"আমার বাংলা ব্লগ" প্রতিযোগিতা-৪০ | শেয়ার করো, বর্ষাকালীন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ফটোগ্রাফি।।

হ্যালো আমার প্রিয় বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই,আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। বর্তমানে ডেঙ্গু ভয়ংকর রুপ নিয়েছে তাই সবার সুস্থতা কামনা করছি। আজকে আমি প্রকৃতি নিয়ে ব্লগ শেয়ার করবো। প্রকৃতি হলো পরিবেশের প্রাণ। সাধারনত সবাই প্রকৃতিকে ভালবাসে। আর যে প্রকৃতিকে ভালবাসে প্রকৃতিও তাকে ভালবাসে। প্রকৃতিকে ভালবাসলে মন উদার হয়,সুন্দর হয়।

আপনারা সবাই অবগত আছেন যে আমাদের প্রাণ প্রিয় কমিউনিটিতে একটি প্রতিযোগিতা চলতেছে। এবারের প্রতিযোগিতার বিষয় হলো শেয়ার করো, বর্ষাকালীন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ফটোগ্রাফি। আমাদের কমিউনিটির প্রায় সব মেম্বার গণই প্রকৃতিকে ভালবাসে। আর সবাই প্রচুর ফটোগ্রাফি করে। এক এক জনের ফটোগ্রাফি দেখলে অবাক হয়ে যায়। আমাদের মেম্বাররা এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করে থাকে, যা বিশ্বে বিরল। আমাদের সম্মানিত এডমিন মডারেটর ভাই বোনেরা সেই বিষয়ের উপর ফোকাস করে বর্ষাকালীন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ফটোগ্রাফি শেয়ার করার প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছেন। আমি আজকে বেশ কিছু প্রাকৃতিক ফটোগ্রাফি শেয়ার করে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করতে যাচ্ছি।

আমি আজকে বিভিন্ন জায়গার প্রাকৃতিক ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো। বিভিন্ন জায়গার ঘুরে ঘুরে ফটোগ্রাফি গুলো সংগ্রহ করেছি। জায়গা ‍গুলো হয়তো কারো কাছে পরিচিত আবার কারো কাছে অপরিচিত। তবে আমি আজকে আপনাদের সাথে নতুন করে পরিচয় করে দিতে যাচ্ছি। আশা করি সবার কাছেই ভাল লাগবে।

বর্ষাকালীন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ফটোগ্রাফিঃ-

এখানে প্রথম ফটোগ্রাফিটা হলো একটি কচু পাতার ফটোগ্রাফি। যেটা ক্যাপচার করেছিলাম আমাদের গ্রামের রাস্তার পাশ থেকে। পিছনে বিশাল বড় খালি মাঠ। মাঠে কোন ফসল নেই,বর্ষার পানি আসার অপেক্ষা রয়েছে। আর দিতীয় ফটোগ্রাফিটা হলো সদ্য বৃষ্টির পানিতে ভিজানো ফুল গাছের টপ। এটা যেন প্রকৃতির নব রুপ।

সময়- বিকাল ৫ টা ২৫ মিনিট
তারিখ-০৩-০৭-২০২৩
ক্যামেরা- রেডমি নোট-৮
ক্যাপচার-@joniprin
স্থান-সৈয়দাবাদ,কসবা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।

এই ফটোগ্রাফি গুলো নিয়েছি গুলিস্তানের উসমানী উদ্যান থেকে। বর্ষাকালীন বৃষ্টিতে ভিজে প্রকৃতি এমন ভাবে সেজেছে দেখে সাথে সাথে মনটা ফুরফুরে হয়ে গেল। ঢাকা শহরের মাঝখানে এত সুন্দর একটি প্রাকৃতিক পরিবেশ কল্পনা করা যায় না। প্রথম দেখায় আমি আশ্চর্য হয়ে গেছি, বৃষ্টিতে ভিজে গাছ গুলো ধুলাবালি মুক্ত হয়ে গেছে। আর রোদের কারনে পরিবেশটা যেন হাসিঁ দিয়ে রয়েছে।

সময়- সকালে ১১ টা ০৫ মিনিট
তারিখ-২১-০৭-২০২৩
ক্যামেরা- রেডমি নোট-১০
ক্যাপচার-@joniprin
স্থান-উসমানী উদ্যান,গুলিস্তান,ঢাকা।

এই জায়গাটি হয়তো সবাই চিনেন, রমনা লেক। বর্ষার মৌসুমে বৃষ্টির পানিতে লেকের পরিবেশটা এত সুন্দর লাগছে যা বর্ণনা করে প্রকাশ করে শেষ করা যাবে না। লেকের চার পাশে রাস্তা করা হয়েছে হেটেঁ হেঁটে লেকের সুন্দর্য উপভোগ করার জন্য। লেকের পানিটা খুবেই সচ্চ দেখে প্রাণটা জুড়িয়ে যায়।

