শীতের জ্যাকেট কিনতে নিউ মার্কেট যাওয়া।।
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আমি জনি প্রিন্স আজকে আবার আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে চলে এলাম । আশা করি শীতকে ভালোই উপভোগ করছেন। শীত কালে আর যায়হোক ঘুমিয়ে আরাম পাওয়া যায়। রাত দশটা এগারোটার দিকে ঘুম দিলে সকালের আগে আর ঘুম ভাঙ্গে না। যায়হোক চলুন মূল আলোচনাটা শুরু করি।
শীত আসলে শীতের পোষাক বিক্রয়ের ঘুম পড়ে। সবাই চায় শীতের আগেই নিজেদের পছন্দের পোষাকটি কিনে নিতে। প্রত্যেক বছরই ঈদ বা শীতের মৌসুম আসলে নতুন ডিজাইনের পোষাকের প্রতি মানুষের আকর্ষন থাকে। এবছর ও তার ব্যাতিক্রম হয়নি। গত এক দুই বছর যাবৎ জিন্সের একটি জ্যাকেটের প্রতি মেয়েদের আকর্ষন জন্ম নিয়েছে। যদিও চার পাঁচ বছর আগেও এই পোষাকটি ভালোই মার্কেট পেয়েছিল। মাঝখানে দুই তিন বছর লম্বা এক ধরনের পোষাকের মার্কেট ছিল। এখন আবার নতুন করে জিন্সের পোষাকটি মার্কেট উঠে এসেছে।
গত নভেম্বর মাসের শেষের দিকে আমি আর আমার ওয়াইফ ঢাকা নিউমার্কেটে গিয়েছিলাম সেই জিন্সের পোষাকটি কিনতে। যদিও আমাদের বাসার আশে পাশের মার্কেট গুলোতেও এ পোষাকটি পাওয়া যায়, তারপরেও আমি ইচ্ছে করেই নিউ মাকের্টে গেলাম। সাধারনত ঢাকার নিউ মার্কেটটি খুলা হয় সকাল নয়টা থেকে তবে কেনাকাটা জমে উঠে বিকালের দিকে। আমরা বিকালের দিকেই গিয়েছিলাম। বাসার সামনে থেকে মৌমিতা বাসে চড়লাম। এই বাস গুলো নারায়ণগঞ্জ শহর থেকে ছেড়ে যাত্রাবাড়ি ফ্লাইওভারের উপর দিয়ে বকশি বাজার হয়ে আজিমপুর হয়ে নিউ মার্কেট হয়ে সাভার পর্যন্ত যায়। সেখানে থেকে আবার নারায়ণগঞ্জের উদ্যেশ্যে ফিরে আসে।
আমরা নিউমার্কেট এড়িয়াতে নেমে দুই নাম্বার গেইট দিয়ে মার্কেটে প্রবেশ করলাম। আমরা যে বাসটি দিয়ে সেখানে গিয়েছি,জ্যামের কারনে বাসটি সেখানেই আটকে আছে। বিশাল বড় মার্কেট,এমন কোন জিনিষ নেই সেখানে পাওয়া যায় না। প্রথম শীত শুরু হয়েছিল তাই মানুষের সমাগম ছিল চোখে পড়ার মত। আমি মার্কেটের বাহির থেকে দুইটি ফটোগ্রাফি নিয়েছিলাম। বাহিরের মার্কেট গুলোতেও ভালোই বেচা কেনা হচ্ছে। শীতের টুপি,মোজা,জ্যাকেট গুলো মার্কেটে বেশি দেখলাম।
উপরে যে দুইটি ফটোগ্রাফি দেখতে পাচ্ছেন সে গুলো হলো মার্কেটের ভিতরের অংশ। ভিতর থেকে বাহিরেই মানুষের সংখ্যা বেশি দেখা যায়। আমরা প্রথমে মার্কেটের চার পাশে ঘুরে দেখলাম। কোন দোকেনে নতুন ডিজাইনের পোষাক আছে সেটা দেখতে লাগলাম। কয়েকটি পোষাকের দামও জিঙ্গেস করলাম। কাপড়ের দাম তুলনামূলক ঠিকই আছে। হয়তো শীতের প্রভাবের কারনে কিছুটা বেড়েছে। তবে ভাল মানের নিম্ন মানের দুই ধরনের কাপড়ই সেখানে রয়েছে।
কিছুক্ষন ঘুরাঘুরি করে আমরা পোষাক চয়েজ করতে লাগলাম। দেখলাম অনেক মেয়েরাই এই জ্যাকেটটি কিনতেছে। এই ডিজাইনের মধ্যে জিন্স কালার,সাদা কালার,ব্ল্যাক কালার সহ কয়েক প্রকারের কালার রয়েছে। ডিজাইন সহ আবার ডিজাইন ছাড়া,বিভিন্ন ফুলের আকিৃতির পোষার রয়েছে। যার যেটা চয়েজ হচ্ছে সেটাই কিনে নিচ্ছে। পোষাক গুলো আমার কাছে ভালো মানেরই মনে হয়েছে।
আমরা দেখে অনেক যাছাই বাছাই করে দুইটি জ্যাকেট নিলাম। একটি আমার ওয়াইফ তার নিজের জন্য নিয়েছে,আরেকটি তার বোনের জন্য নিয়েছে। জ্যাকেট কেনা শেষ হলে আমরা আরো কিছু আনুসঙ্গিক জিনিষ পত্র কিনলাম। তারপর ফুচকা সহ কিছু ফাস্টফুড খেয়ে সন্ধার দিকে আবার সেই মৌমিতা বাসে চড়ে বাসার দিকে রওয়ানা দিলাম। আসার সময় চাঁনখার পুলে এসে কিছুটা জ্যামে পড়েছিলাম। ফ্লাইওভারে উঠার পরে আর তেমন কোন জ্যামে পড়তে হয়নি। সন্ধার পরপরই বাসায় এসে পৌছতে পেরেছিলাম।
