ঝাল ঝাল পিঠা তৈরি || ১০% প্রিয় লাজুক খাঁক
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম। আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে অনেক ভাল আছি। আজ আমি আবারো উপস্থিত হয়েছি আপনাদের সাথে নতুন কিছু নিয়ে। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
গতকাল রাতে হঠাৎ করে মনের মাঝে পিঠা খাওয়ার স্বাদ জাগল। আসলে কয়েক দিন ধরে ঝাল ঝাল পিঠা রেসিপি দেখে মনের মধ্যে খাওয়ার অনুভূতি জাগলো। তারপর মাকে গিয়ে বললাম বাড়িতে সবকিছু আছে কিনা। মা বললো সবকিছু বাড়িতে আছে। তাই আর দেরি না করে রাতের মধ্যেই পিঠা তৈরির কাজে নেমে পড়ি । রাতের বেলা গরম গরম পিঠা খাওয়ার কিছু অনুভূতি তা বলে বোঝাতে পারবো না। তো চলুন শুরু করা যাক আমার ঝাল ঝাল পিঠার রেসিপি:
প্রয়োজনীয় উপকরণ: |
---|
- আটা
- তেল
- আলু
- পিয়াজ
- মরিচ
- মসলা
যেহেতু এই পিঠা মাংস দিয়ে খেলে বেশি মজা লাগে। কিন্তু বাড়িতে রাতের বেলা মাংস না থাকার কারণে কুচি কুচি করে কেটে নেই।
তারপর আমি চুলায় একটি কড়াই বসিয়ে দিয়ে সেখানে তেল দিয়ে সব রকম মসলা দিয়ে তার সাথে আলু গুলো ঢেলে দেই।
আর সেগুলো নাড়াতে থাকি। যাতে করে নিচে পড়ে না যায়। আর সেগুলো হওয়ার কিছু সময় আগে ধনেপাতা দিয়ে দেই। যাতে খেতে একটু ভালো লাগে।
তারপর ভাজি হয়ে গেলে সেগুলো একটি বাটিতে রেখে দেই।
তারপর আমি একটি কড়াইয়ে সামান্য পানি দিয়ে সেখানে সামান্য পরিমাণ হলুদ দিয়ে দেই। যাতে করে পিঠা গুলো দেখতে একটু ভালো লাগে।
তারপর সেখানে আমি কিছু পরিমাণ আটা দিয়ে সেগুলো ভাল করে নাড়তে থাকি।
তারপর আমি কড়াইটি চুলা থেকে নামিয়ে নিয়ে মাটিতে রেখে আরো ভালো করে একটি হাত দিয়ে নাড়াতে থাকি।
তারপর সে গুলোকে অল্প পরিমাণে নিয়ে পিড়ার উপর হালকা করে ডলতে থাকি।
তারপর আমি একটি বেল্লা দিয়ে আটাটিকে একটি পিঠায় পরিণত করে নেই।
তারপর সে গুলোকে পরিমাণমতো গ্লাস দিয়ে কেটে নেই।
তারপর সেই গোল গোল কাটা অংশে পরিমাণমতো ভাজি দিয়ে হালকা করে মুড়িয়ে নেই।
এভাবে সব গুলো সম্পন্ন করেন এই।
তারপর একটি কড়াই চুলায় বসিয়ে সেখানে সামান্য তেল দিয়ে দেই।
আর তেল গরম হলে তৈরি করা পিঠা গুলো টেনে দিয়ে ভাজতে থাকি।
এভাবে সম্পূর্ণ পিঠাগুলো ভেজে একটি থালাতে রেখে দেই। আর এভাবেই সম্পূর্ণ হয়ে যায় আবার আরেকটি রেসিপি।
ধন্যবাদ সবাইকে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য। আমার কালকে দেখা হবে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে। ততক্ষণ পর্যন্ত সবাই সুস্থ থাকুন এই কামনাই করি।
ওয়াও অনেক সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করেছেন ভাইয়া। এই পিঠাটি আমার সবচেয়ে প্রিয় কারন আমি আমার নানুবাড়ি গেলে এই পিঠাটি সব সময় খেয়ে থাকি। আর এই পিঠা ডিম দিয়ে তৈরি করলে খেতে আরও অনেক সুস্বাদু হয়। সত্যিই অনেক সুন্দর একটি রেসিপি ছিল। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এরকম সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সকলের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আমার পক্ষ থেকে আপনার প্রতি অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল
এই পিঠাকে আমাদের এলাকায় ঝালপুলি বলে। আসলে কিছু কিছু পিঠা আমার অনেক পছন্দের এর মধ্যে ঝালপুলি পিঠা অন্যতম। আপনি খুব সুন্দর ভাবে পিঠা তৈরির কৌশল আমাদের সাথে বর্ণনা করেছেন। খুবই ভালো লাগছে আপনার অসাধারণ উপস্থাপনা।
ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
