ঈদের দিনের কিছু এলোমেলো ফটোগ্রাফি (১০% লাজুক খ্যাঁক, ৫% এবিবি-স্কুল এবং ৫% এবিবি-চ্যারিটির জন্য)
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যবৃন্দ সবাইকে ঈদ মোবারক।
আমি আমার গ্রামের বাড়িতে এসেছি ঈদ করতে। সাধারণত আমরা কক্সবাজারে ঈদ করে থাকি। যেহেতু আমাদের গ্রামের বাড়ির কাজ চলতেছে, তাই আমার বাবা-মা ভাই-বোন আগে থেকেই গ্রামে চলে এসেছে। সেই কারণে এবার আমার গ্রামেই করতে আসা। গ্রামে আসার পর থেকে বিভিন্ন কাজে ব্যস্ততার কারণে আমার বাংলা ব্লগ সময় দিতে পারিনি।এখন মোটামুটি একটু অবসর তাই চিন্তা করলাম ঈদের দিনের কিছু ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করি।
আমাদের এখানে ঈদের জামাত হওয়ার কথা সকাল আটটায়। তাই সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে গেলাম সাতটার দিকে গোসল করে রেডি হয়ে মসজিদের দিকে রওনা দিলাম আটটা বাজার ১০ মিনিট আগে। যেহেতু মসজিদ বাড়ির পাশে হেটে গেলে পাঁচ মিনিট সময় লাগে। ঘড়িতে আটটা বেজে গেছে কিন্তু ইমাম বয়ান দিয়ে যাচ্ছে, কিছু বুঝলাম না। কক্সবাজারের সাধারণত যেটা সময় দেওয়া হয়, সেই সময়ে নামাজ শুরু হয় কিন্তু এখানে বিষয়টা ভিন্ন ইমাম সাহেব বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বয়ান দিতে এদিকে ৮ঃ২০ পার হয়ে যাচ্ছে, আবার মসজিদ কমিটির সভাপতি বক্তব্য দিতে আসল মোটামুটি ৮ঃ৩০ পর্যন্ত বক্তব্য দিল ৮ঃ৩০ মিনিটে নামাজ শুরু হল। সাথে আমি আমার ছেলেকে নিয়ে গিয়েছিলাম নামাজ পড়তে। যেহেতু ছোট বাচ্চা ছেলে বেশিক্ষণ এক জায়গায় বসে থাকতে চায়না।
তারপরও মসজিদে গেলে সে মোটামুটি এক জায়গায় বসে থাকে আমাদের সাথে। নামাজ শুরু হতে অনেক সময় লাগার কারণে ছেলেও বিরক্ত। বারবার আমাকে বলছিল আম্মুর কাছে যাবো আম্মুর কাছে যাবো আমিও তাকে বারবার বলছিলাম এইতো নামাজ শুরু হবে নামাজ শেষ করে চলে যাব। নামাজ শেষ হলো সে আর কোনভাবেই অপেক্ষা করছে না মোনাজাত করার সেই সময়টুকু দিচ্ছে না বাড়িতে চলে যাওয়ার জন্য। সাধারণত ঈদের নামাজের পর খুতবা হয়, খুতবা শেষ করে ইমাম সাহেব আবার আগের বয়ান যেখানে নামাজের আগে শেষ করতে পারিনি সেখান থেকে আবার শুরু করলেন। যেহেতু ছেলে আর থাকতে চাচ্ছেনা চিন্তা করলাম বাসায় দিয়ে আসি। তাকে নিয়ে রওনা দিলাম বাসার দিকে। যাওয়াএ পথে ছেলেকে জিজ্ঞাসা করলাম ছবি তুলব। বাকিটা ইতিহাস।
মসজিদ থেকে বাহির হয়ে মসজিদের প্রাঙ্গণে এই ছবিটা তোলা
এই ছবি দুটো মূলত ঈদের আগের দিন রাতে যখন চাঁদ দেখা গেল, গ্রামের বাচ্চারা অনেকগুলো আতশবাজি নিয়ে আসলো এবং অনেক রাত পর্যন্ত তারা আতশ বাজি ফোটাতে লাগল তার কিছু অংশ ক্যামেরাবন্দি করলাম।
নামাজ শেষে যখন সবাই অপেক্ষা করছিল মোনাজাত করার জন্য। আমি বাচ্চাকে বাসায় দিয়ে এসে আবার আসলাম মসজিদে তখন মোনাজাত অবস্থায় ছবি।
W3W Location
