এসএসসি ব্যাচ২০২৪ এর বিদায় অনুষ্ঠান
হ্যালো আসসালামু আলাইকুম আমার সকল স্টিমিট বন্ধুগণ আশা করি আপনারা সকলে ভালো আছেন। আপনাদের দোয়ায় আমিও বেশ ভালো আছি। তবে চলুন আজকের লেখা পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক......
আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি আমাদের স্কুলের বিদায় অনুষ্ঠান বিষয়ক একটি পোস্ট। সকাল থেকে অনেক ব্যস্ত সময় পার করছি। সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে বাড়িতে বসে ছিলাম। তখন আমার একটি বন্ধু আমাকে ফোন দিয়ে বলল ছবি তুলতে যেতে হবে। তখন আমি আমার ক্যামেরা ও বাইক নিয়ে বন্ধুর বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। বন্ধুর বাড়ি থেকে বন্ধুকে নিয়ে দুজন ছবি ওঠানোর জন্য একটা সুন্দর জায়গায় গিয়েছিলাম। সেখান থেকে বন্ধুর অনেকগুলো ছবি উঠিয়ে দিয়েছিলাম। ছবি উঠানো শেষ হলে আবারো বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। বাড়ি ফেরার সময় বন্ধুর বাড়িতে বন্ধুকে নামিয়ে আমি বাড়ি চলে এসেছিলাম। বাড়ি আসতে আসতে যোহরের আযান দিয়ে দিয়েছিল। তাই বাড়িতে এসে তখন নামাজের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। নামাজ থেকে এসে শরীর দুর্বল লাগছিল তাই কিছুক্ষণ ঘুমিয়ে নিয়েছিলাম। ঘুম থেকে উঠে দেখি আসর এর নামাজের সময় হয়ে গেছে। তাই ফ্রেশ হয়ে নামাজের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। নামাজ থেকে এসে আমি আর আমার কাকা দুজনে মিলে বাইক নিয়ে একটু ঘুরাঘুরি করেছিলাম। তারপর ইফতারের জন্য মসজিদে গিয়েছিলাম। মসজিদ থেকে ইফতারি ও নামাজ পড়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। বাড়িতে এসে কুষ্টিয়াতে যাওয়ার জন্য রেডি হয়েছিলাম। তারপর আমার দুইটা ছোট ভাইকে বললাম বাইক নিয়ে আমাকে বাজারে রেখে আসতে। তখন তারা আমাকে বাজারে রেখে গিয়েছিল। বাজারে এসে কুষ্টিয়াতে যাওয়ার জন্য বাসের জন্য কিছুক্ষণ অপেক্ষা করেছিলাম। কিছুক্ষণ পরেই বাস চলে আসলো। তখন বাসে করে আমি কুষ্টিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। কুষ্টিয়াতে পৌঁছানোর পর বাস থেকে নেমে আমি আর খালাদের বাসায় রওনা দিয়েছিলাম। তারপর খালাদের বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে আপনাদের মাঝে পোস্ট লেখার জন্য বসে গেলাম।
আপনারা উপরের দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি সুন্দরভাবে অনেকগুলো ফুলের ছবি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আসলে এই ফুলগুলো আমাদের বিদায়ী ছাত্র-ছাত্রীদের দেওয়ার জন্য আমাদের স্যার এনেছিল। সকলের হাতে একটি করে ফুলের গুচ্ছ দেওয়া হয়েছিল। আসলেই ফুল গুলো অনেক সুন্দর ছিল। এই ফুলের গুচ্ছের মধ্য ছিল একটি সাদা গোলাপ, একটি লাল গোলাপ ও দুইটি করে স্টিক। এগুলো দেখতে আসলে অনেক সুন্দর লেগেছিল। শিক্ষকরা ভালোবেসে বিদায় ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে ফুলের গুচ্ছ গুলো তুলে দিয়েছিল। এবং আমাদের জন্য দোয়া করেছিল যাতে আমরা এসএসসি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জন করতে পারি। এবং স্কুলের নাম উজ্জ্বল করতে পারি।