আপনার পিঠা রেসিপি দেখে তো জিভে জল চলে এসেছে। ঝাল ঝাল কথা শুনে আরো বেশি ভালো লেগেছে। ঝাল পিঠা খেতে কেমন লাগে খেয়ে দেখা খুবই প্রয়োজন। আমি আপনার এই রেসিপিটি বাসায় বানানোর চেষ্টা করব। শুভকামনা রইল আপনার জন্য। এমন মজাদার রেসিপি আপনার কাছ থেকে সব সময় আশা করি। খেতে না পারলেও দেখতে তো পারবো।
ট্রাই করতে পারেন খেতে অনেক মজা লাগে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য
ভাই এই পিঠাটি আপনার নিজস্ব উদ্ভাবন নাকি আপনাদের এলাকায় এ ধরনের পিঠার প্রচলন আছে। আমরা এপিঠা গুলোকে পুলিপিঠা বলি। এর মধ্যে সাধারণত নারকেল বা হালুয়ার পুর ব্যবহার করা হয়। নতুন এই রেসিপিটি ভালোই লাগলো। শুভেচ্ছা রইলো আপনার জন্য
খুবই সুন্দর ভাবে আপনি আমাদের মাঝে ঝাল ঝাল পিঠা তৈরির পদ্ধতি শেয়ার করেছেন ভাইয়া। আপনার রেসিপিটি ছবিগুলো দেখে মনে হচ্ছে আপনার তৈরি করা এই পিঠাটি খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। ব্যক্তিগতভাবে পিঠা আমার কাছে অনেক ভালো লাগে তাই আপনার এই পোস্টটি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া এমন সুন্দর একটি পিঠা তৈরির রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনার পিঠার রেসিপি দেখে খেতে ইচ্ছা জাগছে। কিন্তু কিছু করার নেই খেতে তো আর পারবো না ।দেখে মনে হচ্ছে খুবই লোভনীয় হয়েছে পিঠাগুলো ।সুন্দরভাবে উপস্থাপন মাধ্যমে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ঝাল ঝাল শুনলে কেন জানি মনে হয় সব খাবারই ভালো লাগবে। কারণ আমি ঝাল খেতে খুবই পছন্দ করি। আপনার এই ঝাল ঝাল পিঠার কথা শুনে আমারও ঝাল ঝাল পিঠা খাওয়ার লোভ ধরে গেল। তার মধ্যে আপনার পিঠাগুলো মনে হয় আমাকে ডাকছে, এই আমাকে একটু খেয়ে যাও। কি আর করার ভাইয়া, ঝাল ঝাল পিঠা গুলোকে চোখ দিয়ে দেখেই সান্তনা নিতে হবে খাবার মতো কোনো পরিস্থিতি নেই। যদি সেরকম কোনো পরিস্থিতি থাকতো তাহলে অবশ্যই আপনার বাসায় যেচে গিয়ে এই পিঠা রেসিপির স্বাদ গ্রহণ করে আসতাম। অবশেষে বলতে চাই, এত সুন্দর একটি ঝাল ঝাল পিঠা রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য এবং এই পিঠা তৈরীর প্রত্যেকটি ধাপ আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ঝাল ঝাল এই পিঠাগুলো আমার অনেক পছন্দের। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
খুব সুন্দর করে আপনি ঝাল ঝাল পিঠা তৈরি করেছেন এ পিঠা আমি কখনো খাইনি। ঝাল ঝাল করে বানিয়েছেন খেতে মনে হয় ভালোই হয়েছে আর মাংস দিলেতো কথাই নেই। খুব সুন্দর করে নতুন একটি পিঠা রেসিপি শেয়ার করেছেন ভালো লাগলো অনেক।
রাতের বেলা মাংস দিয়ে তৈরি করার সময় ছিল না। তেকন সময় তৈরি করার জন্য এই পদ্ধতিটি। ধন্যবাদ আপনাকে
পিঠা গুলা তো দারুন মজার হয়েছে ভাই। আমি দূর থেকেই চেখে বলতে পারব পিঠা গুলো চমৎকার বানিয়েছেন। এমন ঝাল পিঠা খেতে আমার খুবই ভালো লাগে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল এবং অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এত গুছিয়ে পিঠার রেসিপি টি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
সুন্দর ও গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
এই পিঠাগুলো আমরা ঝাল-মিষ্টি দুইভাবে খেয়ে থাকি অবশ্যই দুইটা দুই রকম স্বাদ এর হবে। আপনার বানানোর রেসিপি টা আমার কখনো ট্রাই করা হয়নি। আপনি খুব সুন্দর ভাবে আপনার পিঠা বানানো রেসিপিটা আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আপনার রেসিপি দেখে এভাবে বানিয়ে খাওয়ার জন্য চেষ্টা করবো। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।শুভকামনা রইল।
তাড়াতাড়ি বানিয়ে খান ভাইয়া। খেতে অসম্ভব ভালো লাগে এটি। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