বাবুর জন্য ওয়াকার কেনার অনুভূতি।।

হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আপনাদের সাথে বাবুর জন্য ওয়াকার সহ বেশ কিছু জিনিষ কেনার অনুভূতি শেয়ার করবো।

আমাদের বাবু এই মাসের পঁচিশ তারিখে ৭ মাসে পা রাখবে। এই সময়টা বাচ্ছাদের জন্য খুবই রিস্ক। কারন এই সময়টাতে তারা ঘুম ছাড়া খাটে শুয়ে থাকতে চাই না। আর এই সময়টাতে বাচ্ছাদের ঘুমও কমে যায়। অল্প একটু ঘুমিয়ে উঠে যায়। এই সময়টাতে তাদের চঞ্চলতা বেড়ে যায়। এই সময়টাতে বাচ্ছা নিজে নিজেই শুয়া থেকে উঠে বসে যায়। হাত পায়ের উপর নির্ভরশীল হওয়ার চেষ্টা করে। হাত ও পায়ের উপর ভর করে খাটের এপাশ থেকে ওপাশে চলে যায়। ফলে এই সময়টাতে তাদের ব্যথা পাওয়ার সম্ভবনাও বেড়ে যায়। ‍সুতরাং এই সময়টাতে তাদের প্রতি অনেক বেশি কেয়াফুল থাকতে হয়।

আমাদের বাবুকেও সবসময় চোখে চোখে রাখতে হয়। খাটের উপর শুয়ে বা বসিয়ে এক সেকেন্টের জন্য কোথাও যাওয়া যায় না। আর ঘুম ছাড়া দোলনার মধেও থাকতে চায় না। ফ্লোরে বসালেও রিস্ক কখন পড়ে গিয়ে ব্যাথা পায়। গত পরশুদিন রাতে ফ্লোরে বসিয়েছিলাম। আমি পাশেই ছিলাম তারপরও হঠাৎ করেই পরে গিয়ে মাথায় ব্যাথা পেয়েছে। যদিও ব্যাথাটা তেমন গুরুতর নয়। তারপরেও প্রচুর কান্নাকাটি করেছে। তখন চিন্তা করলাম খাটে বসালেও রিস্ক, ফ্লোরে বসালেও রিস্ক, আবার কোলেও থাকতে চাই না। তাহলে বিকল্প কি..। তখনই বেবি ওয়াকার বা বাচ্ছাদের গাড়ির কথা মনে পড়লো।

আমাদের বাসার পাশেই একটি আরএফল শোরুম রয়েছে। গতকাল অফিস থেকে বের হয়ে সেই শোরুমে গেলাম। বেবি ওয়াকার দেখার জন্য। সেখানে গিয়ে দেখি বাচ্ছাদের অনেক খেলনা রয়েছে। আর বাচ্ছাদের এক মডেলের দুইটি ওয়াকার রয়েছে। এছাড়া আর কোন ওয়াকার তাদের দোকানে নেই। আর আশে পাশে আর এমন শোরুমও নেই। তখন এটা নিবো কিনা চিন্তা করতে লাগলাম। দোকানদার বললো ভাই বাচ্ছারা এগুলো সর্বচ্চ এক দেড়মাস ব্যবহার করে। তারপর বাচ্ছারা হাটা শিখে গেলে আর ব্যবহার করে না। শুধু শুধু পরে থাকে। তখন চিন্তা ভাবনা করে এটাই নিয়ে নিলাম।

শোরুম মানে তো বুঝতেই পারছেন। বাচ্ছাদের এমন কোন জিনিষ বাদ নেই, তাদের শোরুমে নেই। যেটা দেখি সেটাই পছন্দ হয়। আর সাথে বাবুর আম্মুও ছিল। ওয়াকার কেনার পরে বললো বাবুর খেলার জন্য কয়েকটা বল লাগবে। নিলাম দশটা বল। তারপর আবার বললো বাবুর ফল খাওয়ার জন্য ফলের চুষনি লাগবে। তখন আমি বললাম সেটা আবার কি...। তখন দোকানদার ভাই বের করে দিলেন। এটা খুবই সুন্দর একটি জিনিষ। ফিটার খাওয়ার মত ফলের রস খাওয়া যায়। আর ফলের আঁস গুলো আটকে থাকে। চায়নারা কত কিছু যে বের করে, বলে বুঝানো যাবে না। চায়নাদের মাথায় এত বুদ্ধি কোথায় থেকে আসে....। আর এগুলো বানিয়ে মার্কেটিং করা লাগে না। ইউটিউব , ফেসবুকে একটি রিভিউ দিয়ে দেয়। বাস ! মানুষের নজরে চলে যায়।

ওয়াকার, বল ও ফ্রুট চুষনি কিনে আসার পথে হঠাৎ করে বললো একটা বেবি পটি বা বেবি কমেট লাগবে। আবার গেলাম শোরুমে। সেখানে গিয়ে আবার একটি বেবি পটি নিলাম। এই একটি বেবি পটির দাম ৪৪০ টাকা, চিন্তা করা যায়। বাচ্ছাদের কত কিছু জিনিষ লাগে, চিন্তাও করা যায় না। যাদের বাচ্ছা আছে তারা বুঝে একটি বাচ্ছার কত জিনিষ পত্র লাগে। এগুলো তো মাত্র শুরু। ভবিষ্যতে আরো কত কিছু যে লাগবে,আল্লাহই জানে। যারা নতুন বাবা হতে যাচ্ছো, রেডি থেকো,হা হা হা।

তো বন্ধুরা,আজকে আর বাড়াবো না। এখান থেকেই বিদায় নিবো। আশা করি ব্লগটি সবার কাছেই ভালো লাগবে। কমেন্ট করে মতামত জানাবেন। আবার আগামীকাল আপনাদের সাথে নতুন কোন ব্লগ নিয়ে হাজির হবো। সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন।

আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।