উৎসবের ভ্রমণ কাহিনী প্রতিযোগিতা-১৭(১০% লাজুক খ্যাঁক, ৫% এবিবি-স্কুল ও ৫% এবিবি-চ্যারিটি এর জন্য)
আসসালামু আলাইকুম,
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগবাসী আশা করছি আল্লাহর রহমতে সকলে ভালো আছেন।
আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি।
আজকে মূলত চলে আসলাম উৎসবের ভ্রমণকাহিনী প্রতিযোগিতা-১৭ অংশগ্রহণের বিষয়ে সকলের সাথে কিছু কথা, অনুভূতি শেয়ার করতে। আমাদের বাঙ্গালীদের সারা বছরই কোনো না কোনো উৎসব চলতে থাকে। সেটা হোক ঈদ কিংবা কোরবান, পহেলা বৈশাখ, দূর্গা পূজা অথবা বড়দিন। সব রকম উৎসবে আমরা সবাই অনেক বেশি উপভোগ করি। আজকে চলে আসলাম ঠিক এমনই একটি কাহিনী নিয়ে। আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব এবারের ঈদে আমার ভ্রমণ-কাহিনী এবং বিভিন্ন জায়গার ফটোগ্রাফি।
মুসলিমদের জন্য ঈদ একটি অনেক বড় উৎসব। ইসলাম ধর্মের দুটি বড় উৎসব একটি রমজানের ঈদ আরেকটি কুরবান। দীর্ঘ একমাস সিয়াম সাধনার পর আমরা এই ঈদ অনেক আনন্দে সাথে পালন করি।
সেই ঈদের দিনের কিছু ঘটনা নিয়ে আজকের আয়োজন।
ঈদের দিন বিকালে ঘুড়তে গিয়েছিলাম আনোয়ারা উপজেলার দুধকুমড়া গ্রামের পারকির চর বীচে। এই সমুদ্র সৈকতের দৈর্ঘ্য ১৩ কিলোমিটার । এটা দেখতে অনেকটা কক্সবাজার বিচের মত। কক্সবাজারের মত বলেছি কিন্তু প্রতিদিন বিকালে অনেক মানুষ এখানে ভ্রমণে আসে। যারা কক্সবাজার আসতে পারছেন না, তারা কক্সবাজারে বিকল্প হিসেবে আনোয়ারা পারকির চর বীচ দেখতে পারেন। ১০০ পার্সেন্ট কক্সবাজারের অনুভূতি না পেলেও ৭০% অনুভূতি পাবেন। কক্সবাজার বিচে বালির পরিমাণ বেশি কিন্তু পারকির চর বীচ বালি থেকে কাদা বেশি। আর ঢেউর পরিমাণটা একটু কম যেটা সাধারণত কক্সবাজার বিচে বেশি দেখা যায়। পারকির চর বীচ এর পাশে রয়েছে একটি পার্ক রয়েছে। যে পার্কের নাম লুসাই পার্ক। আমি এই প্রথম এই পার্কে গেলাম। বেশ গোছানো এই পার্ক। যেহেতু ঈদের দিন ছিল এই পার্কটি বন্ধ ছিল যদিও ভিতরে ঢোকা যাচ্ছিল। পার্কের ভিতরে থাকা রেস্টুরেন্ট বন্ধ। ভিতরে একটি লেকের মত রয়েছে যেখানে চালানোর জন্য নৌকার ব্যবস্থা আছে। ঘন্টা হিসেবে নৌকাগুলো ভাড়া নেওয়া যায় আজকে বন্ধ ছিল আমরা চালানোর চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু পারিনি।
ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন, এটি পার্কের ভিতরের একটা রাস্তা। দুপাশে গাছ এক পাশে রয়েছে নারিকেল গাছ এবং অন্য পাশে রয়েছে আম গাছ। গাছের মাঝখানে এ রাস্তা দেখতে বেশ সুন্দর লাগে। যারা আগে গিয়েছেন তারা তো জানেন আর যারা যাননি কখনো আপনাদের যদি কখনো যাওয়ার সুযোগ হয় তাহলে অবশ্যই একটি ভিজিট করে আসবেন।
এটা একটা ফটোগ্রাফি করার জন্য আসলে তৈরি করা হয়েছিল। আমরা পার্ক থেকে যখন পারকি বিচ এ নামলাম দূর থেকে দেখলাম আমার ছোট ভাই এ পাথরগুলো একটার ওপর একটা বাসানো কাজে ব্যস্ত ছবি তোলার জন্য। সেটা দেখে আমারও দেখে ভালো লাগলো। তার ছবি তোলার পর আমিও একটা ছবি তুললাম এবং সেটা আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।
আগের কোন একটা পোস্টে আমি বলেছিলাম গ্রামে আমরা একটা বাড়ি করছি। আমাদের যেহেতু বাড়ির কাজ এখনো শেষ হয় নাই আপাতত থাকার জন্য একটা টিনের বাড়ি করা হয়েছে পাশেই। আমার বাবা আমার বাচ্চাকে টিনের চালে তুলে দিয়েছে গাছ থেকে আম পাড়ার জন্য। আমার বাচ্চার প্রথম আসলে উঠতে চাই নাই সে ভয় পাচ্ছিল কারণ এর আগে কখনো উঠে নাই কিন্তু একবার উঠিয়ে দেওয়ার পর সে আর নামতে চায় না, সে বারবার বলছে আমি আম পারবো আরো পারব।
