হ্যালো বন্ধুরা,,,
আসসালামুয়ালাইকুম। আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে অনেক ভাল আছি। আজ আমি আমার উপস্থিত হয়েছি আপনাদের সাথে নতুন কিছু নিয়ে। আজ আমি আপনাদের সাথে যেটি নিয়ে আলোচনা করব তার সাথে সবাই বলে পরিচিত। হ্যাঁ বন্ধুরা আমি যেটার কথা বলছি সেটা হল সবার প্রিয় ফুলকপির পাকোড়া। যেটা সবাই অনেক পছন্দ করে।
![IMG_20220122_001058.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmacaastuNqyeCKtrUGqzWvURSNzLZUCvZXYYESWQaDBwY/IMG_20220122_001058.jpg)
শীতকালীন সবজি হিসেবে ফুলকপির কোন তুলনা হয় না। ফুলকপি দিয়ে খুব সহজেই সব অসাধারণ রান্না তৈরি করা যায় এগুলো খেতে অনেক মজাদার হয়ে থাকে। আজ আমি সেই ফুলকপি দিয়ে মজাদার সেই বিকালের নাস্তা ফুলকপির পাকোড়া তৈরি করে দেখাবো। খুব সহজেই এটি তৈরি করা যায় এবং বিকালে নাস্তা হিসেবে এটি অসাধারণ একটি খাবার। তো চলুন শুরু করা যাক আমি কিভাবে ফুলকপির পাকোড়া তৈরি করেছিলাম। |
ধাপঃ১
![IMG_20220122_001137.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmVQe6k13uzbFYGrHz2z6qEoEYeX6na7xkqc9PN2a5SWsJ/IMG_20220122_001137.jpg)
প্রথমে একটি ফুলকপি নিয়ে নেই। আর সেটা ভালো করে পানি দিয়ে পরিষ্কার করে নেই। |
ধাপঃ২
![IMG_20220122_001153.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRNJpvXNggQTfuZjLw7gXmhCsRtJM4broWePe3aUThxCi/IMG_20220122_001153.jpg)
ফুলকপি টি ভালো করে পরিষ্কার করার পর চাকু দিয়ে পরিমাণমতো ছোট করে কেটে নেই। তারপরও আরেকটু পরিষ্কার করে তা একটি পরিষ্কার পাত্রে রেখে দেই। |
ধাপঃ৩
![IMG_20220122_001212.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmVB91wzitWMkoXpHHDPHtfUHTy1xt6W9K51dqFQ8YJ3RE/IMG_20220122_001212.jpg)
তারপর আমি চুলায় একটি পাত্র বসিয়ে দেয় আর সেই পানিতে কাটা ফুলকপিগুলো দিয়ে দেই। |
ধাপঃ ৪
![IMG_20220122_001234.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmTvyhPbm3aYM3iD9ygjKTK9zAyYTKDh7rYMjuwwuy1BTZ/IMG_20220122_001234.jpg)
পাত্রে কুচি কুচি করে রাখা ফুলকপিগুলো দেওয়ার পর সেখানে একটু পরিমাণ হলুদ ও লবণ দিয়ে দেই। আর চুলায় একটু বেশি করে তাতে থাকে তাতে করে তাড়াতাড়ি হয়। |
ধাপঃ৫
![IMG_20220122_001251.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmPBvtd6gU6U3Yn9BiCt7mqdjoEhC3qnuFq33S8KWdBrYq/IMG_20220122_001251.jpg)
এভাবে ১৫ থেকে ২০ মিনিট চুলায় জ্বাল দেওয়ার ফলে যখন দেখি ফুলকপি গুলো উথালপাতাল করছে তখন সেগুলো চুলা থেকে নামিয়ে একটি ঝুড়িতে করে পানিগুলো ছেঁকে নেই। আর একটি পাত্রে সেগুলো রেখে দেই। |
ধাপঃ ৬
![IMG_20220122_002109.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd41ygpJ7EjNhiSdomEK1Bt5GMWEmspUcxECChGebTyi4/IMG_20220122_002109.jpg)
এই ফাঁকে আনা বেসনগুলো পানিতে গুলিয়ে নেই। প্রথমে আমি ধীরে ধীরে পানি দিয়ে দেই যাতে করে বেশি পানি না পরে আর বেশি পানি পড়লেই সেগুলো নষ্ট হয়ে যাবে। |
ধাপঃ৭
![IMG_20220122_001321.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmYXRA165kMFcsdVzbhezkfoVr93BZMSPEnPrezHRgePZ1/IMG_20220122_001321.jpg)
যখন দেখি বেসন গুলো কমপ্লিট হয়ে গেছে তখন চুলায় বসিয়ে দেই আর সেখানে একটু বেশি করে তেল দিয়ে দেই। বেশি করে তেল দিলে সেগুলো অনেক ভালো করে ফোলে এবং দেখতে অনেক সুন্দর লাগে। |
ধাপঃ ৮
![IMG_20220122_001342.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRVswcsfR8wokJSacjmnUneCT9ZNyKv8vJYy9HMvTCHp4/IMG_20220122_001342.jpg)
তেল যখন একটু গরম হয়ে যায় তখন আমি ফুলকপিকে নিয়ে সেই বেসনে গুলিয়ে গরম তেলের মাঝে দিয়ে দেই। |
ধাপঃ ৯
![IMG_20220122_001400.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmcUPZUwAGHnJmEhWCo3YovPK9xyS4yewJG13QfC53B7Xm/IMG_20220122_001400.jpg)
তারপর চুলার জ্বাল একটু কমিয়ে দেয় কারণ বেশি থাকলে সেগুলো পড়ে যেতে পারে। আর ধীরে ধীরে সেগুলো নাড়তে থাকি। |
ধাপঃ ১০
![IMG_20220122_001414.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmUFosTcvHLXGieidiuwLucSzxKjmpX8ukDmampt2BBkiU/IMG_20220122_001414.jpg)