আমি আবার কখন মসজিদ থেকে ফিরব সেই অপেক্ষায় ছিল ছেলে। ফেরার পরে আমার ছোট দাদার বাড়ি ছিল। সেখানেই ফুল গাছগুলো ছিল বাড়ির আঙ্গিনায়। ছেলে ফুল গাছের সাথে ছবি তুলবে। তাই তার শখ পুরনে দুই একটা ক্লিক।
এই ছবিটা ছেলে তুলতে যাচ্ছিলোনা। একপ্রকার তাকে জোর করে তোলা তাই চেহারায় বুঝা যাচ্ছে তার একটা বিরক্তি।
এখানে আমার ছেলে তার ছোট আঙ্কেল আব্দুল্লাহ সাথে খুশিমনে ছবিটা তুলছিলো।
এটা মূলত আমার ছোট দাদার বাড়িতে। আমরা যখন গেলাম, আমি বললাম আসো বাবার সাথে একটা সেলফি তুলি তখন ছেলেকে পোস দিতে রেডি।
এখানে আমার ছেলের মডেলিং করার একটা ছবিটা তোলার চেষ্টা করেছি।
দুপুরে আগে করে আমার বড় জেঠুর বাসায় গেলাম। সেখানে আমার জেঠাতো ভাইয়ের মেয়ে তাকে বললাম মামুনি আসো তোমার একটা ছবি তুলি, বাকিটা ইতিহাস।
এই ছিল মোটামুটি ঈদের প্রথম দিনের কিছু এলোমেলো ছবি। জানিনা আপনাদের কেমন লাগলো ছবিগুলা। যাইহোক ভাল বা মন্দ কমেন্ট করে জানাবেন এবং আমার ছেলে আমাদের জন্য।
ঈদের দিনে আপনার এলোমেলো ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুব ভালো লাগলো দেখে মনে হচ্ছে আপনার ঈদ অনেক ভালো কেটেছে। আসলে ঈদের দিন যদি ভালো না কাটে তাহলে তো বিষয়টা অনেক খারাপ দেখায়। সারাটা দিন আপনি দারুণভাবে উপভোগ করেছেন এবং সেই সাথে আমাদের মাঝেও বিষয়গুলি অনুভূতিগুলো তুলে ধরেছেন। এত সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনাকেও ধন্যবাদ।
ঈদের দিনে পরিবার নিয়ে একসঙ্গে আনন্দ করার অভিজ্ঞতাটাই আলাদা অন্যরকম একটা অনুভূতি কাজ করে। যাইহোক আপনি অনেক চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। দেখেই বুঝতে পারছি আমি সারাদিন অনেক আনন্দে কাটিয়েছেন। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
প্রথমে আপনাকে ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি ভাইয়া, আপনি ৮.২০ থেকে যথাসময়ে ইমামের কথা শুনতে পেরেছেন এবং ঈদের নামাজ অনেক ভালোভাবে পড়তে পেরেছেন। তবে আমাদের এখানকার গল্পটা পুরোটাই ভিন্ন ছিল আমরা বৃষ্টিতে ভিজতে , ভিজতে নামাজ পড়েছি এবং আমাদের জামাত শুরু হওয়ার কথা ছিল সাতটায় সেখানে বৃষ্টির কারণে দশটায় শুরু হয়েছিল যাই হোক আলহামদুলিল্লাহ ঈদ টা অনেক ভালভাবে কাটাতে পেরেছি। আপনার মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।
জি। অনেক জায়গাতে দেখলাম বৃষ্টি হয়েছে।
ঈদের দিনের খুবই সুন্দর কিছু এলোমেলো ফটোগ্রাফি আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। আপনাদের ঈদের নামাজ হবার কথা ছিল আর তাই সেটা হয়েছে 8:30 এ কিন্তু আমাদের গ্রামে ঈদের নামাজ হবার কথা ছিল 7:30 এ কিন্তু সেই নামাজ বৃষ্টির কারণে হয়েছে 10:10 এ।
ভাই আপনি আপনার সাথে আমার কিছু কথা ছিল, আপনি দ্রুত টিকিট কেটে আমাকে মেনশন দেবেন ধন্যবাদ..