"ঘটক" নাটক রিভিউ ।। 10% beneficary for @shyfox ❤️
হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই। আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আলহামদুল্লাহ। আমাদের কমিউনিটির সকল মেম্বাররা তাদের ভাললাগা মন্দ লাগা, তাদের সময় কিভাবে কাটে সব কিছুই আামাদের কমিউনিটিতে সেয়ার করে। আমরা তাদের সেই পোষ্ট পড়ে তাদের অবস্থা জানতে পারি। কয়েকদিন আগে আমি একটি নাটকট দেখেছিলাম। আজকে আমি আপনাদের সাথে সেই নাটকের রিভিউ সেয়ার করবো। আফরান নিশো আর তানজিন তিশার নাটক। নাটকটি দেখে আমার কাছে ভালই লেগেছে। তাই আপনদের সাথে সেয়ার করলাম। চলোন শুরু করা যাক।
নাম | ঘটক |
---|---|
রচনা,পরিচালনা | মহিদুল মহিম। |
সম্পাদনা | আগুন শুভ। |
অভিনয়ে | আফরান নিশো, তানজিন তিশা, শহিদুল আলম সাচ্ছু এবং আরো অনেকে। |
দৈর্ঘ্য | ৫৫ মিনিট |
সংগীত | সিএমভি |
মুক্তির তারিখ | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২ |
ধরন | বিবাহ বিষয়ে নাট্য |
ভাষা | বাংলা |
দেশ | বাংলাদেশ |
চরিত্রেঃ
- আফরান নিশো- ঘটক রমিজ ভাই
- তানজিন তিশা- ঘটক শায়েরা বানু
নাটকটি একটি বিয়ের অনুষ্ঠান দিয়ে শুরু হয়। নাটকে তানজিন তিশা থাকে ঘটন শায়েরা বানু হিসাবে। আর আরফান নিশো থাকে ঘটক রমিজ ভাই হিসাবে। বিয়ের অনুষ্ঠানে প্রথম ঘটক শায়েরা বানু প্রবেশ করে, খাদিজা নামের একটি মেয়ের জন্য পাত্র খুজে দিবে বলে পাচঁ হাজার টাকা এডভান্স নিয়ে নেয়। যে বিয়ের অনুষ্ঠানে এসেছে সেই বিয়েটা ছিল শায়েরা বানুর ক্লাইন্টের বিয়ে। তারপরে পান চিবাতে চিবাতে প্রবেশ করে ঘটক রমিজ ভাই। তারপর শায়েরা আপা আর রমিজ ভায়ের মধ্যে কথা হয়। ঘটক শায়েরা বানু বলে তার কাছে অনেক ক্লাইন্ট আছে, রমিজ ভাই বলে তার কাছে সব বড় বড় ক্লাইন্ট আছে, তারা সবাই আমলা। আর শায়েরা বানুর কাছে সব গরীব ক্লাইন্ট তারা সবাই কামলা। এসব নিয়েই দুইজনের মাঝে কথা হয়।
তারপর এক ভদ্র লোক এই দুইজন ঘটককে এক সাথে উনার ছেলের জন্য একজন পাত্রি খোজার দায়িত্ব দেন। শুধু পাত্রি খুজেলেই হবে না সাথে ঐ ভদ্রলোর ছেলেকে বিয়ে করার জন্য রাজি করাতে হবে। তারপর দুইজন মিলে ঘটক রমিজ ভাইয়ের চেম্বারে আসেন কথা বলার জন্য। সেই চেম্বারে বসে কিভাবে তারা ঐ ছেলেকে বিয়েতে রাজি করাবে সেই বিষয়ে পরামর্শ করলো। পান খাওয়া নিয়েও অনেক কথা হলো । ঘটক রমিজ ভাই প্রায় সময় শসা,বেলের সরবত, ইসুব গুলের ভুষি খাওয়ার কথা বলেন।
তারপর দুইজন মিলে গেল ঐ ভদ্রলোকের বাসায়, ওনার ছেলেকে বিয়ের জন্য রাজি করাতে। তারপর তারা দুইজন বিয়ে করার জন্য ছেলেকে বুঝালো, ছেলে বললো সে বিয়ে করবে না। তারপর ঘটকরা তাকে বললো যে তার দাদা বিয়ে করেছিল তাই তার বাবা হয়েছে। তারপর তার বাবা বিয়ে করেছে তাই সে জন্ম হয়েছে। এখন সে বিয়ে করলে তার ঘরে ছেলে মেয়ে হবে। একা একা মানুষ বাচতে পারে না। বাচতে হলে একজন বউ দরকার,একজন সঙ্গি দরকার। তারপর তাকে অনেক গুলো মেয়ের ছবি দেখালো। কিন্তুু ছেলের এক কথা সে বিয়েও করবে না। ছবিও দেখবে না।
ছেলেটাকে যখন কোন ভাবেই রাজি করানো যাচ্ছে না। তখন ঘটক রমিজ ভাই ঘটক শায়েরা বানুকে দিয়ে একজন মেয়ে মানুষ কেমন হবে তার লাইভ দেখালেন। ঐ ছেলেকে বললেন তুমি তোমার বউয়ের পাশে গিয়ে বসবা,তার হাত ধরবা,তার চুল দেখবা,তার নাক মুখ দেখবা এবং স্পর্শ করবা। তোমার বউ তোমার হাতপা টিপে দিবে, তোমার সেবা যত্ন করবে। এগুলো তোমার বুঝতে হবে। এই কথা গুলো বলে কয়েকটি মেয়ের ছবি ছেলেটির হাতে দিয়ে ঘটকরা চলে আসলেন।
