গ্রাম্য পরিবেশের কয়েকটি এলোমেলো ফটোগ্রাফি।।
বাংলা ভাষার কমিউনিটি
হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই, আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে গ্রাম বাংলার কিছু এলোমেলো ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো।
গ্রামে এসেছি প্রায় এক সাপ্তাহ হয়ে গেলো। দেখতে দেখতে সাতদিন চলে গেলো। যাবার সময় হয়ে যাচ্ছে। অলরেডি অনেকেই গ্রাম ছেড়ে শহরের দিকে যাত্রা শুরু করেছে। যাদের শনিবার থেকে অফিস তারা চলে গেছে। আমাদের অফিস মঙ্গলবার থেকে শুরু হবে। আমি সোমবারে বিকালে যাত্রা করবো,ইনশাআল্লাহ ।
দুইদিন বোনের বাড়িতে বেড়িয়েছিলাম, তিনদিন আমাদের বাড়িতে ছিলাম। দুইদিন বাড়িতে থেকে গ্রামে ঘুরেছি। বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করেছি। আজকে বেশ কিছু ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।
বর্তমানে গ্রামের খালে বিলে জমিতে কচুরিপানার ফুল ফুটেছে। এই ফুল গুলো দেখতে দারুণ সুন্দর লাগে। ঘুরতে গিয়ে একটি ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করলাম। পিংক কালারের মধ্যে বেগুনি হলুদ কালার ও দেখা যায়।
সামনে ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে দুটি মহিষ পালন করছে আমাদের এক চাচা। পুকুর পাড়ে মহিষ গুলো বেঁধে ঘাস খাওয়াচ্ছে। এগুলো মহিষের বাচ্চা। আড়াই মাসে মোটামুটি ভালোই বড় হবে। কোরবানির ঈদে মহিষের ভালো চাহিদা থাকে।
আমাদের গ্রামের সাপ্তাহিক হাট হলো প্রতি মঙ্গলবার আর শুক্রবার। গতকাল আমাদের পরিচিত এক চাচা গ্রাম্য হাট থেকে টমেটো কিনে বাড়ি ফিরছিলেন। আমি রাস্তায় দেখে ফটোগ্রাফি করেছি। এখন টমেটো ৩০ টাকা কেজি হয়ে গেছে।
বলেন তো আমার হাতে এটা কি। জানি কেউ বলতে পারবে না। আমি ফটোগ্রাফি না করলে আমিও বলতে পারতাম না। এটা আসলে একটি টমেটো। এখন টমেটোর সিজন শেষের পথে। একটি গাছ থেকে ছোট একটি টমেটো পেরে ফটোগ্রাফি করেছি।
এক কৃষক ভাই রোদের মধ্যে মরিচ ক্ষেত থেকে আগাছা পরিষ্কার করছে। তার পিছনে রয়েছে ধনিয়া পাতা ক্ষেত। মরিচের মৌসুমও শেষের পথে। তবে এখন গাছের মধ্যে যে মরিচ গুলো আছে সেগুলো পাকিয়ে বিচ সংরক্ষণ করবেন। আবার ধনিয়া পাতার চাষ করেছে, এগুলো অফ মৌসুমে একটু দামে বিক্রি করবে।
আপনাদের ছোটবেলার স্মৃতি মনে করিয়ে দেয়। কে কে গ্রামে ছোট সময় টিন ভাঙ্গা, লোহা ভাঙ্গা, পুরাতন জিনিস দিয়ে আইসক্রিম খেয়েছেন। এ বিষয়ে আমার অনেক স্মৃতি রয়েছে। এখন বুঝতে পেরেছি, এগুলো আসলে আমাদের অনেক ক্ষতি করে। বিশেষ করে বাচ্চাদের এসব আইসক্রিম থেকে বিরত রাখা উচিত।
এটা হলো আমাদের গ্রামের উত্তর পাশের একটি গভীর নলকূপ। এই নলকূপকে আমার ছোট সময়ের অনেক স্মৃতি রয়েছে। আগে বাড়ি থেকে কাপড় নিয়ে এসে এখানে গোসল করতাম। তখন এটার চারপাশে ধানের জমি ছিল। আর এখন বাড়িঘর তৈরী করে ফেলেছে।
বন্ধুরা অনেকগুলো স্মৃতিময় ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। আশাকরি ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের সবার কাছে ভালো লাগবে। আজকে আর কথা বাড়াবো না। এখনই বিদায় নিবো।সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
| ডিভাইস | মোবাইল |
|---|---|
| মডেল | রিয়েলমি সি-৫৩ |
| স্কিন শর্ট | @joniprins |
