“জামাই পাগল” নাটক রিভিউ ❤️।।
বাংলা ভাষাভাষীর মিলন মেলা-
হ্যালো বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন, আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন,সুস্থ আছেন। আজকে আবার আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে গেছি। আজকে আপনাদের সাথে শিক্ষনীয় একটি নাটক রিভিউ শেয়ার করবো। সামনে ঈদ আসতেছে,আর এই নাটকটি ঈদকে লক্ষ করেই নির্মাণ করা হয়েছে। আশা করি নাটকের রিভিউটি সবার কাছেই ভালো লাগবে।
নাটকের কিছু প্রয়োজনী তথ্য-
নাটকের নাম | জামাই পাগল |
---|---|
রচনা ও পরিচালনা | আল হাজেন |
অভিনয়ে | তৌকির আহমেদ, তারিন, রোহমত আলী, মায়া ঘোষ ও আরো অনেকে। |
দৈর্ঘ্য | ৪৩ মিনিট |
মুক্তির তারিখ | ২২শে ফেব্রুয়ারি ২০১৭ |
ভাষা | বাংলা |
ধরন | ড্রামা |
দেশ | বাংলাদেশ |
নাটকের সংক্ষিপ্ত রিভিউ -
আল হাজেন কর্তৃক রচিত ও পরিচালিত ধারুন রোমান্টিক একটি শিক্ষনীয় নাটক হলো “জামাই পাগল”। এই নাটকটি আমি মাত্র একবার দেখেছি। ফেসবুকে নাটকটির বিভিন্ন সিন দেখে নাটকটি দেখার আগ্রহ প্রকাশ করি। যার ফলে আজকে ইউটিউবে নাটকটি দেখলাম। সময়ের অভাবে তেমন নাটক দেখা হয় না। তবে মাঝে মাঝে ইউটিবে কোন সিন দেখে ভালো লাগলে তখন দেখা হয়। বাংলাদেশের প্রত্যেকটা নাটক কোন একটি বিষয়ের উপর লক্ষ করে নির্মাণ করা হয়। আজকের নাটকটি তার ব্যাতিক্রম নয়। শ্বশুর বাড়িতে জামাই গেলে কিছু কিছু বউয়েরা কেমন আচরন করে সেটাই এই নাটকে ফুটিয়ে তুলা হয়েছে।
নাটকটিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছে তৌকির আহমেদ ও তারিন। তারিনের অভিনয় ছিল চোখে পড়ার মত। এছাড়াও বাবা-মার চরিত্রে অভিনয় করেছে রোহমত আলী ও মায়া ঘোষ। সবার অভিনয় দারুন হয়েছে। পরশুদিন আমাদের দেশে পবিত্র ঈদুল ফিতর পালনা করা হবে। অনেকে রয়েছে যারা শ্বশর বাড়িতে গিয়ে ঈদ করে। সেই ঈদ উপলক্ষে নাটকটি নির্মাণ করা হয়েছে। তাই ভাবলাম এখনই এই নাটকটির রিভিউটি শেয়ার করার প্রধান সময়। তাছাড়া নাটকটি ভালোই সুনাম অর্জন করেছে। এখন পর্যন্ত দশ লাকের মত ভিউ হয়েছে।
নাটকটির শুরুতেই দেখা যায় তৌকির আহমেদ ও তারিন দুই জনে এক সাথে ঢাকা থেকে তারিনদের গ্রামের বাড়িতে বা তৌকির আহমেদের শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে যায়। সেখানেই তাদের রমজানের ঈদ করার প্লান রয়েছে। তো তারিন তার বাবার বাড়িতে গিয়েই সবাইকে দৌড়ের উপর রাখতেছে। তাকে কেন রাস্তা থেকে কেউ রিসিপ করে নাই,সে তো গতকাল ফোন করে সবাইকে জানিয়ে এসেছে। আর বাড়িতে আসার পরে তার জামাইয়ের সাথে কেন আগে কৌশল বিনিময় করা হলো না। তাকে কেন শরবত দিতে দেরি করেছে ইত্যাদি। সে একেবারে সবাইকে নাচিয়ে চলছে। তার বাবা হাট থেকে আসার পরে তারিনের জামাই তার বাবার পা ধরে সালাম করেছে,তাকে দোয়ার সাথে সাথে টাকা দিতে হলো। আরো অনেক কিছু।
তারিনের বাবা তার মেয়ের জামাইয়ের জন্য বাজার থেকে বিভিন্ন জিনিষ পত্র কিনে নিয়ে আসে। তারিন আবার সেগুলো চেক করতে যায়। গিয়ে বলে মাছ নাকি ছোট,চাষের। আবার ভুলে গরুর মাংসের জাগায় মহিষের মাংস নিয়ে আসলো না কি। মুরগি কেন আনে নাই। এটা নিয়ে এলাহি কান্ড করতে থাকে। পরে তারিনে মা আবার বলে ঘরে দেশি মুরগি আছে,জামাইকে প্রতি বেলায় দেশি মুরগি দিয়ে খাবার খাওয়াবে। তারিনের জামাইকে আবার এলাকার একজন মহিলা দেখতে আসলে, তাকে বলে তার জামাইকে দেখতে হলে,নতুন কাপড় পড়ে আসতে হবে,হাতে টাকা নিয়ে আসতে হবে। তা না হলে তার জামাইকে দেখা যাবে না। শুধু তাই নয় জামাই বেটা শ্যালিকার সাথে একটু কথা বলবে সেটাও তার বোন মেনে নেয় না।