বন্ধুরা এই হলো আমার আজকের আয়োজন। আশা করি ব্লগটি পড়লে আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে। আজকে এখান থেকেই বিদায় নিলাম। আগামীকাল আবার আপনাদের সাথে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হবো। সবাই ভালো ভাল থাকবেন,সুস্থ থাকবেন।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রিয়েলমি-53 |
শিরোনাম | শীতের জ্যাকেট কিনতে নিউ মার্কেট যাওয়া।। |
স্থান | নিউ মার্কেট,ঢাকা,বাংলাদেশ। |
তারিখ | ২৩ / ১১ /২০২৩ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
আমার কাছে জিন্সের জ্যাকেট গুলো বেশ ভালই লাগে। তবে অন্যদের পছন্দ কেমন জানি না। আমি আবার মার্কেটে গেলে একটু সকাল টাইমে যায়। কারণ এত জ্যামের মধ্যে কেনাকাটা করতে ভালো লাগে না। সকালে গেলে নিরিবিলি পরিবেশে সুন্দর করে দেখে নেওয়া যাই। অবশেষে আপনারা অনেক ঘোরাঘুরি করার পরে পছন্দ মত জ্যাকেট পেয়ে গেলেন। ভালো লাগলো ব্লগিংটা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপু সবাই জিন্সের জ্যাকেট গুলো পছন্দ করে। ধন্যবাদ।
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আসলে ভাইয়া শীতের সময় শীতের কাপড় চোপড় বেশি বেচাকিনা হবে এটাই স্বাভাবিক। যাইহোক আপনারা দুজনে বেশ ভালোই ঘোরাঘুরি করে কিনেছেন। সত্যি বর্তমান এই জ্যাকেট গুলোই বেশি চলছে। যাইহোক আপনারা দুটি জ্যাকেট কিনেছেন জেনে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া পোস্ট
টি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জী আপু ঘুরে ঘুরে জিনিষ পত্র কিনলে অনেক আইডিয়া হয়। ধন্যবাদ।
এখন শীতের সময় যে যেমন ভালো লাগার মত শীত পোশাক কেনার চেষ্টা করে আমি অবশ্য জিন্সের জেকেট বেশি একটা পছন্দ করি না চায়না গাবাডি জেকেট গুলো বেশি ভালো লাগে। তবে যার যেটা ভালোলাগা। তবে শীতের পোশাক কেনায় কিন্তু বেশ জনাকীর্ণ হয়ে ওঠে বিকেল টাইমে। আমি বেশ ২-৩ দিন গিয়েছি এবার শীতের পোশাক কেনার উদ্দেশ্যে। গাংনী এবং বামুন্দিবাজারে ঠিক সেম অবস্থা দেখেছি।
জী ভাইয়া বিকালের দিকে মানুষের উপস্থিতি বাড়ে। ধন্যবাদ।
এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো যে আপনারা দুইটা জ্যাকেট কিনেছেন যদিও একটা জ্যাকেট আপনার ওয়াইফের জন্য আর একটা তার বোনের জন্য। নিউ মার্কেটে গেলেই বোঝা যায় যে সেখানে আসলে কতটা ভিড় ভিড়ের পাশাপাশি এখানে এত এত দোকান যে কোন দোকান দেখে কোন দোকানে যাব ভেবেই পাই না। শীতের সময় নিউ মার্কেটে অনেক সুন্দর সুন্দর ডিজাইনের জিনিস পাওয়া যায়, জ্যাকেট কিনার উদ্দেশ্যে গিয়ে ভালই সুন্দর একটা মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন, শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
জী ভাইয়া যারা নিউ মার্কেট যায় তারাই বুঝে,কতটা মানুষের ভিড় থাকে। ধন্যবাদ।
আমার কাছে এই ধরনের জিন্সের জ্যাকেট গুলো অনেক ভালো লাগে। ঈদের সময় ও শীতের সময় কাপড় কেনার আসলেই ধুম পড়ে। দুজনে ঘোরাঘুরি করে বেশ দারুণ দুটি জ্যাকেট কিনেছেন ।অনেক ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জী আপু পছন্দের জিনিষ কিনে দিতে পেরে আমার কাছেও ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ।