করলা ভাজি রেসিপি || ১০% প্রিয় লাজুক খাঁক
হ্যালো বন্ধুরা,,
আসসালামু আলাইকুম। আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন। আমি ও মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছি। আজ আমি আবারো উপস্থিত হয়ে নতুন কিছু নিয়ে। আজ আমি আপনাদের সাথে করলা ভাজির রেসিপি শেয়ার করব।যদি এটি আমি তেমন একটা খাই না। মাঝে মাঝে খেতে ও মন চায়।কারণ এই গরম কালে এটি শরীরের জন্য অনেক উপকারী একটি খাবার।তাছাড়া এতে প্রচুর ভিটামিন রয়েছে।যাই হোক, চলুন শুরু করা যাক আমি কিভাবে করলা ভাজি তৈরি করেছি।
করলা | ২৫০ গ্রাম |
---|---|
আলু | ২৫০ গ্রাম |
পিয়াজ | ২০০ গ্রাম |
রসুন | ১ টা |
মরিচ | ৬ -৭ টা |
মশলা | পরিমাণ মতো |
তেল | পরিমাণ মতো |
প্রথমে আমি বাজার থেকে কিনে আনা করলা গুলোকে কুচি কুচি করে কেটে নিয়ে একটি বাটিতে রেখে দেই।
তারপর কেটে রাখা করলা গুলোতে সামান্য পানি দিয়ে একটু ভাল করে মেখে নি। যাতে করে ভেতরে থাকা তেতো গুলো বের হয়ে যায়।আর খেতে একটু ভালো লাগে ।
তারপর সে গুলোকে একটি ঝাড়ি দ্বারা পানি ছেঁকে নিয়ে একটি বাটিতে রেখে দেই।
এই ফাঁকে করলা ভাজির জন্য প্রয়োজনীয় সব মশলা তা কেটে নিয়ে একটি বাটিতে রেখে দেই।
তারপর এর জন্য সামান্য পরিমাণ আলু কুচি কুচি করে কেটে নেই।
এরপর চুলায় আমি একটি কড়াই বসিয়ে দিয়ে তাতে কেটে কেটে রাখা আলু গুলো দিয়ে দেই।
তারপর আমি ছেকে রাখা করলা গুলো কড়াই এর উপর দিয়ে দেই।
তারপর কেটে রাখা মরিচ পিঁয়াজ গুলো সেখানেই দিয়ে দেই।
তারপর সেখানে মসলা দিয়ে দেই।
কিছু পরিমাণ হলুদ দিয়ে দেই।
সামান্য পরিমাণ লবণ দিয়ে দেই।
পরিমান মত তেল দিয়ে দেই।
সামান্য পরিমাণ পানি দিয়ে একটু নেড়ে দেই।
তারপর কড়াই টি চুলায় বসিয়ে দিয়ে চুলায় জ্বাল দিয়ে থাকি।
এরপর কিছু সময় পর ঢাকনা উঠিয়ে একটু দেখে নেই এর পরিস্থিতি কেমন।
এরপর কিছু সময় পর সেগুলো হালকা করে নাড়াতে থাকি। যাতে করে এসে পুড়ে না যায়।
এভাবে কিছুক্ষণ নাড়ার পর যখন দেখি রং গুলো একটু ভালো লাগতেছে। আর সবগুলো সেদ্ধ হয়েছে। তখন সেটি চুলা থেকে নামিয়ে নেই।
তো ধন্যবাদ বন্ধুরা। এটাই ছিল আমার আজকের রেসিপি। আশা করি আপনাদের ভাল লেগেছে। কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন কেমন হয়েছে। আজ আর নয় আবার দেখা হবে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে ততক্ষণ পর্যন্ত সবাই সুস্থ থাকুন এই কামনাই করি।
ছোটবেলায় করলা ভাজি আমার কাছে অসহ্য লাগত। আমি খেতে পারতাম না। তবে এখন করলা ভাজি অনেক ভালো লাগে।তবে নিয়মিত খাওয়ার চেষ্টা করি। আপনি খুব সুন্দর করে করলা ভাজি রেসিপি আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন। প্রতিটি ধাপের বর্ণনা সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এরকম সুন্দর একটি করলা ভাজি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপনাকে আমি ধন্যবাদ জানাই ভাইয়া।
আপনার করলা ভাজি রেসিপি || দেখে সত্যিই আমার ভীষণ খেতে ইচ্ছে করছিলো কারণ করোলা ভাজি আমার খুব বেশি প্রিয় এবং আপনি খুব সুন্দর ভাবে আপনার রেসিপিটি উপস্থাপন করেছেন এবং প্রতিটি ভাব সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন♥♥
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু। সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য।
বাহ ভাই খুবই চমৎকার একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন। আমিও কিছুদিন আগে এই রেসিপি শেয়ার করেছিলাম। আপনার উপস্থাপনা যথেষ্ট ভালো ছিল ভাইয়া। আপনার জন্য শুভকামনা রইল 💞💞
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
