ঐতিহাসিক মুজিবনগর ভ্রমণ
হ্যালো আসসালামু আলাইকুম আমার সকল স্টিমিট বন্ধুগণ আশা করি আপনারা সকলে ভালো আছেন। আপনাদের দোয়ায় আমিও বেশ ভালো আছি। তবে চলুন আজকের লেখা পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক......
আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি ঐতিহাসিক মুজিবনগর ভ্রমণ মূলক একটি পোস্ট।আজ সকাল থেকেই কিছুটা ব্যস্ত সময় পার করছি। সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে সকালে নাস্তা করে আব্বুকে অফিসে রেখে আসার জন্য বাইক নিয়ে আমি আর আব্বু অফিসে রওনা দিয়েছিলাম। আব্বুকে অফিসে রেখে আসার সময় হঠাৎ বন্ধুদের সাথে দেখা হয়ে গিয়েছিল। তখন বন্ধুদের সাথে অনেকক্ষণ আড্ডা দিয়েছিলাম। তারপর বন্ধুদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। বাড়িতে এসে কিছুক্ষণ রুমে বসে ছিলাম। তখনই হঠাৎ করে বিদ্যুৎ চলে গিয়েছিল। আমাদের মেহেরপুর জেলায় তাপমাত্রা ছিল আজ ৩৯°সেলসিয়াস। অতিরিক্ত গরম ও বিদ্যুৎ না থাকার কারণে বাড়িতে থাকা কষ্টকর হয়ে পড়েছিল। তাই কিছুটা স্বস্তির জন্য বাগানের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। বাগানে যেয়ে দেখি অনেকটা ঠান্ডা হাওয়া বইতেছিল। বাগানে কিছুটা সময় পার করে আবার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। বাড়িতে এসে গোসল করে দুপুরের খাবার খেয়ে কিছুক্ষণ বসে ছিলাম। তখন আম্মু বলল রান্নার জন্য বাজার করে আনতে। তখন আমি বাইক নিয়ে আবারো বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। বাজারে যাওয়ার সময় গরমে অবস্থা প্রায় খারাপ হয়ে গিয়েছিল। তারপর বাজার থেকে কেনাকাটা করে আবারো বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। তারপর বাড়িতে গিয়ে রাতের খাবার শেষ করে আপনাদের মাঝে পোস্ট লেখার জন্য বসে গেলাম।তবে চলুন আজকের পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক
আপনারা উপরের দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি আপনাদের মাঝে সুন্দর ভাবে দুটি ছবি শেয়ার করেছি।বাংলাদেশের সব থেকে বড় মানচিত্র আমাদের মুজিবনগরে অবস্থিত। এই দুটি ছবির মাধ্যমে আমি মানচিত্রটি তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। যুদ্ধ চলাকালীন যে ১১ টি সেক্টরে বাংলাদেশকে ভাগ করা হয়েছিল সেই সেক্টর গুলোর অবস্থান এই মানচিত্রের তুলে ধরা হয়েছে। বাংলাদেশের সর্বপ্রথম অস্থায়ী রাজধানী ছিল মুজিবনগর বা বৈদ্যনাথ তলা। প্রতিবছরই ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর দিবস পালন করা হয়। মেহেরপুরের অন্যতম বিখ্যাত জায়গার নাম মুজিবনগর বা বৈদ্যনাথ তলা। আপনার উপরে ছবিটিতে যেই দৃশ্য গুলো দেখতে পারছেন এগুলো সবই যুদ্ধ চলাকালীন ঘটনার দৃশ্য তুলে ধরা হয়েছে। বাংলাদেশের ১১ টি সেক্টর কোথায় কোন জায়গায় অবস্থিত সেগুলো তুলে ধরা হয়েছে।
