পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটি ভ্রমন-পঞ্চম পর্ব (পাহাড়ের মিষ্টি মিষ্টি আনারস খাওয়ার অনুভূতি)।।
যারা বাংলা ভাষায় ব্লগিং করতে চান,তাদেরকে এই কমিউনিটিতে স্বাগতম-
হ্যালো বন্ধুরা,
আপারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটি ভ্রমন পঞ্চম পর্ব শেয়ার করবো। আজকে পাহাড়ি মিষ্টি আনারস খাওয়ার ফটোগ্রাফি দেখতে পারবেন। সেখানের পিউর আনারস খেয়ে আমি মুগ্ধ হয়ে গেছি। সেখানে অল্প দামে সুন্দর মিষ্টি আনারস পাওয়া যায়।
আমরা নৌকা দিয়ে পাহাড়ি এলাকায় গিয়ে বোদ্ধ পাড়া ও বোদ্ধ মন্দির পরিদর্শন করার পরে একটি উঁচু পাহাড়ের চূড়ায় উঠলাম। সেখানে অনেক গাছগাছালি রয়েছে,বসার জায়গা রয়েছে। সেখানে গিয়ে বসে আমরা কিছুক্ষন রেস্ট নিলাম। অনেক পথ জার্নি করার পরে আমরা সবাই ক্লান্ত হয়ে পড়লাম। তাছাড়া রোদের প্রচন্ড তাপ ছিল। সেখানে গাছগাছালি থাকলেও বাতাস ছিল না। যার ফলে সবাই ঘেমে একাকার হয়ে গেছিলাম। যদি বাতাস থাকতো তাহলে অনেক আরাম লাগতো। আমরা সেখানে বসে থাকা অবস্থায় আরো অনেক মানুষ ধীরে ধীরে পাহাড়ে উঠতে লাগলো। সেই দিন অনেক পর্যটক সেখানে গিয়েছিলো।
উপরের ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন অনেক মানুষ পাহাড়ে উঠতেছে। বাচ্ছারা এত উচুঁতে উঠতে পারে না। যার ফলে তাদেরকে ধরে ধরে পাহাড়ে উঠাচ্ছে। যদি বৃষ্টি হয় এই রাস্তা দিয়ে উঠানামা করা আমার পক্ষে অসম্ভব। একটু পা পিছলে গেলেই নিচ থেকে সোজা উপরে চলে যেতে হবে। । তবে পাহাড়ি আদিবাসিরা কিভাবে এই রাস্তা দিয়ে উঠানামা করে আমার জানা নেই। এখানে যদি সিড়ি থাকতো তাহলে হয়তো বাচ্ছাদের উঠতে এত কষ্ট হতো না। আমরা ছেলে মানুষ দৌড়ে উঠে যায় আবার নামার সময় দৌড়ে নেমে যায়। বাচ্ছা আর বৃদ্ধদের জন্য একটু কষ্ট হয়ে যায়। তারপরও প্রকৃতির প্রেমে পাগল হয়ে সবাই রাঙামাটি ঘুরতে যায়।
সেখানে আমরা একটি আনারস বাগান দেখলাম। তবে সেই বাগানের গাছে কোন আনরাস দেখতে পায়নি। তার পাশেই পাহাড়ের একটু নিচে পাহাড় কেটে আনারস বিক্রয় করার জায়গা তৈরী করা হয়েছে। বলতে গেলে ছোটখাটো একটা বাজার। অনেক আদিবাসি মানুষ এখানে আনারস বিক্রয় করতেছে। আমাদের সাথে যারা ঘুরতে গেছে সবাই আনারস কিনে খাওয়া শুরু করলো। আমি প্রথমে ঘুরে ঘুরে কিছু ফটোগ্রাফি নিলাম। আর তাদের অবস্থানটা সম্পর্কে জানলাম। এখানে অনেক আদিবাসি তাদের চাষকৃত জমি থেকে আনারস এনে বিক্রয় করে। আর কেউ আছে ঘনজঙ্গল থেকে এনে এখানে বিক্রয় করে। তবে এগুলো যে শত ভাগ প্রাকৃতিক ফল সেটার মধ্যে কোন ভুল নেই। ঐজাগায় গেলে আনারসের ঘ্রানে মন পাগল হয়ে যায়। মানে ভালো দামে সস্থা আনারস।
এখানে পুরুষদের পাশা পাশি নারীরাও আনারস বিক্রয় করে থাকে। তারা খুব সুন্দর করে পর্যটকদের বলে মিষ্টি মিষ্টি আনারস নেন। সেখানে ছোট আনারস গুলো দশ টাকা আর বড় গুলো বিশ টাকা করে বিক্রয় করে। আর ত্রিশ টাকার আনারস দেখেছি বলে মনে হয় না। তবে রাতের বেলা আসার সময় পাঁচ টাকা করে বিশটা আনারস কিনে এনেছিলাম। আর লাষ্টের দিকে ৩০টা একশোটাকা বিক্রয় করেছিল। আনারস আমার খুবই প্রিয় একটি ফল। আর রমজান মাসে প্রচুর আনারস খেয়েছি। এখনো মাঝে মাঝে কিনে খায়।
