রাস্তার ধারে ডিম রুটি খাওয়ার অনুভূতি।। ১০%প্রিয় লাজুক খাঁক
হ্যালো বন্ধুরা,,,
আসসালামু আলাইকুম আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন আমিও মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে অনেক ভালো আছি। আজ আমি আবারো উপস্থিত হয়েছি কিছু ভালো লাগার অনুভূতি শেয়ার করার জন্য।
আমরা সবাই মানুষ। কিন্তু মানুষ হিসেবে আমাদের বেঁচে থাকার জন্য খাবার অত্যন্ত একটি প্রয়োজনীয় জিনিস। আমরা সচরাচর বাড়িতে বিভিন্ন রকম খাবার খেয়ে থাকি কিন্তু ওই খাবারেই বাইরে কোথাও গেলে সেটার অনুভূতি অন্যরকম হয় আমার বাড়িতে সেটার স্বাদ অন্যরকম। গতকাল হঠাৎ করে আমরা দুজন বন্ধু মাঠে বসে গল্প করতেছি আর মোবাইল টিপতেসি। তখনই হঠাৎ করে আমার আরেকজন বন্ধু এসে আমাদের সাথে উপস্থিত। কিন্তু তার সাথে তার খালাতো এক ছোট ভাই এসেছে। তারপর সে আমাদের বলল, এখানে বসে কি করতেছিস তোরা ।এখানে না বসে চলো না একটু বাইরে কোথাও ঘুরে আসি।
তাই সেখান থেকে উঠে কোথায় যাব ভাবতেছি। তখনই মনে পড়ে অনেক দিন হলো আমাদের পাশের গ্রামের বাজারে যাওয়া হয় না সেখানে অনেক রকমের খাবারও পাওয়া যায়। সেগুলোর স্বাদ অনেকদিন থেকে নেওয়া হয়না। তাই হাঁটতে হাঁটতে সেই বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। সেই বাজারে যেতে প্রায় 20 মিনিট সময় লাগে। এখানে কি চারিদিকে ঘুরে চোখ গেল একটি দোকানের দিকে। সেখানে লোকেরা তাকে জড়ো করে রেখেছে। আমরাও আবার সেখানে গিয়ে দেখি লোকেরা তার কাছ থেকে ডিম কিনতে সে তার দোকানে প্রায় সব রকমের ডিম পাওয়া যায়। শীতকালীন সময়ের সিদ্ধ ডিম খেতে অনেক ভালো লাগে। তারপর দেখি সেখানে ডিম আর রুটি ভেজে বিক্রি করতেছে। সেগুলো খেতে অনেক ভালো লাগে বাড়িতে খাওয়া হয় কিন্তু রাস্তার ধারে দোকানে খাওয়ার মজাই একরকম। ছোট্ট একটি দোকান চারপাশে অন্ধকার একটা চেয়ার টেবিলে কিছু ডিম রেখে বিক্রি করতেছে দোকানদার। তবুও তার পাশে অনেক লোক দাঁড়িয়ে তার কাজ দেখতেছে। আমি দোকানদার আঙ্কেলকে আমাদের জন্য রুটি ও ডিম ভেজে দেওয়ার জন্য বললাম।
আঙ্কেল যেভাবে আমাদের ডিম রুটি ভেজে দিলেন তার পদ্ধতি নিচে হলো:
- প্রথমে তিনি একটি ডিম একটি গ্লাসে ভেঙ্গে নিলেন। তারপর সেখানে একে একে পেঁয়াজ ও মরিচ দিয়ে ভালো করে নাড়লেন।
- তারপর তিনি একটি কড়াইয়ে সামান্য একটু তেল দিলেন আর গ্লাসে থাকা ডিমটি করার কড়াইয়ের উপর ঢেলে দিলেন। আর ভালো করে একটু নাড়াচাড়া করতে লাগলেন।
- তারপর সেখানে একটি রুটি দুই ভাগ করে একটি দিয়ে নাড়াচাড়া করলেন তারপর আবার ঘুরিয়ে অন্য পাশ দিয়ে ভালো করে নাড়াচাড়া করলেন।
- অতঃপর একটি প্লেটে সেটিকে উঠিয়ে তার সাথে একটু সস দিয়ে আমাদের খেতে দিলেন।
আহ কি স্বাদ যেন বারবার খেতে ইচ্ছে করে। যদিও খাবারটি খুব চেনা কিন্তু রাস্তার ধারে বসে খাওয়ার সেই মজাই আলাদা। আপনারা চাইলে বাড়িতেও এই পদ্ধতি অবলম্বন করে খেতে পারেন অসাধারণ এই রাস্তার খাবার।
ফটোগ্রাফার | @kabir21 |
---|---|
মোবাইল | Oppo A12 |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
ধন্যবাদ সবাইকে।