যদিও করলা ভাজি আমি খাইনা তিতার জন্য তবুও আপনার দেয়া পোস্ট টি দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। আপনি খুব সুন্দর ভাবে গুছিয়ে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
করলা ভাজি আমার পছন্দের একটা রেসিপি। তবে এটা একটি তিতা লাগে খেতে এই জন্য বেশি একটা খাওয়া পরে না। কিন্তু সুন্দর করে তেল দিয়ে করা করি করে ভাজলে সেই লাগে খেতে। বিশেষ করে করলা ভাজি খাওয়া আমাদের জন্য খুবই উপকারী। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আমাদের মাঝে এতো সুন্দর একটা রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করার জন্য। অনেক অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
অনেক সুন্দর করে গুছিয়ে মতামত করেছেন ভাইয়া দেখে অনেক ভালো লাগলো। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
করলা ভাজি আমাদের দেহের জন্য খুবই পুষ্টিকর একটি খাবার। করলা ভাজি খেতে আমার ভালই লাগে। বেশী করে আলু দিয়ে ঝাল ঝাল করে করলা ভাজি করলে ভাজি খেতে একটুও তিতে হয়না এবং খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে করলা ভাজি করেছেন। করলা ভাজি রেসিপিটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপনার কাছে ভালো লেগেছে এটাই আমার কাছে অনেক। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
করলা ভাজি অনেক পুষ্টিকর একটি খাবার হলেও, তেতো স্বাদ হওয়ার কারণে এই রেসিপিটি আমি খুব একটা পছন্দ করি না। তবে আপনার রান্না করার রেসিপির ছবিগুলো দেখে বোঝা যাচ্ছে যে, খাবারটি খুব সুস্বাদু ছিল। রেসিপিটি সম্পন্ন করার পদ্ধতি গুলো ধাপে ধাপে খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেক পুষ্টিকর খাবার ভাইয়া এটি । আর খেতে অনেক মজা লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে।
করলা অনেক উপকারী একটি সবজি এর অনেক ঔষধি গুণ রয়েছে। আলু দিয়ে করলা ভাজি করলে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়। কিন্তু এর তিতার কারণে অনেকে আমরা খেতে চাই না। করলার মধ্যে যদি তিতা না থাকতো তাহলে কতই না ভালো হতো। তিতার কারণে আমি নিজেও করলা কম খাই তবে এর ঔষধি গুন চিন্তা করে আমাদের সবারই খাওয়া উচিত। অনেক উপকারী একটি সবজি ভাজি রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর একটা মন্তব্য করেছেন। আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল।
অনেকদিন হয়ে গেল করোলা ভাজি খাওয়া হয়না। করলা ভাজি আমার খুবই প্রিয়। বিশেষ করে তিতা করোলা খেতে আবার খুবই ভালো লাগে। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খুব অসাধারণ ভাবে আপনি উপস্থাপন করেছেন। আপনার উপস্থাপনা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপনার জন্যও অনেক শুভকামনা রইল। আমার পক্ষ থেকে আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
আপনার করল্লা ভাজি রেসিপি টি খুবই চমৎকার হয়েছে ।দেখে মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। যদিও আমি করোল্লা খাই না তবুও আপনার রেসিপি দেখে কেন জানি মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। আলু পেঁয়াজের পরিমাণ বেশি দিয়েছেন এজন্য মনে হয় এটি খেতে আরো বেশি সুস্বাদু লাগবে ।প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে আমাদের সামনে উপস্থাপন করেছেন যেতে দেখে খুব সহজে আপনার রন্ধনপ্রণালী বোঝা যাচ্ছে ।ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সঙ্গে এত সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু আপনাকে।