| তারিখ | ০৪.০৪-২০২৫ |
| সময় | বিকাল ৫.৩০ মিনিট |
| স্থান | সৈয়দাবাদ, কসবা,ব্রাহ্মণবাড়িয়া। |
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP























গ্রামীণ পরিবেশে গ্রাম্য ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে ভীষণ ভালো লাগলো।এলোমেলো হলেও ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে খুব ই ভালো লেগেছে।সুন্দর বর্ননা গুলো পড়ে আরো ভালো লাগলো। আর এজন্য অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি চমৎকার একটি ব্লগ আজকে শেয়ার করার জন্য।
https://x.com/ArianKh29670721/status/1908392133561901276?t=eT7UFhS73f8tht7fUR6j4w&s=19
https://x.com/ArianKh29670721/status/1908205964521816352?t=cwNc0wkKz7JsZI8IkLSsrw&s=19
ঈদের ছুটিতে গ্রামে গিয়ে চমৎকার কিছু গ্রামীণ দেশের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। অনেকেই কাজের জন্য গ্রাম থেকে শহরে চলে গিয়েছেন। আজকের ফটোগ্রাফি গুলো বেশ চমৎকার হয়েছে। আমিও গ্রামে এসে বেশ কিছু ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করেছে এবার। আস্তে আস্তে আপনাদের সাথে শেয়ার করব। গ্রামের এরকম গভীনের খুব গ্রীস্মের সময় এক টুকরো শান্তি। ছোটবেলায় অনেকেই হয়তো এরকম কুপে গোসল করেছেন। কচুরিপানার ফটোগ্রাফিটি বেশ হয়েছে। বাকি ফটোগ্রাফি গুলোও চমৎকার হয়েছে।
আমিও আজকে গ্রাম থেকে চলে এলাম। মোটামুটি সবারই ছুটি শেষের দিকে। গ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সত্যি মুগ্ধ করে আমাদের সবাইকে। আপনার আজকের ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ ছিল ভাইয়া। গ্রামীণ প্রকৃতির সৌন্দর্য তুলে ধরেছেন দেখে ভালো লাগলো। সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
গ্রামীণ ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনার তোলা প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি চমৎকার হয়েছে ভাই। টমেটোর ফটোগ্রাফি টা কিন্তু দারুন লেগেছে। আমি নিজেও বুঝতে পারিনি কিসের ফটোগ্রাফি ছিল পরে পড়ে বুঝতে পারলাম টমেটো। প্রতিটি ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।
কি দারুন দারুন ছবি শেয়ার করেছেন আপনি আজকে ভাইয়া। সব থেকে ভালো লাগছে পানা ফুলের ছবিটি। আসলে পানা ফুলের রং আমার এত প্রিয় আর এই ফুলটিরও যেন আলাদা এই মাধুর্য আছে। সব মিলিয়ে আপনার আজকের ফটোগ্রাফি পোস্ট কিন্তু জমজমাট নিবেদন।
এই সাধারণ ফটোগ্রাফি গুলোর মধ্যে গ্রামীণ জীবনের এক চঞ্চলতা ফুটে উঠে। ফুটে উঠে এক অসাধারণ জীবনের রীতি। চমৎকার লাগল আপনার ফটোগ্রাফি গুলো। বেশ দারুণ করেছেন ভাই। ধন্যবাদ আপনাকে।।
গ্রাম্য পরিবেশের একেবারে অসাধারণ কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করার মধ্য দিয়ে আজকে আপনি আপনার এই পোস্ট শেয়ার করেছেন৷ যেভাবে আপনি এখানে সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করেছেন তা দেখে খুব ভালই লাগছে৷ একই সাথে এই ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার মধ্য দিয়ে আপনার কাছ থেকে একেবারে ভিন্ন ভিন্ন কিছু ফটোগ্রাফি দেখতে পারলাম৷ যা দেখে খুব ভালোই লাগছে৷ অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য৷