রাতের বেলা জাইয়ের জন্য মুরগি রান্না করলে পুরো পাতিল জামাইয়ের সামনে নিয়ে যায়। মাছের মুন্ড দুইটা একসাথে জামাইকে খেতে দেয়। জামাই একটু কম খায় বলে নিজে খেয়ে টেষ্ট করে। পরের দিন নিজের হাতে জামাইয়ের জন্য ইতালিয়ান ডিস রেসিপি রান্না করে। কিন্তুু সেটা এত কুখাদ্য হয় যেটা মুখে নেওয়ার মত না। তারিন তার মাকে বলে ঈদের জামাইকে শপিং করার জন্য বাবার পক্ষে থেকে পঁচিশ হাজার টাকা দিতে,আর তার মা যেন পাঁচ হাজার টাকা দেয়। সর্বমোট মার্কেট করার জন্য যেন ত্রিশ হাজার টাকা তার জামাইয়ের হাতে দেয়। শ্যালিকা তার দুলাভাইয়ের সাথে মজা করে কিছু মানুষ জড়ো করে। সবার থেকে দশ টাকা টিকেট নিয়ে তার দুলা ভাইয়ের সাথে কথা বলার ব্যবস্থা করে। সেটা দেখে তার বোন আবার মাইন্ড করে বাড়ি থেকে চলে যেতে চাই। তারপর তার জামাই তাকে বুঝিয়ে বলে তুমি আসার পর থেকে সব কিছুতে বাড়াবাড়ি করছো। এমনটা করা ঠিক হচ্ছে না। পরে তারিন তার ভুল বুঝতে পারে। পরে তারিন ঢাকা কি কি পরিস্থিতির স্বীকার হয়ে এগুলো করছে সেটা বলে। তখন জামাইও তার ভুল বুঝতে পারে। এভাবে নাটকের ভিতরে আরো অনেক কাহিনী রয়েছে।
নিজস্ব মতমত বা শিক্ষা-
আজকের নাটকের মাধ্যমে কয়েকটি বিষয়ের দিকে বার্তা দেওয়া হয়েছে। একটি হলো জামাই যখন শ্বশুর বাড়িতে যায় তখন এতটা উতলা হওয়া যাবে না। জামাই কোন চিড়িয়াখানার বস্তু নয় যে,তাকে নিয়ে সবাই ভয়ে থাকবে বা তাকে রুমের মধ্যে বন্দি করে রাখবে। আর সব বাবা মায়েরাই চাই তাদের মেয়ের জামাই যেন,সর্বউচ্চ মূল্যায়ন পায়। এখানে কোন কিছু নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে বিষয়টা খারাপ দেখা যায়। আর কোন কিছু নিয়ে ব্ল্যাকমেইল করাও সুস্থ মানুষের কাজ নয়। ঈদের সালামিতে হাজার হাজার টাকা দিতে হবে এটাও কোন ভদ্র সমাজের কাজ নয়। এছাড়াও আরো অনেক বিষয়ের দিকে লক্ষা রাখা হয়েছে। আপনারা যদি নাটকটি দেখেন তাহলে অনেক কিছু বুঝতে পারবেন।
নাটকের লিংক
ব্যক্তিগত পয়েন্ট
ধন্যবাদ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
বর্তমান সময়ে এখন অনেকেই ফেসবুক থেকে সামান্য কিছু রিল দেখেই নাটক দেখার আগ্রহ জন্মেছে। আপনিও ঠিক তেমনভাবেই এই নাটকটি দেখেছেন। জামাই পাগল এই নাটকটি ভীষণ ভালো লাগলো রিভিউ পড়ে। যদিও নাটকটা আমার এর আগে দেখা হয়নি। তবে বাংলাদেশের নাটক সবসময় শিক্ষনীয় হয়ে থাকে। আর এজন্যই নাটকগুলো দেখতেও বেশ ভালো লাগে। আপনাকে ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি নাটক আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জী ভাইয়া অল্প একটু সিন দেখেই নাটকটি দেখার আগ্রহ হলো। ধন্যবাদ।
আসলে পুরুষ মানুষকে কখনো ঘর বন্দি করা যায় না। আর যারা ঘর বন্ধু থাকে তারা আমি মনে করি পুরুষ মানুষ নয়।😛 সেই বিষয়টি নাটকের মধ্যে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এই ধরনের নাটক গুলো বাস্তবতা সম্পর্কে ধারণা দেয়। আপনি খুব সুন্দর করে নাটকটি রিভিউ দিয়েছেন ভালো লাগলো । দেখা হয়নি একসময় দেখার চেষ্টা করব।
