বন্ধুগুলোর সাথে নতুন বছর উপলক্ষে পিকনিক ||১০% প্রিয় খাঁক
হ্যালো বন্ধুরা,,,
আসসালামুয়ালাইকুম আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন আমিও মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে অনেক ভাল আছি। আজ আমি আবারো উপস্থিত হয়েছি আপনাদের সাথে ভালোলাগার কিছু মুহূর্ত নিয়ে। আজকে আমার ভালো লাগার মুহূর্ত হল বন্ধুদের সাথে নতুন বছরকে সেলিব্রেশন এর কিছু মুহূর্ত।
নতুন বছর মানে নতুন আশা। নতুন বছরকে ঘিরে সবারই কিছু না কিছু আশা রয়েছে। নতুন বছরকে নতুনভাবে বরণ করে নেওয়ার পদ্ধতি প্রত্যেকেরই আলাদা আলাদা। তেমনি করে আমাদের এও আশা ছিল নতুন বছরের নতুন ভাবে গ্রহন করার। সেই অনুযায়ী নতুন বছর শুরু হওয়ার দিন আগে আমার কয়েকজন বন্ধু বাইরে থেকে আসে। আসলে তারা বাইরে লেখাপড়া করে। আর প্রানের বন্ধু গুলোর পাশে না থাকলে আনন্দ গুলো যেন আনন্দে মনে হয় না। সাথে বসে নতুন বছর নিয়ে অনেক পরিকল্পনা করলাম আসলে কিভাবে কি করব। খাওয়া-দাওয়া কোথায় বক্স কোথায় ডেকোরেশন ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা করলাম তার সাথে সাথে পিকনিকের চাদা নিয়ে আলোচনা করলাম।
কিন্তু পিকনিকের দিনে ঘটলো আরেক বিপত্তি। সবাই মিলে পিকনিকের জন্য চাঁদা দিয়ে দিলাম। কিন্তু যখন ডেকোরেশনের জন্য দোকানে গেলাম গিয়ে দেখি সেখানে কিছুই নেই। কারণ চারিদিকে সবকিছুই তাদের ভাড়া হয়ে গেছে তাই আর দোকানে কোন ডেকোরেশন এর ব্যবস্থা নেই। আমাদের ছেলে মানুষের একটাই উদ্দেশ্য একটু নাচানাচি আর গান বাজনা তা না হলে যেন পিকনিক পিকনিক এই মনে হয় না। এই শুনে সবার মন যেন এক ধরনের বিরক্তির ছাপ সৃষ্টি হল। পিকনিক খাওয়ার মন মানসিকতা হারিয়ে গেল। সবাইকে নিয়ে মাঠে বসে কিছু একটা ভাবার সিদ্ধান্ত নিলাম। কেউ কেউ আবার তাদের পিকনিকের টাকা ফেরত নিতে চাইল। এভাবে তাদের সাথে একসময় কথা কাটাকাটি শুরু হয়ে গেল এক পর্যায়ে আমার বন্ধু আশিক তাদের টাকা ফেরত দিয়ে দিলো। সেখানে আরেক বন্ধু তাদের বুঝিয়ে আবার টাকা দিয়ে দিল। তারপর অনেক কষ্টে অনেক দাম দিয়ে একটা বক্স ভাড়া নিলাম যাতে করে পিকনিক একটু আনন্দময় হয়। বক্স সারা সেখানে আর ডেকোরেশনের কিছুই পাইনি তাই সেগুলো নিয়েই চলে আসি।
তারপর বাজারে গিয়ে মুরগির মাংস ডিম বুটের ডাল সবজি গাজর শসা চাল অন্যান্য যাবতীয় জিনিস ক্রয় করে চলে আসি । বাড়িতে এসে দেখি রাত প্রায় 9 টা পার হয়ে গেছে। তাই আর বাইরে রান্না না করে বাড়িতে একজনকে দিয়ে রান্নাটা করে নেই। কারণ বাইরে আমাদের থাকার জন্য একটা আশ্রয়স্থান করতে হবে। তাই বাড়িতে থাকা ছোট্ট একটা কাগজ দিয়ে আর্মির মত একটা ক্যাম্প তৈরি করা চেষ্টা করি। বাইরে যে ঠান্ডা তা নাহলে বাইরে শীতে জমে যাব। চারিদিকে টানা দিয়ে একটা ছোট্ট ঘর বানিয়ে ফেলি। আর বাইরে বক্স লাগে গান চালু করে নাচতে শুরু করে দিই। এভাবে বাইরের ঘরে নাচানাচি করে কিছু সময় পার করি। আর ঠিক বারোটার পর বক্সে সবাইকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানাই।
তারপর যখন রান্না রেডি হয় তখন গিয়ে সবাই মিলে রান্না গুলো নিয়ে আমাদের তাঁবুর মধ্যে চলে আসি। বাইরে খাওয়ার মজাই অন্যরকম। তারপর সবাই মিলে খাওয়ার সময় অনেক মজা করি। একজনকে খাওয়া একজনের খাবার অন্য জনকে দেওয়া তার খাবার কেরে খাওয়ার মজাই অন্যরকম। এভাবে সেখানে অনেক মজা করে রাত তিনটার পর বাড়িতে চলে আসি।
ধন্যবাদ সবাইকে
এরকম দিনগুলো অতীতে বহু কাটিয়েছি। আপনার পোস্টটি দেখে সেই স্মৃতিগুলো আবার মনে পড়ে গেল। খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। ধন্যবাদ।
হমমম ভাইয়া এই রকম করে পিকনিক খাওয়ার মজাই আলাদা।
খুবই ভালো লাগলো আপনার পিকনিকের গল্প। এরকম পিকনিক করতে আমারো অনেক ভালো লাগে। খরের উপর বসে তাঁবুর মধ্যে খাবার মজাই আলাদা। শুধু বন্ধুগুলোকে হারামি না বলে ভালো বললেই হতো। শুভকামনা আপনার জন্য
ধন্যবাদ ভাইয়া। আর হারামী হলো আদরের একটা ডাক।
নতুন বছর উপলক্ষে বন্ধুদের সাথে পিকনিক এর ছলে অনেক সুন্দর কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন আপনি তা ছবি দেখেই বোঝা যাচ্ছে। বন্ধুদের সাথে কাটানো এই স্মৃতিময় মুহূর্ত গুলো আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। শুভ কামনা রইল আপনাদের সকলের জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া। আপনাকেও নতুন বছরের শুভেচ্ছা যেন ভালো কাটুক আপনার নতুন বছরটা ❤️❤️❤️
ভাই গ্রামে গেলেই এমন মজা করে পিকনিক খাই। বন্ধুরা এক সাথে পিকনিক খাওয়ার মজাই আলাদা। আমি এই বার গ্রামে যেতে পারি নাই, তাই পিকনিক খাওয়াটাও হয় নাই। আপনি অনেক মজা করেছেন জেনে অনেক ভালো লাগলো। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো
ধন্যবাদ ভাইয়া । আর গ্রামে পিকনিক খাওয়ার মজাই অন্য রকম