SABBIR ফ্যান পরিবর্তন করে Defender ফ্যান নিলাম।।
আমার মাতৃভাষার কমিউনিটি-
গরম গরম আর গরম। বর্তমানে যেখানে যায়,যার সাথে কথা বলি সবার একটিই সমস্যা আর সেটা হলো গরম। তীব্র গরমের কারনে বিপর্যস্ত হচ্ছে জনজীবন। গত কাল আমাদের কমিউনিটির সাপ্তাহিক হ্যাংআউটেও সেই গরমের প্রভাব লক্ষ করেছি। হ্যাংআউট শুনার আগে অনেকেই ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করে এসেছিল। আমি অবশ্য হ্যাংআউট শেষ করে ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করে খাওয়া দাওয়া করে ঘুমিয়েছিলাম। শেষ রাতের দিকে গরম কিছুটা কমলেও সকাল ছয়টা সাড়ে ছয়টার দিকে আবার গরমটা বেড়ে গিয়েছিলো। উপরে ফ্যান চললেও কেমন যেন একটা ভাপসা গরম লাগতেছিলো। যার ফলে আগে বাবুর ঘুম ভেঙ্গে যায়। পরে আমাদেরও ঘুম ভেঙ্গে যায়। আমি বাবুকে কোলে নিয়ে বারান্দায় গিয়ে বসলাম কোন বাতাস নেই । যার ফলে সকাল সকাল ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করে,হালকা নাস্তা করেই অফিসে চলে আসলাম। অফিসে তো এসি আছে,গরমটা তেমন অনুভব হয় না। তবে বাসায় গেলেই শরীরের তেল চর্বি বের হতে থাকে। আর যারা মোটা মানুষ তাদের কথা চিন্তা করলে মাথা হ্যাং হয়ে যায়,হা হা হা।
এখন সব থেকে বড় প্রবলেম হলো ছোট বাচ্ছাদের নিয়ে,তারা গরমের কারনে ঘুমাতে চাই না,ঠিক ভাবে খেতে চাই না। সেই কারনে বেশ কিছুদিন আগে বাবুর জন্য একটি চার্জার ফ্যান কিনেছিলাম। এই বিষয়টা নিয়ে কিছুদিন আগে আপনাদের মাঝে একটি পোষ্ট শেয়ার করেছিলাম। শেষের দিকে বলেছিলাম যে ঐ ফ্যানটা ৪০ থেকে ৪৫ মিনিট চলার পরেই চার্জ শেষ হয়ে ফ্যানটা স্লো হয়ে যায়। এই বিষয়টা নিয়ে বেশ টেনশনে ছিলাম। এতটাকা দিয়ে ফ্যানটা কিনলাম, অথচ যদি এক ঘন্টাও ঠিক ভাবে না চলে তাহলে কেমন লাগে। অনেক মেম্বার আমাকে ফ্যানটি চেইন্জ করে আনতে বলেছিলেন। আমার অফিসের একজন কলিগও SABBIR ফ্যানের পরিবর্তন করে অন্য কোন ব্যান্ডের ফ্যান নিতে পরামর্শ দিলেন। আমি ঐ ফ্যানটি দুইদিন চালিয়ে যে দোকান থেকে কিনেছিলাম,সেখানে নিয়ে সমস্যার কথা বললাম। দোকানদার বললো আমাদের নিকট একদিন রেখে যান,চেক করে দেখতে হবে।
একদিন পরে অফিসের দুইজন কলিগকে সাথে নিয়ে গেলাম। কারন দোকানদার কোন জামেলা করলে যেন আমরা সঠিক পদক্ষেপ নিতে পারি। দোকানটা আমাদের অফিসের পাশেই ছিল। অফিস থেকে দুই তিন মিনিট সময় লাগে হেটে যেতে। দোকানে যাওয়ার পরে দোকানদার বললো ফ্যান সম্পূর্ণ ঠিক আছে। ফ্যানটি দেড় ঘন্টা চলে। আমি বললাম আপনারা ফ্যান নেওয়ার সময় বলেছিলেন তিনচার ঘন্টা চার্জ থাকবে। আর এখন ফুল স্পিডে মাত্র চল্লিশ পয়তাল্লিশ মিনিট চলে,তারপর স্লো হয়ে যায়। আর এই ফ্যানটি প্যাকেটের বাহিরে ছিল। আপনারা নতুন ফ্যান দেননি। এটা মনে হয় ব্যবহৃত ফ্যান ছিল। এখন আমি এই ফ্যান নিবো না,আপানারা আমার টাকা ফেরত