কিছু এলোমেলো ফটোগ্রাফি।।

হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই,আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আবার আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে কিছু এলোমেলো ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো। আশা করি ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে।

এক লক্ষ ৪৭ হাজার ৫৭০ বর্গ মাইলের এই বাংলাদেশে ৬৮ হাজার গ্রাম রয়েছে। এ হাজার হাজার গ্রামের চারপাশে সাপের মত ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে শত শত নদ নদী। বর্ষার সময় এই নদনদী খাল বিলে পানিতে টই টুম্বুর থাকে। যখন পানি শুকিয়ে যায় তখন নদী ও খাল বিলে মাছ ধরার উৎসব লাগে। বর্তমানে অনেক জায়গায় সেই মাছ ধরার উৎসব চলতেছে। আমাদের বাড়ির পাশে তেমন কোন নদনদী নেই তবে তিতাস নদীর একটি শাখা নদী রয়েছে যার নাম বিজনা নদী। সেখানে এখন মাছ ধরার প্রস্তুতি চলতেছে।

বর্ষার পানি চলে যাওয়ার পরে উচু টিলা,জমির আইলের মধ্যে বিভিন্ন আগাছা,বন্যফুল গাছ, ঔষধি গাছ জন্মিয়ে থাকে। সে গাছগুলোর মধ্যে অনেক সুন্দর সুন্দর ফুল ফুটে থাকে। আজকে আমি বিকালবেলা নদীর পাড়ে হাঁটতে গিয়ে কিছু ফটোগ্রাফি করেছিলাম। সেগুলো এখন আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি।

বন্ধুরা আপনারা উপরে সুন্দর একটি বন্য ফুলের ফটোগ্রাফি দেখতে পাচ্ছেন। এই ফুলটির নাম আমি জানিনা। তবে ফুলটি দেখতে কিন্তু অনেক সুন্দর। এই বন্যফুলটি যেকোনো মানুষের নজর আকর্ষণ করবে। বর্ষার সময় এ ফুলটির জায়গায়ও পানি ছিল। বর্তমানে পানি শুকিয়ে যাওয়ার ফলে এখানে বিভিন্ন আগাছা জন্ম নিয়েছে।

এখানে আরেকটি ফুলের ফটোগ্রাফি দেখতে পাচ্ছেন। এই ফুলটির নাম সঠিকভাবে বলতে পারতেছি না তবে আমার ধারণা এই ফুলটি টগর ফুলের একটি ভিন্ন জাত। মসজিদে নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় এই ফটোগ্রাফিটি নিয়েছিলাম। রাস্তার পাশে বিশাল বড় একটি গাছের মধ্যে হাজার হাজার ফুল ফুটে আছে। সেখান থেকে আমি এই ফটোগ্রাফিটা করেছি। রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় এই ফুলের ঘ্রাণে সারা রাস্তা মানুষ মুগ্ধ থাকে।

এখানে আপনারা একটি কুমড়ো ফুলের ফটোগ্রাফি দেখতে পাচ্ছেন। এ কুমড়ো ফুলটি এখনো পরিপূর্ণভাবে ফুটে উঠতে পারেনি। হয়তো আর কিছুদিন পরে ফুলটি পরিপূর্ণতা লাভ করবে। তবে দুঃখের বিষয় হলো এই ফুলটিতে কুমড়ো ধরবে না। এই ফুলটি দিয়ে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি করা যাবে। আমাদের কমিউনিটিতেও অনেকে এরকম ফুল দিয়ে সুন্দর সুন্দর রেসিপি করেছে।

এখানে একটি বিলের ফটোগ্রাফি দেখতে পাচ্ছেন। বর্ষার সময় এই বিলে পানিতে ঢেউ খেলে। এখন চারপাশের পানি শুকিয়ে গেছে। বিলের মাঝখানে অল্প একটু পানি দেখা যায়। কিছুদিনের মধ্যেই এই পানিটাও মেশিনের সাহায্যে শুকিয়ে মাছগুলো ধরা হবে। এখন জেলেরা ওই পানির চারপাশে অস্থায়ী ঘর বানিয়ে বসবাস করতেছি। সম্পূর্ণ মাছ ধরার পর্যন্ত তারা সেখানে অবস্থান করবে।

এখানে একটি কাটার ফুল গাছ দেখতে পাচ্ছেন। গাছটির সম্পূর্ণ ডাল পালাতে প্রচুর কাঁটা রয়েছে। ফটোগ্রাফিতে বিষাক্ত কাটাগুলো খুব সুন্দর ভাবে দেখা যাচ্ছে। ডালপালার আগার মধ্যে কিছু সাদা ফুল রয়েছে। এগুলোকেও বন্যফুল হিসেবে বিবেচনা করা হয়। রাস্তা দিয়ে হাঁটার সময় বিভিন্ন জায়গায় এরকম ফুল চোখে পড়ে। ফুলগুলো পরে গিয়ে লাল লাল এক প্রকারের ফল ধরে। তবে দুঃখের বিষয় হলো সে ফল গুলো মানুষ খেতে পারে না।

এখানে আপনারা একটি খালি জায়গার ফটোগ্রাফি দেখতে পাচ্ছেন। এই জায়গাটা একসময় পানির নিচে ছিল।বর্তমানে জায়গাটিতে এলাকার ছেলেপেলেরা খেলাধুলা করে। আবার বৈশাখ মাসে এ জায়গায় মেলার আয়োজন করা হয়। তাছাড়া এই জায়গাগুলোতে চাষিরা বিভিন্ন শাক সবজি চাষ করে থাকে। নদীর পানি এই জায়গাতে থাকার কারণে খুব ভালো ফসল ফলে।

বন্ধুরা আজকে আর বাড়াবো না। এখান থেকে আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিবো। আবার আগামীকাল আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হবো। ততক্ষণ পর্যন্ত আপনারা সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।

আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।