ইদের খাওয়া দাওয়া (১০% লাজুক খ্যাঁক, ৫% এবিবি স্কুল ও ৫% এবিবি চ্যারিটি
আসসালামু আলাইকুম,
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগ বাসি।
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। গত দু'দিন ধরে ঢাকায় আছি অফিসিয়াল একটা মিটিং এর কাজে। মিটিং এর বিষয় নিয়ে আরেকদিন পোস্ট দিব। আজকে যে বিষয়টা নিয়ে পোস্ট দিতে আসলাম, সেটা হচ্ছে এবারের ঈদে কি খাওয়া-দাওয়া করলাম বিভিন্ন জায়গায়, সে খাওয়া-দাওয়ার অভিজ্ঞতাটা সবার সাথে শেয়ার করার উদ্দেশ্যেই আজকের এই পোস্ট করা। এবারের ঈদে বেশ কিছু জায়গায় যাওয়ার সুযোগ হয়েছে। এবারে আমরা ঈদ করেছি আমাদের গ্রামের বাড়িতে। আর ঈদ উপলক্ষে শ্বশুরবাড়িও যাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আমার দাদার ছোট ভাই যিনি চন্দনাইশে বাড়ি করেছেন, আমরা সেখানে গিয়েছি। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি এবং বিভিন্ন জায়গায় যে খাওয়া-দাওয়া গুলো হয়েছে সেটার ওপর ভিত্তি করে আজকের এই পোষ্ট।
মূলত নামাজ পড়তে যাওয়ার আগে হালকা করে লাচ্ছি সেলাই বাসা থেকে খেয়ে গেছিলাম। সেটার ছবি আসলে তোলা হয় নাই। নামাজ পড়ে এসে বাসায় আবার খেয়েছি সেটাও কোন ছবি তুলি নাই। এখন যে ছবিটা দেখতে পারছেন এটা মূলত আমার জেটার বাসায় যাওয়ার পরে খেলাম। বাসা থেকে বিরানি খেয়ে যাওয়াতে ওখানে আসলে আর বিরানি খাওয়া হয়নি। জেটার বাসায়ও বিরানী রান্না হয়েছিল।
এই পিঠাকে আপনাদের এলাকায় কি নামে ডাকা হয় একটু কমেন্ট করে সবাই জানাবেন বা খাঁটি বাংলায় কি নাম বলে সেটাও আসলে আমার জানা নেই কিন্তু আমাদের এলাকায় এটাকে গুরা পিঠা বলে । গুরা মানে ছোট পিঠা। এটা মূলত ময়দাকে লম্বা করে পিস পিস করে ওই যে চুটকি পিঠা থেকে একটু বড় বড় করে করা হয়।
ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন এটা লাচ্ছি সেমাই। এটা আমার শশুর বাড়িতে যখন আমি ঈদের পরের দিন গেলাম ওখানে আমাকে আসলে এটা দেয়া হয়েছিল, তবে আরো কিছু খাবার আমাকে দিছিল আমি দিচ্ছি আপনাদের কে
শশুর বাড়ির পাশেই আমার ফুফুর বাড়ি আছে। সেখানে সবাই যাওয়ার পরে বিভিন্ন ধরনের নাস্তা দিয়েছিল। তার মধ্যে এই দুইটা নাস্তা আমি একটু একটু করে খাওয়ার সুযোগ হয়েছে। এখানে একটাতে হচ্ছে হালিম আরেকটা এটা বলতে পারেন ঝাল পিঠা।
এ চমুচা গুলো চন্দনাইশ যখন বেড়াতে গেলাম সেখানে চাচার বাসায় দিল। সাথে আরো অনেক রকমের নাস্তা ছিলো বাকিগুলো ছবি তোলার খেয়াল ছিল না।
চন্দনাইশে আরেক চাচার বাসায় দুপুরে খাবারের দাওয়াত ছিল। সেখানে পুকুরের মাছ এবং মুরগির মাংস দেওয়া হল আমাদেরকে খাওয়ার জন্য।