![IMG_20220122_001530.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmb6hXUzCrd7EYNvxjdRditc7GaMW4f3UgX1mAWWmEdxRo/IMG_20220122_001530.jpg)
যখন দেখি সেগুলো দেখতে লাল লাল হয়ে গেছে তখন সে গুলোকে চুলা থেকে নামিয়ে নেই আর একটি প্লেটে তুলে নেই।আর তার উপর কিছু গাজর কেটে দেই যাতে সেগুলো খেতে ভালো লাগে। |
ধন্যবাদ সবাইকে এতোক্ষণ ধরে আমার সাথে থাকার জন্য। কালকে দেখা হবে আবার কোনো না কোনো নতুন বিষয় নিয়ে ততক্ষণ পর্যন্ত আপনারা সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকুন এই প্রত্যাশাই করি।
ফুলকপির পাকোড়া আমার প্রিয় একটি খাবার কিন্তু দুঃখের বিষয় এবছর এখন পর্যন্ত একটিও খেতে পারিনি। আপনার রেসিপিটি অনেক সুন্দর হয়েছে। মনে হচ্ছে এখনই তৈরি করে খেয়ে নেয়া উচিত। শুভেচ্ছা রইল
খেয়ে দেখবেন ভাই নাহলে ফুলকপির পাকোড়া ও কাদবে😄😄।ধন্যবাদ আপনাকে
অসাধারণ আপনি ফুলকপি দিয়ে পাকড়া তৈরি করেছেন। খুব সুন্দর করে দক্ষতা সহকারে পাকড়া বানিয়েছেন। ছবি দেখে মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু এবং মজাদার হয়েছে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
হমম ভাই খেতে অনেক মজা হয়েছিল। আর বিকালে নাস্তা হিসেবে ফুল কপির পাকোড়ার তুলনাই হয় না। আপনি ট্রাই করতে পারেন।
আমার মনে হয় শীতকালীন সবজি হিসেবে ফুলকপি বেস্ট । ফুলকপি দিয়ে অনেক কিছু তৈরি করা যায় । আপনার আজকের পাকুড়া দেখে ভালো লাগতেছে নিশ্চয়ই খেতে অনেক মজা হয়েছে । সহজ ভাষায় খুব সুন্দর করে বর্ণনা দিয়েছেন রান্নার ।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে কমেন্ট এর মাধ্যমে আমাকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য।
জি ভাইয়া একদম আসলেই শীতকালের সবজি ফুলকপির কোন তুলনা হয় না। এটা খেতেও যেমন মজা তেমন এটা দিয়ে অনেক ধরনের রান্নাও খাওয়া যায়। আপনার পাকোড়া গুলো দেখতে দারুণ লাগছে ভাইয়া খেতেও দারুণ হয়েছে এতে কোন সন্দেহ নেই। সব মিলিয়ে দারুণ লেগেছে আমার কাছে। ধন্যবাদ ভাইয়া এতো সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
হমম ভাইয়া আপনি ঠিক বলেছেন। আর আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ফুলকপির পাকোড়া খেতে অনেক মজা আপনি অনেক সুস্বাদু সুন্দর করে ফুলকপির পাকোড়া তৈরি করেছেন দারুন হয়েছে ভাই ধন্যবাদ আপনাকে
ধন্যবাদ ভাই আপনাকে পাশে থেকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য
আপনি অনেক মজাদার এবং লোভনীয় একটি ফুলকপি পাকোড়া তৈরি রেসিপি আমাদের সকলের মাঝে অনেক চমৎকার ভাবে উপস্থাপন করেছেন। আপনার তৈরীকৃত এই ফুলকপির পাকোড়া রেসিপি টা দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক শুরু হয়েছিল সেই সাথে অনেক লোভনীয় বটে। ফুলকপির পাকোড়া বরাবরই আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। এত মজাদার এবং লোভনীয় একটি ফুলকপির পাকোড়া তৈরি রেসিপি আমাদের সকলের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাই আপনাকে। শুভকামনা রইলো আপনার প্রতি
আপনার জন্যও অনেক শুভকামনা রইল ভাইয়া। আর আমাকেও অনেক ভালো লেগেছিল ফুলকপির পাকোড়া টি।
ঠিকই বলেছেন ভাইয়া শীতকালীন সবজির মধ্যে ফুলকপি খেতে বেশ ভালোই লাগে। ফুলকপি দিয়ে বিভিন্ন সবজি, মাছের সঙ্গে রান্না করে খেতে মজা লাগে। আজকের ফুলকপির পাকোড়া টা দেখে মনে হচ্ছে খুবই মজাদার হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে এত মজাদার একটি পাকোড়া তৈরি আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য।
হুম আপু শীতকালীন সবজি হিসাবে ফুলকপির তুলনা হয়না। আর ফুলকপির পাকোড়া টি খেতে অনেক মজাদার হয়েছিল। আর আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু
➡️ ফুলকপির পাকোড়া তৈরি দেখে আমার অসম্ভব ভালো লেগেছে। এটি কখনো খাওয়া হয়নি আমার কিন্তু দেখে লোভ লেগে গেছে। আপনি খুব সুন্দর করে ধাপে ধাপে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য। এত সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
খেয়ে দেখবেন ভাই অনেক মজাদার একটি খাবার এবং বিকালে নাস্তা হিসেবে অসাধারণ একটি নাস্তা। আর আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া