ছোট বোনের নিজ হাতে বানানো পিজ্জা খাওয়ার অনুভূতি।।
আমাদের ভালোবাসার কমিউনিটি-
হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই, আশা করি আল্লাহর রহমতে আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে ছোট বোনের নিজ হাতে বানানো পিজ্জা খাওয়ার অনুভূতি শেয়ার করবো।
পিজ্জা একটি লোভনীয় খাবার। আমরা সাধারণত রেস্টুরেন্টে গিয়ে, অথবা রেস্টুরেন্ট থেকে অর্ডার করে পিজ্জা খেয়ে থাকি। বর্তমানে সবাই পিজা খুবই পছন্দ করে। এ খাবারটি অতীতে তেমন প্রচলন ছিল না, কিন্তু বর্তমানে খাবারটি প্রচুর জনপ্রিয়তা পেয়েছে। যার ফলে এখন মানুষ রেস্টুরেন্ট এর পাশাপাশি বাসার মধ্যে পিজ্জা বানিয়ে খেয়ে থাকে। বিভিন্ন উপকরণ থাকলে, ঘরের মধ্যেও বিভিন্ন ধরনের সুস্বাদু খাবার তৈরি করা যায়।
গত মাসে হঠাৎ করে একদিন ঢাকা থেকে বাড়িতে গিয়েছিলাম। আমার বাড়িতে যাওয়ার খবর,ফ্যামিলির কেউ জানতো না। হঠাৎ করে একটি কাজে বাড়িতে যাওয়া হয়েছিল। আমি বাড়িতে গেলে আমার ছোট বোন তার শ্বশুরবাড়ি থেকে আমাদের বাড়িতে আসে। কিন্তু ঐদিন বাড়িতে যাওয়ার খবর যেহেতু কাউকে জানানো হয়নি, বাড়িতে যাওয়ার পরে আম্মু আমার বোনকে, আমি বাড়িতে যাওয়ার খবরটি পৌঁছে দিয়েছে।
আমি বাড়িতে যাওয়ার খবর পেয়ে সাথে সাথে আমার বোন আমাকে ফোন করে, আমি তাকে বলেছিলাম হঠাৎ করে একটি কাজে বাড়িতে এসেছি। আবার রাতেই চলে যাবো। তারপর আমার বোন বলল, আমি যেন সে আসা পর্যন্ত বাড়িতে অপেক্ষা করি। আমি তাকে বললাম আচ্ছা ঠিক আছে, সে যেন মাগরিবের আগে আগে চলে আসে। আমি অপেক্ষা করতে করতে সে মাগরিবের পরে এসেছে।
সে এসেই একটি প্লেট দিয়ে আমার জন্য একটি পিজ্জা নিয়ে আসলো। আমি বললাম এই পিজ্জ কোথায় পেয়েছে, তখন সে বলল সে আমার জন্য নিজ হাতে পিজ্জা বানিয়ে নিয়ে এসেছে। সে বাড়িতে নতুন ওভেন কিনেছে, প্রায় সময় অনেক কিছু বাড়িতে বানিয়ে খেয়ে থাকে। আমি তার শশুর বাড়িতে তেমন একটা যাই না, সেজন্য সে নিজেই এই পিজ্জাটি আমার জন্য নিয়ে এসেছে। পিজ্জার সাথে আবার কয়েক প্যাকেট টমেটো সস দিয়েছে।
যেহেতু আমি রাতের বেলা ঢাকায় ফিরে যাবো, সেজন্য সে নিজ হাতে তাড়াতাড়ি করে এই পিজ্জাটি বানিয়েছে। ঘরে বানানো পিজ্জা টা খেয়ে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। ঘরে বানালেও সেটার মধ্যে আমি রেস্টুরেন্টের পিজ্জার স্বাদ পেয়েছিলাম। আমার বোন সেদিন নিজ হাতে কয়েকটা পিজ্জা বানিয়ে নিয়ে এসেছিল। আমি একাই এই পিজ্জাটি খেয়েছিলাম। আসলে মানুষ চেষ্টা করলে সবকিছুই সম্ভব। আমি কখনো কল্পনাও করতে পারি নাই, এত সুস্বাদুভাবে সে পিজ্জা বানাতে পারে।
