সময় পর সেখানে পৌচ্ছে তো আমি অবাক কারণ সেখানে এতো বেশি মানুষ এসেছে যে তা বলার বাইরে। আর এতো পরিমাণ লাইন লেগেছে তা বলার বাইরে।আশে পাশের সকল গ্রাম থেকে লোক ছুটে এসেছে মাত্র এই কয়েকটা জিনিস নেওয়ার জন্য। প্রথমে আমি গিয়ে প্রথমে লাইনের কাছে যেতেই কিছু লোক চিল্লাচ্ছে যেন ভেতরে মানুষ ঢুকতে না পারে।কিছু সময় সেখানে দাড়িয়ে থেকে একটা জিনিস লক্ষ্য করি যে লাইন কেন জানি এগুচ্ছে না।তারপর সামনে গিয়ে দেখি বাইরে থেকে লোক তাদের কাগজ দিয়ে পাশ করে নিচ্ছে। আর এই দিকে আমাদের গ্রাম পুলিশ বসে বসে কি যেন করছে।তাদের সাথে এই কথা বলতে বলতে আমার ঝগড়া লেগে যায়। তারপর আমি আমার এক ছোট ভাই সামনে ছিল তার দ্বারা আমি গোপনে আমার কাগজ সাইন করে নেই।
সাইন করার পর ভাবলাম এখন মনে হশ তাড়াতাড়ি পাবো। কিন্তু জিনিসের কাছে গিয়ে দেখি সোখানে ও অনেক বড় একটা লাইন।অনেকক্ষণ অপেক্ষা করার পর আমি কাঙ্ক্ষিত সেই জিনিসের কাছে গিয়ে দেখি সেখানে দুই কেজি তেল,দুই কেজি চিনি, দুই কেজি মুসুর ডাল দিচ্ছে ৪৬০ টাকার বিনিয়মে।অবশেষে এই জিনিস গুলো হাতে পেয়ে মনে মনে ভাবি আমার এখানে আশাটা মনে হয় স্বার্থক হয়েছে। পিছনে এতো লোক যে এসেছে তা বলার বাইরে।বৃদ্ধ থেকে শুরু করে শিশু পযন্ত সবাই এসেছে কম দামে এই জিনিস গুলো কেনার জন্য।
তারপর আমি ও আমার সেই ছোট ভাই কাঙ্ক্ষিত সেই জিনিস গুলো নিয়ে বাড়িতে চলে আসি।
ধন্যবাদ সবাইকে।আজ এখানেই শেষ করছি। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে ততক্ষণ পর্যন্ত সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকুন এই কামনাই করি।
সময় উপযোগী পোস্ট। এই দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতির বাজারে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্তের অবস্থা একদম শোচনীয় হয়ে গিয়েছে । শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
ঊর্ধ্বগতির এই বাজারে মধ্যবিত্তদের অবস্থা একদম নাজেহাল। ধন্যবাদ আপনাকে মত প্রকাশের জন্য।
আমাদের দেশের এসব সংকট থেকে কবে যে কাটিয়ে উঠতে পারবে। আল্লাহ না করুক শ্রীলংকার মত অবস্থায় হয় কিনা। এই সংকট দূরীকরণের জন্য আমাদের উচিত দেশের সবকিছু বেশি বেশি উৎপন্ন করা। অন্যান্য দেশ থেকে আমদানি করার চেয়ে বরং নিজেদের দেশে উৎপন্ন করতে পারলে কম মূল্যের দ্রব্যটি বিক্রি করা সম্ভব হবে।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মতামত প্রকাশের জন্য।
ঠিকই বলেছেন ভাই ঊর্ধ্বগতির বাজারে দ্রব্যমূল্যের দাম যে হারে বেড়েছে সাধারণ মানুষের জন্য টিকে থাকা দায়। আপনি যদিও বিষয়গুলো খুব সুন্দর করে সাজিয়ে লিখেছেন, তবে আপনার এগুলো সংগ্রহ করতে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে। অনেকক্ষণ দীর্ঘ সময় ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছে। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে আন্তরিক শুভেচ্ছা।
শুভকামনা রইলো আপনার প্রতি। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার পোস্ট পড়ে আর ছবিগুলো দেখে মনটা খারাপ হয়ে গেলো। চারিদিকে শুধু মিথ্যা উন্নয়নের গল্প। কিন্তু দেশের আসল পরিস্থিতিটা আপনার ছবিগুলোর মতই। মানুষ ভয়াবহ সময় পার করছে। কবে যে এই অবস্থা নিরসন হবে সেটা একমাত্র আল্লাহপাক জানেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
সৃষ্টিকর্তার কাছে এই কামনাই করি যেন খুব তাড়াতাড়ি বিপদ থেকে মুক্তি হতে পারি। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
এটাও এক ধরনের কষ্ট।মানুষ তো দু মুঠো ভাত খেয়ে বাচতে চায় । এর বেশী কিছু তো চায় না । সেখানেও এদের হাত যেন তরবারি নিয়ে দাড়িয়ে। আসলে এই কার্ড পাওয়া তারপর তাতে সিগনেচার করানো তারপর পন্য হাতে পাওয়া। কতটা যে হয়রানি তা বলার নয়। একজন বৃদ্ধ লোকের পক্ষে এমন ঝক্কি সামলানো কঠিন ব্যপার। এই ২০২২ সালে এসেও উন্নয়নের গল্প আওরে যাচ্ছে আর এদিকে পুকুর চুরি করছে নেতা হাতা পাতা। এ জাতীর যে কি হবে আগামী প্রজন্ম যে কি পাবে আমাদের থেকে ভেবে হতাশ হই মাঝে মাঝে। যাই হোক কাঙ্খিত জিনিস হাতে পেয়েছেন দেখে খুশি হলাম। ভাল থাকবেন। শুভেচ্ছা।
অনেক কষ্টের পরে যখন সাফল্য আসে। তার স্বাদ অতুলনীয়। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া
একদম ঠিক বলেছেন ভাই দেশের বাজারে দ্রব্যমূল্য যে অবস্থা তাতে মধ্যবিত্তদের খুবই সমস্যা হচ্ছে। আপনার পোস্ট পড়ে এবং ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আসলেই খারাপ লাগলো যে কত মানুষ অপেক্ষা করছে এই জিনিসগুলো নেওয়ার জন্য। ধন্যবাদ আপনাকে
মতামতের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
সত্যি ভাই দ্রব্যমূল্যের যা উর্ধগতি হয়েছে আমাদের মধ্যবিত্ত দের বেঁচে থাকা দায় এখন। আয় থেকে ব্যয় বেশি হচ্ছে। কিন্তু এসব দেখার কেউ নেই।
বর্তমান সময়ে যা আয় হয় প্রয়োজনীয় দ্রব্য কিনতে সব শেষ। ধন্যবাদ আপনাকে মতামতের জন্য।