আপনার ওপরে দিকে লক্ষ্য করলে আবারও দেখতে পারবেন আমি আপনাদের মাঝে সুন্দরভাবে তিনটি ছবি উপস্থাপন করেছি। সর্বপ্রথম ছবিটিতে দেখতে পারবেন অনুষ্ঠান শেষে খাওয়া-দাওয়া জন্য আমরা একটি রুমে বসে গিয়েছিলাম। তখন আমাদের একটি প্রিয় স্যার সবার সামনে অল টাইম প্লেট দিয়ে দিয়েছিল। এবং অন্য একটি স্যার সবাইকে একবাটি করে মাংস দিয়েছিল। এবং আরো একটি স্যার সবার প্লেটে ভাত দিয়ে বেড়াতে ছিল। আসলে আমাদের স্যারগুলো তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করেছিল। স্যার রা তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছিল যাতে কোন শিক্ষার্থীর অসুবিধা না হয়। আবারো দ্বিতীয় ছবিটিতে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন একটি প্লেটে ভাত ,মাংস ও একটি করে ডিম ছিল। এগুলো খেতে আসলে অনেক সুস্বাদু হয়েছি। তৃপ্তি করে সকল শিক্ষার্থী খেয়েছিল। আপনার আবারো তৃতীয় ছবিটিতে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন খাওয়া-দাওয়ার মাঝে একটি সেলফি। খাওয়া দাওয়ার মাঝখানে আমার বন্ধু আমার ফোন নিয়ে একটি সেলফি তুলেছিল। সেলফি টি আসলে অনেক সুন্দর হয়েছিল। তার থেকে বড় কথা বন্ধুরা সকলে মিলে একসাথে খাওয়া দাওয়া করার মজাই আলাদা। এমন মনে হয় সময় জীবনে আর নাম পেতে পারি।
অনুষ্ঠান শেষে বাড়িতে আসার সময় আমি আমার বন্ধুদের বলেছিলাম চল সবাই মিলে একটি সেলফি তুলি। তখন আমার বন্ধু আমার ফোন দিয়ে একটি সেলফি তুলে ছিল। এই ছবিটি দেখলে আমার স্কুল জীবনের কথা, বন্ধুদের সাথে কাটানো সময় গুলো আবার মনে পড়ে যায়। মনে হয় আবার যদি পিছনে হারিয়ে যাওয়া সময় গুলো আবার ফিরিয়ে পেতাম। এভাবেই আমাদের স্কুল জীবন শেষ হয়ে গেল।
আপনার লেখা পোস্টটি পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। আর সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে আপনার শিক্ষকরা আপনাদের অর্থাৎ বিদায় সকল ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে একটি করে ফুলের স্টিক হাতে তুলে দিয়েছি এটা জানতে পেরে। আমি আশা করি আপনাদের ব্যাচের সকল এসএসসি পরীক্ষার্থীরাই চমৎকার রেজাল্ট উপহার দিতে সক্ষম হবে।
আপনি ঠিকই বলেছেন ভাইয়া শিক্ষকরা যখন আমাদের হাতে ফুল তুলে দিয়েছিল তখন আমাদের মনের ভেতর বেশ একটি ভালো লাগা কাজ করতে ছিল। ইনশাল্লাহ আমরা পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করে শিক্ষকদের মুখ উজ্জ্বল করতে পারব। আপনার মূল্যবান মতামত দেয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
এসএসসি পরীক্ষার্থী ব্যাচ-২০২৪এর বিদায় নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। পরীক্ষায় আপনাদের সাফল্য কামনা করছি। আশাকরি আপনারা স্কুলের মান রাখতে পারবেন। পোস্টের ছবি গুলো সুন্দর হয়েছে। পোস্টটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ইনশাল্লাহ আপু আমরা আমাদের স্কুলের মান রাখতে পারব। এবং পরীক্ষায় ভালো ফলাফলও করতে পারবো। আর আমার মতামত কমেন্ট বক্সে দেয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