ছোট বোনের হাতে বানানো পিজ্জা খেয়ে, আমি ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। আজকে হঠাৎ করে মোবাইলে ফটোগ্রাফি দেখতে গিয়ে, পিজ্জার ছবিটি দেখে সেদিনের ঘটনাগুলো মনে পড়ে গেলো। সেজন্য আপনাদের সাথে শেয়ার করে ফেললাম। আশা করি ব্লগটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে আবার আগামীকাল আপনাদের সাথে নতুন কোন ব্লগ নিয়ে হাজির হব। আজকে এখান থেকেই বিদায় নিলাম।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | realme-53 |
নাম | ছোট বোনের নিজ হাতে বানানো পিজ্জা খাওয়ার অনুভূতি।। |
স্থান | নিজ বাসা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া , ঢাকা, বাংলাদেশ। |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
মাঝে মাঝে মোবাইলের অ্যালবামে গিয়ে পুরনো ছবিগুলো দেখলে অনেক আগের কথাও মনে পড়ে যায়। আপনি অনেকদিন আগে আপনার ছোট বোনের হাতে পিজ্জা খেয়েছিলেন। আর সেটার ফটোগ্রাফি ধারণ করে রেখেছিলেন বলেই আজকে সেই সুন্দর অনুভূতি আমাদের সাথে শেয়ার করতে পারলেন। আপনার পোস্ট পড়ে বেশ ভালোই লাগলো ভাইয়া। পিজ্জা দেখতে সত্যি অনেক মজাদার লাগছে। আর বাইরের খাবার থেকে ঘরে যে কোন খাবার তৈরি করে খেলে খেতে ভীষণ ভালো হয় এবং স্বাস্থ্যসম্মত হয়। ধন্যবাদ ভাইয়া।
জী আপু কিছুদিন আগে, ছোট বোনের হাতে বানানো পিজ্জা খেয়েছিলাম। পিজ্জাটি দারুন হয়েছিল।
ছোট বোনেরা বোধহয় এমনই হয়। দাদার জন্য তাদের মন সবসময় টানে। তার আপনার সাথে দেখা করতে আসা এবং পিজা বানিয়ে নিয়ে আসার প্রমাণ করে আপনার প্রতি তার ভালোবাসা কতখানি গভীর। পিজা কিন্তু এক্ষুনি বললে এক্ষুনি বানানো হয় না একটু সময় সাপেক্ষ। আপনিও আশা করব বোনকে ভালো রাখবেন।
জী দিদি, আমার এই বোনটা আমাদের সবার জন্য অনেক সেক্রিফাইস করে। আমরাও তাকে যথাযত সম্মান, শ্রদ্ধা ও আদর করি।
এটা কেমন হলো ভাইয়া? ছোট বোনের হাতের বানানো পিজ্জা আমাকে না দিয়ে একা একা খেয়ে নিলেন। মনটাই খারাপ হয়ে গেল। তবে ভালো লাগলো এটা ভেবে যে আপনি মজা করে খেয়েছেন। যাই হোক আপনার অনুভূতি বেশ দারুন ছিল।
জী আপু পিজ্জাটা খেতে দারুন লেগেছিল। ধন্যবাদ।
ভাইয়া বোনেরা সবসময় চেষ্টা করে ভাইদের ভালো কিছু খাওয়ানোর জন্য। আপনি জরুরী কাজে বাড়িতে গেলেন সেই সুবাদে আপনার বোন আপনাকে পিজ্জা বানিয়ে খাওয়ালো। আর আপন মানুষদের হাতের খাওয়ার গুলো খেতে এমনি একটা আলাদা একটা মজা লাগে। আর বোনেরা চাই ভাইরা হঠাৎ করে গেলে তাদেরকে ভালো কিছু খাওয়ানোর জন্য এবং বোনের কাছেও ভালো লাগে। আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো।
জী আপু ঠিক বলেছেন, ভাইদের প্রতি বোনদের আলাদা টান থাকে। ধন্যবাদ।