ইলিশের বাড়ি চাদপুর মহনায় একদিন // ১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য //
আসসালামুআলাইকুম
আমি @joniprins ঢাকা,বাংলাদেশ থেকে।
হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই, আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার পরম দয়ায় সবাই ভাল আছেন। গত মাসের ২৬শে মার্চ আমরা কিছু ফ্রেন্ড ও বড় ভাই মিলে ইলিশের বাড়ি চাদঁপুর মহনায় ঘুরতে গিয়েছিলাম। তখন ভ্রমন পিপাসু ভাই ও বন্ধুদের নিয়ে কিছূ মূহর্ত স্মৃতির পাতায় রেখে দিয়েছিলাম। সে স্মৃতি গুলো এখন আপনাদের সাথে সেয়ার করবো।
চাদঁপুর মহনার সংক্ষিপ্ত পরিচিতি:-
চাদঁপুর চট্রগ্রাম বিভাগের আওতাধীন একটি জেলা। পদ্মা,মেঘনা ও ডাকাতিয়া তিনটি নদীর মিলনস্থলে এ জেলা অবস্থিত। ইলিশ মাছের অন্যতম প্রজনন অঞ্চল হিসেবে চাঁদপুরকে ‘ইলিশের বাড়ি’নামেও ডাকা হয়। চাঁদপুর মহনা বা মিনি কক্সবাজার পর্যটন স্পোর্টটি পদ্মা মেঘনা ও ডাকাতিয়া নদীর মিলনস্থলে অবস্থিত । সারা বছরই ভ্রমন পিপাসুরা ছুটে আসে দৃষ্টিনন্দন এই স্থানে। ঢাকা থেকে পদ্মা এক্সপ্রেস ও মতলব এক্সপেস দিয়ে কুমিল্লা মহাসড়ক হয়ে সড়ক পথে ১১০ কিলোমিটার রাস্তা ৪ ঘন্টার মত সময় লাগে। ঢাকার সদরঘাট থেকে ২৪ ঘন্টা অনেক সুন্দর সুন্দর অত্যধনিক লঞ্চ চলাচল করে চাদঁপুর নদী পথে। মাত্র তিন থেকে সাড়ে তিন ঘন্টার লঞ্চ ভ্রমনে সর্বনিম্ন ভাড়া লাগে মাত্র ১৫০ টাকা। লঞ্চের মধ্যে জমজম, রফরফ,ময়ূর, আল বোরাক,ইমাম হাসান ও বোগদাদ অন্যতম। এছাড়াও বরিশালগামী অনেক লঞ্চ চাদঁপুর লঞ্চ ঘাটে ঘাট দেয়। ঢাকা বা কুমিল্লা থেকে ট্রেনেও যাওয়া যাবে অপরুপ সুন্দর্য চাঁদপুর মহনায়।

https://what3words.com/vocab.speakers.occupiers
আমরা নারায়নগঞ্জ থেকে বাসে করে পুস্তকলা রোড দিয়ে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে পৌছায় সকাল ৮ টার সময় । আমরা নিয়ম অনুসারে ঘাটে প্রবেশের টিকেট কেটে চাদঁপুরগামী বোগদাদ-৮ লঞ্চটিতে উঠি। আমারদের লঞ্চটা ৮.৩৫ মিনিটে সদরঘাট থেকে ছেড়ে যায়।

https://what3words.com/giants.observe.chefs
প্রথম দর্শনে আমরা যেটা দেখলাম সেটা হলো বুড়িগঙ্গা নদীর কালো পানি। এটা তো পানি নয় যেন গাড়ির পোড়া তেল বা মবিল।

https://what3words.com/giants.observe.chefs
বোগদাদ-৮ লঞ্চের ছাদে এবং সাইটে দাড়িয়ে দুইটা ছবি নিলাম।

https://what3words.com/heartened.baseline.major
এই যে ভবন গুলো দেখা যাচ্ছে , এগুলো বালাদেশ নৌবাহিনীর জন্য নির্মান করা হচ্ছিলো। এগুলোর টেন্ডার নিয়েছিল বাংলাদেশের কুখ্যাত এক দুনীর্তিবাজ, যে ২০২০ সালে করোনার টেষ্ট দুনীতির জন্য বর্তমানে জেলে আছে। সে জেলে যাওয়ার পরপর এগুলোর কাজ বন্ধ হয়ে যায়, নির্মান কাজ অসম্পূর্ন থাকার কারনে ভবন গুলো আজও উদ্বোধন করা সম্ভব হয়নি।

https://what3words.com/makeovers.enrolling.looks
বুড়িগঙ্গা নদী পাড়ি দিতে দিতে আমরা অনেক গুলো বড় বড় মালবাহী জাহাজ দেখতে পেলাম। যেগুলো কালো পানির উপরে দাড়িয়ে আছে।

https://what3words.com/widget.innocence.redefined
যাওয়ার সময় মোটামুটি কিছুটা বাতাস ছিল। যার কারনে আমার কাছে লঞ্চ জার্নিটা এত ভাল লাগছে যে, মনে হয়েছে টাইটানিক জাহাজ দিয়ে যাচ্ছি।
চাদঁপুর বরিশালগামী সব লঞ্চেই এমন দৃশ্য দেখতে পারবেন। অনেকেই সুয়ে,বসে ও ঘুমিয়ে যাত্রাপথ পাড়ি দেয়।
এটা হলো লঞ্চ ড্রাইভারের কক্ষ। এখানে বসেই লঞ্চ ড্রাইভার সব কিছু নিয়ন্ত্রন করে।
পার্ট-২ খুব তারাতাড়ি আসতেছে।
প্রিয় বন্ধুরা পোষ্টটা বড় হয়ে যাচ্ছে তাই এখানেই সমাপ্ত করলাম। আশা করি ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।











দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক সুন্দর একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছিলেন ইলিশের বাড়ি চাঁদপুর মোহনা। যদিও কখনো যাওয়া হয়নি তবে আপনার এই ভ্রমণপিপাসু পোস্ট পড়ে জানতে পারলাম জায়গাটা অনেক সুন্দর। মাঝে মাঝে এরকম ঘোরাঘুরি করতে অনেক বেশি ভালো লাগে। যদি কখনো সময় হয় অবশ্যই গিয়ে ঘুরে আসব। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে এত সুন্দর একটি মুহুর্ত শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া সুযোগ পেলে অবশ্যেই যাবন। লঞ্চে গেলে বেশি মজা পাবেন। বর্ষা মৌসমে গেলে এক রকম আনন্দ আর বর্ষা ছাড়া গেলে আরেক রকম আনন্দ পাবেন।
ইলিশের বাড়ি চাঁদপুর এর কথা অনেক শুনেছি। কিন্তু এখনো জায়গাটায় যাওয়া হয়নি। আর ঘোরাঘুরি এর পোস্ট দেখলে আমার কাছে বেশি ভালো লাগে। কেননা ঘুরতে যাওয়া অনেক বেশি দরকার। এতে নিজের মন খুব ভালো থাকে। আপনি বেশ সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন। মুহূর্তটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি কমেন্ট করেছেন। সুযোগ পেলে অবশ্য যাবেন অনেক আনন্দ পাবেন।