পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটি ভ্রমন-চতুর্থ পর্ব (বোদ্ধ মন্দির পরিদর্শন ।।)
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আমি আপনাদের সাথে আমার পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটি ভ্রমন-চতুর্থ পর্ব শেয়ার করবো। আজকে আপনারা বোদ্ধ মন্দির পরিদর্শন বিষয়ে অনেক কিছু জানতে পারবেন।
আমি গত পর্বে আপনাদের বলেছিলাম যে, আমরা সকালের নাস্তা করে নৌকা দিয়ে ভ্রমন করে এক পাহাড়ি আদিবাসি এলাকায় প্রবেশ করি। সে এলাকাটা মূলত ছিল বোদ্ধ পাড়া। আমরা পাহাড়ের উচুঁ নিচু রাস্তা পেরিয়ে হাটতে লাগলাম। কোথাও ঘন বন-জঙ্গল আবার কোথাও পাহাড় ও গাছপালা কেটে বাড়ি ঘর তৈরী করা হয়েছে। পাহাড়ের উপর দিয়ে আবার পাহাড়ের নিচে দিয়ে মাটি কেটে রাস্তা তৈরী করা হয়েছে। সেদিন তাপমাত্রা ছিল অনেক। আবার পাহাড়ের উপরে রোদের প্রচুর তাপ লাগতেছিল। সাথে পানির বোতল ছিল, পানি খেয়ে হাত মুখ ধুয়ে, মাথায় পানি দিয়ে পাহাড়ের উচু নিচু রাস্তা অতিক্রম করতে লাগলাম। পাহাড়ের নিচে বোদ্ধাদের একটি মন্দির আছে। সেখানে কিছু ফটোগ্রাফি নিলাম।
উপরের ফটোগ্রাফিতে যে মন্দিরটা দেখতে পাচ্ছেন সেটা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত। আমরা যখন সেখানে গিয়েছিলাম তখনও মানুষ সেই মন্দির পূজা আর্চনা করতে ছিলো। এটা বোদ্ধ ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা গৌতম বোদ্ধের মূর্তি। তারা এই মূর্তির পুজো করে। মূর্তির সামনে কোমল পানি,মিনারেল ওয়াটার, বিভিন্ন খাবার সহ অনেক কিছু রাখা আছে। আবার গৌতম বোদ্ধের মূর্তিকেও অনেক সুন্দর ফুল দিয়ে সাজিয়ে রেখেছে। আমরা নিচের মন্দিরে কিছুক্ষন ঘুরে পাহাড়ের উপরে মন্দিরে যাওয়ার জন্য পস্তুতি নিলাম।
আমি প্রথমে নিচে থাকা অবস্থায় একটি ফটোগ্রাফি নিলাম। তারপর সিড়ির মাঝখানে দাড়িয়ে আরেকটি ফটোগ্রাফি নিলাম। আমি সব গুলো সিড়ি গননা করি নাই তবে আন্দাজ করে বললে একশতের উপরে সিড়ি হবে। আপনারা উপরের ছবিতে তাকালে দেখতে পারবেন আমরা কত উপরে উঠেছি। পাহাড় থেকে নিচের বাড়ি ঘর,নদী নৌকা সব কিছু দেখা যাচ্ছে। অনেকের ধারনা পাহাড়ে তারা পানি কোথায় পায়,ফটোগ্রাফিতে দেখতে পাচ্ছেন একটি বাড়ির ছাদে গাজী পানির ট্যাংকি দেখা যাচ্ছে। তারা সৌর বিদ্যুৎ জ্বালিয়ে মটরের সাহায্যে নিচ থেকে পানি উত্তলন করে।
অবশেষে আমরা পাহাড়ের সিড়ি বেয়ে মন্দিরে এসে পৌছালাম। এখানে এসে দেখি বিশাল বড় একটি বোদ্ধ মূর্তি রয়েছে। মূর্তির হাতে গোল্ড কালার করে একটি মাটির পাত্র দেওয়া আছে। সেই পাত্রে কি আছে সেটা দেখার সাধ্য আমার নেই। কারন আমার মত পাঁচ জনকে দাড় করালেও সেই মূর্তির মাথার কাছে পৌছানো সম্ভব নয়। মূর্তিটি বিশাল বড়। আনুমানিক বিশ ফুটের উপরে হবে। সম্পূর্ণ মূর্তি গোল্ডেন কালার করা। এখানেও মূর্তির পায়ের নিচে মিনারেল ওয়াটার ও কোমল পানির বোতল রয়েছে।