এই নাস্তার আমার তেমন একটা ভালো লাগে না তারপরও যেহেতু খাওয়ার জন্য দেয়া হয়েছিল তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ছবি তুলেছিলাম। এটা আমাদের এলাকায় মিহিদানা বলে। আপনাদের এলাকায় কি নামে বলে বা অন্য কোন নাম আছে কি না, যদি থাকে সেটা কমেন্টে জানাবেন।
মোটামুটি তিন চার দিনের সফরে এই খাবারগুলো খাওয়ার সুযোগ হয়েছে। আপনারা কি খেলেন সেগুলো জানাবেন কমেন্টে বা কোন পোষ্টের মাধ্যমে। ধন্যবাদ সবাইকে এত কষ্ট করে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য।
আপনি লাস্টে যে ছবিটা শেয়ার করেছেন সেটাকে আমাদের এলাকায় বুন্দিয়া বলা হয়। এই খাবারটা আমার কাছে খুবই মজা লাগে। প্রচুর খাওয়া-দাওয়া হয়েছে ঈদের ছুটিতে বোঝা যাচ্ছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ। আপনার কমেন্ট দেখলে ভয় লাগে। কোন ভুল ধরলেন কিনা সেই টেনশনে থাকি।
ঈদ মানে ভাল ভাল খাবারের সমাহার। বিশেষ করে মানুষ ঈদে অন্তত ভিন্ন রকমের কিছু খাওয়া-দাওয়া তৈরি করে। আর আপনি খুব সুন্দর সুন্দর কিছু খাবার আমাদের সাথে তুলে ধরেছেন এ জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আপনার ঈদের খাওয়া-দাওয়ার মুহূর্ত টা দারুন ছিল ।এইরকম খাওয়া-দাওয়া উপভোগ করতে সবাই পছন্দ করে। যেটা আমাদের মাঝে সুন্দরভাবে শেয়ার করলেন ভালো লাগলো।
ভাই আপনার মতো আমিও সকালে লাচ্ছি খেয়েছিলাম। তবে আমাদের বাসার পাশেই রেস্টুরেন্টে। আপনার পোস্ট পড়ে খুব ভালো লাগলো আমার। দোয়া রইলো আপনার৷ জন্য।
ঈদের ছুটিতে আপনি খুবই খাওয়া-দাওয়া করেছেন। সেটা আপনার খাবারের ফটোগ্রাফি দেখে বোঝা যাচ্ছে। তবে ঈদ মানে আনন্দ ঈদ মানে আনন্দ ও খাওয়া-দাওয়া ধন্যবাদ আপনাকে এই মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য।
এতো গুলো লোভনীয় রেসিপির ছবি দেখে আমি যেন সব কিছু ভুলে খাবার গুলোর লোভে পড়ে গেলাম।ঈদ উপলক্ষে অনেক মজাদার খাবার গুলো টেষ্ট করেছেন। সুন্দর খাবার গুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
আসলে আমি চুটকি পিঠা গুলো চিনি কিন্তু এই পিঠাগুলো চুটকি পিঠা থেকে কিছুটা বড় ছিল। এইজন্য আমার সঠিক নাম জানা নেই এই পিঠাটি। শেষের খাবারটি আমাদের এখানে বুন্দিয়া বলা হয়। বেশ কয়েকটা দারুন দারুন খাবার দেখলাম। তার মানে বোঝা যাচ্ছে আপনি খাবারে অনেক ইনজয় করলেন। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
প্রথমের সে পিঠাটি দেখালেন সেটাকে আমাদের বাসায় গুড়া পিঠা বলে। আর নিচের যে ছবিটা দিলেন সেটাকে মিহিদানা বলে। সবগুলো খাবারই বেশ মজাদার।
আপনার বাড়ি চট্রগ্রাম নাকি?