কিছু এলোমেলো আলোকচিত্র।।
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই, আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে আবার আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি কিছু এলোমেলো আলোকচিত্র শেয়ার করবো। আশা করি আলোকচিত্র গুলো আপনাদের নিকট অনেক ভালো লাগবে।
গত সপ্তাহে আমি গ্রামে গিয়েছিলাম। একদিন জোহরের নামাজ পড়ে রাস্তা দিয়ে হাঁটছিলাম। তারপর রাস্তার আশপাশ থেকে অনেকগুলো ফটোগ্রাফি করেছি। গ্রামের রাস্তায় হাঁটলে রাস্তার দুই পাশে বিভিন্ন ধরনের ফুল দেখা যায়। বিভিন্ন চিত্র চোখে পড়ে, যেগুলো ফটোগ্রাফি করলে খুবই ভালো লাগে। তাছাড়া নতুন মোবাইল কিনেছি ফটোগ্রাফি করতে ভালোই লাগে।
আজকে আমি খুবই কমন কিছু জিনিসের ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আজকে আমার ঝুড়িতে রয়েছে বাচ্চাদের ক্রিকেট খেলার ফটোগ্রাফি, গরু এবং ছাগলের ফটোগ্রাফি, ফুলের ফটোগ্রাফি সহ আরো অনেক কিছু। চলুন তাহলে ফটোগ্রাফি গুলো দেখা যাক।
এখানে একটি শিম ফুলের ফটোগ্রাফি দেখতে পাচ্ছেন। বর্তমানে শীতকাল চলতেছে, শীতকালের প্রধান একটি সবজি হল শিম। বাংলাদেশে চার পাঁচ প্রকারের শিম দেখা দেয়। এগুলোর মধ্যে আবার কয়েকটি কালার রয়েছে। এখানে নীল কালারের শিমের ফুলের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছি। আমাদের বাড়িতে চার প্রকারের শিম রয়েছে। সুযোগ পেলে একদিন দেখাবো।
এখানে একজন যুদ্ধাকে দেখতে পাচ্ছেন। যে প্রতিনিয়ত জীবনের সাথে যুদ্ধ করে বেঁচে থাকে। লোকটির বয়স হবে ৫০ থেকে ৬০ বছর। তারপরও সে এভাবে প্রতিদিন তার নিজের গরুর জন্য নদী থেকে কচুরিপানা কেটে বোঝা বহন করে বাড়িতে নিয়ে যাই। তারা হলো বাংলার আসল হিরো। তারা কষ্ট করে গরু পালন করে বিধায় আমার সুস্বাদু টাটকা দুধ আর মাংস খেতে পারি।
রাস্তা দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে একটি ছাগলকে দেখতে পেলাম ঘাস খাচ্ছে। সাথে সাথে সেই ছাগলের ফটোগ্রাফিটিও নিয়ে নিলাম। ছাগল তো আমাকে চিনে না তাই সে আমার দিকে তাকাই না। গ্রামের রাস্তায় এই চিত্রগুলো অহরহ দেখা যায়। ছাগল পালনে প্রচুর লাভ হয়। অনেক মানুষ ছাগল পালন করে লাখ পতি হয়েছে। গরু ছাগল লালন পালন করা খুবই লাভ জনক একটি ব্যবসা।
এখানে একটি খালি মাঠে কিছু বাচ্চা ছেলেদের ক্রিকেট খেলতে দেখলাম। তাদেরকে দেখে আমার ছোট সময়ের স্মৃতি মনে পড়ে গেল। আমরাও দিনের পর দিন মাঠে পড়ে থাকতাম। কিক্রেট,ফুটবল নিয়ে সময় কাটাতাম। এই খেলা নিয়ে মা বাবার হাতে কত মার খেয়েছি, দৌড়ানি খেয়েছি তার কোন হিসাব নেই। আজও সেই স্মৃতিগুলো খুবই মিস করি। মন চাই আবার সেই ছেলেবেলায় ফিরে যাই।
এখানে একটি গরুকে ঘাস খেতে দেখতে পাচ্ছেন। গরুর মালিক একটি বুদ্ধি করে ঘাসগুলো গরুকে খাওয়াচ্ছে। গরুটি যেন ঘাস গুলিকে নষ্ট না করতে পারে সেজন্য ঘাসের উপরে একটি পাথর দিয়ে চাপা দিয়ে রেখেছে। আর গরুটিকে একটু দূরে বেঁধে রেখেছে। গরুটি ঘাসগুলোকে টেনে টেনে খাচ্ছে। এর ফলে একটি ঘাসও গরু নষ্ট করতে পারবে না। গরুর মালিকের এই বুদ্ধি প্রশংসা করতে হয়।
এখানে দেখতে পাচ্ছেন এক লোক অটো দিয়ে গরুর জন্য কচুরিপানা নিয়ে যাচ্ছে। আমাদের নিকট কচুরিপানার কোন মূল্য নেই অথচ যাদের গরু আছে তাদের কাছে কচুরিপানা খুবই মূল্যবান জিনিস। বোঝা বহন করে অটো দিয়ে এই কচুরিপানা বাড়িতে নিয়ে যাই। আর কিছুদিন পরে এই কচুরিপানার মধ্যে অনেক সুন্দর সুন্দর ফুল ফুটবে। তখন যদি আমি গ্রামে যাই তাহলে সেই ফুলের ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো।
বন্ধুরা এই হলো আমার আজকের আয়োজন। আশা করি আমার ব্লগটি আপনাদের কাছে অনেক ভালো লেগেছে আবার আমি আপনাদের সাথে নতুন কোন ব্লগ নিয়ে হাজির হবো। ততদিন পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রিয়েলমি-53 |
শিরোনাম | কিছু এলোমেলো আলোকচিত্র।। |
