ছয় ঋতুর বাংলাদেশ ।। 10% beneficary for @shyfox ❤️
হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই। আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। আমি আজ অনেক সকালে ঘুম থেকে উঠে গেছি। কেন এত সকাল সকাল ঘুমটা ভেঙ্গে গেছে সেটা বুঝলাম না। তবে সকাল বেলা বাহিরে হাটলে অনেক ভাল লাগে। তাই আজকে বাহিরে হাটতে গিয়ে একটু একটু শীত অনুভব করলাম। আমার মনে হয় গ্রামে সম্পূর্ন শীত পড়ে গেছে। যেহেতু আজকে একটু একটু শীত অনুভব করতেছি, সেহেতু শীতের ঋতুর আগমনি বার্তা পাচ্ছি। তাই আজকে ঋতু আর শীত নিয়ে কিছু লিখবো। চলুন শুরু করা যাক।
বাংলাদেশকে আবহাওয়া ও জলবায়ুর উপর ভিত্তি করে ৬টি ঋতুতে ভাগ করা হয়েছে। যথাঃ গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত, শীত ও বসন্ত। বাংলা বারো মাসকে কে আবার এই ছয় ঋতুতে ভাগ করা হয়েছে। যথা গ্রীষ্ম কালে- বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ মাস। বর্ষা কালে-আষাঢ় ও শ্রাবণ মাস। শরৎ কালে- ভাদ্র ও আশ্বিন মাস। হেমন্ত কালে - কার্তিক ও অগ্রহায়ণ মাস। শীত কালে-পৌষ ও মাঘ মাস। বসন্ত কালে- ফাল্গুন ও চৈত্র মাস।
গ্রীষ্মকাল বা বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ মাসে বাংলাদেশে প্রচুর গরম থাকে। গরমের কারনে বাংলাদেশের অনেক জলাশয় শুকিয়ে যায়। অনেক সময় দেখা যায় যে পুকুর খাল বিল এমনকি কিছু কিছু নদীও শুকিয়ে মাটি ফেটে যায়। তখন বাংলাদেশের গ্রামগঞ্জের টিউবওয়েল, মটর ও পাম্প দিয়ে পানি আসে না। তখন দেখা দেয় তিব্র পানির সংকট। মানুষ তখন বৃষ্টির আশায় বসে থাকে। ঐসময়টাতে বাংলাদেশে কালবৈশাখী জড় হয়। গ্রীষ্মকালে ইংরেজির এপ্রিল ও মে এই দুই মাস থাকে।
বর্ষাকাল বা আষাঢ় ও শ্রাবন মাসে বাংলাদেশে প্রচুর পরিমানে বৃষ্টিপাত শুরু হয়। বৃষ্টির পানিতে বাংলাদেশের পুকুর নদী খাল বিল দ্রুত পানিতে ভরে যায়। অনেক সময় দেখা যায় প্রচুর বৃষ্টি পাতে উপরের পানি নিচের দিকে নেমে এসে নিম্নাঞ্চল গুলো ডুবে যায়। কিছু কিছু স্থানে বন্যা ও নদী ভাঙ্গন দেখা দেয়। মানুষ অসহায় হয়ে নৌকাকে তাদের নিরাপদ আবাসস্থল মনে করে। বর্ষাকালে সাধারনত ইংরেজির জুন,জুলাই ও আগষ্ট মাস থাকে।
শরৎকাল বা ভাদ্র ও আশ্বিন মাসে বাংলাদেশের নদনদী ও খাল বিলের পানি কমতে থাকে। ঐ সময় প্রচুর গরম থাকলেও দক্ষিণের ঠান্ডা বাতাসে আবহাওয়া শীতল থাকে। যার কারনে দিনের বেলা গরম থাকলেও সকালের দিকে হালকা হালকা শীত অনুভব হয়। এর মাধ্যমে শীতের আগমনি বার্তা দেয়। এই সময়টাতে বাংলাদেশের অনেক স্থানে সাদা সাদা কাঁশফুল দেখা যায়। শরৎকালে ইংরেজি অক্টোবর মাসের প্রথম দিক দিয়ে শুরু হয়ে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত থাকে।
হেমন্তকাল বা কার্তিক ও অগ্রহায়ণ মাসে বাংলাদেশে প্রচুর পরিমানে শাক সবজি উৎপাদন হয়। এ সময়টাতে তুলনা মূলক শাক সবজির দাম কম থাকে। বর্ষার পানি চলে যাওয়া আর বৃষ্টিপাত হওয়ায় মানুষ নিজেদের অনবাদি জমি আবাদ করে। তারা নিজেরা পেয়াজ রসুন সহ বিভিন্ন নিত্য প্রায়োজনীয় জিনিষ চাষাবাদ করে। হেমন্ত কালের শেষের দিকে শীতের পরিমান বাড়তে থাকে। হেমন্ত কালে ইংরেজির নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাস থাকে।