দেন। দোকানদার হয়তো কথা কাটাকাটি করে আমাকে এই ফ্যানটি নিতে বাধ্য করতো তবে আমরা তিন জন কথা বলার কারনে দোকানদার সর্বশেষ বললো দুইদিন পরে SABBIR ব্যান্ডের নতুন ফ্যান আসবে। তখন আপনি একটি নতুন ফ্যান নিয়ে যাবেন। টাকা রিটার্ন করার নিয়ম নেই। আপনারা চাইলে অন্য ব্যান্ডের ফ্যানও নিতে পারেন। আমি বললাম আচ্ছা ঠিক আছে, ঐ ফ্যান গুলো আসুক তারপর দেখে শুনে একটা নিবো। এ কথা বলে চলে আসলাম।
দুইদিন পরে একজন কলিগকে সাথে নিয়ে আবার গেলাম। গিয়ে দেখি তাদের SABBIR ব্যান্ডের নতুন ফ্যান এখনো আসে নাই। আরো একদিন সময় লাগবে। আর গরমও দিন দিন বাড়তেছে। বারবার তাদের দোকানে আসতেও আর ইচ্ছা হচ্ছিলো না। এক ফ্যানের জন্য কয়বার আসা যায়। সে জন্য অন্য ব্যান্ডের ফ্যান নেওয়ার চিন্তা করলাম। দোকানে অনেক ব্যান্ডের অনেক ডিজাইনের ফ্যানই ছিল। তবে আমার কলিগ আমাকে Defender ফ্যান নিতে বললো। সেটা নাকি অনেক ভালো। আমি দেখে শুনে একটি Defender ফ্যান চয়েজ করলাম। তবে সেটার দাম আবার সাড়ে চার হাজার টাকা। আমি দোকানদারকে দুইশত টাকা দিয়ে বললাম ফ্যানটা দিয়ে দেন। আগের ফ্যানের দাম ছিল চার হাজার আর এখন দিলাম দুই শত টাকা। সর্বমোট ৪২০০ টাকা দিয়ে Defender ফ্যান নিয়ে চলে আসলাম।
বাসায় এনে ৮ ঘন্টা চার্জ দিলাম। তারপর পরের দিন থেকে চালানো শুরু করলাম। প্রথম দিন এক ঘন্টার মত চললো দ্বিতীয় দিন আবার এক ঘন্টা চললো। এভাবে তিন দিন সাড়েতিন ঘন্টা বা চার ঘন্টার মত চলেছে। মোটামুটি চার্জ ভালোই থাকে। SABBIR ব্যান্ডের ফ্যান আওয়াজ করে স্পিডে ঘুরে তবে চার্জ তারাতারি শেষ হয়ে যা। আর Defender ফ্যান কোন সাউন্ড করে না, পানির মত চলে বাতাসও ঠান্ডা চার ঘন্টার উপরে চার্জ থাকে। আবার Defender ফ্যানের মধ্যে একটি লাইট আছে,বিদ্যুৎ চলে গেলে আলো পাওয়া যায়,মোবাইলও চার্জ দেওয়ার ব্যবস্থা আছে। সুযোগ সুবিধা ভালোই। সর্বশেষে আমার কাছে Defender ফ্যানই ভালো লেগেছে। এখন আপনারা যদি চার্জার ফ্যান কিনেন তাহেল আপাদের মত করে চয়েজ করে ফ্যান নিতে পারেন।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | realme-53 |
শিরোনাম | SABBIR ফ্যান পরিবর্তন করে Defender ফ্যান নিলাম।। |
স্থান | কাঠেরপুল , নারায়নগঞ্জ, ঢাকা, বাংলাদেশ। |
তারিখ | ২৫ /০৪ /২০২৪ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
https://x.com/ArianKh29670721/status/1791513744306266536
সত্যি ভাইয়া এই গরমে কয়েকবার গোসল না করলে যেন শরীর ঠান্ডা হয় না। আর ছোট বাচ্চারা তো অনেক বেশি কষ্ট পায় এই গরমে। একটু ভালো থাকার জন্য সবাই যে যার মত করে চেষ্টা করে যাচ্ছে। যদিও চার্জার ফ্যানের ব্যাপারটা আমার কাছে একদমই ভালো লাগে না। তবে আপনি যেহেতু ভালো মনে করছেন যদি কখনো চার্জার ফ্যান কিনি তাহলে আপনার কথাটা মাথায় রেখে কেনার চেষ্টা করব ভাইয়া।