স্থান | ব্রাহ্মণবাড়িয়া,বাংলাদেশ। |
তারিখ | ১০ / ১২ /২০২৩ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
বেশ সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। প্রতিটা ফটোগ্রাফি দারুণ ছিল তবে একটা বৃদ্ধ লোক তার জীবন যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। এই ফটোগ্রাফি টা দেখে সত্যি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। অনেক অর্থপূর্ণ একটি ফটোগ্রাফি ছিল।
জী আপু,অনেক বয়স্ক মানুষ আছে,যারা জীবনের সাথে যুদ্ধ করছে। ধন্যবাদ আপু।
আজকে আপনি অনেক ভিন্ন ভিন্ন ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ফটোগ্রাফি গুলো দারুণ হয়েছে। আমিও ছোট বেলায় এইরকম ভাবে ক্রিকেট খেলতাম।যাইহোক ফটোগ্রাফির সাথে সাথে সুন্দর বর্ণনা দিয়েছেন। আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
জী ভাইয়া সবার জীবনে ছোট বেলায় ক্রিকেট খেলার স্মৃতি রয়েছে। ধন্যবাদ।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আপনার ফটোগ্রাফি গুলো চমৎকার হয়েছে। সত্যি ভাইয়া কচুরিপানা কেন কিছু জিনিস একজনের কাছে মূল্যবান আবার অন্যজনের কাছে মূল্যহীন।আপনি নতুন ফোন দিয়ে বেশ সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জী আপু অনেক জিনিষ আছে,যে গুলো আমরা মূল্য দেয় না। কিন্তুু অন্যের কাছে মহা মূল্যবাদ। ধন্যবাদ।
অনেক দারুন দারুন কিছু আলোকচিত্র আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।খুবই সুন্দর লাগছে আপনার করা ফটোগ্রাফি গুলো।সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া, আপনার কমেন্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো।
গ্রামের পরিবেশ আমার কাছে খুব ভালো লাগে। যেহেতু খোলামেলা একদম সাদামাটা পরিবেশ। আপনি ঠিক বলছেন গ্রামের রাস্তায় বের হলে রাস্তার দুই পাশে খুব সুন্দর সুন্দর দৃশ্য দেখা যায়। বিশেষ করে বিভিন্ন ধরনের নাম না জানা ফুল গুলো দেখতে পাওয়া যায়। আপনি বিভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি শেয়ার করলেন। দেখে অনেক ভালো লেগেছে আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো।
জী আপু গ্রাম আসলেই অনেক সুন্দর। যদি সেটা সুন্দর করে রাখা হয়। ধন্যবাদ।
বাহ্ চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করলেন তো ভাইয়া। আপনার আজকের ফটোগ্র্রাফিতে কিন্তু গ্রাম বাংলার প্রকৃত চিত্র উঠে এসেছে। আপনার আজকের ফটোগ্রাফিতে কিন্তু ছেলেবেলার স্মৃতিও আছে। কি সুন্দর গ্রামের বাচ্চা গুলো খেলা করছে নিজের মনে। ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
জী আপু গ্রাম বাংলার প্রকৃতিক চিত্র ফুটিয়ে তুলার চেষ্টা করেছি। ধন্যবাদ।
খুবই সুন্দর সুন্দর এলোমেলো ফটোগ্রাফি করেছেন। এলোমেলো ফটোগ্রাফি দেখে অনেক ভালো লাগলো। এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
জী ভাইয়া গ্রামীন পরিবেশের কিছু চিত্র তুলে ধরলাম। ধন্যবাদ।
খুবই ভালো লাগলো আপনার কাছ থেকে এই ফটোগ্রাফি দেখতে পেরে। খুবই ভালোভাবে আপনি সবগুলো ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। একইসাথে এখানে সবগুলো ফটোগ্রাফির সুন্দর বর্ণনা দিয়েছেন।
জী ভাইয়া যথা সম্ভব চেষ্টা করেছি,বর্ণনা করতে। ধন্যবাদ।
জোহরের নামাজ পড়ার পর যখন হাঁটাহাঁটি করছিলেন, তখন রাস্তার পাশ থেকে এই সকল ফটোগ্রাফি করেছিলেন দেখে খুব ভালো লেগেছে। আপনার করা সবগুলো ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর হয়েছে। গ্রামের এরকম দৃশ্য দেখতে সত্যি খুব ভালো লাগে, এবং প্রাণটা জুড়িয়ে যায় এরকম দৃশ্যগুলো দেখলে। আমি তো আপনার তোলা এলোমেলো আলোকচিত্র গুলো খুব ভালোই উপভোগ করে দেখলাম। সব দৃশ্য আমার একেবারে মন ছুঁয়ে গিয়েছে।
জী আপু গ্রামের রাস্তায় হাটলে কত কিছু দেখা যায়। সে গুলোই তুলে ধরলাম। ধন্যবাদ।