জী ভাইয়া জামাই বেটাকে ঘরের মাঝে বন্দি করে রাখতে চাই,হা হা হা। ধন্যবাদ।
অনেক সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এ ধরনের নাটক গুলো দেখতে আমি খুবই পছন্দ করি। কয়েকদিন আগে এই নাটকটি আমি দেখেছিলাম। নাটকটি বেশ শিক্ষামূলক একটি নাটক। সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
জী ভাইয়া নাটকটিতে কয়েকটি বিষয়ে শিক্ষা দেওয়া হয়েছে। ধন্যবাদ।
অনেক সুন্দর একটা নাটক ছিল। যেটা আমি এখনো পর্যন্ত দেখিনি, আপনার রিভিউ পোস্ট এর মধ্যে প্রথমবার দেখলাম। তারিন তো দেখছি তার জামাই এর জন্য অনেক বেশি পাগল। নিজের ছোট বোনের সাথে ও পর্যন্ত কথা বলতে দিচ্ছিল না। তার অভিনয়টা বেশি সুন্দর ছিল এই নাটকের মধ্যে। বেশি বাড়াবাড়ি করাও কিন্তু এগুলো নিয়ে একেবারে উচিত না। যাইহোক এই নাটকটার মধ্যে থেকে শিক্ষা নেওয়ার মতোও বিষয় রয়েছে। আমি যদি সময় পাই তাহলে অবশ্যই নাটকটা দেখব। কারণ পুরো নাটকটার রিভিউ ভালো লেগেছে।
জী জামাইকে শ্যালিকার সাথেও কথা বলতে দিচ্ছে না,হা হা হা। ধন্যবাদ।
দারুন একটি নাটকের রিভিউ আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। এই নাটকটি অনেক দিন আগে দেখা হয়েছিল। খুবই মজার লেগেছিল এই নাটকটি। নাটকটি মজার হলেও শিক্ষামূলক বটে। অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জী আপু নাকটটি দেখে অনেক হাঁসি পেয়েছে। ধন্যবাদ।
ভাইয়া আপনি দেখছি আজকে আমাদের মাঝে দারুন একটি নাটক রিভিউ পোস্ট শেয়ার করেছেন। আসলে ভাইয়া আপনি আজকে আমাদের মাঝে যে নাটকটি শেয়ার করেছেন এই নাটকটি সত্যিই খুবই দারুণ একটা নাটক। এই নাটকটি যদিও আমার এখনো দেখা হয়নি তবে আপনার পোস্টের মাধ্যমে নাটকটি দেখতে পেয়ে দেখার অনুভূতি আরো বেড়ে গেল। ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া হাঁসি প্লাস শিক্ষার একটি নাটক,মন চাইলে দেখতে পারেন। ধন্যবাদ।
এরকম নাটক গুলো যেমন সুন্দর, তেমনই নাটকগুলোর মধ্য থেকে শিক্ষা ও নেওয়া যায়। তবে এই নাটকের মধ্যে তারিনের অভিনয়টা একটু বেশি ভিন্ন ছিল। তারিন কিন্তু তার স্বামীর জন্য একটু বেশি পাগল। আর কারো সাথেও কথা বলতে দিত না নিজের স্বামীকে। এত টাকা সালামি দিতে হবে এটা তো প্রশ্নই আসে না। এটা তো কোন সমাজের নিয়মের মধ্যেই পাড়ে। এই নাটকটার থেকে আমরা এই শিক্ষাগুলো ভালোভাবে নিতে পারব। এই নাটকটা বেশিরভাগ মানুষেরই দেখা প্রয়োজন। আমিও যদি পারি দেখবো।
জী ভাইয়া সম্পূর্ণ নাটকে তারিনের অভিনয় লক্ষনীয় ছিল। ধন্যবাদ।
আপনি সুন্দর একটা নাটকের রিভিউ শেয়ার করেছেন। তবে এগুলো নাটক বেশি একটা দেখি না,এগুলোর মধ্যে বিনোদন প্রচুর থাকে।যাইহোক আপনি খুবই সুন্দর ভাবে নাটকটির রিভিউ শেয়ার করেছেন। রিভিউ পড়ে নাটকটি দেখার আগ্রহ বেড়ে গেলো। সময় করে নাটকটি দেখার চেষ্টা করবো। ধন্যবাদ ভাইয়া পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
জী ভাইয়া বাংলাদেশের নাটক মানে বিনোদনের অনন্য জগৎ। ধন্যবাদ।
অনেক ধন্যবাদ নাটকের রিভিউ শেয়ার করার জন্য, দুটো বানান ভুল দেখেছি আমি, আশা করছি পরবর্তীতে এই ব্যাপারে আরো যত্নশীল হবেন।