সময়- দুপুর ১২ টা ১৮ মিনিট
তারিখ-২১-০৭-২০২৩
ক্যামেরা- রেডমি নোট-১০
ক্যাপচার-@joniprin
স্থান-রমনা লেক,নমনা,ঢাকা।

এই ফটোগ্রাফি গুলো ক্যাপচার করেছি ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে। প্রকৃতি পরিবেশটা এত সুন্দর করে সাজিয়েছে যে দেখেই মাইন্ড ভাল হয়ে যায়। এই জায়াগাটা ঢাকা শহরের মানুষের কাছে স্বপ্ন। এখানেই ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষন দেওয়া হয়েছিল। উদ্যানটির মধ্যে প্রকৃতি যেন খেলা করছে। চার দিকে বিভিন্ন গাছের সমারোহ। বর্যার মৌসুম চলছে যা জন্য এত সুন্দর লাগছে।

সময়- দুপুর ১১ টা ৩৪ মিনিট
তারিখ-২১-০৭-২০২৩
ক্যামেরা- রেডমি নোট-১০
ক্যাপচার-@joniprin
স্থান-সোহরাওয়ার্দী উদ্যান,ঢাকা।

এই ফটোগ্রাফি গুলো ক্যাপচার করেছি ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের লেক থেকে। সম্পূর্ণ লেকের নিচে পাথর বিছানো। লেকে বৃষ্টির পানি জমা হয়েছে। শহরের বাচ্ছরা সেই পানিতে খেলা করছে। লেকের পানিও খুবই পরিষ্কার। রোদের সময় ফটোগ্রাফি গুলো করেছিলাম। এই লেকের মধ্যে অবশ্য কোন মাছ নেই। উপর থেকে নিচের দিকে তাকালে নিচের পাথর গুলো স্পষ্ট দেখা যায়।

সময়- দুপুর ১১ টা ৫২ মিনিট
তারিখ-২১-০৭-২০২৩
ক্যামেরা- রেডমি নোট-১০
ক্যাপচার-@joniprin
স্থান-সোহরাওয়ার্দী উদ্যান,ঢাকা।

এই প্রাকৃতিক ফটোগ্রাফি গুলো নিয়েছিলাম রমনা পার্ক থেকে। পরিবেশটা এত সুন্দর লাগছিলো যে ফটোগ্রাফি না করে আর থাকতে পারলাম না। রমনা পার্কে আমি ঐদিন প্রথম গিয়েছিলাম। এর আগে কখনো যায়নি। আমার মনে হয় ঢাকা শহরের মধ্যে সব থেকে সুন্দর জায়গা হলো রমনা পার্ক। খুবই সুন্দর ভাবে সাজানো গুছানো।

সময়- দুপুর ১২ টা ১৯ মিনিট
তারিখ-২১-০৭-২০২৩
ক্যামেরা- রেডমি নোট-১০
ক্যাপচার-@joniprin
স্থান-রমনা পার্ক,নমনা,ঢাকা।

এই ফটোগ্রাফি গুলো নিয়েছিলাম প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয়ের সামনে থেকে। দেখুন চার দিকে সবুজ আর সবুজ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের প্রাকৃতিক সুন্দর্য নিয়ে অনেক প্রশংসা শুনা যায়। গাছের যে কত গুরুত্ব সেটা রোদ উঠলে স্বচক্ষে দেখা যায়। সবাই একটু ছায়ার জন্য গাছের নিচে আশ্রয় নেয়। আর গাছ রোদে পুড়ে মানুষকে ছায়া দেয়।

সময়- দুপুর ১২ টা ৫৭ মিনিট
তারিখ-২১-০৭-২০২৩
ক্যামেরা- রেডমি নোট-১০
ক্যাপচার-@joniprin
স্থান-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়,ঢাকা।

সর্বশেষ ফটোগ্রাফিটা নিয়েছিলাম ঐতিহ্যবাহি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিখ্যাত তিতাস নদী থেকে। “তিতাস একটি নদীর নাম” কবি আল মামুনের একটি উপন্যাস রয়েছে। এই সেই তিতাস নদী। তিতাস নদী মাছের জন্য খুবই বিখ্যাত। বর্ষার সময় নদীতে যখন জোয়ার আসে তখন দেখতে খুবই সুন্দর লাগে। কথায় আছে নদীর সুন্দর্য ফুটে উঠে বর্ষার মৌসুমে।

সময়- বিকাল ৫ টা ৩০ মিনিট
তারিখ-০৪-০৭-২০২৩
ক্যামেরা- রেডমি নোট-৮
ক্যাপচার-@joniprin
স্থান-তিতাস নদী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।

বন্ধুরা দেখতে দেখতে অনেক গুলো ফটোগ্রাফি শেয়ার করে ফেললাম। যথা সম্ভব চেষ্টা করেছি সব কিছু বর্ণনা করার জন্য। বিভিন্ন জায়গার ফটোগ্রাফি দিয়ে ব্লগটি সাজিয়েছি। আশা করি আপনাদের নিকট অনেক ভাল লাগবে। আজকে এখানেই সমাপ্ত করলাম। সবাইকে ধন্যবাদ।।

আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।