লেকচার- Diarrhoea বা উদারাময়।।

হ্যালো প্রিয় বন্ধুরা,কেমন আছেন সবাই। আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আমার আজকের ব্লগের বিষয় হলো ডাইরিয়া । আশা করি আপনারা যদি মনযোগ সহকারে পড়েন তাহলে কিছুটা হলেও উপকার পাবেন।

গত শুক্রবারে আমাদের প্রফেসর স্যার ডাইরিয়া সম্পর্কে লেকচার প্রদান করেছেন। আমাদের স্যার প্রায় তের বছর যাবৎ বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে,বিভিন্ন ট্রেনিং সেন্টারে,বিভিন্ন কাউসিলিং এর মধ্যে এই রোগ সমূহের বিষয়ে লেকচার প্রদান করতে করতে স্যারের সব কিছু মুখস্ত হয়ে গেছে। আমাদের ক্লাসে এসেই জিঙ্গেস করে আজকে কোন সাবজেক্ট পড়ানো হবে। আমরা জাষ্ট সাবজেক্ট টা বলে দেয়। তারপর থেকেই স্যারের লেকচার শুরু হয়ে যায়। কোন বই, কত পৃষ্টা এসব দেখা লাগে না। তিনি তার অভিজ্ঞতা থেকেই বলতে থাকেন। পড়ে আমরা বইয়ের সাথে মিলিয়ে দেখি সব কিছু ঠিক আছে। হয়তো শব্দ চয়নে কিছুটা পার্থক্য হয় তবে ভাবার্থ একই থাকে।

আজকে আমি আপনাদের সামনে যে বিষয়টা আলোচনা করবো সেটা হলো Diarrhoea । এটা আমাদের মেডিকেল গাইড বই থেকে পড়ানো হয়েছে। আমি সবসময় স্যারের লেকচার এবং আমাদের বইয়ের সমন্বয়ে মূল বিষয়টা আমার অনুভূতির মাধ্যমে আপনাদের সাথে তুলে ধরার চেষ্টা করি। আমি যতটুকু বুঝেছি সেটাই লিখার চেষ্টা করি। এর মধ্যে কোন কিছু বাদ দেয় না আবার কোন কিছু একষ্ট্রা যোগও করি না। উদ্দেশ্য হলো মূল বিষয়টা সহজ ভাবে বুঝতে পারা। চলুন তাহলে শুরু করি।

ডায়রিয়া জনিত অসুখের কারণে শরীর হতে প্রচুর পারিমাণে পানি ও লবণ বেরিয়ে যায় এবং রোগী পানি শূন্যতায় ভোগে। তাছাড়া সঠিকমাত্রায় পানি ও লবণের ঘাটতি পূরণ করা না হলে রোগী মারাত্মক কিডনী জনিত অসুখের ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যায়। সুতরাং এই রোগটির বিষয়ে আমাদের সবার ধারনা রাখা জরুরী।

Diarrhoea বা উদারাময়।

প্রতি দিন কমপক্ষে তিনবার পাতলা বা তরল মলত্যাগ করার ফলে যে রোগ হয় তাকে ডায়রিয়া বা উদরাময় বলে। এটা প্রায় সময় কয়েক দিন স্থায়ী হয়। এর ফলে অতিরিক্ত তরল বেরিয়ে যাওয়ার কারণে জলশূন্যতা দেখা দিতে পারে। তবে তিনবারের কম হলে ভয়ের কিছু নেই।

ডাইরিয়া হওয়ার কারণ:-
ডায়রিয়া বিভিন্ন কারণে হতে পারে যথা- ভাইরাসের মাধ্যমে,ব্যাকটেরিয়া এবং প্রোটোজোয়ার মাধ্যমে,প্যারাসাইট বা ক্রিমি,ফাংগাস,ফুড পয়জনিং এর মাধ্যমে। এছাড়াও দূষিত পানি পানের মাধ্যমে ডায়রিয়া রোগ ছড়ায়। দূষিত খাবার বা পঁচাবাশি খাবার খেলে, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাস করলে বা ব্যক্তিগত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় না রাখলেও ডায়রিয়া হতে পারে।

কি কি লক্ষণ দেখলে আমরা বুঝবো যে কারো ডাইরিয়া হয়েছে:-
প্রথমত বার বার পাতলা পায়খানা হবে। মলের পরিমান কম হবে এর পরিবর্তে জলীয় অংশ খুব বেশি হবে। নাভির চারদিকে বেদনা হবে বা পেট কামড়ানি থাকবে। ডিহাইড্রেশন এর লক্ষণ থাকবে। যদি কঠিন প্রকারের ডাইরিয়া হয় তাহলে সমস্ত তলপেটে ব্যথা হবে ও পায়খানা হবে। বমি-বমি ভাব থাকতে পারে আবার নাও থাকতে পারে। তাছাড়া জ্বরও থাকতে পারে।

ঔষুধ বা পরামর্শ
যে কো প্রকারের রোগ হোক না কেন ঘাবড়ানো বা বিভ্রান্ত হওয়া যাবে না। বুঝে শুনে তারপর ঠান্ডা মাথায় সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কারন তারাহুড়ো করে ভুল সিদ্ধান্ত নিলে হিতে বিপরীত হতে পারে। মনে রাখতে হবে রোগ দাতা যিনি মুক্তি দাতা তিনি।

ডাইরিয়া হলে সর্বপ্রথম যে কাজটি করতে হবে পানিশূন্যতা পূরন করতে স্যালাইন খেতে হবে। স্যালাইন যদি নিজে বানাতে না পারে তাহলে আশে পাশের দোকান থেকে সংগ্রহ করতে হবে। পাতলা পায়খানা বন্ধ করার জন্য লোপেরামাইড গ্রুপের ঔষুধ খাওয়া যেতে পারে। এগুলোতে যদি কাজ না হয় তাহলে এজিথ্রোমাইসিন গ্রুপের ঔষুধও খেতে হতে পারে। তবে সব কিছু ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খেতে হবে। সবাইকে ধন্যবাদ।

আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা,ডিজাইন করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।