শীত কাল বা পৌষ ও মাঘ মাসে বাংলাদেশের দিনের অংশ ছোট হয়ে রাতের অংশ বড় হয়ে যায়। বাংলাদেশে তখন প্রচুর শীত থাকে। বিশেষ করে উত্তরের হিমালয়ের বাতাসে উত্তর বঙ্গে বেশি শীত অনুভব হয়। এই সময় দিনেও রাতে প্রচুর কুয়াশা থাকলেও বাংলাদেশের কোথাও বরফ পড়ে না। আমি বাংলাদেশে প্রচুর শীত দেখেছি। কিন্তুু কোথাও বরফ দেখি নাই। আপনারা দেখলে কমেন্টে জানাবেন। শীত কালে ইংরেজির জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাস থাকে।
বসন্তকাল বা ফাল্গুন ও চৈত্র মাসে বাংলাদেশের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার কারনে গরমের আবাস পাওয়া যায়। দিনের অংশ বড় হতে শুরু করে। চারদিকে পলাশ, শিমুল, কৃষ্ণচূড়া সহ বিভিন্ন ধরনের ফুল দেখা যায়। বসন্ত কালকে প্রকৃতির যৌবনকাল বলা হয়।বসন্ত কালে ইংরেজির মার্চ মাস আর এপ্রিলে মাসের প্রথম অংশ থাকে।
বন্ধুরা আমরা জম্ম সূত্রে বাঙ্গালী হলেও বাংলা তারিখ বা বাংলাদেশের ঋতু সম্পর্কে আমাদের ধারনা খুব কম। যার কারনে আমদের চাকরী পরিক্ষায় প্রায় সময় বাংলা সন আর তারিখ জিঙ্গেস করে। অথচ আমরা বালাদেশি হয়েও বাংলা তারিখটা বলতে পারি না। তাই আজকে আমার ব্লগটা বাংলাদেশের ঋতুর আলোচনা দিয়ে সাজালাম। জানিনা কেমন হয়েছে। আশা করি আপনারা মনযোগ দিয়ে পড়লে ঋতু,তারিখ,মাস সম্পর্কে কিছুটা ধারনা পাবেন। সবাই ভাল থাকবেন। সুস্থ থাকবেন। শীত আসতেছে,শীতের জন্য প্রস্তুতি নিন। আল্লাহ হাফেজ।।
খুব সত্যি কথা বলেছেন।বাংলা মাসের নাম ত ভাল, বর্নমালা জানতে চাইলে, তাও পারেনা। আসলে আমাদের সকলের বাংলা মাস,ঝতু জানা উচিত। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনি অসাধারণ ভাবে বাংলা ঋতু তারিখ সাজিয়েছেন।আসলেই আমরা বাঙালি হলেও আমাদের বাংলা তারিখ এগুলো বলতে পারিনা ।ফলে চাকুরীর পরীক্ষায় বেশ বিপাকে পড়তে হয় ।জি শীতের আগমনী বার্তা পড়ে গিয়েছে গ্রামে অনেক টাই।আপনি যেমন আজকে সকালে হাঁটতে গিয়ে অনুভব করেছেন।বেশ সুন্দর ব্লগটি শেয়ার করেছেন।ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
Congratulations, your post has been upvoted by @dsc-r2cornell, which is the curating account for @R2cornell's Discord Community.
ভাইয়া আপনি সুন্দর ভাবে বাংলা ঋতু তারিখ গুলো উপস্থাপন করেছেন। আমরা অনেকেই এই নাম গুলো বলতে পারি না ঠিক ভাবে।এটা আসলে অনেক দুঃখ জনক বিষয়।আর রাতের বেলা বোঝা যাচ্ছে শীত শুধু উঁকি মারছে। আপনি হাঁটতে গিয়ে অনুভব করেছেন বিষয়টি। আমি কয়েকদিন আগে থেকে বিষয়টি বুঝতে পারছি। লেখাটি পড়ে বেশ ভালো লেগেছে ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
অনেক সুন্দর ভাবে আপনি বাংলাদেশের ষড়ঋতুর বর্ণনা দিয়েছেন। তবে আমার কাছে ছয় ঋতুর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে বসন্তকাল আর শীতকাল। না ভাইয়া আমিও কোথাও বরফ দেখি নি শীতকালে।
বাংলাদেশের ঋতু গুলোর মধ্য থেকে আমার কাছে শীতকালটা সবথেকে বেশি ভালো লাগে ,কেননা এ সময় আমরা নানা ধরনের জিনিস পেয়ে থাকি। বিশেষ করে খেজুরের রস এবং পিঠা পুলি। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের সুস্বাদু ফলের কারণে গ্রীষ্মকাল ভালো লাগে। যদিও এই গ্রীষ্মকালে আমাদের দেশে কালবৈশাখী ঝড়ের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়।
কাগজে কলমে বাংলাদেশ ৬ ঋতুর দেশ হলেও জলবায়ু পরিবর্তন এর ফলে এখন আর ৬ ঋতুর দেখা পাওয়া যায়না। দিন দিন বড় বড় দেশের উচ্চাবিলাশি জীবনের ফলে অনেক কার্বন নিস্বরণ হচ্ছে। যার দরুন এই জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে। ভালো লাগলো আপনার পোস্ট এর মাধ্যমে ৬ ঋতুর বিবরণ পড়ে।