শাহ হোটেলে বন্ধুর সাথে মুরগির চাপ খাওয়া।। ১০% প্রিয় লাজুক খাঁক
হ্যালো বন্ধুরা,,,
আসসালামু আলাইকুম। আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন।আমি ও মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছি।আজ আমি আবারো হয়েছি একটি রেস্টুরেন্ট মুরগির চাপ খাওয়ার মজাদার অনুভূতি নিয়ে।
অনেকদিন ধরে আমার এক বন্ধু আমাকে সব সময় বলে আমাকে একদিন হোটেলে নিয়ে চল।আমি সব সময় কোনো না কোনো বাহানা করে তাকে এড়িয়ে চলতাম।কারণ আমি জানি সে একটু পেটুক। সে হোটেলে গেলে আমার পকেট ফাঁকা করে ফেলবে।তাই আমি তাকে সব সময় এড়িয়ে চলি।গত দুই দিন আগে সে সবাট সমানে এই কথা বলে আর আমি লজ্জায় পড়ে যাই।তাই বাধ্য হয়ে তাকে বলি চল আজকে তোকে আমি খাওয়াবো।তাই তাকে রেডি হতে বলে আমি বাড়িতে চলে যাই।
বাড়িতে এসে একটা কাজ ছিল সেটা করে আমি তার কাছে যাই। তার কাছে গিয়ে দেখি সে এখনো রেডি হয় নি। তারপর আমার রাগারাগির কারণে সে রেডি হয়ে যায়।তারপর আমি তাকে নিয়ে আমাদের গ্রামের যে জায়গায় ভ্যান রয়েছে সেখানে তাকে নিয়ে যাই।সেখানে গিয়ে দেখি সেখানে কোনো ভ্যান নাই। ১০ মিনিট সেখানে থাকার পর একটা ভ্যান আসে। তারপর সেই ভ্যানে করে আমাদের পাশ্ববর্তী বাজারে শাহ হোটেলের দিকে চলে যাই।সেখানে গিয়ে ও দেখি অনেক ভিড়। ভিড় দেখে মনে হচ্ছিল যেন বাড়িতে চলে যাই।তারপর কোনো রকম সেখানে একটা সিট দেখলাম।আর সেখানে গিয়ে বসলাম।
আমি আমার সেই বড় ভাইকে বলি তুই এখানে বসে থাক না হলে জায়গা পাবি না। আমি ও তের জায়গা টা ধরে রাখিস। তারপর আমরা একে একে সেখানে৷ হাত ধোয়ার জায়গা থেকে ভালো করে হাত ধুয়ে আসি।আমি হাত ধুয়ে এসে দেখি সে খাবার অর্ডার দিয়ে দিছে।আমি তার কাছে গিয়ে বললাম। তুই কি অর্ডার দিছিস।সে আমাকে বলে বেশি কিছু না দোস্ত সমান্য অর্ডার করেছি।শুধু একটা করে চাপ ও পরেটা।কিছুক্ষণ পর ওয়েটার এসে মুরগির চাপ আর পরেটা দিয়ে যায়।আমি একটা পরেটা খেতে না খেতে সে দুই পরেটা খেয়ে ফেললো।তখন আমি তাকে বললাম এতো তাড়াতাড়ি খাশ না ধীরে ধীরে খা।তুই যে দিন দিন পেটুক হয়ে যাচ্ছিস। তুই কি তা জানিস।
তখন সে আমাকে বলে দোস্ত চোখের সামনে খাবার থাকলে আমার খাওয়ার রুচি বেড়ে যায়।আমি তখন নিজেকে সামলাতে পারি না।তাই আমি খাই।এভাবে সে গুনে গুনে চারটা পরেটা খাইলো।আমি তো অবাক! এতো বড় পরেটা চারটা কিভাবে সম্ভব। তারপর আমি আমি চা এর অর্ডার দেই। কারণ আমি শাহ হোটেলে গেলে চা খাব। কারণ শাহ হোটেলের চা অনেক বিখ্যাত।তারপর চা খেয়ে বিল দিতে গিয়ে দেখি ৩৫০ টাকা বিল আসছে।তারপর আমি তাকে বলল কি রে বিল এতো বেশি কেনো। তারপর সে আমাকে বলল, সে নাকি কয়েকটা মিষ্টি খেয়েছে আমি যখন হাত ধুতে যাই।তারপর আমি বিল দিয়ে বাইরে আসি।
উৎস
বাইরে এসে কিছু খাবার বাড়ির জন্য নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্য রওনা দেই।
ধন্যবাদ সবাইকে
সবাই এক সাথে বসে মুরগির চাপ খেতে খুবই দারুণ লাগে। দেখতে খুবই লোভনীয় লাগছে। আমরা সেদিন সবাই এক সাথে বসে মুরগির চাপ খেয়েছি খুবই মজা হয়েছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ওয়াও বেশ ভালই ছিল আপনার কাটানো মুহূর্ত। আসলে বন্ধুদের সাথে কাটানো মুহূর্তগুলো বেশ ভালো হয়। তবে একটা কথা বলি ভাইয়া কিছু মনে করেন না আপনার টাইটেল এ বানান ভুল হয়েছে ওটা চপ না চাপ হবে পারলে ঠিক করে নিয়েন ইডিট করে। ধন্যবাদ আপনাকে শুভেচ্ছা রইল।