আপনারা উপরের দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি আবারও সুন্দরভাবে দুটি ছবি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। প্রথম ছবিটি হল কুষ্টিয়াতে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানবাহিনী ও মুক্তিবাহিনীর যুদ্ধ। এই ছবিটি দ্বারা মুক্তিযুদ্ধে ঘটে যাওয়া কিছু দৃশ্য তুলে ধরা হয়েছে। দ্বিতীয় ছবিটিতে দেখতে পারবেন বেনাপুল বনগাঁ সীমান্ত দিয়ে শরণার্থীদের ভারত গমন। পূর্ব পাকিস্তান ও পশ্চিম পাকিস্তান যুদ্ধ চলাকালীন পূর্ব পাকিস্তানের মানুষ জীবন বাঁচানোর জন্য বেনাপুল বনগাঁ সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছিল। দ্বিতীয় ছবি দ্বারা এই দৃশ্যটি তুলে ধরা হয়েছে।
আপনারা আবার উপরের দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি সুন্দরভাবে আপনাদের মাঝে দুটি ছবি শেয়ার করেছি। প্রথম ছবিটিতে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন গোল জায়গাটির ভেতর পানির ঝরনা আছে। এই জায়গাটি সকল মুজিব নগরে ঘুরতে আসা পর্যটককে মুগ্ধ করে তোলে। আমার এই জায়গাটি অনেকটা ভালো লাগে তাই এই ছবিটি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আপনারা দ্বিতীয় ছবিটির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন পাকিস্তান হানাদার বাহিনী বাঙালির উপর নির্মম অত্যাচারের ও হত্যার একটি দৃশ্য ।
আপনারা আবার ও উপরের ছবিটির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন বাংলাদেশের শেষ সীমানার একটি দৃশ্য। মুজিবনগর এ যখন আমরা ঘুরতে গিয়েছিলাম তখন আমার কাকা আমাকে বলল চল দুজনে মিলে বাংলাদেশের শেষ সীমানা থেকে ঘুরে আসি। তখন আমি আর আমার কাকা দুজনে মিলে মুজিবনগর বর্ডারের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে দেখি দুইজন বিজিবি সদস্য বসে আছে। তখন বিজিবি সদস্য দুজন আমাদেরকে সাবধান করে বলল বাঁশের রেলিংয়ের ওই পাশে যাওয়া যাবে না। তখন আমি আর আমার কাকা দুজনে একটু ঘোরাঘুরি করে আবারো বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। আশা করি আজকের পোস্ট আপনাদের ভালো লাগবে। পোস্টটি ভাল লাগলে অবশ্যই আপনার মতামত কমেন্ট বক্সে জানাবেন।
সেই চার বছর আগে একবার মুজিবনগর গিয়েছিলাম তারপরে আর যাওয়া হয়নি। ওয়াও মুজিবনগর এত পরিবর্তন হয়েছে ! ব্যাপারটা বেশ দারুণ , আর আপনার পোষ্টের মাধ্যমে মুজিবনগর টা দেখার সুযোগ পেয়ে গেলাম । আপনি কে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার ট্রাভেল পোস্ট টা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ঐতিহাসিক মুজিবনগর দুইবার যাওয়া হয়েছে। আসলে মুক্তিযুদ্ধো কালীন সময়ে যে সকল স্মৃতি বিজড়িত ঘটনা রয়েছে সেগুলো খুব সুন্দর করে সেখানে তৈরি করে রাখা আছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের বিভিন্ন সেক্টরের দৃশ্য পটভূমি সেখানে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে । আপনার কাটানো মুহূর্ত দেখতে পেয়ে ভালই লাগলো । আমাদের সাথে সেই সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
মুজিবনগর ভ্রমণের বেশ কিছু চিত্র আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন দেখে অনেক ভালো লেগেছে। যদিও স্থানটা আমাদের নিজ জেলার মধ্যে অবস্থিত তারপরেও খুব কম যাওয়া হয় সেখানে। আর প্রতিবছর স্থানটা নতুন রূপে কৃত্রিম ভাবে সাজানো হচ্ছে। দেখতে অনেক ভালো লাগে। আর সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় এর মধ্যে তৈরি করা দেশের মানচিত্র ও একাত্তরের চিত্রগুলি।