পার্কে ঢোকার মুখে দেখলাম কিছু বেড়া ওখানে ঘোরাঘুরি করছে। বুঝতে পারলাম এগুলো হয়তো বা পার্কে যারা থাকে তাদের। দেখতে ভালো লাগলো তাই দু'একটা ক্লিক মেরে দিলাম।
লুসাই পার্কে পাড় থেকে বেশ কিছু জায়গায় শিকড় থেকে বালু সেরে যাওয়ার কারণে অনেক গুলো ঝাউগাছ লুটিয়ে পড়েছে। এরকম অনেকগুলো গাছ দেখলাম।
এটা লুসাই পার্ক এর পিছনের দিকের দরজা। যেখান দিয়ে বিচে নামে এই দরজা দিয়ে মূলত বিচে নাম এবং উঠে।
লুসাই পার্কের ভিতর থেকে সাগর টা দেখতে কেমন সেটি এই ফটোগ্রাফির মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা করেছিলাম। দূর থেকে সাগর দেখতে কেমন লাগে সেটা অনুভব করার জন্য।
আশা করি আমার ভ্রমণ-কাহিনী আপনাদের ভালো লাগবে এবং যারা আনোয়ারা লুসাই পার্ক এখনো পর্যন্ত পরিদর্শন করতে পারেননি বা সুযোগ হয়নি। তারা কোন এক সময় যদি সুযোগ হয় একবার ভিজিট করে আসবেন সাথে আনোয়ারা পারকি বিচ দেখে আসবেন ধন্যবাদ সবাইকে আসসালামু আলাইকুম।
সমুদ্রের তীরে গেলেই মনটা ভালো হয়ে যায় অতীতের সকল দুঃখ-কষ্ট বিলীন হয়ে যায়। আমি কিছুদিন আগে কক্সবাজার গিয়েছিলাম সমুদ্র সৈকতের বীচে খুব সুন্দর মুহূর্ত পার করেছিলাম ।যেটা আপনি ঈদ উপলক্ষে একটি বীচে ঘুরতে গিয়েছেন আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো।
খুব সুন্দর ভ্রমণকাহিনী আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। মুহূর্তগুলো খুবই অসাধারণ ছিল। আপনার পোস্ট দেখে খুব ভালো লাগলো। আশা করি আপনি এই প্রতিযোগিতার প্রথম সারিতে অবস্থান করবেন। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল, ধন্যবাদ।
সমুদ্রের পাড়ে গেলে মনে হয় আজকে আমি একদম মুক্ত। সেখানে প্রাণ খুলে নিঃশ্বাস নেওয়া যায়। আপনার কাটানো সুন্দর একটি মুহূর্ত তোমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
বাহ অসাধারণ একটি জায়গাই ভ্রমণ করেছেন ভাই। সত্যি বলতে আমি কক্সবাজার ঘোরার ১০০% ফিল পেয়েছি আপনার এই পোস্ট থেকে ফটোগ্রাফি গুলো দেখে। যদিও আমি কখনো কক্সবাজার যায়নি। বাঙালি মানেই উৎসব। এরা আনন্দে বছরটা পার করে দেয়। আপনার পোস্ট ভালো ছিল। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।।
ফিল পেয়ে কি করবেন?? সরাসরি ভ্রমণ করে আসেন আরো বেশি ফিল আসবে।
উৎসবের ভ্রমণকাহিনী প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সকলে দেখছি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে ফেলেছে একমাত্র আমি এখন পর্যন্ত বাকি আছি তবে খুব শীঘ্রই অংশগ্রহণ করব। আপনার এই ভ্রমণ কাহিনী পড়ে খুবই ভালো লাগলো ।সুন্দর উপস্থাপনার মাধ্যমে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আসেন ভাই।আপনার ভ্রমণ কাহিনী ও আমরা শুনতে চাই।
সমুদ্রের পাড়ে ঘুরতে যাওয়ার মজাই আলাদা। আমার তো মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে এভাবে গিয়ে ঘুরে আসি। কিন্তু সময়ের জন্য সেটি হয়ে ওঠে না। আপনি সেখানে গিয়ে ঘুরছেন খুব আনন্দময় একটা সময় কাটিয়েছেন। আপনাকে ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার ভ্রমণকাহিনী টুকু আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
মনকে সতেজ করতে মাঝে মাঝে ঘুরা দরকার।
সুন্দর নারিকেল গাছের সারি নিচ দিয়ে হাঁটতে কার না ভালো লাগে? তবে আপনার ভ্রমণ টি খুব দারুন হয়েছে আশা করি ঈদ উপলক্ষে ভালোই ইনজয় করেছেন দিনগুলো। খুব সুন্দর একটি ভ্রমণ জাতীয় পোস্ট আপনি শেয়ার করেছেন ভাই।
আমি এখনো সরাসরি সমুদ্র দেখিনি। আপনার ভ্রমন কাহিনি জেনে ও ছবি গুলো দেখে খুব ইচ্ছে করছে কাছ থেকে সমুদ্র দেখার। ইন শা আল্লাহ একদিন যাবো। যদিও অনেক টাকা পয়সার বেপার।