এগুলো দশ টাকা পিচ আনারস। আমি ঐদিন পাঁচ থেকে সাতটি আনারস খেয়েছিলাম। আনারসের চামড়া ছাড়ানো অনেক কঠিন। অনেক মানুষ চামড়া ছাড়ানোর ভয়ে আনারস খেতে চাই না। সেখানে দেখলাম তারা খুব সহজ ভাবে চামড়া ছাড়িয়ে লবন মরিচ দিয়ে হাতে ধরিয়ে দেয়। আমি বাসায় তাদের পদ্ধতিতে আনারস থেকে চামড়া ছাড়ানোর চেষ্টা করেছিলাম। তবে আমি ব্যর্থ হয়েছি। তাদের কাচিঁ গুলো অনেক ধারালো। এক হাতে আনারস ধরে অন্য হাতে কাচিঁ দিয়ে আনারসের চামড়া ছাড়িয়ে ফেলে। আপনারা ছবির মধ্যে দেখতেছেন,কেমন লোভনীয় ও রসালো আনারস। পাহাড়ি অরিজিনাল আনারস খেতে হলে আবার যেতে হবে পাহাড়ে। মন বার বার ছোটে যায় লাল মাটির দেশ রাঙামাটিতে।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | realme-53 |
শিরোনাম | পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটি ভ্রমন-পঞ্চম পর্ব (পাহাড়ের মিষ্টি মিষ্টি আনারস খাওয়ার অনুভূতি )।। |
স্থান | রাঙামাটি, চট্রগ্রাম, বাংলাদেশ। |
তারিখ | ০১ /০৩ /২০২৪ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
রাঙ্গামাটি বেশ সুন্দর একটি জায়গা যেয়ে তো মুগ্ধ হয়ে গেছিলাম ঘোরাফেরা করে। তবে আমার আবারও যাওয়ার ইচ্ছে আছে অনেকদিন সময় নিয়ে ঘোরাঘুরি করবো। সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে আমার কাছে রাঙামাটির আনারস গুলো খেতে। এতই মিষ্টি তরতাজা আনারস গুলো বেশ ভালোভাবে খেয়েছিলাম। আর আপনি তো আজকে আনারস খাওয়ার অনুভূতি শেয়ার করলেন ভীষণ ভালো লাগলো।
জী আপু রাঙামাটির আনারস গুলো খুবই মিষ্টি। খেতে দারুন লাগে। ধন্যবাদ।
Congratulations, your post has been upvoted by @dsc-r2cornell, which is the curating account for @R2cornell's Discord Community.
পাহাড়ি আদিবাসীদের এই পাহাড়গুলোতে উঠতে অভ্যাস হয়ে গেছে, এজন্য তাদের কোনো কষ্ট হয় না ভাই। কিন্তু পাহাড়ের উপর আনারস হয় এটা আমি জানতাম না। তাছাড়া পাঁচ টাকা কিংবা ১০ টাকায় আনারস পাওয়া যায়, এটা তো কল্পনার বাইরে। তবে ভাই আনারস গুলো কিন্তু সত্যিই অনেক ফ্রেশ। আমার যদি কখনো পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটি ঘোরার সৌভাগ্য হয়, তাহলে এখানে গিয়ে আনারস অবশ্যই খাবো।
জী আপু পাহাড়ে বনজঙ্গলে প্রচুর আনারস হয়ে থাকে। অবশ্যই রাঙামাটি ঘুরতে আসবেন। ধন্যবাদ।
পাহাড়ের বিভিন্ন ফলগুলোর দাম কিন্তু বেশ কম মনে হয়। পাহাড়ি আনারস খাওয়ার অভিজ্ঞতা নেই। তবে ছোটবেলায় পাহাড়ে ঘুরতে গিয়েছি অনেক। যাইহোক আপনার জার্নির গল্প পড়ে ভালো লাগলো। দারুন একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া।
পাহাড়ি যে কোন জিনিষ খেতে দারুন লাগে। এগুলো শত ভাগ পিউর। ধন্যবাদ।
পাহাড়ি এলাকায় পুরুষদের পাশাপাশি নারীরাও খুব পরিশ্রমী এবং তারাও সমানভাবে কাজ করে, এটা আমি জানি। বাংলাদেশের পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটিতে আনারস পাওয়া যায় জানতাম কিন্তু এত কম দামে পাওয়া যায়, সেটা জানতাম না আমি। এখনকার দিনে ১০-২০ টাকায় তো কিছুই হয় না, সেখানে এই টাকায় আনারস পাওয়া বেশ দারুণ ব্যাপার। আপনাদের কষ্ট করে পাহাড়ে ওঠা সার্থক হয়েছে যা দেখছি ভাই। ভালো লাগলো ভাই, আপনার এই পোস্ট টি পড়ে।
জী ভাইয়া সেখানে ৩/৪ টাকা দিয়েও আনারস পাওয়া যায়। ধন্যবাদ।
বলেন কি ভাই! 😯 তাহলে তো জলের দামের থেকেও সস্তায় আনারস পাওয়া যায় ওইখানে।