বগুড়া যাওয়ার সময় মাঝ পথে কিছু খাওয়া দাওয়া।। ১০% প্রিয় লাজুকখাঁক
হ্যালো বন্ধুরা,,
আসসালামু আলাইকুম। আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন ।আমিও মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে অনেক ভাল আছি। আজ আমি আবারো উপস্থিত হয়েছি আপনাদের সাথে নতুন কিছু নিয়ে।
ঘুরতে কে না ভালবাসে । সবাই ঘুরে বেড়াতে অনেক পছন্দ করে। আমিও তাদের মধ্যে একজন। আমি সবসময় না হলেও প্রায় ঘুরতে বের হয়ে। কারণ বাড়িতে আমার ভালো লাগেনা। আর বাইরে বের হলে প্রচুর মজা হয় অনেক কিছু জানা যায়। তেমনি হঠাৎ করে জানতে পারি আমার মামা বগুড়া যাবে তার দোকানের কিছু জিনিসপত্র ক্রয় করতে। আসলে বগুড়ায় অনেক কিছু খুব সস্তায় পাওয়া যায় সেগুলো এখানে কিনতে গেলে অনেক বেশি দাম দিয়ে কিনতে হয়। তাই মামা প্রতিমাসে সেখানে গিয়ে তার প্রয়োজনে জিনিসপত্রগুলো কিনে নিয়ে আসে দোকানে বিক্রি করার জন্য। সেদিন রাতে মামা বললো তার সাথে বগুড়া যাওয়ার জন্য।
Oppo A12 লোকেশন
আমি আমার কথায় রাজি হয়েছি কারণ আমার ক্ষতি অনেক ভালো লাগে। তবে অনেক কষ্টের বিষয় হল খুব সকালে সেখানে যেতে হবে তা না হলে এদের সময়ে পৌঁছানো যাবে না। তাই আমরা খুব সকালে পিকআপে করে পড়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। বগুড়া যাওয়ার রাস্তায় কি জ্যাম আমি ভাবতেই পারিনি। রাস্তা এতটা খারাপ ছিল যে সেখানে বসে থেকে আমার অবস্থা শেষ। এভাবে সকাল 11 টা পর্যন্ত আমরা জার্নি করি। ড্রাইভার আঙ্কেল অনেক ক্ষুদা লেগেছে কারণ তিনি সকাল ছয়টা থেকে গাড়ি চালাচ্ছেন। তারপর আমরা মাঝ রাস্তায় গাড়ি দাঁড় করিয়ে একটি হোটেলে যাই খাওয়ার জন্য।
হোটেলটা তেমন একটা ভাল না তবে অতটাও খারাপ না। সেখানকার ভেতরে বলতে গেলে এই হোটেলটাই সবচেয়ে ভালো ছিল। সেখানে আমরা পৌঁছে প্রথমেই আগুন দেওয়ার জন্য বেসিনে যাই আর ভালো করে সাবান দিয়ে হাত মুখ ধুয়ে নেই। গাড়ির মধ্যে বসে থেকে শরীরের অবস্থা একদম অসহ্য কর লাগছিল। তারপর চেয়ারে গিয়ে বসতেই একটা ছেলে আছে। আর আমরা কি খাবো তা জিজ্ঞেস করে। যেহেতু আমাদের অনেক ক্ষুদা লাগছিল তাই আমরা ভাত খাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম।
আমি ছেলেটাকে জিজ্ঞেস জিজ্ঞেস করি তার দোকানে কি কি খাবার পাওয়া যায়। তখন সেই থেকে শুরু করে সব কিছু বললাম। তবে অদ্ভুত বিষয় এখানে গরুর মাংস পাওয়া যায় না। কারণ দোকানটা হিন্দু সম্প্রদায়ের কাছে অবস্থিত। তাই সেখানে গরুর মাংস ছাড়া সবকিছুই মোটামুটি পাওয়া যায়। হোটেলটা তেমন বড় না তাই সবকিছু মোটামুটি পাওয়া যায়। সেখানে আমরা ভাত খাসির মাংস, আর সবজি অর্ডার করলাম।
