পরিটার পৃথিবীতে আগমন
পরিটার পৃথিবীতে আগমন
২০১৭ সাল জানুয়ারির ১ তারিখ রাত ৮ টা কি নয়টা সিজারে নেয়া হল রজনীকে (ছোট ভাইয়ের বউ) কে।ওর বাবা মা এবং ছোট ভাই ওটি রুমের বাহিরে বসে অপেক্ষা করতেছিলো।আর আমরা এদিকে বাসায় বসে পরিটার আগমনের খবর শোনার জন্য অধির আগ্রহে অপেক্ষা করতেছি।
কারন ভাই চাকরির সুবাদে আমাদের থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরে থাকে তাই অগ্যতা দূরে বসেই অপেক্ষা করতে হচ্ছে পরিটার আগমনের।
রজনীকে যখন ওটিতে নেয়া হল তখন ভাই তো আম্মু কে ফোন দিয়ে সে কি কান্না।আম্মু নামাযে বসে রজনীর (ভাই বউ) জন্য দোয়া করলো।রজনীকে ওটিতে ঢোকার পরেই আম্মু নামাযে বসছে আর উঠেছে পরিটার সুস্থভাবে পৃথিবীতে আগমনের সংবাদ শুনে।
এটা পরিটা পৃথিবীতে আগমনের ১ ঘন্টা পরের ছবি
আবদুল্লাহ (ছোট ভাই) যখন বল্ল আমাদের নতুন পরিবারের সদস্য আমাদের ছোট্ট পরি এসেছে এবং মা মেয়ে দুইজনি সুস্থ আছে আলহামদুলিল্লাহ এটা শোনার পরে তো আমাদের খুশি দেখে কে।
এটা দ্বিতীয় দিনের ছবি
আমরা প্লাস রজনীদের বাসায় আমরা সবাই চেয়েছিলাম আমাদের ঘরে ছোট্ট একটা পরি আসুক।আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ আমাদের দোয়া কবুল করেছেন।আমরা সবাই এত্ত এত্ত বেশি খুশি হয়েছিলাম যে বলার বাইরে বিশেষকরে আমি।
কারন আমি সবসময় একটা বোন চাইতাম বাট আমার পরে ছোট দুই ভাই হয়। তাই রজনীর প্রেগন্যান্ট এর পর থেকেই আমি সবসময় মন থেকে চাইতাম আমার ভাজতি হোক।
আর আল্লাহ এবার আমার ডাক শুনেছেও আলহামদুলিল্লাহ।আমি যে কি খুশি হয়েছি বলে বোঝাতে পারবোনা।
এটা তৃতীয় দিনের ছবি
এরপরে আবদুল্লাহ যখন বাবুর ছবি দিলো ঠিক যেনো ছোট্ট একটা সাদা পরি মাশ আল্লাহ একদম স্নোগার্ল এর মত লাগছিলো ময়নাটাকে।প্রথমে যে ছবিটা দিয়েছি সেটা।
এরপরে বাবুকে দেখতে আমি আব্বু-আম্মু সবাই গেলাম তখন বাবুর বয়ষ তিন মাস।তখন একটু একটু বাবা ডাকে বুড়িটা।আসোলে ওর মুখ পাতলা ছিলো অনেক তাই অল্পতেই কথা বলা শিকে যায়।১৫-১৬ মাস বয়সে স্পষ্ট ভাসায় কথা বলতে পারতো বুড়িটা।বাট আমার আবার বাচ্চাদের ভাংগা ভাংগা কথা শুনতে বেশ ভালো লাগতো বাট সে আশায় আমার পানি।খুবি অল্প কয়েক মাস শোনার সৌভাগ্য হয়েছিলো তাও আবার তেমন ভাংগা কথা না।২ বছর বয়ষে তো এক ফোটাও ভাংগা কথা বলতোনা পাকনিটা আমার।
এটা তিন মাস বয়সের ছবি
তিন মাস বয়সে ওকে প্রথম দেখে এই ড্রেসগুলো আর চুরি দিয়েছিলাম আমার জীবনের প্রথম ইনকাম দিয়ে
ওহ পাকনি বললাম কেনো?
পাকনিটা আবার ছোট বেলা থেকেই আমার আব্বুর মত একটু বেশি চালাক তাই আদর করে তারে পাকনি ডাকি জন্য সেও আমাকে পাকনি পিপ্পি ডাকে এবার বুঝেন আমার অবস্থা কেন পাকনি ডাকি।
এটা ৪-৫ মাস বয়সের
ছয় মাস বয়সের পিক
এটা মেয়বি ৭-৮ মাস বয়সের পিক
##তার হাটার ক্ষুদ্র প্রয়াস
যাই হোক সে হচ্ছে আমাদের দুই পরিবারের মধ্যমণি। কারন রজনীদের বাসার প্লাস আমাদের বাসার প্রথম বসংসধর সে।তাই তাহার ডিমান্ড টা একটু বেশি ওনাকে কি ঝাড়ি দিবেন উনি উল্টো আমাদের ঝাড়ি দেয় এই হল অবস্থা।
ধরেন ওনার নানুবাড়িতে থাকলে ওনার নানু একটু কিছু বললে বলবে আমি কিন্তু দাদুবাড়ি চলে যাবো আবার আমাদের এখানে থাকলে কিছু বললে বলবে আমি কিন্তু নানুবাড়ি চলে যাবো।এই হল অবস্থা হা হা হা
মানে ভয় দেখায় আর কি আমাদের হি হি হি
বাট আমাদের সবার চোখের মধ্যমণি ও।
সবাই আমাদের পরিটার জন্য দোয়া করবেন আল্লাহ যেনো তাকে নেক হায়াত দান করেন আমিন।
##এটা এক বছর বয়সের ছবি তখন প্রথম দাদুবাড়িতে আসে ও
বাবুটা অনেক কিউট মাশাল্লাহ।
জি অসংখ্য ধন্যবাদ
বাবুটি দেখতে খুবই সুন্দর খুবই সুইট কিউট মিষ্টি মিষ্টি চেহারা বাবুটির জন্য দোয়া রইল সৃষ্টিকর্তা যেন তাকে অনেক বড় করে সৃষ্টিকর্তা যেন তাকে সবসময় সুস্থ সবল রাখে
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যর জন্য
পোস্টটি পড়লাম আসলেই অনেক সুন্দর এবং গুছিয়ে লিখেছেন এবং সেইসাথে ভালো লাগলো ছয় মাসের পর্যন্ত ছবিগুলো আপনি ধারাবাহিকভাবে দিয়েছেন আসলেই অসাধারণ। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যর জন্য
পরিবারে নতুন সদস্য আসলে বা আসার কথা শুনলে আসলেই অনেক ভালো লাগে, আর এই ভালো লাগা বেশি পূর্ণতা পায় যখন নতুন অতিথি সহ নতুন অতিথির মা সুস্থ থাকে।
জি পরিটা এখন অনেক বড় হয়ে গেছে আলহামদুলিল্লাহ।দোয়া রাখবেন ওর জন্য।
অনেক সুন্দর ভাবে আপনি আপনার এই পোষ্টটি সাজিয়েছেন আপু; এমন স্মৃতি সত্যই মনের মধ্যে দোলা সৃষ্টি করে।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া