ঘটক রমিজ ভাই ঘটক শায়েরা বানুকে দিয়ে উদাহরন দেওয়ার কারনে ঘটক শায়েরা বানু ঘটক রমিজ ভাইয়ের প্রেমে পড়ে গেলেন। সে রমিজ ভাইয়ের কথা গুলো সারারাত কল্পনা করে পরের দিন শাড়ি পড়ে রমিজ ভাইয়ের অফিসে যায়। অঙ্গি ভঙ্গিতে রমিজ ভাইকে বুঝাতে চেষ্টা করে যে ঘটক শায়েরা রমিজ ভাইকে ভালবাসে। আবার রমিজ ভাইও বিভিন্ন কথা মাধ্যমে বুঝায় যে সেও শায়েরাকে ভালবাসে।
এই পর্যায়ে ঘটনা ঘুরে গেল অন্য দিকে। যেই ছেলেকে বিয়েতে রাজি করানোর দায়িত্ব দিয়েছিল দুই ঘটককে এখন সেই ছেলে রমিজ ভাইয়ের লাইভ দেখে ঘটক শায়েরা বানুকেই পছন্দ করে বসলো। শায়েরাকে ঐ ছেলের বাবা তার ছেলেকে বিয়ে করতে অনুরোধ করলো। ঘটক শায়েরা কয়েক দিন সময় চাইলেন। ঐছেলের বাবা ঘটক রমিজ ভাইকেও ডেকে নিয়ে শায়েরাকে রাজি করাতে অনুরোধ করলো। কারন ঐ ছেলের বাবা জানে যে ঘটক রমিজ ভাই আর ঘটক শায়েরা বানু ভাইবোন।
তারপর ভদ্রলোক শায়েরা বানুর অমতে বিয়ের আয়োাজন করলেও বিয়ের দিন রমিজ ভাই বিয়ে বাড়ির সমস্ত লাইট অফ করে শায়েরাকে নিয়ে পালিয়ে যায়। আর বিয়ে বাড়িতে একটি চিঠি ফেলে যায়। চিঠিতে রমিজ ভাই আর শায়েরা বানুর ভালবাসার সম্পর্কের কথা ভদ্রলোক কে জানিয়ে যায়। ভদ্র লোক চিঠি পড়ে ঘামতে থাকে।
নাটকটি অনেক সুন্দর হয়েছে। নাটকে বুঝানো হয়েছে, কে কখন কার কোন কথায় কার প্রেমে পড়ে যায় কেউ বলতে পারে না। আর ঘটকের কাজ হলো বিয়ে দেওয়া কিন্তুু সংসারে শান্তি আনার দায়িত্ব নিজেদের। একজন অপরজনকে ভালবাসতে হবে, সময় দিতে হবে, বুঝতে হবে। তাহলেই সংসারে সুখ শান্তি আসবে।
৮.৫/১০
💖💖💖সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖
Hello friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
বেশ আকর্ষণীয়ভাবে রিভিউটা লিখেছেন। পড়ে যে কারও নাটকটা দেখতে ইচ্ছা হবে। আমারও হচ্ছে। অবশ্যই দেখব।
নাটকটি দেখেছি আমি। অনেক মজার।তিশার অভিনয় নিয়ে নতুন কিছু বলার নেই।নিশোও ভাল কাজ করার চেষ্টা করছে।ধন্যবাদ সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ দেওয়ার জন্য।
ঘটক নাটকটি দেখতে বেশ আকর্ষণীয় ভাই। আপনার রিভিউ দেখে বোঝা যাচ্ছে নাটকটি দেখতে বেশ মজার হবে ভাই। তানজিন তিশা অভিনয়গুলো আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লাগে। এত সুন্দর একটি নাটক শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাই।
অনেক ভালো লাগলো গল্পটা শুনে। নাটকটি দেখতে হবে। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া শেয়ার করার জন্য।
বিয়ের আগে বউ পালাবেই যদি অন্যের গার্লফ্রেন্ড কে ধরে জোড় করে কেউ বিয়ে করতে চায়।😛 বেশ মজাদার গল্প ছিলো। আর আপনি তো পুরো গল্পটাই বলে দিলেন। ভালোই হল। আর দেখতে হল না।
আপনি যেই নাটকটা রিভিউ করেছেন এটা আমি দেখেছি ভাইয়া। আমার কাছে তানজিন তিশা এবং আফরান নিশো দুইজনের নাটক ভীষণ ভালো লাগে। দুজনে বেশ ভালো অভিনয় করে। আপনি এত সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ দেওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আপনার এই নাটকটি আমি অনেকবার দেখেছিলাম। এমনিতেও আমি আপরান নিশো এবং তানজিন তিশার নাটক বেশি দেখে থাকি। আমার কাছেও ভীষণ ভালো লেগেছিল এ নাটকটি। আপনি এই কথাটি একদম ঠিক বলেছেন ঘটকের কাজ হলো বিয়ে দেওয়া কিন্তুু সংসারে শান্তি আনার দায়িত্ব নিজেদের। একজন অপরজনকে ভালবাসতে হবে, সময় দিতে হবে, বুঝতে হবে। তাহলেই সংসারে সুখ শান্তি আসবে।