স্কুল থেকে বিদায় নেবার দিন অনেক সুন্দর আয়োজন করেছিলেন মনে হয়। আমরাও যেই দিন বিদায় নিয়ে ছিলাম এরকম সুন্দর আয়োজন করেছিলাম। তবে আপনারা এসএসসি পরীক্ষার্থীর ব্যাচ ২০২৪ এর বিদায় অনুষ্ঠান আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। তবে এই ধরনের অনুষ্ঠানগুলো এভাবে ছবি তুলে রাখলে পরবর্তীতে দেখতে খুবই ভালো লাগে সেই পুরনো স্মৃতিগুলো মনে পড়ে যায়। আপনার পোস্ট দেখেও পড়ে খুবই ভালো লাগলো ধন্যবাদ।
জি আপু স্কুল থেকে বিদায় নেওয়ার দিন অনেক সুন্দর হবে আয়োজন করেছিলাম। আর ঠিকই বলেছেন যে ছবিগুলো পরবর্তী সময়ে অনেক মনে পড়বে।
আর আপনার মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার এই বিদায় অনুষ্ঠানের পোস্টটি দেখে আমারও সেই স্কুল জীবনের কথা মনে পড়ে গেল। যদিও বা স্কুলে আমি অতটা নিয়মিত ছিলাম না কিন্তু তারপরেও কেন জানি সেই সময়টা খুবই টানে। যাইহোক আপনাদের বিদায় অনুষ্ঠানের কাটানো মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আর হ্যাঁ এটা ঠিক বলেছেন স্যাররা আমাদেরকে ভালোবাসে বলেই হয়তো আমাদেরকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেয় আবার ফুল দিয়ে বিদায় জানিয়ে দেয়। যাই হোক আপনারা যেন পরীক্ষাতে ভালো রেজাল্ট করতে পারেন সেই দোয়াই করি ধন্যবাদ।
ইনশাল্লাহ ভাইয়া পরীক্ষায় ভালো একটি ফলাফল অর্জন করতে পারবো। কমেন্ট বক্সে আপনার মতামত দেয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
স্কুল জীবনের সেই দিন তুমি আজকে আমাদের মাঝে বেশ দারুন ভাবে শেয়ার করেছো। বিদায় অনুষ্ঠানের দিন তোমাদের স্যার তোমাদেরকে সকলের হাতে একটি করে ভুলের গোস্ত দিয়েছিল জানতে পেরে বেশ ভালো লাগলো। তবে স্কুল থেকে বিদায় নেওয়ার অনুভূতিটা সত্যি প্রত্যেকের বেশ বেদনাদায়ক। আমি মনে করি স্কুল লাইফের মত মজার সময় আর কখনো পার করতে পারবা না। স্কুল লাইফের মত ঘনিষ্ঠ বন্ধুবান্ধব কলেজ লাইফে কখনোই তৈরি করতে পারে না কেউ। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট লিখে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছ কাকা স্কুল লাইফের মত মজার সময় আর কখনো পাওয়া যায় না। আর স্কুল লাইফের মত বন্ধু-বান্ধব কলেজ লাইনের কখনো তৈরি হয় না। স্কুল লাইফে বন্ধুদের সাথে কাটানো দিনগুলোর কথা পরবর্তী সময়ে অনেক মনে পড়ে। আর অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার মতামতটি শেয়ার করার জন্য।
বিদায় অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে সুন্দর আয়োজন করা হয়ে থাকে। আর ছাত্র-ছাত্রীদের মঙ্গল কামনা করে বিদায় দেওয়া হয় প্রত্যেকটা বিদ্যালয় থেকে। ঠিক সেই সুন্দর অনুভূতি আজকে আপনি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন ২০২৪ সালের ব্যাচের। আর এই দেখে বেশ ভালো লাগলো, অতীতের স্মৃতিগুলো ভেসে আসলো মনে।
আপনি ঠিকই বলেছেন ভাইয়া বিদায় অনুষ্ঠান কেন্দ্র করে এই আয়োজন করা হয়েছিল। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার মূল্যবান মতাম শেয়ার করার জন্য।