আমি পাহাড়ে উঠে ও পাহাড়ে উঠার আগে বিভিন্ন সাইটের ফটোগ্রাফি নিলাম। দুর দুরান্তে তাকালে পাহাড় ও গাছ-পালা ঘন জঙ্গল দেখা যায়। কাপ্তাই লেক রাঙামাটির পুরো জেলা জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে। শুধু তাই নয়, এই লেকের উপর দিয়ে নৌকা দিয়ে বান্দরবান,খাগড়াছড়ি ও যাওয়া যায়। পাহাড়ের উপরে উঠে একটি গাছের নিচে কিছুক্ষন বসলাম। এখানে অতিরিক্ত রোদের তাপমাত্রা থাকলেও গাছের নিচে বসে ভালোই আরাম লাগতেচিলো। পাহাড়ের উপরে একটি ছোট টং রয়েছে। সেখানে প্রত্যেকটা জিনিষের গায়ের মূল্য থেকে পাঁচ দশটাকা বেশি রাখে। সেটা রাখাটা স্বাভাবিক। সেখানে কোম্পানির কোন গাড়ি যায় না। তারা নিজেরা রাঙামাটি শহর থেকে নৌকা বোঝাই করে দোকানের মালামাল নিয়ে আসে। অতিরিক্ত অর্থ রাখার ফলে কেউ তেমন কিছু বলছে না। কারন পর্যটকরা মনে করে এই পাহাড়ের উপরে যে এগুলো পাওয়া যায়,এটাই অনেক কিছু। বৃষ্টি বাদলের সময় এসব পাহাড়ি রাস্তা দিয়ে হাটা চলা করা খুবই কঠিন। একবার পা ছিল্পি কেটে পড়ে গেলেই জীবনের অন্তিম পর্ব রচনা হয়ে যাবে।
যায়হোক আজকে আর বাড়াবো না। পরের পর্বে একটা টুইস্ট আছে। সেটা জানার জন্য অবশ্যই আমাদের সঙ্গে থাকবেন। আজকে এখান থেকেই বিদায় নিলাম। সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। আবার আগামীকাল নতুন কোন বিষয় নিয়ে হাজির হবো,ইনশাআল্লাহ।।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | realme-53 |
শিরোনাম | পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটি ভ্রমন-চতুর্থ পর্ব (বোদ্ধ মন্দির পরিদর্শন )।। |
স্থান | কাপ্তাই লেক,বোদ্ধ মন্দির , রাঙামাটি, চট্রগ্রাম, বাংলাদেশ। |
তারিখ | ০১ /০৩ /২০২৪ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
ভাইয়া আমি আপনাদের আগের পর্বগুলো দেখেছি। তাই আজকে আপনার ভ্রমণের চতুর্থ পর্ব দেখতে বেশি ভালো লাগলো। বাংলাদেশের সবচেয়ে বনভূমি অঞ্চলের রাঙ্গামাটিতে অবস্থিত । এখানে বড় বড় পাহাড় রয়েছে। এটা আমি শুনেছি কিন্তু কখনো ভ্রমন করা হয়নি তবে আপনার পোস্ট দেখে আবার দেখতে পেয়ে বেশ ভালো লাগলো। অতি সুন্দর একটি মুহূর্ত উপভোগ করে সেখান থেকে ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।।
জী ভাইয়া লেকের পাশে পাহাড় গুলো দেখতে সত্যিই দারুন লাগছিলো। ধন্যবাদ।
পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটির প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আসলেই কোন সীমা নেই। আপনাদের পাহাড় ভ্রমণ, সেই সাথে বোদ্ধ মন্দির দেখা এবং সেটা সম্পর্কে টুকটাক তথ্য জেনে অনেক ভালো লাগলো। তবে পাহাড়ি এলাকায় বিশেষ করে জল এবং তরল জাতীয় জিনিসের দাম কিছুটা বেশি নেয় এ কথা সত্যি। কারণ কোম্পানির গাড়ি সেখানে যেতে পারে না, ওরাই নিজেরা নিয়ে আসে। তবে আমরাও আসলে এটা মেনে নিয়েছি।
জী ভাইয়া পাহাড়ে কোম্পানি জাত পন্যের দাম একটু বেশি। ধন্যবাদ।
রাঙ্গামাটি ভ্রমণের চতুর্থ পর্ব দেখে খুবই ভালো লাগছে৷ আজকের এই চতুর্থ পর্বের মধ্যে আপনি বৌদ্ধ মন্দির দর্শন করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। এই বৌদ্ধ মন্দির পরিদর্শন করে আপনি খুব সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন এবং সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফিও শেয়ার করছেন যা দেখে আপনার কাছ থেকে নতুন কিছু দেখতে পারলাম৷ ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য৷
জী ভাইয়া জায়গাটা যেমন সুন্দর ছিল। তেমন গরম ছিল। তবে সব মিলিয়ে ভালোই লেগেছে। ধন্যবাদ।
এরকম সুন্দর একটি স্থানে ভ্রমন করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।