কিছু সময় পর ছেলেটা সবকিছু নিয়ে আসলো। আমার যে খিদা লাগছিল তা বলার বাইরে। আমি খুব তাড়াতাড়ি খাওয়া শুরু করলাম। অন্যদিকে মামারা এক প্লেট ভাত খাওয়ার আগেই আমি দেড় প্লেট সাবার করে দেই। আমার প্রচন্ড খিদে পেয়েছিল তাই আমি খুব তাড়াতাড়ি খেয়ে নেই। কিন্তু দোকানে যেসব সবজি দিয়েছিলেন তা আমার একদম পছন্দ হয়নি। আমি একদম মুখে নিতে পারছিলাম না কেমন জানি অন্যরকম লাগছিল। তবু সামান্য কিছু ডাল নিয়ে ভাত খাওয়া সম্পূর্ণ করি।
ভাত খাওয়া সম্পন্ন করার পর এক কাপ গরম চা খেয়ে নি। আর খাবারের বিল মিটিয়ে গাড়ীতে বসে আবার যাত্রা শুরু করে দেই।
ধন্যবাদ সবাইকে এতোক্ষণ আমার সাথে থাকার জন্য এবং আমার পোস্ট টা ধৈর্য সহকারে পড়ার জন্য। আজ আর নয় আবার কালকে দেখা হবে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে ততক্ষণ পর্যন্ত সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকুন এই কামনাই করি।
আহা ভাইয়া আপনার খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আমার জিভে জল চলে এসেছে। আমারতো খুব খেতে ইচ্ছে করতেছিল, কিন্তু কোথায় পাবো বলেন এত রাতে কম্বলের নিচে শুয়ে আছি।
যাইহোক ভাই আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দারুন হয়েছে।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু।
আপনি খাবারের ফটোগ্রফি গুলো খুবই ভালো ভাবে উপস্থাপন করেছেন। এবং সেইসাথে আপনি খাবার গুলো মনে হয় খুব ভালোভাবে উপভোগ করেছেন। অনেক সুন্দর একটি জার্নি করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোষ্ট করার জন্য।
মোটামুটি ভালো ছিল জার্নিতে। তবে রাস্তা যদি ভাল থাকতো তাহলে আরো ভালো হতো। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
দূরে ভ্রমণ করার ক্ষেত্রে মাঝেমধ্যে স্টপেজের খাওয়া-দাওয়া কর আর অভিজ্ঞতাটা আমারও মোটামুটি রয়েছে। আপনার অভিজ্ঞতা দিয়ে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া। অনেক অনেক ভালোবাসা আর শুভকামনা আপনার জন্য।
আপনাকে ধন্যবাদ ভাইয়া। এত সুন্দর মতামত প্রকাশ করার জন্য।
মায়ামণি হোটেল & রেস্টুরেন্ট এ ভালোই তো ভুরিভোজ করেছেন। আপনার পড়ে অনেক ভালো লাগলো খুব সাজিয়ে গুছিয়ে আমাদের মাঝে আপনার পোস্ট উপস্থাপন করেছেন। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।
ভাইয়া খিদা অনেক লেগেছিল তাই ভালোই খাওয়া দাওয়া করেছি। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
ঠিকই বলেছেন ভাই ঘুরতে আমাদের সবারি ভালো লাগে। কারণ ঘুরতে গেলে অনেক কিছু দেখা যায় এবং জানাও যায়। আর বিশেষ করে আপনাদের খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে অসাধারণ লাগছে। খাসির মাংস দেখতে খুবই লোভনীয় লাগছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের মাঝে এতো সুন্দর কিছু মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। আশা করি সব সময় পাশে থাকবেন মন্তব্য করার মাধ্যমে।